ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

মুচকি হাসিও সদকা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
মুচকি হাসিও সদকা
দুজন ব্যক্তির হাস্যোজ্জ্বল ছবি। এআই

মনকে প্রফুল্ল ও সতেজ রাখতে মুচকি হাসির বিকল্প নেই। হাসি পরিশুদ্ধ করে মানুষের হৃদয়। দেহে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে শরীর চাঙা রাখে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, হাসি মানুষকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিমুক্ত জীবনযাপন উপহার দেয়। মানুষকে আকৃষ্ট করার সহজ, সুন্দর ও পরিশ্রমহীন কাজ হচ্ছে, কারও দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসা। 

আপনি যখন কারও দিকে তাকিয়ে হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে একটু মুচকি হাসবেন, তখন আপনার প্রতি তার হৃদয়ে ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। সম্পর্কের দেয়াল মজবুত হবে। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে হাসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

হাসিই মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সহজ করে দেয়। কঠোর হৃদয়ের লোকেরও মন নরম হয়। আল্লাহ বলেন, ‘বহু মুখমণ্ডল সেদিন উজ্জ্বল হবে, সহাস্য ও প্রফুল্ল।’ (সুরা আবাসা, আয়াত: ৩৮-৩৯) 

মুহাম্মাদ (সা.) হেসেছেন—মুচকি হাসি। কেউ অকারণে তাঁকে মুখ গোমড়া হতে দেখেননি। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে (তাঁর কাছে আসতে) বাধা দেননি। আর আমাকে দেখা মাত্রই তিনি হাসতেন।’ (তিরমিজি, ১৭১) 

মুচকি হাসি দিলে সদকার সওয়াব পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) মুচকি হাসি সদকা আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি, ১৯৫৬)

উচ্চৈঃস্বরে হাসা উচিত নয়। উচ্চৈঃস্বরে হাসলে ভেতরাত্মা মরে যায়। আখেরাতের ব্যাপারে উদাসীনতা সৃষ্টি হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) কম হাসতেন, বেশি কাঁদতেন। মানুষকে কম হাসতে ও বেশি করে কাঁদতে উপদেশ দিয়েছেন তিনি। 

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে, তবে তোমরা খুব কমই হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।’ (বুখারি, ৬৪৮৫)

সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকা, কোনো মুমিনের সঙ্গে দেখা হলে তার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুখে সাক্ষাৎ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু জাজয়ি (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি কাউকে দেখিনি।’ (তিরমিজি, ১৬৮)

সদকায় অনেক সওয়াব রয়েছে। এতে বিপদাপদ দূর হয়। আবু জার (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘ভালো কোনো কিছু দান করা হীন মনে করে না, এমনকি হোক সেটা ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ দেওয়া।’ (মুসলিম, ৬৫৮৪)

লেখক: কবি ও গল্পকার

গত এক যুগে ইসলামি প্রকাশনায় একটি বিপ্লব সাধিত হয়েছে

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
গত এক যুগে ইসলামি প্রকাশনায় একটি বিপ্লব সাধিত হয়েছে
সুলতানসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদোয়ান ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রেদোয়ান ইসলাম সুলতানস প্রকাশনীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বরিশাল সদরে জন্ম। ঢাকা উত্তরার মাদরাসাতুল হিকমা থেকে হেফজ শেষ করেছেন। কম্পিউটার সায়েন্সের ওপর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে। তার প্রকাশক হওয়ার গল্প, ইসলামি বইয়ের চাহিদা ও পাঠক বৃদ্ধি, সুলতানস কোন ধরনের বই প্রকাশে আগ্রহী, মানসম্মত বই প্রকাশে তাদের ভূমিকা কেমন ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রায়হান রাশেদ

খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন?
রেদোয়ান ইসলাম: জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়াকে আমি জীবনের এক মহৎ উদ্দেশ্য হিসেবে দেখেছি। বিশেষ করে ইসলামি জ্ঞান এবং নৈতিকতার পাঠ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার দায়িত্ব মনে করি। এই মহৎ উদ্দেশ্য ও দায়িত্বের জায়গা থেকে আমি প্রকাশক হয়েছি। এক্ষেত্রে আমার ছোট কাকু (চাচা) বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ লেখক মিরাজ রহমান এবং আমার পিতার অবদানের কাছে আমি ঋণী। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের পাঠক দিন দিন বাড়ছে বলে কী আপনি মনে করেন?
রেদোয়ান ইসলাম: হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে। বর্তমান সময়ে মানুষ ইসলাম সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে আগ্রহী হচ্ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্ম কোরআন, হাদিস এবং ইসলামি জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে বেশ আগ্রহী এবং এটি অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন বেশি। গত পাঁচ-সাত বছরে ইসলামি বইয়ের চাহিদা অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে গত এক যুগে ইসলামি প্রকাশনা সেক্টরে একটি বিপ্লব হয়েছে বলে আমি মনে করি এবং সুলতানস সে বিপ্লবের অন্যতম অংশীদার, আলহামদুলিল্লাহ। আর এটি আমাদের জন্য একটি বড় প্রেরণা।

খবরের কাগজ: আপনার প্রকাশনী সম্পর্কে কিছু বলুন। কী ধরনের বই প্রকাশে আপনারা আগ্রহী? 
রেদোয়ান ইসলাম: আমাদের ‘সুলতানস’ প্রকাশনী মানসম্পন্ন বই প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রতিটি বইয়ের বিষয়বস্তু, সম্পাদনা এবং মুদ্রণ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ মান বজায় রাখি। বিশ্বস্ত লেখক ও গবেষকদের সঙ্গে কাজ করে তথ্যবহুল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপিত বই প্রকাশ করি। বইয়ের নকশা ও বাঁধাইয়ের ক্ষেত্রেও আমরা উৎকৃষ্ট মান নিশ্চিত করি, যাতে পাঠকরা একটি সন্তোষজনক পাঠ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। আমাদের প্রকাশিত বইগুলো যেমন- মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার, দ্য গ্রেটেস্ট অন্ট্রাপ্রেনর মুহাম্মাদ (সা.) এবং হিলিং দ্য এম্পটিনেস, পাঠকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এই বইগুলোর মান নিয়ে পাঠকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। আমরা কোরআন হাদিসের আলোকে জীবনঘনিষ্ঠ বই প্রকাশ করি। সিরাত বিষয়ে আমাদের কয়েকটি বই বেস্ট সেলার হয়েছে। প্রতিটি বইয়ের কনটেন্ট আমরা যুগোপযোগী বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে করি। সর্বপরি আমরা সব সময় মানসম্মত কনটেন্ট এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের ওপর গুরুত্ব দিই। আমাদের প্রতিটি বই গবেষণালব্ধ তথ্য এবং প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপিত হয়, যাতে তা পাঠকের জন্য সহজপাঠ্য ও উপকারী হয়। 

খবরের কাগজ: এবারের মেলাতে নতুন কি বই প্রকাশ করেছে সুলতানস?
রেদোয়ান ইসলাম: ২০২৫ অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ (সা.) বইটি মহানবি মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবন থেকে প্রোডাক্টিভিটির শিক্ষা নিয়ে রচিত। লেখক মিরাজ রহমান এই গ্রন্থে নবিজির (সা.) কর্মপদ্ধতি, সময় ব্যবস্থাপনা এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর প্রোডাক্টিভ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। বইটি পাঠকদেরকে নবিজির (সা.) জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে প্রোডাক্টিভ হতে সহায়তা করবে। যারা ইসলামি মূল্যবোধের আলোকে সফল ও প্রোডাক্টিভ জীবন গড়তে চান, তাদের জন্য এটি একটি মূল্যবান বই।

