ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অস্থিতিশীলতা

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অস্থিতিশীলতা

সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। প্রশাসনের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। এ সুযোগে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল হলগুলোতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশের প্রথম স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এখানেও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।  প্রশাসন না থাকায় ক্যাম্পাসে কিছু লোক নিজেদের সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে। তারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং তাদের বয়কটের ডাক দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিচ্ছে, যা শিক্ষার পরিবেশকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলছে। অনেক নিরীহ শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে মানসিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এবং হল থেকে উচ্ছেদ করার মতো ঘটনাও ঘটছে।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের বিভিন্ন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবু এখনো স্বশরীরে ক্লাস এবং পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়নি। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনের অভাব স্পষ্ট। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত প্রশাসন ফিরিয়ে এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা।

সেতু খানম
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]

হরতাল-অবরোধ: গণতন্ত্র চর্চার অন্তরায়

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
হরতাল-অবরোধ: গণতন্ত্র চর্চার অন্তরায়

হরতাল-অবরোধ শব্দ দুটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুব পরিচিত শব্দ। দেশের রাজনীতির সঙ্গে শব্দ দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মূলত বিরোধী দলগুলো চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের অধিকার দাবি-দাওয়া আদায় করার চেষ্টা করে থাকে।

শব্দগত দিক থেকে শব্দ দুটির মধ্যে বেশ পার্থক্য থাকলেও বাস্তবে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। হরতাল হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের সম্মিলিত আন্দোলন। এর সঙ্গে সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বা সমর্থন থাকে। যদিও কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বিষয়টি সংগঠিত হয়ে থাকে। তবে অন্য সবকিছু বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনীয় সংস্থা, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স গণমাধ্যম ইত্যাদি জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো হরতালের আওতার বাইরে রাখা হয়। অন্যদিকে অবরোধ হচ্ছে কোনো বিশেষ কর্মসূচি পালনে জনগণকে বাধ্য করার একটি পন্থা। এতে জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বা সমর্থন কোনোটাই থাকে না। বরং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য অবরোধের মাধ্যমে দেশে অচল অবস্থা সৃষ্টি করে সরকারের ওপর একপ্রকার চাপ প্রয়োগ করে থাকে। অবরোধ চলাকালে সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে বাধ্য করা হয়। এতে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বাড়ে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অফিস-আদালত এবং বিভিন্ন কল-কারখানা, গার্মেন্টস কর্মীদের প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত, এর থেকে উত্তরণের জন্য সহনশীলতা এবং পরমতসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করা।

 

সবুজ আহমেদ জীবন

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

নদীর ঘাট থেকে হারিয়ে গেছে

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
নদীর ঘাট থেকে হারিয়ে গেছে

কেন দেব-দীপাবলি বলা হয়, তা জানি না। তবে বহু বছর আগে বাংলাদেশের অনেক নদীর ঘাটে গিয়ে এই শব্দ দুটি শুনতে পেয়েছি। এখন আর শুনি না। অতীত বিস্মৃত! মনে আছে, মাঝিরা নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় থাকত নদীর ঘাটে ঘাটে এই দেব-দীপাবলিতে। প্রদীপ জ্বালিয়ে ওরা নদীবক্ষে যে আলোকবর্তিকা তৈরি করতেন, তা ছিল দেখার মতো।

 এ ছাড়া নদীতে আরতি হতো যে জায়গায়, সেখানকার চত্বর সেজে উঠত কয়েক হাজার প্রদীপে। বাজি না পুড়িয়ে এলাকায় চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকেছি, সেই মুহূর্তে মন ভালো হয়ে যেত। অন্ধকার আকাশে এমনিতেই আলোর একটা মায়াবী পরিবেশ তৈরি হতো। কখনো নদীর কুল কুল শব্দ কানে নিয়ে বাজির শব্দকে অনুমতি দিয়ে চোখ খুলে রাখতাম। দেখতাম, চারপাশের প্রদীপের আলোয় চমৎকার এক পরিবেশ তৈরি হয়ে আছে। সে সময় তা দেখার জন্য ভিড় হতো। সেই দিন আর নেই। নদীর ঘাট আর আলোকময় হয় না আমার এই পূর্ববাংলায়, অর্থাৎ আজকের এই বাংলাদেশে। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ এএম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশে ছিনতাইকারীর উপদ্রব ইদানীং বেড়ে চলছে। একটু রাত হলেই বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর, কাজলা, তালাইমারী এলাকায় চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে অধিকাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বসবাস। নিত্যপ্রয়োজনে মাঝেমধ্যে রাতের বেলা রুমে থেকে বের হতে হয়। কিংবা অনেক সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে বা জরুরি কোনো কাজে আটকা পড়ে রাতের বেলায় রুমে ফিরতে হয়। ছিনতাইকারী দলগুলো এই সুযোগটি গ্রহণ করে থাকে। 
আকস্মিক আক্রমণে পথচারীদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। 

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছিনতাইকারী দলগুলো বাইক ব্যবহার করায় চোখের পলকে ব্যাপারটি সম্পন্ন হয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের উপদ্রব এতটাই মারাত্মক অবস্থায় উপনীত হয়েছে যে, অনেক সময় দিনদুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। তাদের আতঙ্কে রাতের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চারুকলা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বধ্যভূমি, ইবলিশ চত্বরসহ বেশিরভাগ এলাকায় চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং আশপাশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে পুলিশ ফাঁড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সবুজ আহমেদ জীবন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাবি
[email protected]

পেটের জ্বালায় মানুষ দেশ থেকে পালায়

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ এএম
পেটের জ্বালায় মানুষ দেশ থেকে পালায়

মিডিয়ায় প্রকাশ, ভারতে প্রবেশের সময় ৩১ বাংলাদেশি আটক। প্রশ্ন, বাংলাদেশে বর্তমানে কি কোনো কর্ম আছে না নেই? আসলেই কোনো কর্ম নেই। লাখ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি পাচ্ছেন না। চাকরি পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। চাকরি পেলেও বর্তমান সময়ে আবার কেউ কেউ বেতন বা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। এ জন্যই কি প্রতিনিয়ত মিডিয়ায় খবর হয়ে আসে, বাংলাদেশ থেকে মানুষ এদেশে-সেদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ছে। তাই বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হওয়া উচিত, প্রতিটি মানুষকে কাজে লাগানো, কর্ম দেওয়া। তা হলে পেটের খিদে নিবারণের জন্য বা পেটের জ্বালায় একটি মানুষও দেশ থেকে পালাবে না। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস সফল হোক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস সফল হোক

আজ বৃহস্পতিবার, বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস-২০২৪। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর এই দিবসটি পালন করা হয়। মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানানোর মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবছর এই দিনে পরিবার ও জাতির কল্যাণে সবাইকে মিত্যব্যয়ী হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। ১৯২৪ সালে ‘মিলানে’ অনুষ্ঠিত বিশ্বের বিভিন্ন সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের প্রথম বিশ্ব কংগ্রেসে গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিবসটি পালন শুরু হয়। মূলত মিতব্যয় ও সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়।

 প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ কোটি টাকা। অথচ বিশ্বে প্রতিদিন ১৭ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। মিতব্যয়িতা মানব চরিত্রের একটি বিশেষ গুণ। অপরদিকে, অমিতব্যয়িতা দারিদ্র্যের একটি প্রধান লক্ষণ। প্রত্যেক ব্যক্তিরই মিতব্যয়ী হওয়া উচিত। জীবনকে সফল করে তোলার জন্য এই বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রয়েছে কিনা। আয় ও ব্যয়ের দিকটি বিশেষভাবে বিবেচনায় না আনলে, যেমন অর্থসংকট দেখা দেবে তেমনি দৈনন্দিন জীবনেও অন্তহীন দুঃখ-দুর্দশায় পতিত হতে হবে। তাই আজকের মিতব্যয়িতা দিবসে ‘আমরা সবাই সঞ্চয়ী ও মিতব্যয়ী হব; সুন্দর ও সচ্ছল জীবন গড়ে তুলব’- এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি 
[email protected]