রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি। তাঁর মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ। পৃথিবীতে তাঁর আদর্শের বিকল্প নেই। আল্লাহকে পাওয়ার একমাত্র পথ হলো তাঁর আদর্শের অনুসরণ ও আনুগত্য করা। তাঁর জন্য হৃদয়ের গভীরে ভালোবাসা পোষণ এবং তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করা প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করা ছাড়া কোনো মানুষ মুমিন হতে পারবে না। আল্লাহকে পাবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ নবির প্রতি অনুগ্রহ করেন, তাঁর ফেরেশতারা নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে মুমিনরা, তোমরাও নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো এবং যথাযথ শ্রদ্ধাভরে সালাম জানাও।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)
দশ রহমত: আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘যে আমার ওপর একবার দরুদ পড়বে, বিনিময়ে আল্লাহতায়ালা তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করবেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ১/১৬৬)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে এক হাদিসে আছে, ‘তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হবে।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৭৫৬১)
সুপারিশ অবধারিত: রুওয়াইফি ইবনে সাবিত আল আনসারি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে এ দরুদ পাঠ করবে তার জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে।’ (আলমুজামুল কাবির, তাবরানি: ৪৪৮১)
গুনাহ ক্ষমা: উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) জিকিরের খুব তাগিদ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করে থাকি। আমি আমার দোয়ার কতভাগ আপনার জন্য নির্ধারণ করব? তিনি বললেন, তোমার যে পরিমাণ ইচ্ছা। তিনি আরও বললেন, তবে তাতে তোমার ইচ্ছা হাসিল হবে, তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২/৭২)
ফেরেশতার দোয়া লাভ: আমের ইবনে রবিআ (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি, আমার ওপর দরুদ পাঠকারী যতক্ষণ দরুদ পড়ে, ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৯০৭)
নবিজির সান্নিধ্য: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পড়েছে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১১০)
লেখক: মাদরাসা শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক