সাখাওয়াত হোসেন বিজিবিকে বলেছিলেন, সীমান্তে আপনারা পিঠ দেখাবেন না। তার কথার সূত্র ধরে বিজিবি সীমান্তে নড়েচড়ে বসে। তার বক্তব্য ভারত সরকার ভালোভাবে নেয়নি। সাখাওয়াত সাহেবের বক্তব্যের রেশ শেষ না হতেই স্বর্ণা দাস নামে নিরীহ কিশোরকে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাখাওয়াত সাহেবের বিদায় ঘটে। নতুন পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও একই উক্তি করেন সীমান্ত নিয়ে। এবারও জয়ন্ত নামের আরেক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভারতের বিএসএফের হত্যাকাণ্ড কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। কয়েক দিন আগে ভারতের চারজন অনুপ্রবেশকারী বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। বিজিবির হাতে যখন ধরা পড়েছিল তখন ইচ্ছা করলেই তো ভারতের নাগরিকদের গুলি করতে পারত বিজিবি। তা না করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিজিবি সদস্যদের অনেক জটিল পরিস্থিতির মুখে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সীমান্তে আমাদের অংশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়নি। নদীর পাড়, খেতের আইল এবং জমির মধ্য দিয়েই বিজিবিকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। অপরদিকে ভারত সীমান্তের অংশে পাকা সড়ক। তাদের টহল থাকে জোরদার। কঠোর ভাষায় হুংকারের চেয়ে সীমান্তেই বিএসএফকে বুঝিয়ে দিতে হবে আমরাও ইচ্ছা করলে গুলি চালাতে পারি। দু-একটি নজির রাখলেই আঁতে ঘা লাগবে ভারত সরকারের। তখন উভয় দেশের জটিল সমস্যা দ্বিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সুরহা করা যাবে।
রোকসানা রহমান
আলীপুর, মোল্লার হাট, কালকিনী, মাদারীপুর
[email protected]