ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

আজকের সেরা জোকস: ভিজা ও শুকনা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আজকের সেরা জোকস: ভিজা ও শুকনা
সংগৃহীত

১. খালা: কি রে টুনু, তুই দিনকে দিন শুকিয়ে যাচ্ছিস কেন?
টুনু: চিন্তা করো না খালা, বৃষ্টি হলেই আবার ভিজে যাব।

 

২. কর্মচারী: স্যার, বাইরে বৃষ্টিতে শহর ডুবে গেছে। আজ অফিসে আসা সম্ভব না।
বস: আপনিই তো জব অ্যাপ্লিকেশনে লিখেছিলেন সাঁতার কাটা আপনার শখ! ১০টার মধ্যেই চলে আসবেন।

 

৩. আত্মীয়ের বাসায় ঈদের দাওয়াত খেতে যাওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথন...
স্ত্রী: জলদি বাড়ি ফিরে চলো।
স্বামী: কেন?
স্ত্রী: ভুলে চুলা জ্বালিয়ে এসেছি। আগুন ধরে সব ছারখার হয়ে যাবে।
স্বামী: ছারখার হবে না।
স্ত্রী: এত নিশ্চিত হয়ে বলছো কীভাবে?
স্বামী: কারণ আমিও ভুলে পানির কল ছেড়ে এসেছি।

আজকের সেরা জোকস: বাবুর্চি

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
আজকের সেরা জোকস: বাবুর্চি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর এক প্লাটুন কমান্ডার তাঁর বাহিনীকে ব্রিফিং করছিলেন, ‘মনে রেখো, সামনেই আছে তোমার শত্রু, যে তোমাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দিনের পর দিন তিল তিল করে তোমাদের ক্ষতি করে চলেছে। সেই যুদ্ধের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে তোমাদের সর্বনাশ করছে...।’
এই সময় এক সৈন্য তড়াক করে লাফিয়ে উঠে বললেন, ‘আমি আগেই অনুমান করেছিলাম, আমাদের বাবুর্চি জার্মানদের হয়ে কাজ করছে!’

আজকের সেরা জোকস: ডাক্তার ও রোগী

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
আজকের সেরা জোকস: ডাক্তার ও রোগী
ছবি এআই

ডাক্তার: আপনার জন্য একটা খারাপ খবর ও একটা ভালো খবর আছে। কোনটা আগে শুনতে চান?
রোগী: খারাপ খবরটাই আগে শুনি।
ডাক্তার: আপনার যে রোগ হয়েছে, তাতে করে আপনার সব প্রিয় খাবার বন্ধ।
রোগী: যেমন?
ডাক্তার: এখন থেকে আপনার চকলেট, মিষ্টি, আইসক্রিম, চা-কফি, পিৎজা, চিকেন, বিফ, ফ্রায়েড রাইস, মাটন—সব বন্ধ।
রোগী: হায়রে, তাহলে খাব কী?
ডাক্তার: শুধু সবুজ শাকসবজি খাবেন এবং বাকি জীবন এই খেয়েই বাঁচতে হবে।
রোগী: বলেন কি? বাকি জীবন শুধু এসবই খেতে হবে?
ডাক্তার: হ্যাঁ। তবে ভালো খবর হচ্ছে, এই খাবার আপনাকে আর মাত্র মাস দুয়েক খেলেই হবে।

আজকের সেরা জোকস: ইন্টারভিউ

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
আজকের সেরা জোকস: ইন্টারভিউ
ছবি এআই

চৌধুরী সাহেব বিরাট বড়লোক। তবে জন্ম থেকে তাঁর দুটি কান নেই। তো তিনি তাঁর অফিসে নিজের জন্য একজন ব্যক্তিগত সহকারীকে নিয়োগ দেবেন বলে ঠিক করলেন। দরখাস্তদাতাদের মধ্য থেকে তিনজনকে বাছাই করা হলো। ডাকা হলো প্রথমজনকে।

চৌধুরী সাহেব বললেন, যার পর্যবেক্ষণ ভালো, তাকেই আমি আমার সহকারী নিয়োগ করব। এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলো, কী তোমার পর্যবেক্ষণ?
প্রথমজন: স্যার, আপনার দুই কান নেই। 
শুনে চৌধুরী সাহেব রেগে গিয়ে প্রথম লোকটিকে বের করে দিয়ে দ্বিতীয়জনকে ডাকলেন। তাকে বললেন, আমাকে দেখে তোমার প্রথম পর্যবেক্ষণ কী?
দ্বিতীয়জন: স্যার, আপনার দুই কান নেই। 
শুনে এবারও চৌধুরী সাহেব রেগে গিয়ে দ্বিতীয় লোকটিকে বের করে দিলেন। এরপর ডাক পড়ল তৃতীয়জনের। তাকে তিনি বললেন, আমাকে দেখে তোমার কী পর্যবেক্ষণ?
তৃতীয়জন: আপনি কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন।
উত্তর শুনে খুশি হলেন চৌধুরী সাহেব। বললেন, কীভাবে বুঝলে?
তৃতীয়জন: স্যার, আপনার দুই কান নেই। চশমা পরবেন কীভাবে?

