ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

ফরিদাবাদে ডাকঘর চাই

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ এএম
ফরিদাবাদে ডাকঘর চাই

ডিজিটাল বা আধুনিক যুগে ডাকব্যবস্থার উন্নয়নের গুরুত্বের কথা নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। মূলত ডাকব্যবস্থার উন্নয়ন দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্যই প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে এর যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার ফরিদাবাদ পোস্টাল কোড ঢাকা-১২০৪, এলাকা বিশাল। অথচ খোদ ফরিদাবাদে অবস্থিত শত বছরের পুরোনো ডাকঘরটি ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কী কারণে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তা এলাকাবাসী অবগত নন। 

ডাকঘর না থাকার কারণে চিঠিপত্র আদান-প্রদান, ডাকটিকিট ক্রয়, সঞ্চয়পত্র, ডাক জীবন বিমা, চিঠি রেজিস্ট্রারি, ইএমএস, পোস্টকার্ড, পার্সেল সবকিছু থেকে এলাকাবাসী বঞ্চিত। তবে জেনে রাখা ভালো, আজকাল দেশের অনেক ডাকঘরের অবস্থা বেহাল। ডাক বাঁধার জন্য দড়ি, বাতি জ্বালানোর তেল এমনকি গালা পর্যন্ত নেই। এসব সামগ্রী ক্রয়ের জন্য প্রতি মাসে সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল, যা ডাকঘর চলার উপযোগী নয়। ডাকব্যবস্থা ও ডাক বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত ডাককর্মীরা এখনো বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত। আশা করি, পুরান ঢাকার মানুষের সমস্যার কথাটি উপলব্ধি করে ডাক বিভাগ অবিলম্বে রাজধানীর ফরিদাবাদের প্রত্যাহারকৃত ডাকঘরটি পুনরায় জনস্বার্থে চালুর উদ্যোগ নেবে।
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

নিজ দেশের চাহিদা পূরণের পর অন্যদেশ

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ পিএম
নিজ দেশের চাহিদা পূরণের পর অন্যদেশ

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। মাছটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। বাঙালির কাছে এর জুড়ি মেলা ভার। পয়লা বৈশাখে ভোরবেলা পান্তা-ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উৎযাপন করা বাঙালির আবহমানকালের সংস্কৃতি। এ ছাড়া যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠান, পূর্জাপার্বণে ইলিশের চাহিদা থাকে সবার আগে। শুধু কি বাংলাদেশ? প্রতিবেশী ভারতেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির বসবাস। সেখানকার বাজারেও সারা বছর ইলিশের রমরমা ব্যবসা হয়। পূজাপার্বণে এর চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।


 ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার পাতে পদ্মার রুপালি ইলিশ থাকবে না, তা কী করে হয়? গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়ে। প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে পুজোয় ইলিশ পাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবর ভারতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। 


প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারে না। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব বয়ে আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক মাধ্যম হিসেবে ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উচিত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা।

মো. সবুজ মিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে খাদ্য সংকট হবে

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৫ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে খাদ্য সংকট হবে

সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়া কৃষক জমিতে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক প্রয়োগের ফলে ক্যানসারসহ ভয়াবহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে আমাদের কৃষক। দেশের ৮৫ ভাগ কৃষকই বিষাক্ত রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের ভয়াবহতার সম্পর্কে কোনো ধরনের ধারণা নেই। বাকি ১৫ শতাংশ কৃষক যারা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা বিষয়টি জানলে অর্থের অভাবে সুরক্ষা মাক্স এবং হ্যান্ড গ্লাভস কিনতে পারছেন না।


 এতে করে প্রতিনিয়তই তারা সার ও কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ধীরে ধীরে আক্রান্তের শিকার হয়ে মরণব্যাধি ক্যানসারের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। যখন বিষয়টি ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে তখন আর কিছু করার থাকে না। বিষয়টি সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে আসায় এর ভয়াবহ চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।

 
প্রতি জেলায় বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ লোক জটিল রোগের শিকার হচ্ছেন। তার মধ্যে ১৫০ থেকে ২০০ জন ক্যানসারে ভুগছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে হ্যান্ড গ্লাভস এবং মাক্স কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ এবং জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক জনসংযোগ চালাতে হবে। আমাদের ফসলের জোগানদাতারা যদি আক্রান্ত হন তাহলে দেশ খাদ্যসংকটে পড়বে। যা হবে রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত। দীর্ঘদিন ধরে সার এবং কীটনাশক প্রয়োগে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও তা কেন কৃষি অফিসের নজরে এল না সেটা ভাবার বিষয়। এ ব্যাপারে গাফিলতি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজা, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে
চিঠিপত্র

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সহকারী সচিব  মো. সামীম আহসান স্বাক্ষরিত ২১-০৯-২০১৬ তারিখের, স্মারক নম্বর-০৭.০০.০০০০.১৬১.০০.০০২.১৬ (অংশ-১)-২৩২-এ জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ স্পষ্টীকরণ পরিপত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে-“(গ) উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতাঃ (৩) একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী কোনো প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল/ সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হউক) না পাইয়া থাকিলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০ (দশ) বৎসর চাকরি পূর্তিতে ১১তম বৎসরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ৬ বছরে পদোন্নতি না পাইলে ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য”।  

অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রঃ স্মারক নম্বর-০৭.০০.০০০০.১৬৫.০৭.০০২.১২-৬০, তারিখ: ০৯ আগস্ট, ২০২১ খ্রি. তারিখের পত্রে বিধিবহির্ভূতভাবে উন্নীত বেতন স্কেল প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১০ বছর চাকরিকাল গণনা করে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতার কথা বলা হয়েছে ।   

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৯ আগস্ট, ২০২১ তারিখের বক্তব্য বিধিসম্মত নয়। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় যেন স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করে সব বিভ্রান্তি দূর করে, যাতে করে সরকারি চাকরিজীবীদের ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা নিয়ে আর কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হয় । 

মো. হাবিবুর রহমান
সহকারী শিক্ষক
চরযোগেন্দ্র আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
দক্ষিণ চরমশুরা (বসারচর), পোঃ রমজানবেগ, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

আধুনিক কৃষির কম্বাইন্ড হারভেস্ট যন্ত্র প্রসঙ্গে

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
আধুনিক কৃষির কম্বাইন্ড হারভেস্ট যন্ত্র প্রসঙ্গে
চিঠিপত্র

আমাদের দেশ মূলত কৃষিপ্রধান। কৃষিই আমাদের খাদ্যের অন্যতম জোগানদাতা। তাই কৃষিকে এগিয়ে নিতে আধুনিক যন্ত্রের উদ্ভাবনী প্রয়াসে অনেক গুরুত্বারোপ করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষিশ্রমিক সংকট ভয়াবহ। তাছাড়া প্রাকৃতিক ঝড়ের কবলে বারবার পতিত হয়ে কৃষক এখন দিশাহারা। একজন দরিদ্র কৃষক এতটা ক্ষতি সহজেই পুষিয়ে উঠতে পারবেন না। তাই ভবিষ্যৎ কৃষি সহজীকরণ ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই।

দেশের ৯৮ ভাগ জমির মাটি কর্ষণ করা হয় যন্ত্র দিয়ে। কিন্তু কম্বাইন্ড হারভেস্ট নিয়েই সংকটের মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয়। তা আবার ২০ ভাগের বেশি নয়। অনেক সময় আধাপাকা ধান পর্যন্ত কাটতে হয় দুর্যোগের কারণে। তাই এ ক্ষেত্রে আধুনিক কম্বাইন্ড হারভেস্ট যন্ত্রের বিকল্প নেই।

সময় এবং অর্থ বাঁচাতে দেশের কৃষিতে এ যন্ত্র ছাড়া ভাবাই যায় না। তবে এ যন্ত্রের দাম অত্যধিক বেশি হওয়ায় কোনো কৃষকের পক্ষেই তা এককভাবে এবং সরকারি সহযোগিতা ছাড়া সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।

২০২০-২০২৫ অর্থবছরে জন্য সরকার ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। তার মধ্যে ১০ ধরনের কৃষি যন্ত্রে ভর্তুকি দেওয়ার কথা। সরকার হাওরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য এ যন্ত্রে ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকার কৃষকদের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকির ব্যবস্থা রেখেছেন।

তবে কৃষির উন্নতি ঘটাতে হলে আমাদের দেশীয় প্রযুক্তির উন্নত করতে হবে সবার আগে। গড়ে তুলতে হবে আধুনিক কৃষি যন্ত্রের শিল্পকারখানা

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

কিস্তির টাকার জন্য কৃষকের গরু লুট

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪০ এএম
কিস্তির টাকার জন্য কৃষকের গরু লুট

গ্রামীণ জনউন্নয়ন এনজিও থেকে কুলসুম বেগম ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয় ২ হাজার ৫০০ টাকা। কুলসুম বেগম ১৩টি কিস্তি ইতোমধ্যে পরিশোধও করেছিলেন। কিন্তু দেশের চলমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জন্য কুলসুম বেগম তার কিস্তি পরিশোধে জটিলতায় পড়েন। কিস্তির ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। মাঠকর্মী হাসিনা বেগম বারবার কিস্তির টাকার জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। কিন্তু কুলসুম বেগমের হাতে টাকা না থাকায় দিতে পারেননি। তিনি সামনের সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা দেবেন বলে জানান। কিন্তু কিস্তির মাঠকর্মী হাসিনা বেগম এবং ম্যানেজার শামীম তাতে অস্বীকৃতি জানান। তখনই তারা কৃষকের গোয়ালঘর থেকে কুলসুম বেগমের একটি গরু নিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। কৃষকের গরু ছিনিয়ে নেওয়ার দৃশ্যটি দেশব্যাপী ভাইরাল হয়েছে। কৃষকের শেষ সম্বল এ গরুটি নেওয়ায় তার দুচোখ গড়িয়ে অশ্রু ঝরলেও তাতে মন গলেনি এনজিওর মাঠকর্মী এবং ম্যানেজারের। উপায় না পেয়ে কুলসুম বেগম গ্রামের মহাজন সুদকারবারির কাছ থেকে উচ্চ সুদে ৫ হাজার টাকা নতুন করে ঋণ নিয়ে তবেই গরুটি ছাড়িয়ে আনেন। এভাবেই গ্রামের সহজ-সরল সাধারণ মানুষের ভাগ্য কিস্তির জালে জড়িয়ে পড়ে। তারা এ ঋণের চক্র থেকে আর বের হতে পারেন না। এরা প্রান্তিক কৃষক। যাদের জন্য সরকার ৩৭ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু তারা কৃষি ব্যাংকের গণ্ডি অবধি পৌঁছাতে পারেননি। এদের কথা এখন ভাবার সময় এসেছে। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে কৃষিঋণের টাকা কারা পাবে? 
 
অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]