নবিজির (সা.) প্রোডাক্টিভ রুটিন ও সুন্নাহ লাইফস্টাইল নিয়ে বাংলায় প্রথম বই

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
নবিজির (সা.) প্রোডাক্টিভ রুটিন ও সুন্নাহ লাইফস্টাইল নিয়ে বাংলায় প্রথম বই
উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ (সা.) বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শই সবার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ অভিহিত করে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ২১)। মানুষের জীবনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সব বিষয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশনা কী, রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে তা দেখিয়ে দিয়েছেন। মানুষ কীভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে এবং কীভাবে ২৪ ঘণ্টা সময় কাটাবে—মানুষের দিন-রাত কেমন করে কাটানো উচিত, কোন সময় কি করবে, কখন ঘুমাবে, কখন হাঁটবে, কখন খাবে, কোন সময় স্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সময় যাপন করবে, এর সবকিছু স্পষ্টভাবে বলেছেন নবিজি (সা.)। তাঁর রুটিনমাফিক জীবনজুড়ে রয়েছে সেসব কাজকর্ম। তিনি দিন-রাতের ২৪ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন নিয়মের ভেতর দিয়ে। মুসলিম মাত্রই জানতে চান, মুহাম্মাদ (সা.)-এর দিন-রাত কীভাবে কেটেছে? তিনি ২৪ ঘণ্টায় কি কি কাজ করতেন? তাঁর জীবনের রুটিন কেমন ছিল? তার লাইফস্টাইল কোন ধরনের ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ২৪ ঘণ্টার রুটিন ও তাঁর সুন্নাহ লাইফস্টাইল জানার এক হীরকখণ্ড উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ (সা.)। 

পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আনুগত্য করা এবং তাঁর দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক ও মাসিক রুটিন (সুন্নত, দোয়া ও আমল), অভ্যাস ও জীবনধারা অনুসরণ করার মধ্যেই দুনিয়ার সফলতা ও পরকালের মুক্তি রয়েছে। তাঁর জীবনধারা উম্মতের জন্য অনুকরণীয়-অনুসরণীয় সুন্দরতম আদর্শ। একমাত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নতি আমলগুলো অনুসরণে প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের যাবতীয় কল্যাণ নিহিত। তাঁর প্রতিদিনের সুন্নত, দোয়া, আমল ও জীবনযাপনের রুটিন জানার অনন্য এ বই। 

কীভাবে শুরু হতো রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সকাল? কখন ঘুম থেকে উঠতেন তিনি? নাশতায় কি খেতেন? নাকি আমাদের মতো নাশতা না করেই চলে যেতেন কর্মস্থলে? দুপুরের সময়টা কীভাবে কাটত তাঁর? বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলে কী করতেন? কখন এবং কীভাবে ঘুমাতেন তিনি? ঘুমানোর ঠিক কতক্ষণ আগে রাতের খাবার খেতেন? স্বামী হিসেবে কতটা উত্তম ছিলেন তিনি? সপ্তাহের কোন কোন দিন রোজা রাখতেন এবং বছরের কোন মাসে কখন, কীভাবে, কী কী আমল করতেন রাসুলুল্লাহ (সা.)? প্রোডাক্টিভিটির কোনো ছোঁয়া ছিল কি তাঁর দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক ও মাসিক রুটিন এবং জীবনধারায়? এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর মিলবে এ বইটির পাতায় পাতায়।

এ বইটিতে বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা-

  • রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রোডাক্টিভ রুটিন এবং সুন্নাহ লাইফস্টাইলকে বর্তমান সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে বুঝতে ও আমল করতে সহজ হয়।
  • প্রোডাক্টিভ লাইফস্টাইল মেইনটেন করে জীবনে সফল হওয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রুটিন ও লাইফস্টাইলই যে সর্বোত্তম অনুকরণীয় আদর্শ এবং তিনিই যে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রোডাক্টিভ মানুষ— তা প্রমাণ করা হয়েছে।
  • দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক ও মাসিক প্রোডাক্টিভ রুটিন এবং সুন্নাহ লাইফস্টাইল তুলে ধরার পাশাপাশি এগুলোর আদায়পদ্ধতি এবং বিধান তুলে ধরা হয়েছে।
  • গ্রাফ, ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন ও ছক আকারে বিভিন্ন বিষয়াবলি উপস্থাপন করা হয়েছে।
  • সুপ্রসিদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থসহ বিশুদ্ধ বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ থেকে প্রায় দেড় হাজার বিশুদ্ধ বর্ণনা বা রেওয়ায়েতের আলোকে বইটি রচিত হয়েছে।

বইটি লিখেছেন মিরাজ রহমান। প্রকাশ করেছে সুলতানস। ৩৮২ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রিত মূল্য ৭০০ টাকা। দেশের অভিজাত সব লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যায়। সরাসরি সুলতানস থেকে বইটি কিনতে ভিজিট করুন ফেসবুক পেজে

বই: উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ 
লেখক: মিরাজ রহমান 
প্রকাশক: সুলতানস 
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৮৪
মুদ্রিত মূল্য: ৭০০ টাকা
মোবাইল: ০১৮১০০১১১২৫

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

উম্মাহর প্রয়োজনে যুগোপযোগী বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করে যেতে চাই

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০১ পিএম
উম্মাহর প্রয়োজনে যুগোপযোগী বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করে যেতে চাই
মাকতাবাতুল খিদমাহর পরিচালক মাওলানা আবদুল মান্নান। ছবি: সংগৃহীত

মাওলানা আবদুল মান্নান মাকতাবাতুল খিদমাহর প্রকাশক। ভোলার লালমোহনে জন্ম। গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার হাতেখড়ি। চট্টগ্রামের এক মাদরাসা থেকে হাফেজ হয়েছেন। দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) করেছেন। তাখাসসুল ফিল হাদিস পড়েছেন। তার প্রকাশক হওয়ার গল্প, ইসলামি বইয়ের পাঠকের চাহিদা, কোন ধরনের বই প্রকাশে তিনি আগ্রহী, ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রায়হান রাশেদ


খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন? 
মাওলানা আবদুল মান্নান: প্রকাশক হওয়ার বিষয়টা এক রকম কাকতালীয় ব্যাপার বলেই আমার কাছে মনে হয়। আমি প্রথমে মাদরাসাকেন্দ্রিক দ্বীনি খেদমতের জন্যই মনস্থ করেছিলাম। পড়াশোনা শেষে মাদরাসায় খেদমত শুরু করি। পাশাপাশি প্রকাশনা সেক্টরের সঙ্গেও কিছুটা যুক্ত ছিলাম। পরে আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রকাশনা জগৎও দ্বীনি খেদমতের স্বতন্ত্র একটি প্ল্যাটফর্ম। জনমানুষের মাঝে ইসলাম ও ধর্মীয় বিশুদ্ধ জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া এবং মানুষকে বিশুদ্ধ ইলমের পথে নিয়ে আসা এটা আলেমদের একটি নৈতিক দায়িত্ব। কারণ দ্বীনি ইলম হলো নবিদের তুরাস আর আলেমরা হলেন সেই তুরাসের উত্তরাধিকার। কাজেই বাতিলদের অপব্যাখ্যা এবং মূর্খ লোকদের বিভ্রান্তি থেকে ইলমকে হেফাজতের যে ঐশী দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, সেই দায়িত্ব-কর্তব্য থেকেই এই সেক্টরে যোগদান করা। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের পাঠক দিন দিন বাড়ছে বলে কী আপনি মনে করেন?
মাওলানা আবদুল মান্নান: চারপাশে ইসলামের যে নবজাগরণ বাংলাদেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং যুবসমাজের মনে ইসলামকে জানার যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে; এটা অবশ্যই ধর্মীয় বইয়ের পাঠক বৃদ্ধি পাওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করে। ধর্মীয় বইয়ের জগতে সৃজনশীলতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাঠক মহল ততই বাড়ছে এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, পাঠক বাড়ার এ ধারাবাহিকতা ইনশাআল্লাহ অব্যাহত থাকবে। 

খবরের কাগজ: আপনার প্রকাশনী সম্পর্কে কিছু বলুন। কী ধরনের বই প্রকাশে আপনারা আগ্রহী? 
মাওলানা আবদুল মান্নান: আমার প্রকাশনী আমার স্বপ্নের জায়গা। আমি আমার স্বপ্নটিকে সুন্দর করে পরিচর্যা করে বাস্তবায়ন করতে চাই। প্রথমত ধর্মীয় বিশুদ্ধ জ্ঞান এবং ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা ছাত্রসমাজসহ মুসলমানদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমরা দরসি বইগুলো যুগোপযোগী ও মানসম্পন্ন করে প্রকাশ করছি। দ্বিতীয়ত সৃজনশীল বইয়ের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের আকাবিরদের কারনামাগুলো বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। উম্মাহর প্রয়োজনকে সামনে রেখে আমরা যুগোপযোগী বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করে যেতে চাই, যে কাজগুলো আমাদেরকে শতাব্দীর পর শতাব্দী স্মরণ রাখবে। 

খবরের কাগজ: মানসম্মত বই প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা কেমন?
মাওলানা আবদুল মান্নান: মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য আমাদের রয়েছে বিজ্ঞ লেখক, অনুবাদক ও সম্পাদক চৌকস টিম। টিমটি মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য এবং লেখার মান সমৃদ্ধ করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সবে মাত্র এ সেক্টরে এসেছি। মাত্র বছর তিনেক হয়েছে। আমরা আমাদের লেখক, অনুবাদক এবং সম্পাদক প্যানেলকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। আর বই বাহ্যিকভাবে সুন্দর করতে আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো আপস করি না। কারণ খিদমাহর একটি মূলনীতি হলো সৃজনশীলতা। কাজেই আমরা বইয়ের ভেতরগত দিক ও বাহ্যিক দিক উভয়টি সুন্দর করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
মাওলানা আবদুল মান্নান: এর জন্য গণমুখী দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। উম্মাহর প্রয়োজনকে সামনে রেখে বই প্রকাশ করতে হবে। এর পর সোশ্যাল মিডিয়া এবং গণমাধ্যমগুলোতে সেসব বইয়ের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করে সব ধরনের পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

 

বই প্রকাশের ক্ষেত্রে পাঠকের চাহিদা ও রুচিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
বই প্রকাশের ক্ষেত্রে পাঠকের চাহিদা ও রুচিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত
তারুণ্য প্রকাশনের প্রকাশক মো. ইসহাক খান। ছবি: সংগৃহীত

মো. ইসহাক খান তারুণ্য প্রকাশনের প্রকাশক। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বাড়ি। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি শেষ করেছেন। স্নাতকোত্তর করেছেন শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ থেকে। তার প্রকাশক হওয়ার গল্প, কোন ধরনের বই প্রকাশে আগ্রহী তিনি, ইসলামি বইয়ের পাঠকের চাহিদা, লেখক-প্রকাশকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রায়হান রাশেদ

খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন? 
মো. ইসহাক খান: আমি পেশায় একজন বই বিক্রেতা। বই বিক্রেতা হিসেবে আমার তখন ছয় বছর। সেবার মনে হলো নতুন কিছু বই বাজারে আনা দরকার। বিশেষ করে ছোটদের বই। বাজারে অনেক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ছোটদের মানসম্মত বই সচরাচর চোখে পড়ছিল না আমার। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকে করোনাভাইরাসের আগ মুহূর্তেই চাকরি-বাকরি ছেড়ে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান করলাম। প্রকাশনীর নামই ঠিক করলাম ‘তারুণ্য প্রকাশন’। প্রথম প্রকাশিত বইটি ছিল জনপ্রিয় লেখক সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীরের শিশুতোষ বই ‘একটি আয়াত একটি গল্প সিরিজ’। সেই বছরই বইটি রকমারি ডটকমের বেস্টসেলার বই হিসেবে ভূষিত হয়। যা আমার এই জগতের কাজের আগ্রহ দ্বিগুণ করে দেয়। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের পাঠক দিন দিন বাড়ছে বলে কি আপনি মনে করেন?
মো. ইসহাক খান: অনেকের ধারণা, মোবাইল/ইন্টারনেটের যুগে হয়তো মানুষ বই পড়ে না। আগের মতো মানুষ বই কেনে না। এই ধারণা থাকাটা স্বাভাবিক। তবে বাস্তবতাও জানা উচিত যে, এক যুগ ধরে হুহু করে বাড়ছে ইসলামি প্রকাশনা ও বইয়ের সংখ্যা। এর কারণ হচ্ছে পাঠক মহলে জায়গা করে নিতে পেরেছে ইসলামি বইগুলো। বাড়ছে ইসলামি বইয়ের মান। পাঠকের চাহিদা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত প্রকাশ হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ের নতুন নতুন বই। যা ইসলামি বইয়ের জগৎকে আরও সমৃদ্ধ এবং পাঠকেন্দ্রিক করতে সহায়তা করছে। 

খবরের কাগজ: আপনার প্রকাশনী সম্পর্কে কিছু বলুন। কোন ধরনের বই প্রকাশে আপনারা আগ্রহী? 
মো. ইসহাক খান: আমরা মূলত শিশুদের বই নিয়ে কাজ করি। পাশাপাশি বড়দেরও কিছু বই আমরা প্রকাশ করেছি। তবে আমাদের মূল টার্গেট শিশুদের কেন্দ্র করে কাজ করা। আলহামদুলিল্লাহ এবার অমর একুশে বইমেলায় তারুণ্য প্রকাশনের নিজস্ব স্টল রয়েছে। স্টল নম্বর ২২৪। এ বছর শিশুদের নিয়ে আমাদের বেশ কিছু বই প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। এর মধ্যে ‘ছোটদের আসমাউল হুসনার গল্প সিরিজ’, ‘ছোটদের ইসলামের ইতিহাস’ ও ‘ছোটদের নবী সিরিজ’সহ বেশ কিছু বই। যা পাঠকের নতুন চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি। 

খবরের কাগজ: মানসম্মত বই প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা কেমন?
মো. ইসহাক খান: আমরা বরাবরই মানসম্মত বই নিয়ে কাজ করি। মানসম্মত বই প্রকাশে আমরা বদ্ধপরিকর। একটি বই প্রকাশ করার ক্ষেত্রে যতগুলো ধাপ রয়েছে, যেমন লেখক নির্বাচন, বইয়ের কনটেন্ট, বইয়ের ছাপা প্রিন্টিং, প্রোডাকশন এসব কিছুতে আমরা বিশেষ ফোকাস রেখে কাজ করার চেষ্টা করি। দক্ষতার সঙ্গে বছরের ৪-৫টি বই প্রকাশ করার চেষ্টা করি। তড়িঘড়ি করে অনেক বইয়ের কাজ একত্রে শুরু করি না। এতে করে বইয়ের মান ঠিক রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। কোয়ালিটি সম্পন্ন বই করার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় নিয়ে বই প্রকাশ করি। 

খবরের কাগজ: লেখক প্রকাশকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
মো. ইসহাক খান: লেখক-প্রকাশকের পাশাপাশি পাঠক নিয়ে আমাদের একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠা উচিত। যেহেতু লেখক-প্রকাশকের চূড়ান্ত সফলতা পাঠকের মাধ্যমেই আমরা পেয়ে থাকি। লেখক-প্রকাশক সম্পর্কটা অনেক প্রকাশনীর ভালো থাকলেও পাঠকের সঙ্গে সুসম্পর্ক খুব কম প্রকাশনীর রয়েছে। এই দিকটা আমাদের আরও উন্নত করা উচিত। পাঠকের রুচি চাহিদার ওপর চিন্তাভাবনা করে বই প্রকাশ করা উচিত। এতে করে ইসলামি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো রুচিসম্মত এবং গতিশীল হয়ে কাজ করতে পারবে বলে বিশ্বাস করছি। 

সিরাত চর্চাকারীদের জন্য এক টুকরো হীরা ‘সীরাতপাঠ’

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
সিরাত চর্চাকারীদের জন্য এক টুকরো হীরা ‘সীরাতপাঠ’
‘সীরাতপাঠ: গুরুত্ব, পদ্ধতি ও প্রায়োগিক রূপ’ বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

মানবজীবনের এমন কোনো দিক নেই, যা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে স্পর্শ করেনি। ব্যবহারিক, আধ্যাত্মিক, ইহলৌকিক, পারলৌকিক—সবকিছুই তাঁর জীবন ও সাধনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। ফলে তাঁর জীবনাদর্শ মানবজাতির জন্য অনুকরণীয়। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে অনুপম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ২১)। আল্লাহকে পেতে ও জান্নাতে যেতে হলে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ করা আবশ্যক। তিনি যা করতে বলেছেন, তা করতে হবে। যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকতে হবে। সেজন্য তাঁকে জানতে হবে। তাঁকে জানার এক অনবদ্য হীরকখণ্ড হলো সীরাতপাঠ: গুরুত্ব, পদ্ধতি ও প্রায়োগিক রূপ বইটি। সিরাতের ধারাবাহিক বিবরণ এবং সিরাতের বার্তা ও শিক্ষার চমৎকার সমন্বয় ঘটেছে এ বইয়ে। একই সঙ্গে পাঠক সিরাত পাঠের স্বাদ পাবেন, আবার জানতে পারবেন সিরাতের শিক্ষাও। 

সিরাত পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, কীভাবে সিরাত পাঠ করতে হয়, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কীভাবে জানতে হয়, তাঁর জীবনী থেকে কীভাবে শিক্ষা নিতে হয়; অনেকে বুঝেন না বা জানেন না। এ বই তাদের জন্য অন্যতম নিয়ামক। এ বই পাঠককে সিরাত পাঠের পথ দেখাবে, চমৎকারভাবে নবিজীবনী জানাবে, তাঁর জীবনী থেকে কীভাবে শিক্ষা নিতে হবে, এর তালিম দেবে। 

লেখক বইটিকে চারটি অধ্যায়ে সাজিয়েছেন। প্রথম অধ্যায়ে তিনি সিরাতপাঠ-পূর্ব আলোচনা, যেমন- সিরাত কেন পাঠ করব, সিরাতপাঠ কেমন এবং কীভাবে হওয়া উচিত, নবিজি (সা.)-এর সঙ্গে এ উম্মতের সম্পর্ক কেমন, তিনিই কেন সমগ্র মানবজাতির একমাত্র আদর্শ এবং এর ঐতিহাসিক প্রামাণিকতা কী ইত্যাদি তুলে ধরেছেন। 

দ্বিতীয় অধ্যায়ে নবিজীবনের সংক্ষিপ্ত স্কেচ এঁকেছেন লেখক—যেন পাঠক খুব সহজেই নবিজির সামগ্রিক জীবনের একটি চিত্র ধারণ করতে পারে। এ অধ্যায়ে সিরাতে আলোচিত নাম, সন ও তারিখ যথাসম্ভব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে সবচেয়ে ব্যাপক ও বিস্তারিতভাবে আলোচানা তুলে ধরা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে নবিজীবনের বিভিন্ন দিক ও ঘটনার শিক্ষা ও সবক। লেখক অত্যন্ত পাণ্ডিত্যের সঙ্গে সিরাতের ঘটনাবলি থেকে আমাদের জন্য শিক্ষা ও বার্তা তুলে ধরেছেন, যাতে আমরা এর মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে নববি আদর্শের রঙে রাঙিয়ে নিতে পারি। চতুর্থ অধ্যায়ে পরিশিষ্ট হিসেবে আলোচিত হয়েছে উম্মতের প্রতি নবিজি (সা.)-এর হক সম্পকে—যার অন্যতম হলো খতমে নবুওয়াত আকিদার সংরক্ষণ। লেখক এ সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছেন। 

বইটি লিখেছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড-এর প্রেসিডেন্ট ও ইসলামি ফিকহ একাডেমি ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক, গবেষক ও লেখক মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানী। অনুবাদ করেছেন হুসাইন আহমাদ খান। বইটি প্রকাশ করেছে পেনফিল্ড পাবলিকেশন। ২৪০ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রিত মূল্য ৩৭২ টাকা। দেশের অভিজাত সব লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যায়। সরাসরি পেনফিল্ড পাবলিকেশন থেকে বইটি কিনতে ভিজিট করুন ফেসবুক পেজে

বই: সীরাতপাঠ
লেখক: মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানী
অনুবাদক: হুসাইন আহমাদ খান 
প্রকাশক: পেনফিল্ড পাবলিকেশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০
মুদ্রিত মূল্য: ৩৭২ টাকা
মোবাইল: ০১৪০৭-০৫৬৯৬১

লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক