দেশে গণপরিবহন চলার ক্ষেত্রে এখনো চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলছে দাপটের সঙ্গে। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগে। ভাড়া নিয়েও রয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বাড়াবাড়ি। দূরপাল্লার বাসগুলোর মান কিছুটা ভালো থাকলেও রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে যাত্রীসেবা বা যাত্রী অধিকার এখনো উপেক্ষিত। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা যেন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। মেনে নেওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায়ও নেই সাধারণ যাত্রীদের কাছে।
এ ছাড়া ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত বা মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও তাতে পরিস্থিতির উন্নয়নে খুব বেশি কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন সরেজমিনে বাসযাত্রী হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ২০২৪ সালের হিসেবে, সারা দেশে গণপরিবহনের প্রধান বাহন বাসের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৪৪ হাজার ৫০৯টি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৫টি বড় বাস এবং মিনিবাস ২৮ হাজার ৪৫৪টি। তবে দেশে নিবন্ধিত (রেজিস্ট্রেশন) বাসের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৮৪২টি বলেও জানা গেছে। এর মধ্যে কেবল রাজধানী ঢাকায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার বাস চলাচল করে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘গণপরিবহন খাতে যাত্রীসেবা, শৃঙ্খলা-নিরাপত্তাসহ সবকিছুই আগের মতো চলছে। কোথাও সেভাবে পরিবর্তন হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেড়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া পরিবহনকেন্দ্রিক যে চাঁদাবাজি হতো সেগুলোর কেবল হাতবদল হয়েছে।’
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠান ঢাকার সড়কে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। একটি বিআরটিএ, অন্যটি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এর মধ্যে বিআরটিএ ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। বত্রিশটি বিষয় পর্যবেক্ষণের পর তাদের ফিটনেস সনদ দেওয়ার কথা থাকলেও জীর্ণদশার ভাঙাচোরা বাসগুলো নিয়মিত সনদ পেয়ে যাচ্ছে ! আবার রাস্তায় নামার পর লক্কড়-ঝক্কড় বা ফিটনেসহীন বাস জব্দ করার কথা থাকলেও ট্রাফিক বিভাগ থেকেও সেটি খুব একটা দেখা যায় না। বরং ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়েই বীরদর্পে চলছে এসব বাস। তবে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিত বাস ও মোটরবাইকসহ নানা ধরনের যানবাহনে মামলা ও জরিমানার কাজগুলো করে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন ও নানা অনিয়মে চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার ও বাইকসহ এ ধরনের যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাজধানীর ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিতভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। রাজধানীতে গত দুই দিনে (১৬ ও ১৭ জানুয়ারি) ৩ হাজার ২৫১টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এ ছাড়াও অভিযানকালে ১০২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৪৩টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সরেজমিনে বাসযাত্রায় অভিজ্ঞতা:
গত শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটা। ফার্মগেট স্ট্যান্ডে তখন শহরের বিভিন্ন রুটের পাঁচটি যাত্রীবাহী বাস অপেক্ষমাণ। হেলপাররা ডেকে ডেকে যাত্রীদের উঠাচ্ছিলেন। এ প্রতিবেদকের গন্তব্য ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর। এ সময় মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে আসা ‘আয়াত’ পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৩৭২) উঠতেই ভেতরে বিশ্রি অবস্থা দেখা যায়। সিটগুলোতে নরম কোনো গদি হয়তো কোনোকালে ছিল, কিন্তু এখন প্রায় সবই কঙ্কালসার বডি নিয়ে আছে। সিটের ওপরে লালচে বর্ণের মোটা কাপড়ের কাভারে দেওয়া। কিন্তু সেই কাভারের ওপরে যেন ইঞ্চি পরিমাণ কালচে ধুলাবালির আবরণ ছিল। প্রায় সব সিটেই যাত্রী বসা, তবুও দাঁড়ানো যাত্রীর জন্য বাইরে চলছিল হাঁকডাক। প্রায় ৮ মিনিট পর বাস ছাড়লেও চাকা মাত্র ২০০-৩০০ গজ ঘুরতেই রাস্তার ওপর হঠাৎ থামিয়ে দেওয়া হয়। দেখা গেল- সেখানে দুজন যাত্রী বাসে উঠলেন। একইভাবে কারওয়ান বাজার মোড় পর্যন্ত যেতে মাত্র এক-দেড় কিলোমিটার সড়কে অন্তত চার স্থানে বাসটি যাত্রীর জন্য দাঁড়ায়। কেবল তাই নয়, কারওয়ান বাজারের মোড়ে যখন সব গাড়ি সিগন্যাল ছাড়ার পর মোড় অতিক্রমে ব্যস্ত, তখন এই বাসটি সিগন্যাল পড়ার অপেক্ষায় থেমে থাকে। যথারীতি সিগন্যালে আটকে গেলে তখন যাত্রীরা ভেতর থেকে হইচই শুরু করেন। চালকের তখন সাফ কথা- ‘কারও এত তাড়া থাকলে নেমে অন্য গাড়িতে যান, আমার আরও যাত্রী লাগব।’ এর আগে ফার্মগেটে অবস্থানকালেই এয়ারপোর্ট রোডের আরেকটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-১২২৮) কিছু সময়ের জন্য উঠলে ভেতরে সেই আয়াতের বাসের মতোই নোংরা ও জীর্ণ অবস্থা দেখা যায়। কেবল আয়াত বা এয়ারপোর্ট রোডের বাস নয়, বেশ কিছু সময় অবস্থানকালে অধিকাংশ যাত্রীবাহী বাসে করুণ দশা দেখা গেছে। এ ছাড়া ফার্মগেট-কারওয়ান বাজার ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের অধিকাংশের সারা শরীরে (বডি) যেন ধাক্কাধাক্কির ক্ষত চিহ্ন।
এদিকে রাজধানীতে চলাচল করা প্রজাপতি ও পরিস্থান পরিবহন দুটি একই রুটে চলে। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে মোহাম্মদপুর মিরপুর হয়ে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত যায় এই দুটি পরিবহনের অন্তত ১২০টি বাস। সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বাসেরই রং চটে গেছে, কিছু বাস ভাঙাচোরা। এ ছাড়া বেশির ভাগ বাসের ভেতরটা নোংরা ধুলাবালিতে ঠাঁসা, ফ্যান নষ্ট। নিয়মের তোয়াক্কা না করে বেশি সংখ্যক সিট বসানো হয়েছে। আবার অনেক সিট ছিড়ে লোহা বের হয়েছে। এমনকি বসার স্থানেও ফোম বের হয়ে গেছে।
এদিকে গাবতলি থেকে যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচল করা গাবতলি লিংক (প্রাঃ) লিঃ (সাবেক ৮ নম্বর বাস) বাসের বেশির ভাগই বহু পুরোনো। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে এই বাস চলে ১০০টির বেশি। এই ব্যানারের বেশির ভাগ বাসেরই জরাজীর্ণ অবস্থা। আবার ধাক্কা বা ঘষায় ঘষায় রঙ উঠে গেছে। অনেক সময় রঙ করে রাস্তায় নামানো হয়। দেওয়া হয় জোড়াতালি।
গত বুধবার দুপুরে গাবতলি লিংক (প্রাঃ) লিমিটেডের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব ১২-০০৩৬) উঠে দেখা যায়, বাসের সামনে অংশের সব মিটার থেকে শুরু করে সব বক্স নষ্ট। বিভিন্ন ধরনের তার ঝুলে আছে। বাসের সিটগুলো নোংরা-হাড্ডিসার।
মিরপুর-১২ থেকে যাত্রাবাড়ী চলাচল করা বিকল্প পরিবহনের বেশির ভাগ বাসেরও জরাজীর্ণ অবস্থা। বাসের বডির রঙ উঠে গেছে। এই পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৪০৪) পেছনটা ভেঙে গেছে। ভেতরের পরিবেশ নোংরা, সিটগুলো জরাজীর্ণ নোংরা তেলচিটচিটে। একই চিত্র দেখা গেছে সাভার থেকে সাইনবোর্ড রুটে চলাচল করা এমএম লাভলী পরিবহনের। এই পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০১৩৮) পেছনের অংশ ভেঙে ঝুলে ছিল। বাসটি পুরোনো হওয়ায় পেছনের অংশের ঝালাইও ফেটে গেছে। বাসের ভেতরের অবস্থাও করুণ। একই পরিবহনের আরেকটি বাসেও (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৬৭২) প্রায় একই অবস্থা দেখা গেছে।
যাত্রী ও বাসসংশ্লিষ্টরা যা বললেন:
গত শুক্রবার বিকেলে ফার্মগেট এলাকার বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সুবীর বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘অফিস থেকে বাসসহ ঢাকা শহরে আমাকে সবসময় বাসেই চলাচল করতে হয়। এমনিতেও যানজটের ভোগান্তি থাকে, তার মাঝে আবার বাসের যে করুণ অবস্থা, চিন্তা করা যায় না। ময়লাযুক্ত বা নোংরা সিট, অধিকাংশ জানালা ভাঙা, লক্কড়-ঝক্কড় অবস্থাসহ অধিকাংশ বাসই ব্যবহারের অযোগ্য। এর মধ্যে হেলপার ও চালকদের আচরণও থাকে অনেক সময় মাস্তানের মতো। যাত্রীরা কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করলে অনেক সময় গাড়ির লোকজনও সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ করে থাকে। সাধারণ যাত্রীরা যে কতটা অসহায় বোধ করেন, সেটা যারা এসব বাসে চলাচল করেন তারাই ভালো বুঝবেন।’
পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-০৪০৫) কন্ডাক্টর মো. কালু মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাস নোংরা বা সিটের সমস্যার বড় কারণ হচ্ছে বাস মালিকেরা ঠিকঠাকভাবে এটা তদারকি করেন না। আবার কোম্পানির ব্যানারে বা সংগঠনের মালিকানায় খুব অল্পসংখ্যক বাস চললেও বেশির ভাগই কোম্পানির ব্যানারে ব্যক্তি মালিকানার বাস চলে। কোম্পানির ব্যানার ভাড়া নিয়ে বা বাস ভাড়া দিয়ে এসব রাস্তায় নামানো হচ্ছে। বাস মালিকরা ওই কোম্পানিকে একটা নির্দিষ্ট টাকা বাস ভাড়া হিসেবে দেন। এই বাস থাকে ড্রাইভার ও কন্ডাক্টরদের হাতে। তারাও বাস পরিষ্কার রাখেন না।
বাসে নিয়মের বেশি সিট থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা বাস মালিকদের কাজ। এ ছাড়া ভাড়ার প্রশ্নে কালু মিয়া বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যেই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়।
গাবতলী লিংক পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. আমিনুর বলেন, ‘সাধ্যমতো বাস পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। সব সময় করা হয় না।’ তবে বাসের অন্যান্য ফিটনেসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আর কোনো উত্তর দেননি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে একটি বাস থেকে নামা যাত্রী ফজলুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে কর্মসূত্রে বাসেই নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এসব বাসের কথা বলে কী লাভ ? কে দেখে এসব ? কেউ তো ব্যবস্থা নেয় না। ভাড়া ঠিকই নিচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি নিচ্ছে, কিন্তু যাত্রীসেবা কোথায়? এত নোংরা-অব্যবস্থাপনা সত্ত্বেও উপায় না থেকে চলতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জুবায়ের মাসুদ খবরের কাগজকে বলেন, পরিবহন মালিকদের ব্যবসা সংরক্ষণ ও যাত্রীদের স্বার্থে আমরা বেশ কিছু দায়িত্ব নিয়েছি। বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গেও একাধিবার বসেছি। উচ্চস্বরে হর্ন বাজানো বন্ধ করা ও দুর্ঘটনা রোধে চালকের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছি আমরা। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছি। বাস ভাড়া ভাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জুবায়ের মাসুদ আরও বলেন, ‘বর্তমানে ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে তেলের দামের সঙ্গে আমাদের ভাড়ার বৈষম্য আছে। এ জন্য নতুন করে ভাড়া বৃদ্ধির কথা আমরা বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। ইতোমধ্যে একটি সুপারিশও জমা দেওয়া হয়েছে।’
গণপরিবহনে শৃঙ্খলার বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বর্তমান সরকার অনেক খাতেই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ, কিন্তু গণপরিবহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেভাবে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। গণপরিবহনের শৃঙ্খলা, যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষা ও আধুনিকায়নের জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
মে মাস থেকে পুরোনো-ফিটসেনবিহীন বাস অপসারণ: এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঢাকায় লক্কড়-ঝক্কড় বাসগুলো তথা ২০ বছরের পুরোনো ও ফিটসেনবিহীন বাস আগামী মে মাসের মধ্যে সড়ক থেকে অপসারণ করা হবে। নতুন বাস প্রতিস্থাপনের জন্য মালিকদের অনেকবার বলা হয়েছে বিআরটিএর পক্ষ থেকে। কিন্তু তারা কালক্ষেপণ করছেন। এটি আর মেনে নেওয়া হবে না। মে মাসের মধ্যে কোনো মালিক সড়ক থেকে বাস না তুললে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস প্রতিস্থাপনে কোনো ধরনের ব্যাংক ঋণের সহায়তার প্রয়োজন হলে সে ক্ষেত্রেও সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’