ভ্যাকুয়াম ক্লিনার

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ছবি এআই

বেকার থাকতে থাকতে আবুল যখন হতাশ হয়ে পড়ছিলেন তখন একদিন তার নামে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এল। দেরি না করে পরের দিনই নির্দিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করলেন।
অফিসের বস আবুলকে বললেন, ‘আপনার কাজ হলো সারা দিন ঘুরে ঘুরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রি করা। এভাবে সারা মাসে যত টাকার ক্লিনার বিক্রি করতে পারবেন, তার ১০ পার্সেন্ট বেতন হিসেবে পাবেন।’ 
আবুল শর্তের কথা শুনে বুঝতে পারলেন, তাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তিনি রাজি হয়ে গেলেন। তারপর চিন্তা করলেন, কীভাবে মানুষকে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কিনতে রাজি করানো যায়। সারা রাত ভেবে তিনি একটা উপায়ও বের করে ফেললেন। 
পরদিন ভ্যানে করে ১০টি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আর এক বস্তা গোবর নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রি শুরু করলেন। তার বুদ্ধিতে কাজ হলো। এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি চারটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রি করে ফেললেন। 
পরের বাড়ির দরজায় টোকা দিতেই এক নারী দরজা খুলে দিলেন। আবুল দেরি না করে গোবরের বস্তা থেকে কেজি খানেক গোবর ড্রইং রুমে ছুড়ে ফেললেন। 
নারী অবাক হয়ে বললেন, ‘এটা কী হলো?’ 
আবুল একটু হেসে বললেন, ‘ভয় পাবেন না ম্যাডাম। এই গোবর আমার এই আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পরিষ্কার করে দেব। যদি না পারি তাহলে এই গোবর আমি আপনার সামনে খাব।’ 
নারী বললেন, ‘তাই নাকি? তা গোবর কি এমনিই খাবেন নাকি সঙ্গে একটু সস, কাঁচা মরিচ দেব?’ 
আবুল বললেন, ‘আগেই খাবার কথা আসছে কেন? আগে তো পরিষ্কার করি?’ 
নারী বললেন, ‘খাবার কথা আসছে কারণ, আপনি পাঁচ মিনিট তো দূরের কথা, পাঁচ ঘণ্টায়ও ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে গোবর পরিষ্কার করতে পারবেন না। কারণ বিল না দেওয়ার কারণে আমাদের বাসার কারেন্টের লাইনটা কিছুক্ষণ আগে কেটে দিয়ে গেছে।’

সবুজ ঘোড়া

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
সবুজ ঘোড়া
এঁকেছেন মাসুম

মকবুল হোসেন ঘুম থেকে উঠেই চিৎকার চেঁচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুললেন। তার চিৎকারে অতিষ্ঠ হয়ে পাড়াপ্রতিবেশীরাও এগিয়ে এলে। সবাই ঘটনা শুনে পরামর্শ দিল, ‘দেরি না করে আপনি বরং একজন ডাক্তারকে ব্যাপারটা বলেন। তিনি চিকিৎসা করে দেবেন। তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না।’ 
সবার পরামর্শ মকবুল হোসেন সাহেবের পছন্দ হলো। এক প্রতিবেশীকে বললেন, ‘ভাই ভালো ডাক্তারের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। আপনি যদি আমাকে একটু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেন। তাহলে আমার খুব উপকার হতো।’ 
কোনো উপায় না দেখে প্রতিবেশী সাহেব তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন বলে কথা দিলেন। 
সেদিন বিকেলে দুজনে ডাক্তার খানায় যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লেন। প্রতিবেশী সাহেব আগেই ধারণা করেছিলেন, এটা মানসিক রোগ, তাই তিনি মকবুল সাহেবকে নিয়ে পরিচিত এক পাগলের ডাক্তারের কাছে উপস্থিত হলেন। 
ডাক্তার রোগীকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী সমস্যা আপনার ভাই সাহেব?’ 
মকবুল হোসেন বললেন, ‘ডাক্তার সাহেব, গত রাতে আমি স্বপ্নে একটি ঘোড়া গিলে ফেলেছি। ঘোড়াটা আমার পেটের মধ্যে সমানে দৌড়াচ্ছে। আমার কিচ্ছু‚ ভালো লাগছে না। আপনি ঘোড়াটার একটা ব্যবস্থা করেন।’ 
ডাক্তার সাহেব বললেন, ‘আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। এটা কোনো রোগই না। ছোট্টা একটা অপারেশনের মাধ্যমেই আপনার রোগের সমাধান করা সম্ভব। আপনি এই বিছানায় শুয়ে পড়ুন। আমি এখনই আপনার অপারেশন করব।’ 
অতঃপর ডাক্তার সাহেব রোগীকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে মাঠ থেকে একটা ঘোড়া ধরে এনে তার মাথার কাছে বেঁধে রাখলেন। ইনজেকশনের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর রোগীর ঘুম ভেঙে গেল। সেটা দেখে ডাক্তার বললেন, ‘অপারেশন সাকসেসফুল। পেট কেটে আমরা সেই ঘোড়াটাকে উদ্ধার করেছি। এই যে সেটা এখানে বাঁধা আছে।’ 
মকবুল হোসেন ঘোড়াটিকে দেখে চেঁচিয়ে বললেন, খাইছে আমারে। আমি তো এই ঘোড়া গিলি নাই। আমি তো গিলছিলাম সবুজ রঙের ঘোড়া। এটা তো কালো!’