ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে

কৃষি ফসল উৎপাদনে কৃষকের অবদান সবচেয়ে বেশি। কৃষক আছেন বলেই আমাদের খাদ্যসংকট হচ্ছে না। প্রতিটি কৃষিপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। কিনতে গেলে হাত পুড়ে যায়! বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ যদি এতটাই এগিয়ে থাকে, তবে তা নিশ্চিতভাবে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। এখন প্রশ্ন জাগে, যে দেশে এত উৎপাদন হচ্ছে, সেখানে কৃষকরা কেন ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না? 

নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি কেন? এত বেকারত্ব তথা অভাব-অনটন কেন? কেনইবা এ দেশে জনসংখ্যার সিংহভাগ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে? মুষ্টিমেয় লোক বাদ দিলে অধিকাংশ জিনিসপত্রের দাম শুনে বিস্মিত-অবাক! মাছ-মাংস খেতে তো ভুলে গেল! এটা স্পষ্ট যে, উৎপাদনের সুফল সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছোচ্ছে না। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

সাধারণ মানুষ ইলিশ মাছ খাওয়া ভুলে গেছে!

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৩ এএম
সাধারণ মানুষ ইলিশ মাছ খাওয়া ভুলে গেছে!

মানুষের দুর্ভোগের কথা সামনে উঠে আসে না। কেউ সাধারণ মানুষের পক্ষে দু-একটা কথা বলে না। এ সময় সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম গগনচুম্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋতুকালীন সবজির সঙ্গে নৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, ডিম সব কিছুরই দাম সাধারণ মানুষকে রীতিমতো ছ্যাঁকা দিচ্ছে। ইলিশ মাছ, গরুর মাংস তো মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন থেকে জন্মের তরে হারিয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ চিরতরে ভুলে গেছে ইলিশ মাছ খাওয়া। বাজারে জোগানও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তো পাচ্ছেই। 

এদিকে সরাসরি খেত থেকে কোনো জিনিসই তাজাভাবে মানুষের কাছে আসে না। আর আসবেই বা কীভাবে? কয়েক ধাপ বা হাতবদল হয়ে নিত্যপণ্য বাজারে আসছে। কয়েক হাত হলো বড় ব্যবসায়ী, মেজো ব্যবসায়ী, সেজো ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ী ইত্যাদি আরও কত হাত হয়ে আসছে। 

অর্থাৎ যে জিনিসের দাম ১০ টাকা, সেটা ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে দশ গুণ বেশি দাম দিয়ে। তা ছাড়া পণ্যও আর তাজা থাকছে না। জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের মনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ সঞ্চারের বীজ বপন করছে, এটা কি সরকার বোঝে না? মানুষ যাতে নিত্যপণ্য বা জিনিস কমমূল্যে কিনতে পারে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুরাহা দিক। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মীরা জাতির বিবেক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ এএম
সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মীরা জাতির বিবেক

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক শ্রেণির অতি উৎসাহীদের চক্রান্তে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে একের পর এক হত্যা মামলা দিয়ে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক মহলে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্নের চেষ্টা চলছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে জাতির কাছে ভুলত্রুটি তুলে ধরেন। কোনো গণমাধ্যমকর্মী অপরাধ করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণ করে আইনি ব্যবস্থা বা প্রয়োজনে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করা যেতে পারে।

বিগত সরকারের আমলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বহু নির্বতনমূলক আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের জেল-জুলুম, হয়রানি, গ্রেপ্তারের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হয়েছিল, যা ছিল অমানবিক। কোনো প্রকার যাচাইবাছাই ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হত্যা মামলা দেওয়া কোনো সরকারের জন্যই সুখকর নয়। বর্তমান বিশ্বে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম। চলতি ঘটনা, জ্ঞানবিজ্ঞান আর তথ্যের ভাণ্ডার এই সংবাদমাধ্যমগুলো দাঁড়িয়ে আছে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার ওপর। গুরুত্বপূর্ণ সব খবর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গিয়ে এবারের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কয়েকজন সাংবাদিককে জীবন দিতে হয়েছে।

 আজকাল কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কোনোভবেই নিরাপদ নন। রাষ্ট্রও সাংবাদিকদের রক্ষায় অবহেলা করে থাকে। মুক্ত সাংবাদিকতা ও টেকসই উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে তা গণমাধ্যমকর্মীরা দেশের স্বার্থে তুলে ধরা মানে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা নয় বরং সরকারকে সহায়তা করা। তাই আসুন, গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা না দিয়ে বরং তাদের সুরক্ষা প্রদান এবং সংবাদপত্রশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সচেষ্ট হই।

 মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী 
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা
[email protected]

নিজ দেশের চাহিদা পূরণের পর অন্যদেশ

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ পিএম
নিজ দেশের চাহিদা পূরণের পর অন্যদেশ

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। মাছটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। বাঙালির কাছে এর জুড়ি মেলা ভার। পয়লা বৈশাখে ভোরবেলা পান্তা-ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উৎযাপন করা বাঙালির আবহমানকালের সংস্কৃতি। এ ছাড়া যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠান, পূর্জাপার্বণে ইলিশের চাহিদা থাকে সবার আগে। শুধু কি বাংলাদেশ? প্রতিবেশী ভারতেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির বসবাস। সেখানকার বাজারেও সারা বছর ইলিশের রমরমা ব্যবসা হয়। পূজাপার্বণে এর চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।


 ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার পাতে পদ্মার রুপালি ইলিশ থাকবে না, তা কী করে হয়? গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়ে। প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে পুজোয় ইলিশ পাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবর ভারতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। 


প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারে না। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব বয়ে আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক মাধ্যম হিসেবে ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উচিত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা।

মো. সবুজ মিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে খাদ্য সংকট হবে

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৫ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে খাদ্য সংকট হবে

সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়া কৃষক জমিতে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক প্রয়োগের ফলে ক্যানসারসহ ভয়াবহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে আমাদের কৃষক। দেশের ৮৫ ভাগ কৃষকই বিষাক্ত রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের ভয়াবহতার সম্পর্কে কোনো ধরনের ধারণা নেই। বাকি ১৫ শতাংশ কৃষক যারা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা বিষয়টি জানলে অর্থের অভাবে সুরক্ষা মাক্স এবং হ্যান্ড গ্লাভস কিনতে পারছেন না।


 এতে করে প্রতিনিয়তই তারা সার ও কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ধীরে ধীরে আক্রান্তের শিকার হয়ে মরণব্যাধি ক্যানসারের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। যখন বিষয়টি ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে তখন আর কিছু করার থাকে না। বিষয়টি সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে আসায় এর ভয়াবহ চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।

 
প্রতি জেলায় বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ লোক জটিল রোগের শিকার হচ্ছেন। তার মধ্যে ১৫০ থেকে ২০০ জন ক্যানসারে ভুগছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে হ্যান্ড গ্লাভস এবং মাক্স কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ এবং জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক জনসংযোগ চালাতে হবে। আমাদের ফসলের জোগানদাতারা যদি আক্রান্ত হন তাহলে দেশ খাদ্যসংকটে পড়বে। যা হবে রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত। দীর্ঘদিন ধরে সার এবং কীটনাশক প্রয়োগে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও তা কেন কৃষি অফিসের নজরে এল না সেটা ভাবার বিষয়। এ ব্যাপারে গাফিলতি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজা, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে
চিঠিপত্র

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সহকারী সচিব  মো. সামীম আহসান স্বাক্ষরিত ২১-০৯-২০১৬ তারিখের, স্মারক নম্বর-০৭.০০.০০০০.১৬১.০০.০০২.১৬ (অংশ-১)-২৩২-এ জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ স্পষ্টীকরণ পরিপত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে-“(গ) উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতাঃ (৩) একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী কোনো প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল/ সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) না পাইয়া থাকিলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০ (দশ) বৎসর চাকরি পূর্তিতে ১১তম বৎসরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ৬ বছরে পদোন্নতি না পাইলে ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য”।  

অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রঃ স্মারক নম্বর-০৭.০০.০০০০.১৬৫.০৭.০০২.১২-৬০, তারিখ: ০৯ আগস্ট, ২০২১ খ্রি. তারিখের পত্রে বিধিবহির্ভূতভাবে উন্নীত বেতন স্কেল প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১০ বছর চাকরিকাল গণনা করে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতার কথা বলা হয়েছে ।   

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৯ আগস্ট, ২০২১ তারিখের বক্তব্য বিধিসম্মত নয়। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় যেন স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করে সব বিভ্রান্তি দূর করে, যাতে করে সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা নিয়ে আর কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হয় । 

মো. হাবিবুর রহমান
সহকারী শিক্ষক
চরযোগেন্দ্র আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
দক্ষিণ চরমশুরা (বসারচর), পোঃ রমজানবেগ, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]