ছবি এআই
বেকার থাকতে থাকতে আবুল যখন হতাশ হয়ে পড়ছিলেন তখন একদিন তার নামে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এল। দেরি না করে পরের দিনই নির্দিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করলেন।
অফিসের বস আবুলকে বললেন, ‘আপনার কাজ হলো সারা দিন ঘুরে ঘুরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রি করা। এভাবে সারা মাসে যত টাকার ক্লিনার বিক্রি করতে পারবেন, তার ১০ পার্সেন্ট বেতন হিসেবে পাবেন।’
আবুল শর্তের কথা শুনে বুঝতে পারলেন, তাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তিনি রাজি হয়ে গেলেন। তারপর চিন্তা করলেন, কীভাবে মানুষকে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কিনতে রাজি করানো যায়। সারা রাত ভেবে তিনি একটা উপায়ও বের করে ফেললেন।
পরদিন ভ্যানে করে ১০টি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আর এক বস্তা গোবর নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রি শুরু করলেন। তার বুদ্ধিতে কাজ হলো। এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি চারটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রি করে ফেললেন।
পরের বাড়ির দরজায় টোকা দিতেই এক নারী দরজা খুলে দিলেন। আবুল দেরি না করে গোবরের বস্তা থেকে কেজি খানেক গোবর ড্রইং রুমে ছুড়ে ফেললেন।
নারী অবাক হয়ে বললেন, ‘এটা কী হলো?’
আবুল একটু হেসে বললেন, ‘ভয় পাবেন না ম্যাডাম। এই গোবর আমার এই আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পরিষ্কার করে দেব। যদি না পারি তাহলে এই গোবর আমি আপনার সামনে খাব।’
নারী বললেন, ‘তাই নাকি? তা গোবর কি এমনিই খাবেন নাকি সঙ্গে একটু সস, কাঁচা মরিচ দেব?’
আবুল বললেন, ‘আগেই খাবার কথা আসছে কেন? আগে তো পরিষ্কার করি?’
নারী বললেন, ‘খাবার কথা আসছে কারণ, আপনি পাঁচ মিনিট তো দূরের কথা, পাঁচ ঘণ্টায়ও ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে গোবর পরিষ্কার করতে পারবেন না। কারণ বিল না দেওয়ার কারণে আমাদের বাসার কারেন্টের লাইনটা কিছুক্ষণ আগে কেটে দিয়ে গেছে।’