ঢাকা ২২ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

নোমোফোবিয়া নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ এএম
নোমোফোবিয়া নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রযুক্তির বিকাশ এবং ডিজিটালকরণের সঙ্গে সঙ্গে কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে। এখন স্মার্টফোন ছাড়া মানুষ এক মুহূর্তও থাকতে পারে না। কিছুক্ষণের জন্য মোবাইল থেকে সরে এলে মনে হয় কী একটা মিস হয়ে গেল। চিকিৎসাবিজ্ঞানে মোবাইল ফোন থেকে সরে আসার এই ভীতিকে বলা হয় ‘নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া’। সংক্ষেপে যাকে বলে ‘নোমোফোবিয়া’। 

বর্তমানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই নোমোফোবিয়া একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও এখন নোমোফোবিয়া সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধ সবাই নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত। বেশি সময় ধরে মোবাইল ফোনে লেগে থাকায় মানুষের ক্ষীণ দৃষ্টি, মাথাব্যথা, হতাশা, মেজাজ খিটখিটেসহ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি ঘটছে। এ সমস্যা নিরসনে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও বাংলাদেশে এখনো তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বাংলাদেশে নোমোফোবিয়ার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। 

এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে নোমোফোবিয়া নিয়ে কার্যকর গবেষণা প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সীমিত করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করা উচিত। শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ডিটক্স ক্যাম্প চালু করা হোক, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। 

মাইফুল জামান ঝুমু
শিক্ষার্থী, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
[email protected]

রাজধানীতে নকল মিনারেল ওয়াটারের চক্র

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
রাজধানীতে নকল মিনারেল ওয়াটারের চক্র

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে নামে-বেনামে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী মিনারেল ওয়াটারের নামে পানি ও জলের নকল ও ভুয়া ফ্যাক্টরি খুলে সেই পানি অহরহ বিক্রি করে মানুষকে পানের অযোগ্য, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পানি খাওয়াচ্ছে। অথচ বিএসটিআই, নগর ভবন, জেলা প্রশাসক, ভোক্তা অধিকার, ওয়াসা সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারও কোনো দায়িত্ব নেই। এদের অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য ফুটপাত, রাস্তাঘাট ও দোকানপাটে যে হারে নকল মিনারেল ওয়াটার বিক্রি হচ্ছে তাতে নগরবাসী আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। 

সরকারকে অবশ্যই রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশে অবস্থিত যত্রতত্র নকল ও বেআইনি মিনারেল ওয়াটার নামক অবৈধ জাতীয় স্বার্থবিরোধী ফ্যাক্টরিগুলো সিলগালা করে দেওয়া উচিত। অবৈধ উপায়ে গজিয়ে ওঠা মিনারেল ওয়াটার নামে নকল ফ্যাক্টরিগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব ফ্যাক্টরির কোনো লাইসেন্সও নেই। অবৈধ উপায়ে অসাধু দুষ্ট চক্রটি মিনারেল ওয়াটারের নামে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ব্যবসা করছে। আবার বড় বড় জারে বা বিশাল আকারের বোতলে ওয়াসার পানি ঢুকিয়ে বোতল ও জারের মুখ সিল করে দেওয়ার ঘটনা দেখে পথচারীরাও হতবাক। নোংরা, অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর ব্যবস্থার মধ্যে এক শ্রেণির দুষ্ট চক্র মিনারেল ওয়াটারের নাম ভাঙিয়ে এই কুকর্ম চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জোড় তৎপরতা চালানোর অনুরোধ করছি।
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা
[email protected]

সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, জনগণের ভোগান্তি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, জনগণের ভোগান্তি

সারা দেশেই সড়ক সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। প্রায়ই দেখা মিলছে সেসব রাস্তায় যানজট। বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও সংস্কার কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ সব মানুষকে যানজটের সম্মুখীন হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

জরুরি সেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্সও এই যানজটে আটকা পড়ে যায়। এমনও হয়, সারা দিন যানজট লেগে থাকে। সরেজমিন সড়ক সংস্কারের ধীরগতির চিত্র দেখা যায় রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে। সড়ক সংস্কারের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা জরুরি এবং এ বিষয়ে নতুন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জনসাধারণ।

রুহুল আমিন লেমন
শিক্ষার্থী, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
[email protected]

নিজ স্বার্থেই ছাদে বাগান গড়ে তুলি

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
নিজ স্বার্থেই ছাদে বাগান গড়ে তুলি

বিশ্বের বিভিন্ন নগরীর তাপমাত্রা কমানোর জন্য উদ্যান স্থাপন এবং ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য ছাদে বাগান স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাপানের রাজধানী টোকিওর মেট্রোপলিটন সরকার টোকিও সিটির ভবনগুলোর ছাদে ন্যূনতম ২০ শতাংশ জায়গায় বাগান কার্যক্রমকে ২০০১ সালে আইন পাস করে বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে টোকিও সিটির গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হ্রাস পেয়েছে। 

