ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

মসজিদে মাইক প্রয়োজন

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
মসজিদে মাইক প্রয়োজন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের মসজিদটি অত্যন্ত সুবিশাল এবং এখানে প্রতিদিন নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়। মসজিদটিতে প্রার্থনার জন্য পরিবেশ খুবই অনুকূল হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে রয়ে গেছে। মসজিদে কোনো মাইকের ব্যবস্থা নেই।

মসজিদে মাইকের অভাবে আজানের ধ্বনি হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছায় না। আজানের গুরুত্ব ইসলাম ধর্মে অপরিসীম, কারণ এটি নামাজের জন্য মানুষের কাছে একটি সরাসরি আহ্বান। যদি মাইকের ব্যবস্থা করা হয়, তবে নিয়মিতভাবে আজান দেওয়া সম্ভব হবে, যা শিক্ষার্থীদের নামাজে অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়তা করবে। অনেক শিক্ষার্থী আজানের সুমধুর ধ্বনি শুনলে নামাজের প্রতি আরও আগ্রহী হবেন বলে বিশ্বাস। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য হল প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 রানা আহম্মেদ অভি
আবাসিক শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

বৈষম্যমূলক সমাজে সংকট সৃষ্টি হয়

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৯ এএম
বৈষম্যমূলক সমাজে সংকট সৃষ্টি হয়

অনেক বছর আগের ঘটনা। উত্তরার একটি মার্কেটে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দোকানের সব স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাত। পুলিশ ও র‌্যাবকে ঘটনাটির কূলকিনারা করতে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে যখন ডাকাত ধরা পড়ে তখন অবাক হলাম। ডাকাত আর কেউ নয়, মার্কেটের দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডই হলো ডাকাতির প্রধান হোতা। তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা সামান্য বেতন পান। তা নিয়ে তাদের জীবনযাপান করা সম্ভব নয়। তাছাড়া প্রতিদিনই মার্কেটে আসা  মানুষের অনেক অনেক কেনাকাটা করতে দেখেন। তাদের স্বচ্ছলতা দেখে নিজেদের আর লোভ সামাল দিতে পারেননি। একদিকে কিছু মানুষ অসম্ভব রকমের ধনী আর আমরা সারা দিন ডিউটি করে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই এ ঘটনার সঙ্গে আমরা জড়িয়ে পড়েছি।

ঘটনাটি ছোট। সমাজে যারা নিম্নবিত্ত তারা আজ একটা ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারেন না। ১ কেজি গরুর গোশত মাসে একবার জোটাতে পারেন না তারা। একজন পোশাক কারখানার শ্রমিকের যে বেতন তা দিয়ে ঘরভাড়া এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনে অনেক টানাপোড়েন ঘটে। এ বাস্তবতা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। কিছু মানুষ দেশটা  লুটে খাচ্ছে। আর কিছু মানুষ ভাতের জোগান দিতেই হিমশিম খাচ্ছে। এহেন সমাজব্যবস্থার বৈপরীত্য দূরীভূত করা দরকার। বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থা থাকলে তাতে অনেক ধরনেরই সংকটময় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। এ থেকে বেরিয়ে আসা কাম্য।

রোকসানা রহমান 
আলীপুর, মোল্লার হাট, কালকিনী, মাদারীপুর
[email protected]

বাড়ি নির্মাণে সতর্ক হই

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৩ এএম
বাড়ি নির্মাণে সতর্ক হই

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এটা প্রায়ই লক্ষ করা যায় যে, রাস্তা নির্মাণের সময় নির্মাণকারী সংস্থা রাস্তার পাশে কিছুটা অংশজুড়ে বালি, ইট, খোয়াসহ বিভিন্ন সামগ্রী জড়ো করে রাখে। আবার অনেকে বাড়ি নির্মাণের সময়ও ইট, বালি, পাথর নির্মীয়মান বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর রাখে। ফলে পথচারীদের যেমন চলাফেরা করতে সমস্যা হয়।

 তেমনই দ্বিচক্রযানের চালকরা একটু অসাবধান হলেই বালি বা ইটের খোয়া বা স্টোন চিপসের ওপর বাইক বা স্কুটির চাকা পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। অনেক সময় রাস্তার পাশে যে গাছ থাকে, তার চার পাশেও নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়। লরি থেকে বালি বা স্টোন চিপস ঢালার পর সেগুলো বেলচার সাহায্যে রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করে না। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে রাস্তার ওপর থাকা বালি ও পাথর বা ইট সরানোর ব্যবস্থা করেন, তা হলে ভালো হয়। এ ক্ষেত্রে নির্মাণকারী সংস্থা বা ব্যক্তিগত মালিকানার সামগ্রী হলে সেই ব্যক্তিকে জরিমানা করা প্রয়োজন। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

রাজধানীতে নকল মিনারেল ওয়াটারের চক্র

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
রাজধানীতে নকল মিনারেল ওয়াটারের চক্র

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে নামে-বেনামে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী মিনারেল ওয়াটারের নামে পানি ও জলের নকল ও ভুয়া ফ্যাক্টরি খুলে সেই পানি অহরহ বিক্রি করে মানুষকে পানের অযোগ্য, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পানি খাওয়াচ্ছে। অথচ বিএসটিআই, নগর ভবন, জেলা প্রশাসক, ভোক্তা অধিকার, ওয়াসা সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারও কোনো দায়িত্ব নেই। এদের অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য ফুটপাত, রাস্তাঘাট ও দোকানপাটে যে হারে নকল মিনারেল ওয়াটার বিক্রি হচ্ছে তাতে নগরবাসী আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। 

সরকারকে অবশ্যই রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশে অবস্থিত যত্রতত্র নকল ও বেআইনি মিনারেল ওয়াটার নামক অবৈধ জাতীয় স্বার্থবিরোধী ফ্যাক্টরিগুলো সিলগালা করে দেওয়া উচিত। অবৈধ উপায়ে গজিয়ে ওঠা মিনারেল ওয়াটার নামে নকল ফ্যাক্টরিগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব ফ্যাক্টরির কোনো লাইসেন্সও নেই। অবৈধ উপায়ে অসাধু দুষ্ট চক্রটি মিনারেল ওয়াটারের নামে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ব্যবসা করছে। আবার বড় বড় জারে বা বিশাল আকারের বোতলে ওয়াসার পানি ঢুকিয়ে বোতল ও জারের মুখ সিল করে দেওয়ার ঘটনা দেখে পথচারীরাও হতবাক। নোংরা, অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর ব্যবস্থার মধ্যে এক শ্রেণির দুষ্ট চক্র মিনারেল ওয়াটারের নাম ভাঙিয়ে এই কুকর্ম চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জোড় তৎপরতা চালানোর অনুরোধ করছি।
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা
[email protected]

সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, জনগণের ভোগান্তি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, জনগণের ভোগান্তি

সারা দেশেই সড়ক সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। প্রায়ই দেখা মিলছে সেসব রাস্তায় যানজট। বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও সংস্কার কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ সব মানুষকে যানজটের সম্মুখীন হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

জরুরি সেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্সও এই যানজটে আটকা পড়ে যায়। এমনও হয়, সারা দিন যানজট লেগে থাকে। সরেজমিন সড়ক সংস্কারের ধীরগতির চিত্র দেখা যায় রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে। সড়ক সংস্কারের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা জরুরি এবং এ বিষয়ে নতুন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জনসাধারণ।

রুহুল আমিন লেমন
শিক্ষার্থী, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
[email protected]

নিজ স্বার্থেই ছাদে বাগান গড়ে তুলি

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
নিজ স্বার্থেই ছাদে বাগান গড়ে তুলি

বিশ্বের বিভিন্ন নগরীর তাপমাত্রা কমানোর জন্য উদ্যান স্থাপন এবং ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য ছাদে বাগান স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাপানের রাজধানী টোকিওর মেট্রোপলিটন সরকার টোকিও সিটির ভবনগুলোর ছাদে ন্যূনতম ২০ শতাংশ জায়গায় বাগান কার্যক্রমকে ২০০১ সালে আইন পাস করে বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে টোকিও সিটির গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হ্রাস পেয়েছে। 

সম্প্রতি ঢাকার আসাদগেটে ফলবিথী হর্টিকালচার সেন্টারে সাংবাদিকদের জন্য রুফ গার্ডেনিং ওরিয়েন্টশন কোর্সে বক্তারা অবিলম্বে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার জন্য ঢাকা শহরের বাসাবাড়ির ছাদে ফলমূলের বাগান কার্যক্রমকে জনপ্রিয় করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 

ছাদে গার্ডেনিং কর্মসূচি সফলতার জন্য এ মুহূর্তে রাজউক ও রিহ্যাবের ভূমিকাকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না বরং তারা এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। সিঙ্গাপুরের মতো দেশে এখন রাস্তার ফুটপাতগুলোকে সবুজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাদে শুধু বাগান নয়, চৌবাচ্চা করে মাছ চাষ করাও যেতে পারে। ঢাকা শহরের পরিবেশ রক্ষার জন্য ছাদে বাগান কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নগরবাসীর। নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে বাগান কর্মসূচিকে উৎসাহী করা উচিত। 

এমতাবস্থায় আগামী প্রজন্মের ও নগরবাসীর স্বার্থে ঢাকা শহরের প্রতিটি বাসাবাড়ি, ফ্ল্যাট, এমনকি মসজিদ ও মাদরাসার ছাদে ফুল ও ফলের বাগান সৃজন বাধ্যতামূলক করতে একটি আইন পাস করার মাধ্যমে জনসচেতনা কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানাই। এ মহৎ উদ্যোগকে সফল করার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন, রাজউক, রিহ্যাব, গণপূর্ত অধিদপ্তর, এনজিও, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাই।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী
১৭, ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা
[email protected]