শিক্ষকসমাজ জাতি গঠনের কারিগর। তারা ফেরেশতা কিংবা দেবতা নন। তাদেরও অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলত্রুটি থাকতে পারে। তাই বলে তাদের টেনেহিঁচড়ে হেনস্তা করার কোনো অধিকার আপনার নেই। বস্তুতপক্ষে কোনো আদর্শিক পরিবারের সন্তান এমন নিন্দনীয় কাজে জড়াবে না। আপনারা যে বা যারা অতি উৎসাহী হয়ে সম্মানিত শিক্ষকদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছেন, সেখানে নিঃসন্দেহে আপনার পারিবারিক শিক্ষার প্রশ্ন উঠবেই। কোনো সম্মানিত শিক্ষকের যদি দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়, সেটা দেখার জন্য দেশের নিরপেক্ষ প্রশাসন বিদ্যমান।
শিক্ষকতা পেশায় যে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটছে, এমনটা কিন্তু নয়। বস্তুত একজন শিক্ষক সমাজে বেঁচে থাকেন তার প্রাপ্য সম্মানটুকু নিয়ে। এই শিক্ষকরাই একজন শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় পিতা-মাতার ভূমিকা পালন করেন। সম্প্রতি দেশে সম্মানিত শিক্ষকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য একজন ছাত্র হিসেবে আমি লজ্জিত। আমার সম্মানিত শিক্ষকদের প্রতি আমি আমৃত্যু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা ও ভালোবাসার চাদরে ঠাঁই না পেলে হয়তো আমাদের মতো হাজারো শিক্ষার্থীর জীবনের গতিপথে চরম দুর্বিষহ অন্ধকার নেমে আসত। হে আলোর দিশারি সমাজ, আপনাদের হাত ধরেই তৈরি হবে আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশের হাজারও কর্ণধার। কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি, কৃতজ্ঞতা বাংলাদেশের শিক্ষকসমাজের প্রতি।
এস এম রাহমান জিকু
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম
[email protected]