ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

সীমান্ত উপজেলা ঝিনাইগাতীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
সীমান্ত উপজেলা ঝিনাইগাতীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই

শেরপুর জেলার সীমান্ত উপজেলা ঝিনাইগাতীতে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে নাকাল সাধারণ মানুষ। দিনরাত মিলে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থা খুবই নাজুক। কয়েক দিন পরেই শুরু হবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষা। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটতে পারে ছাত্রছাত্রীদের। বিদ্যুতের অভাবে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগত দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে টিভি-ফ্রিজসহ ব্যবহার্য ইলেকট্রনিকস সামগ্রী। 

অন্যদিকে ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্য হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রাতের বেলা হাই-ভোল্টেজের সার্চ লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয় সীমান্ত এলাকায়। না হলে রাতের অন্ধকারে বন্য হাতির দল নেমে এসে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে প্রাণহানিও ঘটে। এদিকে এনজিওগুলোর তৎপরতায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে কিছু কুটির শিল্প কারখানা।

 বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে এসব শিল্পের উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়েছে। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় রবিশস্য ও শীতের আগাম শাকসবজি চাষে কৃষকরা এখন মহাব্যস্ত। কিন্তু সেখানেও বাগড়া দিচ্ছে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া। সেচকাজে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। অর্থাৎ লোডশেডিংয়ের কারণে অত্র এলাকার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
অতএব জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মনিরুজ্জামান মনির
গ্রাম: নলকুড়া 
ঝিনাইগাতী, শেরপুর

খাঁটি খেজুরের গুড় পেতে হলে  কারবারিদের বাড়িতে যেতে হবে

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
খাঁটি খেজুরের গুড় পেতে হলে 
কারবারিদের বাড়িতে যেতে হবে

কনকনে ঠাণ্ডা না পড়লে খেজুরের গুড়ে গন্ধ ও স্বাদ কোনোটাই আসে না, কিন্তু একই সঙ্গে এটাও সত্য যে, খাঁটি খেজুরের গুড় এখনকার দিনে অতি দুর্লভ। এর প্রধান কারণ শুধু শীত কমে যাওয়া নয়, খেজুরগাছ কমে যাওয়াও খাঁটি খেজুর গুড় না পাওয়ার অন্যতম কারণ। প্রাকৃতিক কারণে অর্থাৎ গ্লোবাল ওয়ার্মিং ইত্যাদি কারণে কনকনে শীত আগের মতো পড়ে না, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত কনকনে ঠাণ্ডা থাকে। অথচ আমাদের ছোটবেলায় নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকেই হাফ সোয়েটার পরতে হতো। ফেব্রুয়ারি মাসেও যথেষ্ট কনকনে ঠাণ্ডা থাকত।

 বিগত ১৫-১৬ বছরে খেজুরগাছ জ্বালানি কাঠ হিসেবে ব্যবহার করায় এর সংখ্যা বহু কমেছে। ফলে পর্যাপ্ত খেজুর রস উৎপাদিত হচ্ছে না। অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে খেজুরগাছের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি খেজুরগাছের সংরক্ষিত বনাঞ্চল তৈরি করে, তা হলে ভালো হয়। বর্তমানে খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খেজুর রস যারা সংগ্রহ করতেন সেই শিউলিরা পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে গেছেন। খেজুরগাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পর্যাপ্ত খেজুর রস উৎপাদিত হবে এবং খাঁটি খেজুরের গুড়ও পাওয়া যাবে। বর্তমান সময়ে খাঁটি খেজুরের গুড় পাওয়া যায় কিন্তু তার দাম অনেকটাই বেশি। ঢাকা শহরসহ বড় বড় শহরের খাঁটি খেজুর গুড় পাওয়া দুষ্কর। তার জন্য গ্রামাঞ্চলে যেখানে গুড় তৈরি করা হয়, সেই কারবারিদের বাড়ি যেতে হবে। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

মানবাধিকার সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
মানবাধিকার সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই দিন ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। প্রত্যেক দেশ ও জাতিরই কিছু গৌরবোজ্জ্বল দিন থাকে।

 সেই দিনগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই দিবসগুলোর জন্য কোনো না কোনো মাস দেশ ও জাতির জীবনে অতি উজ্জ্বল গর্বের মাস হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। ডিসেম্বর মাস আমাদের জীবনের তেমনই একটি গর্বের মাস। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস ও ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মহাসমারোহে পালিত হয় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। নারী-পুরুষ-শিশুনির্বিশেষে সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনে মানবাধিকারের প্রভাব অনস্বীকার্য।


ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
লেখক
[email protected]

পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্রসৈকতে  স্পিডবোট নামানো হোক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ এএম
পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্রসৈকতে 
স্পিডবোট নামানো হোক

বিজয় দিবসে বা বড়দিনে কোথায় যাবেন? ঢাকায় থাকলে বোটানিক্যাল গার্ডেন। বাইরে যেতে চাইলে কুয়াকাটা অথবা কক্সবাজার। প্রতিবারের মতো এবারও ক্রিসমাস ইভ বা বড়দিনে সমুদ্রে পর্যটকদের যাতে কোনো দুর্ঘটনার মুখে পড়তে না হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সে ব্যাপারে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেবে। আমাদের মতে, প্রাথমিক ভাবনা অনুযায়ী স্পিডবোট নামানো প্রয়োজন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্নানের সময় সমুদ্রে টহল দেওয়া উচিত স্পিডবোটগুলোকে। বসানো উচিত সিসি ক্যামেরা।

