সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত—কোরআন মাজিদের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আয়াত এগুলো। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ভোরবেলায় তিনবার ‘আউজুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিম মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়বে এরপর সুরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াত তেলাওয়াত করবে, আল্লাহতায়ালা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন; যারা পাঠকারী ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকেন। আর এ সময়ের মধ্যে যদি লোকটির মৃত্যু হয়ে যায়, তা হলে তাকে শহিদ হিসেবে গণ্য করা হবে। তেমনিভাবে যে আয়াতগুলো সন্ধ্যাবেলায় পাঠ করবে, তার জন্যেও থাকবে একই রকমের মর্যাদা।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩০৯০; আবু দাউদ, হাদিস: ২৯২২)
সুরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াত হলো—
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ، عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ. هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ، ٱلۡمَلِكُ ٱلۡقُدُّوسُ ٱلسَّلَٰمُ ٱلۡمُؤۡمِنُ ٱلۡمُهَيۡمِنُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡجَبَّارُ ٱلۡمُتَكَبِّرُۚ، سُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشۡرِكُونَ. هُوَ ٱللَّهُ ٱلۡخَٰلِقُ ٱلۡبَارِئُ ٱلۡمُصَوِّرُ لَهُ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ، يُسَبِّحُ لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ.
বাংলা উচ্চারণ: হু আল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি হুয়ার রাহমানুর রাহিম। হু আল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মুমিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহি আম্মা ইয়ুশরিকুন। হু আল্লা হুল খালিকুল বারিউল মুসাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা, ইউসাব্বিহু লাহু মা ফিসসামা ওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।
বাংলা অর্থ: তিনি আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের সবকিছু জানেন। তিনি পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি মালিক, নিষ্কলুষ, শান্তিদাতা, নিরাপত্তাবিধায়ক, রক্ষক, পরাক্রমশালী, কঠোরতর ও বড়ত্বের অধিকারী সত্তা। মুশরিকরা যা কিছুকে আল্লাহর অংশীদার সাব্যস্ত করে, তিনি সেসব থেকে পবিত্র। তিনি সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকারী, আকৃতি দানকারী আল্লাহ। তাঁর রয়েছে অনেকগুলো সুন্দর নাম। আসমানে ও জমিনে যা কিছু আছে, সবকিছুই তাঁর স্তুতি ঘোষণা করে থাকে। তিনি অত্যন্ত পরাক্রমশালী ও কৌশলী।
লেখক: আলেম ও অনুবাদক