দেখা গেল কেউ একজন অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তার চিকিৎসা হচ্ছিল বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলেন আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ অনেক। দরিদ্র মহিলা তার স্বামীকে এত খরচ করে চিকিৎসা করাবেন কেমন করে? ঠিক করলেন, রোগীকে বাড়িতেই নিয়ে যাবেন। বেসরকারি হাসপাতালের খরচ সামলাতে না পেরে দরিদ্র পরিবার প্রিয়জনকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য হন।
আবার এমনও ঘটনা ঘটছে যে, মহিলা অনেক কষ্ট করে একটি অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করলেন। অসুস্থ স্বামীকে শোয়ালেন সেখানে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক বিধ্বস্ত, শোকার্ত, অসহায় মহিলাকে একরকম বাধ্য করল তার পাশে বসতে। খানিক পথ যেতেই সেই চালক আর তার সাগরেদ মহিলার শ্লীলতাহানি করল জোর করে। মহিলা চিৎকার করে ওঠেন। চালক আর সাগরেদ অসুস্থ স্বামীর অক্সিজেন নল খুলে তাকে ছুড়ে ফেলে দিল গাড়ি থেকে। মহিলার শ্লীলতাহানি করে, তার গায়ের গয়নাও খুলে নিল।
রেহাই দিল না তাকেও। আবার অন্যরকম ঘটনাও আছে, যেমন- কেউ শত্রুতার জেরে হত্যা করে তার হাত কেটে তা জনসমক্ষে বীরের বেশে প্রদর্শন করে। দেখে মনে হয়, এ পাষণ্ডের কাছে এরকম ঘটনা মামুলি ব্যাপার। মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হলে এরকম কাজ করতে পারে! এমনই একটি দৃশ্য সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়েছে! এরা কি মানুষ না পাষণ্ড! এই সব ঘটনা কি মর্মান্তিক! কত পাশবিক! কতই না ভয়ংকর! এসব ঘটনাকে ধিক্কার জানানোর ভাষা আমরা অনেক সময় হারিয়ে ফেলি!
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]