 সমুদ্রসৈকতের আশপাশের রাস্তা ও সৈকত সরণিতে লাগানো প্রয়োজন ক্যামেরা। ওয়াচ টাওয়ারের মাথায়ও বসানো উচিত নজরদারি ক্যামেরা। সারাক্ষণ ক্যামেরা চলবে এবং ওই টিভিগুলোর ফুটেজ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতির পরিকল্পনাও থাকা উচিত। সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কী কী করতে হবে, এ ব্যাপারে একটা মহড়া হতে পারে। 

সমুদ্রে নতুন স্পিডবোট নামানো হলে পর্যটকরাও খুশি হবেন, কেননা স্পিডবোটগুলো থাকলে বা সেগুলো ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে উদ্ধার করতে হবে পর্যটকদের, এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার খবর শুনলে স্থানীয় হোটেল কর্তৃপক্ষও খুশি হবেন। সবার ধারণা, এমন নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা গেলে আরও বেশি পর্যটক কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত হবেন। সমুদ্রে টহল দেওয়ার জন্য স্পিডবোট নামানো হলে একদিকে পর্যটকরা যেমন নিরাপত্তা পাবেন, অপরদিকে কক্সবাজারের আকর্ষণ আরও বাড়বে। 

লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

ডেঙ্গু ভয়াবহতার দায় কার?

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ এএম
ডেঙ্গু ভয়াবহতার দায় কার?

বর্তমান সময়ের আলোচিত একটি সংক্রামক রোগ ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে এটি এক শরীর থেকে অন্য শরীরের ছড়ায়। এডিস মশার কামড়ে শরীরে অত্যধিক জ্বর এলে তাকে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী হিসেবে অভিহিত করা হয়। প্রধানত এডিস এজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায়। 

সম্প্রতি দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েছে। প্রতিনিয়তই ছাড়িয়ে যাচ্ছে পূর্ববর্তী দিনের মৃত্যুর সংখ্যা। কয়েক বছরের তুলনায় গত বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছিল। সেই সংখ্যা এ বছরও কম নয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার আক্রান্ত এবং ৪৭৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এখন ব্যবস্থা প্রতিকারের। নিজেদের স্বার্থেই বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং কোথাও নোংরা পানি জমতে দেওয়া যাবে না। সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে এমনকি দিনের বেলায়ও ঘুমাতে গেলে মশারি টানানো এবং শরীর ঢাকা কাপড় পরতে হবে। এ বিষয়ে বাড়ির আশপাশেও সবাইকে জানাতে হবে এবং পরামর্শ দিতে হবে।

এ বিষয়ে সরকারি বিভাগগুলোর দায়িত্ব রয়েছে। জবাবদিহির অভাবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা দেখা যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে মশা নিধন কর্মসূচি, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ আরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে সিটি করপোরেশনগুলোর। সেগুলো কেবল কাগজে-কলমেই বন্দি। তাই সরকারের উচিত এ বিষয়ে নজর দেওয়া। পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সভা, সেমিনার এবং পোস্টার, লিফলেট বিতরণ করা। তবেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমানো সম্ভব।

সেতু খানম 
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]

মধ্যবিত্তের ঢেউ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
মধ্যবিত্তের ঢেউ

বাংলাদেশের মধ্যবিত্তরা ইদানীং ঢাকাসহ বড় বড় শহরের হোটেল-রেস্তোরাঁয় তেমন একটা আসছেন না। বয়স্কদের সামান্য টাকায় মধ্যবিত্ত পরিবার কোনোভাবে সংসার চালাচ্ছে। উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকরি পাচ্ছেন না। নিম্নবিত্তরা কখনো হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে যান না। উচ্চবিত্ত বা ধনাঢ্যরা সাধারণত হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে তেমন একটা আসে না। একদিকে মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে যুবকদের চাকরি নেই। দেশের আর্থিক অবস্থার অস্থিরতা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তাও কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছে না। যারা সঞ্চয়পত্র করে রেখেছেন তারাও ইদানীং যথাসময়ে ইন্টারেস্টের টাকা পাচ্ছেন না। সবাই অর্থাৎ মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন টাকার অভাবে আছে।

 যে জন্য ঢাকাসহ বড় বড় শহরে সেই ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। মধ্যবিত্তরা একটা সময় নিয়মিত যেভাবে হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন শপিংমল এবং হোটেলে থাকার জন্য ঘর বুক করতেন, সেখানেও হাহাকার। চারদিকে ব্যবসা মন্দা, তাই অনেকে দোকান ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও চলে গেছে। যেহেতু যেসব জায়গায় কর্মী নেওয়া হতো কম সময়ের জন্য, তারাও চাকরি হারিয়েছেন। কোনো সন্দেহ নেই সর্বত্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মানুষের ঢেউ কমে যাওয়ার কারণে ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ব্যবসার হাল খুব খারাপ। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });