ঢাকা ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বপ্নে সিজদা করতে দেখলে কী হয়?

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
স্বপ্নে সিজদা করতে দেখলে কী হয়?
সিজদারত মুসল্লির ছবি। ইন্টারনেট

স্বপ্নে সিজদা করতে দেখা সফলতার ইঙ্গিত। এ ছাড়া ওই গুনাহ থেকে তওবার আলামত যাতে সে লিপ্ত রয়েছে। তদ্রূপ মারাত্মক বিপদ থেকে উদ্ধার, দীর্ঘ জীবনপ্রাপ্তি এবং সম্পদে সফলতা লাভেরও আলামত বহন করে। পাহাড়ে আল্লাহকে সিজদা করতে দেখলে স্বপ্নদ্রষ্টা অত্যন্ত কৃপণ বা শক্তিশালী লোকের ওপর সফলতা লাভ করবে। গায়রুল্লাহকে (আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে) সিজদা করতে দেখলে স্বপ্নদ্রষ্টার প্রয়োজন কখনো মিটবে না। যুদ্ধরত থাকলে পরাজয় বরণ করবে। ব্যবসায়ী হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সালাম ও তাশাহহুদ: নামাজে দাঁড়িয়ে রুকু না করতেই নামাজের সময় শেষ হয়ে গেছে দেখলে স্বপ্নদ্রষ্টা ফরজ জাকাত আদায় করবে না। বরং তাতে বাধা দেবে। যদি দেখে নামাজ পড়ছে আর মধুপান করছে, তা হলে সে রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করবে। বসে তাশাহহুদ পড়তে দেখলে স্বপ্নদ্রষ্টার দুশ্চিন্তা দূর হবে। আশা পূরণ হবে। যদি দেখে নামাজ পূর্ণ করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ থেকে বের হয়ে গেছে, তা হলে সে যাবতীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবে।

বাম দিক ছাড়া শুধু ডান দিকে সালাম ফিরাতে দেখলে স্বপ্নদ্রষ্টার কিছু কাজ পূর্ণ ও কল্যাণকর হবে। পক্ষান্তরে ডানদিক ছাড়া শুধু বাম দিকে সালাম ফিরাতে দেখলে স্বপ্নদ্রষ্টার কিছু অবস্থা দুর্দশার কারণ হবে।

কেবলা: কেবলার দিকে নামাজ পড়তে দেখা স্বপ্নদ্রষ্টার দীন দৃঢ় হওয়ার লক্ষণ। পক্ষান্তরে কেবলা বাদ দিয়ে শুধু পশ্চিম দিকে নামাজ পড়তে দেখা স্বপ্নদ্রষ্টার গুনাহের ওপর দুঃসাহস এবং দ্বীনে দুর্বল হওয়ার আলামত। কেননা কেবলা বাদে শুধু পশ্চিম (দিক) হলো ইহুদিদের কেবলা। তারা শনিবারেও (জুমার দিন) মাছ ধরার মতো অপকর্মের দুঃসাহস দেখিয়েছে। পূর্ব দিকে নামাজ পড়তে দেখা স্বপ্নদ্রষ্টার বেদয়াতি হওয়া এবং অন্যায় কাজে ব্যস্ত থাকার লক্ষণ। কেননা পূর্ব দিক হলো খ্রিস্টানদের কেবলা। কেবলার দিকে পিঠ দিয়ে নামাজ পড়তে দেখা, কোনো কবিরা গুনাহর কারণে স্বপ্নদ্রষ্টা ইসলামকে পেছনে ফেলে দেওয়ার আলামত। যদি দেখে কেবলার দিক সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারছে না, তা হলে বুঝতে হবে সে তার কাজকর্ম সম্পর্কে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। যদি কেউ সাদা কাপড় পরিধান করে কেবলা ছাড়া অন্যদিকে নামাজ পড়তে দেখে এবং কোরআন যেভাবে পড়া ফরজ, সেইভাবেই পড়তে দেখে, তা হলে স্বপ্নদ্রষ্টার হজের তাওফিক হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও না কেন, সে রয়েছেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১১৫)


(স্বপ্নের ব্যাখ্যাবিদ মুহাম্মাদ ইবনে সিরিনের বিখ্যাত বই তাফসিরুল আহলাম বা স্বপ্নের ব্যাখ্যা থেকে সংক্ষেপিত) 


লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে শায়খে রেঙ্গা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে শায়খে রেঙ্গা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ঢেউটিন বিতরণ করেছে শায়খে রেঙ্গা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। ছবি: সংগৃহীত

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহযোগিতা করেছে শায়খে রেঙ্গা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন।  সংস্থাটি ফেনী ও কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ করেছে। শিক্ষা উপকরণ দিয়েছে ৫০০ শিক্ষার্থীকে। যুক্তরাজ্যের ওল্ডহ্যামের আল-খাজরা মারকাজি মসজিদের মুসল্লিরা এ কার্যক্রমে অর্থায়ন করেছেন। 

এর আগে বন্যা শুরুর দিকে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধসহ ত্রাণসামগ্রী দিয়েছেন।

জানা যায়, কুমিল্লার সুধন্যপুর ও আশপাশের এলাকা, ফেনীর রশিদিয়া, ছানুয়া, ছাগলনাইয়া এবং পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়।

শায়খে রেঙ্গার নাতি ও জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুর আহমদের তত্ত্বাবধান এবং স্থানীয় উলামায়ে কেরামের সহযোগিতায় পুনর্বাসন কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আব্দুল গফুর ও মৌলা মিয়া প্রমুখ।

জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুর আহমদ বলেন, ‘লন্ডনের আল-খাজরা মারকাজি মসজিদ আমাদেরকে অর্থায়নে শায়খে রেঙ্গা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের ব্যবস্থাপনায় আমরা প্রথম ধাপে বন্যার্তদের খাবার ও নগদ অর্থ দিয়েছি। প্রাইমারি ও মাদরাসার ৫০০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ দিয়েছি। পুনর্বাসনে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। আমরা সবসময় অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে চাই।’

উল্লেখ্য, আল্লামা সাইয়িদ হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর খলিফা মাওলানা বদরুল আলম শায়খে রেঙ্গা (রহ.)-এর পরিবারের সদস্যরা শায়খে রেঙ্গা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের দুর্যোগ-দুর্বিপাকে অসহায় মানুষের সহায়তায় পাশে থাকে এ সংস্থা। ২০২২ এর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা ও পুনর্বাসনে কাজ করেছে তারা। প্রতি রমজানে অসহায়দের খাবার ও শীতকালে শীতবস্ত্রসহ অন্যান্য সেবামূলক কাজ করে এ সংস্থা।  

রায়হান/মিরাজ রহমান

স্ত্রীর সঙ্গে নম্র আচরণ করা সুন্নত

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ এএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
স্ত্রীর সঙ্গে নম্র আচরণ করা সুন্নত
শিল্পীর তুলিকে আঁকা মুসলিম স্বামী-স্ত্রীর ছবি। ফ্রিপিক

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যে নিজের পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পরিবারের কাছে অধিক উত্তম।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৮৯৫)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনীতে স্ত্রীদের সঙ্গে কোমল আচরণের অনেক ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়। মুসলিমদের উচিত, এসব সুন্নাহ নিয়মিত চর্চা করা। অভ্যাসে পরিণত করা।

স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিটি কোমল আচরণের বিনিময়ে স্বামীর জন্য পুরস্কার বরাদ্দ থাকবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পরিবারের জন্য তুমি যা খরচ করবে সব তোমার জন্য সদকা হিসেবে লেখা হবে; এমনকি স্ত্রীর মুখে তুলে দেওয়া খাবারও।’ (বুখারি, হাদিস: ৫০৩৯)

পাত্রের যেখানে ঠোঁট লাগিয়ে স্ত্রী খেয়েছেন বা পান করেছেন, স্বেচ্ছায় ঠিক সেখানে ঠোঁট লাগিয়েই খাওয়া সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এমনটি করেছেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি হায়েজ অবস্থায় পানি পান করে ওই পাত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দিতাম। আমার মুখ লাগানো স্থানে তিনি তাঁর মুখ লাগিয়ে পান করতেন। আমি হায়েজ অবস্থায় হাড়ের টুকরো চুষে তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দিতাম। তিনি আমার মুখ লাগানো স্থানে তার মুখ লাগাতেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৩০০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) আদর করে স্ত্রীদের তিনি সংক্ষিপ্ত নামে ডাকতেন। এটিও ছিল তাঁর অন্যতম হৃদ্যতাপূর্ণ সুন্নাহ। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘হে আয়েশ। এই তো ফেরেশতা জিবরাইল তোমাকে সালাম দিচ্ছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৫৫৭)

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ভালোবেসে কখনো কখনো আমার নাম হুমায়রা বা লাল গোলাপ বলে ডাকতেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৪৭৪)

এসব সুন্নাহ আমাদের অনুসরণ করা উচিত। স্ত্রীদের প্রতি হৃদ্যতা ও ভালোবাসা প্রকাশে নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা উচিত। তা হলে দুনিয়াতে আমাদের ঘরগুলো হয়ে উঠবে সুখময়, আর আখেরাতে বেড়ে যাবে আমাদের পুরস্কার। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করবে রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করবে রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন
বন্যার্তদের হাতে সহায়তা তুলে দিচ্ছেন ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী ও সদস্যসচিব মুফতি আহসান শরীফ। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন রহমাতুল্লিল আলামিন ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজীর নেতৃত্বে ও সদস্যসচিব মুফতি আহসান শরীফের সমন্বয়ে ছয়টি টিমে ভাগ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে সংস্থাটি। 

জানা যায়, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে বন্যাদুর্গত কয়েক হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা দিয়েছে রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন। বন্যার শুরুর দিকে চিড়া, চিনি, মুড়ি, বিস্কুট, ওষুধ, স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি, ম্যাচলাইট এবং পরিধানের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় আসবাব দিয়েছেন। দিয়েছেন রান্না করা খাবার। নগদ অর্থও দিয়েছেন অনেককে। 

এদিকে বন্যাপরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, চিকিৎসাসেবা ও স্বাবলম্বী করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফাউন্ডেশনটি। বিত্তবানরা সহযোগিতা করলে কাজ করতে সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীলরা। 

ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন রাজী বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণ করে আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে ছিলাম। বন্যা শেষে আমাদের সাধ্যানুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্বাসন, চিকিৎসাসেবা এবং স্বাবলম্বীকরণে কাজ করব। বিত্তবানরা সহযোগিতা করলে ব্যাপক হারে কাজ করা যাবে এবং মানুষও উপকৃত হবে।’ 

উল্লেখ্য, নবি মুহাম্মাদ (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ সিরাতচর্চা এবং মানবজীবনে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে বিজ্ঞ আলেমদের সমন্বয়ে লালবাগ জামেয়ার মুহাদ্দিস মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন রাজীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন। জামিয়াতুল বালাগ ঢাকার প্রিন্সিপাল, লেখক ও গবেষক মুফতি আহসান শরীফ সংগঠনটির সদস্যসচিব। প্রতি বছর সিরাতবিষয়ক কনফারেন্সের আয়োজন করে সংগঠনটি। মানুষকে নবিপ্রেমে উজ্জীবিত করতে, শিক্ষার্থীদের মনে নবিজির আদর্শের বীজ রুইয়ে দিতে সিরাতবিষয়ক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং নাতে রাসুলের মতো নানা আয়োজন থাকে সংগঠনের। 

রায়হান/মিরাজ রহমান 

সুবহে সাদিকের সঠিক সময় কোনটি?

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০২ এএম
সুবহে সাদিকের সঠিক সময় কোনটি?
সুবহে সাদিক হলো সেই ক্ষীণ আলো, যা পূর্ব আকাশে প্রকাশ পায় আর সাহরির সময় শেষ হয়ে যায়। ছবি : ইন্টারনেট

ফজরের সময় হওয়ার সময়কে সুবহে সাদিক বলা হয়। সারা পৃথিবীর মুসলমানরা দৃশ্যমান আলামতের ওপর ভিত্তি করে সুবহে সাদিকের সময়টি বলেছেন। আল্লাহ কোরআনে সুবহে সাদিক সম্পর্কে বলেন, ‌‌‘আর তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ না রাতের কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের কাছে প্রতিভাত হয়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭)

সুবহে সাদিক হলো সেই ক্ষীণ আলো, যা পূর্ব আকাশে প্রকাশ পায় আর সাহরির সময় শেষ হয়ে যায়। সুবহে সাদিকের সময় ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয় আর যখন সূর্য উদিত হয় তখন ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়। ওয়াক্ত শুরু ও শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে সুবহে সাদিক ও সূর্যোদয় এক প্রকাশ্য আলামত। দুনিয়ার মুসলিম সমাজ এ আলামতের ভিত্তিতেই বছরব্যাপী ফজর আদায় করেন এবং রমজানে সাহরি শেষ করেন।

তবে আধুনিক জোতির্বিজ্ঞানীরা সুবহে সাদিকের বিভিন্ন ডিগ্রির তাপমাত্রার কথা বলেছেন। সুবহে সাদিক কত ডিগ্রিতে উদিত হয়, গবেষণার মাধ্যমে তা জানা যায়নি। তবে পুরাতন লেখায় পাওয়া যায় যে, তা ১৫ ডিগ্রিতে হয়। (মাখতুতাহ, আয়াসুফিয়া, ইস্তাম্বুল, ২৬৪৮, ওয়ারাক, ৫৬)

জোতির্বিজ্ঞানীদের দাবিসমূহ মান্যকর নয়। তবে তাদের দাবি ও প্রকাশ্য আলামতের সাথে যদি অনেকবার মিলে যায়, তা হলে তাদের এ দাবি গ্রহণ করা যেতে পারে।

লেখক: আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক

বানভাসিদের পাশে আল-মারকাজুল ইসলামী

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
বানভাসিদের পাশে আল-মারকাজুল ইসলামী
লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন আল-মারকাযুল ইসলামীর স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: সংগৃহীত

ভারী বর্ষণ আর ভারত থেকে নামা ঢলে দেশের ১২ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। দেশের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে আল-মারকাজুল ইসলামী। বন্যার শুরু থেকে ত্রাণ বিতরণ, পানিবন্দিদের উদ্ধার ও আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো, মৃতদের উদ্ধার ও কাফন-দাফন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সংস্থাটি। বন্যায় মৃত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধারপূর্বক কাফন-দাফন করেছে তারা। 

জানা গেছে, ৪ হাজার পরিবারকে শুকনো খাবার, ৬ হাজার পরিবারের মাঝে ভারী ফুড আইটেম, ১৫ হাজার পরিবারকে ৫ লিটারের বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়েছে। ময়লা পানি বিশুদ্ধকরণ ৭০ হাজার পিস ট্যাবলেট বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

এদিকে সংস্থাটির নেতৃত্বে ফেনীর ৬টি উপজেলায় ৮ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতি বিনামূল্যে ১,২০০ টাকার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীতে মেডিকেল ক্যাম্প করে ফ্রিতে ১০ হাজার রোগী দেখার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। 

সংস্থাটির চেয়ারম্যান হামজা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মারকাজুল ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিপন্ন, অসহায় ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। ১৯৮৭ সালে আমার বাবা মুফতি শহীদুল ইসলাম বিন-নুরী টাউনে পড়াকালে বন্ধুদের নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাও হয়েছে বন্যার্তদের সহায়তাকে কেন্দ্র করে। ৮৮ এর বন্যায় বিপুল পরিমাণ সহায়তা করেছে। ৯৮ এর বন্যায় ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল দিয়েছে সংস্থাটি। ১২ কোটি টাকার নগদ অর্থও সহায়তা করা হয় সেসময়। কভিড-১৯ এ মৃতদের কাফন-দাফনের পাশাপাশি ব্যাপক কাজ করেছি আমরা। এবারের বন্যায় শুরু থেকে আমরা কাজ করেছি। প্রথমে উদ্ধার কাজ করেছি। শুকনো ও রান্না করা খাবার থেকে শুরু করে বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দিয়েছি।’ 

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে মানবসেবায় নিবেদিত আল-মারকাজুল ইসলামী (এএমআই)। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি শহীদুল ইসলাম। বিশেষত ১৯৮৮ ও ১৯৯৮-এর বন্যা ও কোভিড-১৯-এ সংস্থাটির কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। কোভিড-১৯-এ জীবন বাজি রেখে মৃতদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে সংস্থার লোকজন। সংস্থাটির সরাসরি তত্ত্বাবধান ও অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্যও তাদের মাদরাসা রয়েছে। সংস্থাটি তিনটি কাজ সামনে রেখে কাজ করছে- শিক্ষা, আত্মশুদ্ধি ও সেবা। 

এ ছাড়া সংস্থাটির অধীনে স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য নিজস্ব হাসপাতাল, ফ্রি লাশ গোসল ও কাফনসেবা, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, দুর্যোগে জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন, স্বাবলম্বীকরণ, বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য ডিপ টিউবওয়েল বা সাধারণ টিউবওয়েল স্থাপন ইত্যাদি কার্যক্রম রয়েছে। 

রায়হান/মিরাজ রহমান