ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণার ফাঁদ

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণার ফাঁদ

জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতারণা করে যাচ্ছেন একশ্রেণির প্রতারক চক্র। এতে একদিকে প্রতারণার শিকার হচ্ছে ক্রেতা, অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও হচ্ছে বদনামের ভাগিদার। কিছু অনলাইন ইলিশ ব্যবসায়ী নামে-বেনামে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে পদ্মা-মেঘনার টাটকা ইলিশ পাওয়া যায়, নিচের নম্বরে যোগাযোগ করুন- এমন লোভনীয় অফার দিচ্ছে। এদের কাছ থেকে ক্রয় করে কারও কারও ভাগ্যে মিলছে পচা, ছোট ও অন্য জেলার ইলিশ। আবার অনেকে বিকাশে টাকা পেমেন্ট করে হাহুতাশ করছেন। প্রতারক চক্র টাকা পেয়ে অনলাইন পেজ, মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বর বন্ধ করে দিচ্ছে।

এ ছাড়া অনলাইনে কম দাম দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। ব্যান্ডিং জেলাকে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর বলা হলেও সেখানকার সেই ঐতিহ্য আর এখন নেই। চাঁদপুরের ইলিশের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময় ইলিশ মাছের মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা একটি চক্র। 

কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও বার্তা ও লোভনীয় অফারে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে তারা। বিকাশে অগ্রিম লেনদেন করে অর্ডার নিশ্চিতের পর বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটি ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে ‘চাঁদপুরের ইলিশ’ লেখা থাকায় অনেকে মাছ না পেয়ে প্রতারকদের খুঁজে বেড়াচ্ছে চাঁদপুরে। তাই অনলাইনে ইলিশ প্রতারকদের দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

মো. মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর
[email protected]

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ এএম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশে ছিনতাইকারীর উপদ্রব ইদানীং বেড়ে চলছে। একটু রাত হলেই বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর, কাজলা, তালাইমারী এলাকায় চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে অধিকাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বসবাস। নিত্যপ্রয়োজনে মাঝেমধ্যে রাতের বেলা রুমে থেকে বের হতে হয়। কিংবা অনেক সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে বা জরুরি কোনো কাজে আটকা পড়ে রাতের বেলায় রুমে ফিরতে হয়। ছিনতাইকারী দলগুলো এই সুযোগটি গ্রহণ করে থাকে। 
আকস্মিক আক্রমণে পথচারীদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। 

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছিনতাইকারী দলগুলো বাইক ব্যবহার করায় চোখের পলকে ব্যাপারটি সম্পন্ন হয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের উপদ্রব এতটাই মারাত্মক অবস্থায় উপনীত হয়েছে যে, অনেক সময় দিনদুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। তাদের আতঙ্কে রাতের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চারুকলা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বধ্যভূমি, ইবলিশ চত্বরসহ বেশিরভাগ এলাকায় চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং আশপাশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে পুলিশ ফাঁড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সবুজ আহমেদ জীবন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাবি
[email protected]

পেটের জ্বালায় মানুষ দেশ থেকে পালায়

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ এএম
পেটের জ্বালায় মানুষ দেশ থেকে পালায়

মিডিয়ায় প্রকাশ, ভারতে প্রবেশের সময় ৩১ বাংলাদেশি আটক। প্রশ্ন, বাংলাদেশে বর্তমানে কি কোনো কর্ম আছে না নেই? আসলেই কোনো কর্ম নেই। লাখ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি পাচ্ছেন না। চাকরি পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। চাকরি পেলেও বর্তমান সময়ে আবার কেউ কেউ বেতন বা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। এ জন্যই কি প্রতিনিয়ত মিডিয়ায় খবর হয়ে আসে, বাংলাদেশ থেকে মানুষ এদেশে-সেদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ছে। তাই বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হওয়া উচিত, প্রতিটি মানুষকে কাজে লাগানো, কর্ম দেওয়া। তা হলে পেটের খিদে নিবারণের জন্য বা পেটের জ্বালায় একটি মানুষও দেশ থেকে পালাবে না। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস সফল হোক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস সফল হোক

আজ বৃহস্পতিবার, বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস-২০২৪। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর এই দিবসটি পালন করা হয়। মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানানোর মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবছর এই দিনে পরিবার ও জাতির কল্যাণে সবাইকে মিত্যব্যয়ী হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। ১৯২৪ সালে ‘মিলানে’ অনুষ্ঠিত বিশ্বের বিভিন্ন সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের প্রথম বিশ্ব কংগ্রেসে গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিবসটি পালন শুরু হয়। মূলত মিতব্যয় ও সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়।

 প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ কোটি টাকা। অথচ বিশ্বে প্রতিদিন ১৭ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। মিতব্যয়িতা মানব চরিত্রের একটি বিশেষ গুণ। অপরদিকে, অমিতব্যয়িতা দারিদ্র্যের একটি প্রধান লক্ষণ। প্রত্যেক ব্যক্তিরই মিতব্যয়ী হওয়া উচিত। জীবনকে সফল করে তোলার জন্য এই বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রয়েছে কিনা। আয় ও ব্যয়ের দিকটি বিশেষভাবে বিবেচনায় না আনলে, যেমন অর্থসংকট দেখা দেবে তেমনি দৈনন্দিন জীবনেও অন্তহীন দুঃখ-দুর্দশায় পতিত হতে হবে। তাই আজকের মিতব্যয়িতা দিবসে ‘আমরা সবাই সঞ্চয়ী ও মিতব্যয়ী হব; সুন্দর ও সচ্ছল জীবন গড়ে তুলব’- এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি 
[email protected]

কলেজগুলোতে শিক্ষকস্বল্পতা দূর হোক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
কলেজগুলোতে শিক্ষকস্বল্পতা দূর হোক

বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষকস্বল্পতা একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষকস্বল্পতা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে কলেজগুলোয় নিয়মিত পাঠদানে ব্যর্থ হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ চট্টগ্রাম কলেজ। শত বছরের ঐতিহ্য ধারণ করা কলেজটির বাংলা বিভাগও একটি ঐতিহ্যপূর্ণ বিভাগ। ড. মুহাম্মদ আব্দুল হাই, ডক্টর হুমায়ূন আজাদ, ফোকলোর বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, অধ্যাপক মনিরুজ্জামানদের মতো বহু কৃতী শিক্ষকের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমদ কবীর, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক, অধ্যাপক ডক্টর আবুল কাসেমসহ বহু কৃতী শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। এই ঐতিহ্যপূর্ণ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত বিভাগটিতে বর্তমানে পদচারণা কমে যাচ্ছে। বিভাগটিতে অনার্স, মাস্টার্সসহ অধ্যয়ন করছে শত শত শিক্ষার্থী।

 বর্তমানে বিভাগটিতে রয়েছেন মাত্র ছয়জন শিক্ষক। এই ছয়জনকেই অনার্স এবং মাস্টার্সের সঙ্গে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও ক্লাস নিতে হচ্ছে। তারা নিয়মিত সব বর্ষের ক্লাস দিতে পারছেন না। এর কারণ শিক্ষকস্বল্পতা। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কলেজে আসা এবং ক্লাস করার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। শুধু চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগ নয়, বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অধিকাংশ কলেজে শিক্ষক সংকট রয়েছে, যা চোখে পড়ার মতো। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি জানাচ্ছি।

ফাহমিদা সুলতানা
শিক্ষার্থী, চতুর্থ বর্ষ, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ
[email protected]

পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ চাই

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ চাই

পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মানুষের জীবন। জীবন ও পরিবেশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে পলিথিনের ব্যবহার। আমরা প্রতিদিন নিত্যকাজে পলিথিন ব্যবহার করি। আমাদের দেশের বর্জ্যের প্রায় ৮ শতাংশই প্লাস্টিক। শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লাখ পলিব্যাগ পরিত্যক্ত হয়; এতে সহজেই পলিথিনের ব্যবহার অনুমান করা যায়। ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ পলিথিন। পলিথিন রাস্তাঘাটের পয়োনিষ্কশনের ব্যবস্থা একদম বন্ধ করে দেয়। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে পলিথিন আটকে থাকার কারণে রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগ ঘটে মানুষের জীবনে।

পলিথিন এমন বিষাক্ত যা আমাদের জীবন ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বয়ে আনে। পলিথিন মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা ও ক্যানসার সৃষ্টি করে। উজ্জ্বল রঙের পলিথিনে যথেষ্ট পরিমাণে সিসা ও ক্যাডমিয়াম রয়েছে। পলিথিনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নষ্ট করে। বর্তমানে নারীদের বন্ধ্যত্বের যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে তার মূলে রয়েছে পলিথিনের ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রভাব। পলিথিন প্যাকিংয়ে  ব্যাকটিরয়ার সৃষ্টি হয়। ফলে পলিথিনে মোড়ানো খাবার খেলে রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আসুন, আমরা পলিথিন ব্যবহার বন্ধ রাখি, বিকল্প কোনো কিছু ব্যবহার করি। পলিথিন ব্যবহার না করে আমরা আমাদের জীবন বাঁচাই, দেশ রক্ষা করি।

আবুল বাশার খান নূর
হাতিরপুল, ঢাকা