দুর্বল নেতৃত্বের কারণে ছাত্রলীগ কোটা সংস্কার আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন সংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক নেতারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পেছনে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নীরব ভূমিকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে বর্তমান এবং সাবেক নেতাদের মধ্যে। সংগঠনের শীর্ষ নেতারা নিজেদের ‘সেফ’ রাখতে তুখোড় (সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে) নেতাদের বাদ দিয়ে করেন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যে কারণে শুরু থেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে টিকতে পারেননি ছাত্রলীগের নেতারা। নেতৃত্বের ব্যর্থতার দায়ে ছাত্রলীগের দ্রুত সম্মেলন চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংগঠনের সাবেক ও পদবঞ্চিত নেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক এবং পদবঞ্চিত ৮ নেতার সঙ্গে কথা হয় খবরের কাগজের। ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান শুরু থেকেই উল্টো পথে হেঁটেছেন। সাদ্দাম ও ইনান নিজেদের সেফ রাখতে তাদের কাজে বাধা হয়ে উঠতে পারে এমন তুখোড় নেতাদের কাউকেই পদে রাখেননি। ছাত্রলীগের যেসব নেতা আন্দোলন মোকাবিলা করতে পারেন অথবা যাদের নিজেদের কর্মী-সমর্থক রয়েছেন, এমন অনেক নেতাই এখন পদহীন। কমিটি ঘোষণার পরে পদবঞ্চিত নেতাদের সাদ্দাম-ইনান আশ্বস্ত করে বলেছেন, নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৫০টি পদ বাড়ানো হবে। এসব পদে তাদের পদায়ন করা হবে। অথচ দেড় বছর হয়ে গেলেও কথা রাখেননি তারা।
এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে, তাদের কেউই আন্দোলন মোকাবিলায় অংশ নেননি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাবি ও হল শাখার প্রায় ৪ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী রয়েছেন। তবে আন্দোলনে সব মিলিয়ে ৫০০ জনকেও একসঙ্গে দেখা যায়নি বরং নেতারা গণহারে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পেছনে সাদ্দাম ও ইনানকে দায়ী করছেন পদবঞ্চিতরা। সাবেক তুখোড় ছাত্রলীগের নেতারাও এমনটি মনে করছেন।
জানা গেছে, ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন শেষে রাত ১০টার পর শিক্ষার্থীরা ঢাবির হলে হলে বিক্ষোভ শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করেন। সে সময় ক্যাম্পাস ছেড়ে সাদ্দাম-ইনানের সঙ্গে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে অবস্থান নেন। এই চার নেতা তখন ফোন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে সাহায্য চান। মহানগরের উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগ যেন নেতা-কর্মী নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ এক নেতা মহানগর উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদকে ফোন করে পরবর্তী দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপোর্ট দেওয়ার অনুরোধ করেন। মহানগরের নেতা-কর্মীরা এলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করে ছাত্রলীগের অবস্থান জানান দেন। যদিও ক্যাম্পাসে আগে থেকেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক এক সভাপতি। তিনি গতকাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘আন্দোলন মোকাবিলার ক্ষেত্রে সাদ্দাম-ইনানের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী মধুর ক্যানটিনে অবস্থান নেবেন, ভিসি চত্বর, মেডিকেল গেট, টিএসসিতে কারা অবস্থান করবেন- সেসব বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না বলে জানতে পেরেছি।’
বক্তৃতায় সীমাবদ্ধ সভাপতি সাদ্দাম: কোটা সংস্কার আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ের শেষ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন সাদ্দাম হোসেন। তখন ভালো বক্তব্য দিয়ে নজর কাড়েন আওয়ামী লীগের নেতাদের। বর্তমানে তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি। তার ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাদ্দাম সামাজিক কর্মসূচি ও বক্তৃতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পছন্দ করেন। আওয়ামী লীগের কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম দূরের কথা, সামনের সারি থেকে নিজেকে পাশ কাটিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। ২০১৮-তে কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন, নির্বাচনকেন্দ্রিক সব আন্দোলন হয়েছে- কোনো একটি আন্দোলন মোকাবিলায় সাদ্দামকে কেউ কখনো দেখেননি। এবারের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাদ্দাম ও তার অনুসারীদের রাজপথে দেখা যায়নি। তিনি যখন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তখনো তার অনুসারীরা কোনো আন্দোলনে অংশ নেননি। এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস এবং সাদ্দামের বাড়ি একই জেলা (পঞ্চগড়) হওয়ায় সেই সম্পর্ক আরও বেশ জোরালো। কথা উঠেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পঞ্চগড়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠনে সম্পাদক পদে সারজিসকে বসিয়েছেন সাদ্দাম। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এই সারজিস। দুজনের একাধিক ছবি ও ৫৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সাদ্দাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ‘ছাত্র ইউনিয়ন’ করতেন বলেও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ২০১১-১২ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন সাদ্দাম।
ঢাবির শয়ন ও সৈকতকে নিয়ে ধোঁয়াশা: কোটা সংস্কার আন্দোলন মোকাবিলায় নীরব ভূমিকায় দেখা গেছে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে। যদিও ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে শয়ন ও সৈকত সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় কোটার পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগের নামে অশ্লীল ভাষায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন শয়ন। আর পুলিশের সামনে বুক পেতে দাঁড়ানো সৈকতের একাধিক ছবি এবং ভিডিও নেট দুনিয়ায় আসে, যা এবারের আন্দোলনে বেশ ভাইরাল হয়।
সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের প্রতি এই তিন নেতার ‘সহানুভূতি’র কারণে ছাত্র আন্দোলন এতটা বেগবান হয়ে ওঠে। শুরুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবাধ অংশগ্রহণ থাকলেও একপর্যায়ে তৃতীয় একটি পক্ষ মাঠে নামে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়ে, যা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয় ছাত্রলীগের অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগও।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্কে ব্যর্থ ছাত্রলীগ: আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ অভিযোগ খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। ঢাবির হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি বলতে একচেটিয়া রাজত্ব করেছিল ছাত্রলীগ। প্রথম বর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ওঠানো, কক্ষ বণ্টন সব কিছুই ছিল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে। হলে থাকার বিনিময়ে ধারণ করতে হতো ছাত্রলীগের মতাদর্শ এবং অংশ নিতে হতো নিয়মিত গেস্টরুমের প্রোগ্রামে। যারা প্রোগ্রামে নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত সেই হিসাব নেওয়া হতো। যারা নিয়মিত অংশ নিত তাদের প্রমোশন দিয়ে এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে শিফট করা হতো। যারা অনিয়মিত তাদের আবার এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে পাঠানো হতো, যেখানে কষ্টে গাদাগাদি করে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতারা প্রথম বর্ষের ছাত্রদের হলে চলার আদব-কায়দা শিখিয়ে দিতেন। হরহামেশাই গেস্টরুমে নির্যাতন এবং গালাগাল ছিল নিত্যঘটনা। তুলনামূলকভাবে মারধর কমলেও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত আছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহু দিনের চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তাই বেছে বেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত ২৩ জুলাই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের নেতাদের একহাত নেন। সভায় কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রতিরোধে ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন রাজধানীসহ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ল? এ জন্য রাতের আঁধারে হল ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন চলে এসেছে ছাত্রলীগ? এ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগ নেতাদের বিভিন্ন হলরুমে হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাদের সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ কেন বেলুনের মতো চুপসে গেল? আর নেতারা যদি হল ছেড়ে না আসত, তাহলে হয়তো এই অবস্থা হতো না। এত বছরেও কেন ছাত্রলীগ নেতারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি। নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সভা শেষে সাদ্দাম ও ইনান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে একাধিকবার ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। ওবায়দুল কাদের তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের এক নেতা মন্তব্য করেন, যেসব নেতা দায়িত্বশীল পদে থেকে আন্দোলন অংশ নেন না বা আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যর্থ হন, তাদের উচিত ব্যর্থতার দায় নিয়ে সম্মেলন করে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া। আওয়ামী লীগে এমন রেওয়াজ রয়েছে।
ভিপি নূর ফর্মুলায় ডাকসুর শীর্ষ পদের বাসনা: ২০১৮ সালে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর পরই নজরে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি নুরুল হক নূর। দীর্ঘ ২৮ বছর পর সেই অচলায়তন ভেঙে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গুঞ্জন উঠেছে, এই শীর্ষ তিন নেতার ডাকসুর শীর্ষ পদ বাগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন। তাই অনেকটাই নিশ্চুপ ভূমিকায় ছিলেন তারা। নিশ্চুপ থাকলেও কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে, দেওয়া হয় হলের মূল ফটকে তালা। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় খবরের কাগজের প্রতিবেদকের। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই পরে ফোন করব।’ এই বলে ফোন কেটে দেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক ইনানও একই কথা বলেন। পরে তারা ফোন রিসিভ বা ব্যাক করেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত খবরের কাগজকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশ মেনেছেন। আমি হল ছাড়তে চাইনি। তবে নেত্রীর নির্দেশ না মেনে উপায় নেই (ছিল না)। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক (সাদ্দাম-ইনান) হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে আমাদের কী করার আছে?’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন কোটা আন্দোলন শুরু (ভিপি নূরের সময়) হয়, তখন দলের কোনো নির্দেশনা ছিল না। তাই আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়ে কোটা সংস্কারের পক্ষে পুলিশের সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়েছি। এবারও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন।’