সম্প্রতি ঢাকার আসাদগেটে ফলবিথী হর্টিকালচার সেন্টারে সাংবাদিকদের জন্য রুফ গার্ডেনিং ওরিয়েন্টশন কোর্সে বক্তারা অবিলম্বে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার জন্য ঢাকা শহরের বাসাবাড়ির ছাদে ফলমূলের বাগান কার্যক্রমকে জনপ্রিয় করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 

ছাদে গার্ডেনিং কর্মসূচি সফলতার জন্য এ মুহূর্তে রাজউক ও রিহ্যাবের ভূমিকাকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না বরং তারা এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। সিঙ্গাপুরের মতো দেশে এখন রাস্তার ফুটপাতগুলোকে সবুজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাদে শুধু বাগান নয়, চৌবাচ্চা করে মাছ চাষ করাও যেতে পারে। ঢাকা শহরের পরিবেশ রক্ষার জন্য ছাদে বাগান কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নগরবাসীর। নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে বাগান কর্মসূচিকে উৎসাহী করা উচিত। 

এমতাবস্থায় আগামী প্রজন্মের ও নগরবাসীর স্বার্থে ঢাকা শহরের প্রতিটি বাসাবাড়ি, ফ্ল্যাট, এমনকি মসজিদ ও মাদরাসার ছাদে ফুল ও ফলের বাগান সৃজন বাধ্যতামূলক করতে একটি আইন পাস করার মাধ্যমে জনসচেতনা কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানাই। এ মহৎ উদ্যোগকে সফল করার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন, রাজউক, রিহ্যাব, গণপূর্ত অধিদপ্তর, এনজিও, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাই।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী
১৭, ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা
[email protected]

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণার ফাঁদ

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণার ফাঁদ

জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতারণা করে যাচ্ছেন একশ্রেণির প্রতারক চক্র। এতে একদিকে প্রতারণার শিকার হচ্ছে ক্রেতা, অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও হচ্ছে বদনামের ভাগিদার। কিছু অনলাইন ইলিশ ব্যবসায়ী নামে-বেনামে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে পদ্মা-মেঘনার টাটকা ইলিশ পাওয়া যায়, নিচের নম্বরে যোগাযোগ করুন- এমন লোভনীয় অফার দিচ্ছে। এদের কাছ থেকে ক্রয় করে কারও কারও ভাগ্যে মিলছে পচা, ছোট ও অন্য জেলার ইলিশ। আবার অনেকে বিকাশে টাকা পেমেন্ট করে হাহুতাশ করছেন। প্রতারক চক্র টাকা পেয়ে অনলাইন পেজ, মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বর বন্ধ করে দিচ্ছে।

এ ছাড়া অনলাইনে কম দাম দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। ব্যান্ডিং জেলাকে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর বলা হলেও সেখানকার সেই ঐতিহ্য আর এখন নেই। চাঁদপুরের ইলিশের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময় ইলিশ মাছের মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা একটি চক্র। 

কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও বার্তা ও লোভনীয় অফারে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে তারা। বিকাশে অগ্রিম লেনদেন করে অর্ডার নিশ্চিতের পর বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটি ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে ‘চাঁদপুরের ইলিশ’ লেখা থাকায় অনেকে মাছ না পেয়ে প্রতারকদের খুঁজে বেড়াচ্ছে চাঁদপুরে। তাই অনলাইনে ইলিশ প্রতারকদের দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

মো. মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর
[email protected]

সাধারণ মানুষ ইলিশ মাছ খাওয়া ভুলে গেছে!

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৩ এএম
সাধারণ মানুষ ইলিশ মাছ খাওয়া ভুলে গেছে!

মানুষের দুর্ভোগের কথা সামনে উঠে আসে না। কেউ সাধারণ মানুষের পক্ষে দু-একটা কথা বলে না। এ সময় সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম গগনচুম্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋতুকালীন সবজির সঙ্গে নৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, ডিম সব কিছুরই দাম সাধারণ মানুষকে রীতিমতো ছ্যাঁকা দিচ্ছে। ইলিশ মাছ, গরুর মাংস তো মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন থেকে জন্মের তরে হারিয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ চিরতরে ভুলে গেছে ইলিশ মাছ খাওয়া। বাজারে জোগানও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তো পাচ্ছেই। 

এদিকে সরাসরি খেত থেকে কোনো জিনিসই তাজাভাবে মানুষের কাছে আসে না। আর আসবেই বা কীভাবে? কয়েক ধাপ বা হাতবদল হয়ে নিত্যপণ্য বাজারে আসছে। কয়েক হাত হলো বড় ব্যবসায়ী, মেজো ব্যবসায়ী, সেজো ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ী ইত্যাদি আরও কত হাত হয়ে আসছে। 

অর্থাৎ যে জিনিসের দাম ১০ টাকা, সেটা ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে দশ গুণ বেশি দাম দিয়ে। তা ছাড়া পণ্যও আর তাজা থাকছে না। জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের মনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ সঞ্চারের বীজ বপন করছে, এটা কি সরকার বোঝে না? মানুষ যাতে নিত্যপণ্য বা জিনিস কমমূল্যে কিনতে পারে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুরাহা দিক। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]