
নীতি-নৈতিকতা কতটা নিম্ন পর্যায়ে চলে গেলে মানুষ অসভ্য হয়ে যেতে পারে; কতটা বেপরোয়া হয়ে যেতে পারে, সেটা বোধহয় সবারই বোধগম্য। দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মিলে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের কাছেই মূলত জিম্মি সাধারণ মানুষ। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কে না অতিষ্ঠ! তেল থেকে বেল, ওষুধ থেকে বিষ, ডাল থেকে চাল কোনো কিছুই বাদ নেই। যেখানেই সিন্ডিকেটের হাত পড়েছে সেখানেই ছড়িয়েছে আগুন। সেই আগুনের তাপেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মানুষ। যে ইলিশ মাছের কোনো উৎপাদন খরচ নেই, সেই ইলিশের দাম যদি হাজার পেরিয়ে যায়, তাহলে আর থাকলটা কী! এখন প্রশ্ন হলো- এই সিন্ডিকেটের দ্বারা মূলত লাভবান হয় কে? উপকৃত হয় পাইকারি, মধ্যস্থতাকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
আর আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের মতো সাধারণ জনগণ। অধিক মুনাফার লোভে পড়ে পণ্য মজুত করে রাখা, বড় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা, লোক ঠকানো, প্রতারণা, পণ্যের দাম বাড়াতে দালালি ও কালোবাজারি করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত খাদ্যশস্য মজুত করে রাখে সে ব্যক্তি আল্লাহর দায়িত্ব থেকে মুক্ত এবং তার প্রতি আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।’ তাই আমাদের সবাইকে এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। ইসলামকে বুঝতে হবে এবং তা মানার চেষ্টা করতে হবে।
নাজিম উদ্দীন
শিক্ষার্থী; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়