শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে একসময় কতই না মধুময় সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে যেমন ছিল শাসন, তেমনি ছিল স্নেহের স্রোতোধারা। কোনো কোনো শিক্ষককে বাঘের মতো ভয় পেলেও তাদের ভেতরটা ছিল কোমল। তারা যেমন শাসন করতেন, তেমনি ছাত্রদের ব্যাপকভাবে তদারকিও করতেন। কেউ স্কুলে না এলে বাড়ি থেকে ছাত্রদের দিয়ে ধরে নিয়ে আসতেন স্কুলে। কোনো অভিভাবককে তখন কৈফিয়ত দিতে হতো না। শিক্ষকরা তখন ছিলেন সর্বতোভাবে শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। এখন কেউ কাউকে মানছে না।
অনেক স্কুলে বেপরোয়া ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে সিসি ক্যামেরা পর্যন্ত বসাতে হচ্ছে। একজন শিক্ষক আরেকজন শিক্ষকের পেছনে লেগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন ঘটছে। তারই প্রতিফল এখন পাচ্ছে তারা। তারা গণহারে পতত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কাউকে কাউকে জোরজবরদস্তি করা হচ্ছে পদত্যাগ করতে। একজন শিক্ষক সমাজের বাতিঘর। তা যদি দপ করে নিভে যায়, তাহলে পুরো সমাজটাই অন্ধকারে পতিত হবে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক দলবাজি ও লেজুড়বৃত্তিমুক্ত।
অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কিছু গিরিঙ্গিবাজ শিক্ষক থাকেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যবহার করে নিরীহ ও সাধারণ শিক্ষকদের পদত্যাগে পর্যন্ত বাধ্য করা হচ্ছে, যা দুরভিসন্ধিমূলক। তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। তাদের চিহ্নিত করে সব প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের চালবাজ এবং গুটিবাজ শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান থেকে দূরীভূত করে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনাই হবে এখন মূলমন্ত্র।
অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]