বাবার অপেক্ষায় অনেক শিশু এখনো পথ চেয়ে বসে আছে। বাবা এসে কোলে তুলে নেবেন। বাবার সঙ্গে খুনসুটি করবে। এটা কিনে দাও, ওটা কিনে দাও বলবে। কিন্তু হায় একি! তাদের বাবা দিনের পর দিন, বছরের পর বছর গেলেও আর ফিরে আসেন না। তাদের নাকি গুম করা হয়েছে। একটি দেশে গত ১৪ বছরে ৬ শতাধিক মানুষ গুম হয়ে গেল আর রাষ্ট্র তা কিছুই জানল না, বুঝল না, এটা কি মেনে নেওয়া যায়? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অনেককে তুলে নেওয়া হয়েছে। র্যাবের দ্বারাও অনেক মানুষ গায়েব হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাটি প্রকাশ না পেলে আমরা তা জানতে পর্যন্ত পারতাম না। দেশের আয়নাঘর বিষয়টি এখন সবার সামনে চলে এসেছে।
সেখান থেকে অনেকে বের হলে তাদের বাস্তবতার কথা আমরা জানতে পেরেছি। সেটা বিরোধী নিপীড়নের যে বড় ধরনের বন্দিশালা ছিল, তা আর এখন গোপনীয় কোনো বিষয় নয়। অনেক ব্যক্তিকেই আমরা দেখেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে চোখ বেঁধে ধরে নিতে। মুক্তিপণ পেয়ে কিছু ছাড়াও পেয়েছেন। আবার অনেককে তারা হত্যা করেছে। এসব ঘটনায় কিছু বিপথগামী চাকরিচ্যুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। না হলে শত শত মায়ের কান্নায় আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ হবে। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।
অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]