সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। প্রশাসনের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। এ সুযোগে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল হলগুলোতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশের প্রথম স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এখানেও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। প্রশাসন না থাকায় ক্যাম্পাসে কিছু লোক নিজেদের সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে। তারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং তাদের বয়কটের ডাক দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিচ্ছে, যা শিক্ষার পরিবেশকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলছে। অনেক নিরীহ শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে মানসিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এবং হল থেকে উচ্ছেদ করার মতো ঘটনাও ঘটছে।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের বিভিন্ন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবু এখনো স্বশরীরে ক্লাস এবং পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়নি। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনের অভাব স্পষ্ট। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত প্রশাসন ফিরিয়ে এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা।
সেতু খানম
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]