জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতারণা করে যাচ্ছেন একশ্রেণির প্রতারক চক্র। এতে একদিকে প্রতারণার শিকার হচ্ছে ক্রেতা, অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও হচ্ছে বদনামের ভাগিদার। কিছু অনলাইন ইলিশ ব্যবসায়ী নামে-বেনামে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে পদ্মা-মেঘনার টাটকা ইলিশ পাওয়া যায়, নিচের নম্বরে যোগাযোগ করুন- এমন লোভনীয় অফার দিচ্ছে। এদের কাছ থেকে ক্রয় করে কারও কারও ভাগ্যে মিলছে পচা, ছোট ও অন্য জেলার ইলিশ। আবার অনেকে বিকাশে টাকা পেমেন্ট করে হাহুতাশ করছেন। প্রতারক চক্র টাকা পেয়ে অনলাইন পেজ, মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বর বন্ধ করে দিচ্ছে।
এ ছাড়া অনলাইনে কম দাম দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। ব্যান্ডিং জেলাকে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর বলা হলেও সেখানকার সেই ঐতিহ্য আর এখন নেই। চাঁদপুরের ইলিশের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময় ইলিশ মাছের মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা একটি চক্র।
কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও বার্তা ও লোভনীয় অফারে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে তারা। বিকাশে অগ্রিম লেনদেন করে অর্ডার নিশ্চিতের পর বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটি ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে ‘চাঁদপুরের ইলিশ’ লেখা থাকায় অনেকে মাছ না পেয়ে প্রতারকদের খুঁজে বেড়াচ্ছে চাঁদপুরে। তাই অনলাইনে ইলিশ প্রতারকদের দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
মো. মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর
[email protected]