
সরকার প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করলেও স্বাস্থ্যসেবার মান তেমন উন্নত হয়নি। সাধারণত, সরকারি হাসপাতালগুলোয় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোই চিকিৎসা নিতে ভিড় জমান। চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অবশেষে ডাক্তারের দেখা মিললেও রোগী তার সমস্যা সম্পূর্ণরূপে বলার আগেই ডাক্তার প্রেসক্রিপশন দিয়ে পরবর্তী রোগীকে ডাকেন। এর কারণ, ডাক্তারেরও অল্প সময়ে শত শত রোগী দেখার চাপ থাকে। আবার, কিছু ডাক্তার তাদের প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অনেকে যথাসময়ে রোগী দেখা শুরু করেন না। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে ইদানীং কিছু দালাল সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যারা বিভিন্নভাবে রোগীদের হয়রানি করছে। সরকারি ওষধ বিক্রয়যোগ্য নয় বলা হলেও, এর অনিয়ম ও কারসাজি এখনো বিদ্যমান।
এভাবে দরিদ্র মানুষ পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে- ১. পর্যাপ্তসংখ্যক ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া উচিত; ২. কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা দরকার, যাতে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়; ৩. দালালদের উৎপাত ও সরকারি ওষুষের কারসাজি বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করা সহজ হবে।
মুরশিদ আলম
শিক্ষার্থী, আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদ
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]