‘কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন কোম্পানি থেকে সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। মাঝেমধ্যে সিটি গ্রুপ থেকে এক কার্টন বোতলজাত সয়াবিন তেল দিলেও সঙ্গে ১০ কেজি পোলাওয়ের চাল ধরিয়ে দিচ্ছে। তা নিতে না চাইলে ডিলাররা তেল দেন না।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের আল বারাকা স্টোরের স্বত্বাধিকারী এমরান হোসেন। এমন অভিযোগ শুধু এই বাজারের এমরান হোসেনের একার নয়। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতাদেরও একই অভিযোগ। সামনে রমজান, তাই সিটি গ্রুপ, টিকে গ্রুপ ইচ্ছা করে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে তারা পোলাওয়ের চাল, ডাল, আটা, ঘি নিতে বাধ্য করছে। খোলা তেলও ১৭৫ টাকার কমে মেলে না। তবে ঢাকার বাইরে খুলনাসহ অন্য বিভাগে ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে খোলা তেলের লিটার। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২০ লাখ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মাসে গড়ে লাগে দেড় লাখ টন। অর্থাৎ দিনে লাগে ৫ হাজার টন। রমজানে চাহিদা দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০ হাজার টন লাগে। কিন্তু সিটি গ্রুপেরই দিনে উৎপাদন হচ্ছে ৩ হাজার টনের বেশি। মেঘনা, টিকে গ্রুপেরও এ রকম উৎপাদন হচ্ছে। বসুন্ধরা, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কোম্পানির রূপচাঁদা তেল উৎপাদন হচ্ছে। তারপরও বাজারে তেলের সংকট লেগে থাকছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি দামের অজুহাতে মিলমালিকরা চাপ দিলে সরকার গত ৯ ডিসেম্বর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা, খোলা তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা পামতেলের দাম বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা করে। ওই দিন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছিলেন, ‘তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি, বাজারে আর তেলের ঘাটতি হবে না।’ কিন্তু প্রায় দুই মাস পার হলেও বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। সংকট কাটছে না। বিভিন্ন কোম্পানির পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের তেল মেলে না। আবার কোথায় পাওয়া গেলেও আটা, সুজি, ডাল ছাড়া বিক্রি করতে চাচ্ছেন না পাইকারি বিক্রেতা ও ডিলাররা। গত ৬ ও ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
দামের ব্যাপারে হাতিরপুল বাজারের মুদি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরে ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোম্পানি থেকে দেয় না।’ কারওয়ান বাজারের লক্ষ্মীপুর স্টোরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর পরও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আবার এক কার্টন তেল দেওয়া হলে পুষ্টি কোম্পানির পাইকারি বিক্রেতারা (ডিলার) আটা ধরিয়ে দিচ্ছেন। আবার তেলের দামও বেশি নিচ্ছেন। পাঁচ লিটারের পুষ্টি তেলের দাম রাখা হচ্ছে ৮৫০ টাকা। যার গায়ে লেখা খুচরা মূল্য ৮৫২ টাকা। এভাবে বেশি দামে কিনে আমরা কী লাভ করব। মিল থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ডিলাররাও বেশি দাম নিচ্ছেন।’
টাউন হল বাজারের বিসমিল্লাহ স্টোরের বিক্রয়কর্মী তামিম হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন পর তীরের একজন ডিলার এক কার্টন তেল দিয়েছেন। সঙ্গে ১০ কেজি পোলাওয়ের চাল ধরিয়ে দিয়েছেন। এই চালের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ১৬৫ টাকা। ক্রেতারা এটা নিতে চান না। এভাবে কোম্পানি পকেট কাটছে ভোক্তাদের। সরকারের এটা দেখা দরকার।’
তার এমন অভিযোগের ব্যাপারে সিটি গ্রুপের ডিলার মেসার্স তাসমিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, ‘দেশে কী হয়েছে জানি না। তবে মিল থেকে তেলের সরবরাহ প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এ জন্য আমরাও আগের মতো সরবরাহ করতে পারছি না। কোম্পানি থেকে তেলের সঙ্গে পোলাওয়ের চালও দিচ্ছে। এ জন্য আমরাও খুচরা বিক্রেতাদের নেওয়ার জন্য বলে থাকি। ১০ কার্টনে হয়তো ৫ কেজি চাল দিয়ে থাকি। তবে কাউকে বাধ্য করি না। তবে কোম্পানি লিটারে এক টাকা কমিশন কমিয়ে দিয়েছে। এ জন্য আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি না।’
টাউন হল বাজারের মায়ের দোয়া স্টোরের ইমতিয়াজ বলেন, ‘তেল নেই বলা যায়। কারণ শুধু মেঘনা গ্রুপের ২ লিটারের ফ্রেশ তেল আছে। ১ ও ৫ লিটারের নেই। অন্য কোনো কোম্পানির তেল পাওয়া যায় না।’
আসলে সংকট কোথায় তা জানতে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাজারে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। কারণ আমরাই দিনে ৩ হাজার টনের বেশি উৎপাদন করে সরবরাহ করছি। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তা মনিটরিং করছে। গতকালও ৩ হাজার ২০০ টন উৎপাদন করেছি। মেঘনাসহ অন্যান্য কোম্পানিও রয়েছে। তাদেরও সক্ষমতা আমাদের মতো। এত সরবরাহ করার পরও সংকট কেন, একমাত্র সরকার বলতে পারবে। সিটি গ্রুপের তীর ক্যানোলা তেলের দাম বেশি। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কানাডিয়ান ক্যানোলা ফিড থেকে ভালো কোয়ালিটির এই তেল দুই মাস ধরে উৎপাদন করা হচ্ছে। এ জন্য লিটারে ১৫ টাকা বেশি অর্থাৎ ১৯০ টাকা লিটার বিক্রি করা হচ্ছে।’ তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য নিতে বাধ্য করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা বাজে কথা। যার দরকার সে কিনবে।’
ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, ‘আমরা কোনো শর্ত দিয়ে তেল বিক্রি করি না। আমরা (টিকে গ্রুপ) আগের মতোই তেল সরবরাহ করছি। অন্য কোম্পানি কী করছে, তা আমার জানা নেই। রমজানের জন্য সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে। তেলের কোনো ঘাটতি দেখছি না।’
খাতুনগঞ্জে লিটারে বেড়েছে ১০ টাকা
চট্টগ্রামে সরবরাহ সংকটে উধাও হয়ে গেছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। খাতুনগঞ্জে একেবারে লাগামছাড়া হয়ে পড়েছে পণ্যটির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনে নতুন করে লিটারে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। ১০ দিন আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছিল ১৬৫ টাকায়। বর্তমানে তা ১৭৫ টাকা হয়েছে। এরপরও ক্ষান্ত হননি মিলমালিকরা। ফের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন।
মেঘনা গ্রুপের জিএম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছে। আমাদের দিক থেকে কোনো ধরনের সমস্যা নেই সেটা বলতে পারি। অন্যরা কী করছে বা বাজারে সরবরাহ সংকট কেন, সেটা বলতে পারব না।’
নগরের কাজীর দেউড়ি, আগ্রাবাদ, হালিশহর, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দোকানগুলোতে বোতলজাত তেলের সংকট। খোলা সয়াবিনের সরবরাহও কম দেখা গেছে। বর্তমানে লিটারপ্রতি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভোজ্যতেলের আমদানি বাড়লেও বাজারে সরবরাহ কম। তাই পণ্যটির দাম বেড়েছে।’
রাজশাহীতে তেলের সংকট
রাজশাহীতে সয়াবিন তেলের দাম গত ১ মাসে প্রতি লিটারে বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ টাকার বেশি। তারপরও দেখা দিয়েছে বোতলজাত তেলের সংকট। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। ক্রেতারা সিন্ডিকেটের দোষ দিলেও বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ডিলার ও কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর জন্য এমনটা ঘটেছে।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার ও বিনোদপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির হার নাগালের মধ্যে থাকলেও সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন। গত এক মাসেই প্রতি লিটারে বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ টাকার ওপরে। তা ছাড়া ৫ লিটারের কম বোতলজাত তেল অধিকাংশ দোকানেই নেই।
সাহেব বাজার এলাকার শামীম স্টোরের মালিক শামীম হোসেন বলেন, ‘আমরা ডিলারদের কাছ থেকে তেল কিনে বিক্রি করি। তারা খোলা তেলের দাম আগের তুলনায় ২২ টাকা বেশি নিচ্ছে। বোতলজাত তেলের সাপ্লাই বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’
খুলনার বাজারে তেল উধাও
খুলনার বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে কোনো কোম্পানি বাজারে সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। সর্বশেষ গত সপ্তাহে রূপচাঁদা কোম্পানির ডিলাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭৫ টাকায় সরবরাহ করেন। তারপরও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। একই সঙ্গে তেলের সঙ্গে ওই কোম্পানির সরিষার তেলসহ অন্যান্য পণ্য নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
শেখপাড়া বাজারের বিক্রেতা নূর ইসলাম জানান, বর্তমানে কোনো কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন সরবরাহ নেই। কয়েকটি কোম্পানি বিক্রেতাদের সয়াবিন তেলের পাশাপাশি তাদের প্রতিষ্ঠানের চাল, ডাল, সুজি, মসলার মতো অন্য পণ্য নিতে বাধ্য করছে।
রংপুরে খোলা সয়াবিন ২১০ টাকা
কয়েক মাস ধরে রংপুরের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, হাতে গোনা দুই-তিনটি কোম্পানি ছাড়া অন্য কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি খোলা সয়াবিনেরও সংকট বাজারে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
রংপুর সিটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কিছু দোকানে সয়াবিন আছে আবার কিছু দোকানে নাই। কেউ বলছেন দাম বেশি, কেউ বলছেন সয়াবিনের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে হবে। এ সময় নাঈমুল ইসলাম জানান, রমজান আসতে না আসতেই বাজারে এমন শুরু হয়ে গেছে। তাহলে রমজানে কী হবে তা চিন্তার বিষয়।
সিলেটে কিছু না নিলে তেল দেন না ডিলার
সিলেটের কালীঘাট এলাকায় জেরজেরি পাড়ার হাবিব স্টোরের প্রোপাইটর বলেন, বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক কার্টন সয়াবিন তেল কিনতে এক বস্তা চাল কিনতে হয়েছে আমাকে। এক বস্তা চাল না কিনলে ডিলার তেল বিক্রি করছেন না। অন্য খুচরা বিক্রেতারাও বলেন, সয়াবিন তেল কিনতে হলে ডিলাররা চিনিগুঁড়া চাল, দুধ, ঘিসহ যে পণ্যগুলো বাজারে সহজে চলে না সেগুলো ধরিয়ে দিচ্ছে। নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার স্বপ্না স্টোরের প্রোপাইটর মিশন তালুকদারও বলেন, পাইকারি বাজার থেকে তেল কিনতে হলে চাল, ঘি কিনতে বাধ্য করছে। এই বাজারের মেসার্স জননী ভাণ্ডারের প্রোপাইটর অলক পাল বলেন, টিকে গ্রুপের এক কার্টন সয়াবিন তেল কিনতে ১ হাজার ৩৫০ টাকার ঘি কিনতে হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অফ আইটেম কিনতে বাধ্য করছে।
ময়মনসিংহে সয়াবিন তেলের সংকট
ময়মনসিংহ শহরের মেছুয়া বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, এক দোকানে তেল আছে তো আরেক দোকানে নেই। যেসব দোকানে তেল রয়েছে, তা ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় কম। তারা অভিযোগ করে বলেন, তেল নিতে চাইলে অনেক পরিবেশক পোলাওয়ের চাল, হলুদ-মরিচের গুঁড়োসহ বিভিন্ন পণ্য কেনার শর্তজুড়ে দিচ্ছেন। তবুও পর্যাপ্ত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এই সংকট অন্তত দুই মাস ধরে। এই বাজারের মুদি দোকানি ফিরোজ হোসেন বলেন, পরিবেশকরা জানিয়েছেন কোম্পানিগুলোতে তেলের উৎপাদন কমে গেছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী দোকানে তেল না থাকায় ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।
বরিশালেও তেলের সংকট
বরিশালের বাজারে চাহিদামতো মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। পাড়া-মহল্লায় এ সংকট আরও প্রকট। বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ দিন ধরে কোম্পানি থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে না। আগরপুর রোডের সুপ্তি জেনারেল স্টোরের প্রোপাইটর মো. নুরুল হক বলেন, এক সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজার তো দূরের কথা, কোনো ডিলারের কাছেও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, রমজান সামনে রেখে কোনো ব্যবসায়ী যদি তেল, চিনি, ডালসহ নিত্যপণ্যে মজুত করেন বা দাম বৃদ্ধি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম ব্যুরোর তারেক মাহমুদ, রাজশাহী ব্যুরোর এনায়েত করিম, খুলনার মাকসুদ রহমান, রংপুরের সেলিম সরকার, সিলেটের শাকিলা ববি, ময়মনসিংহের কামরুজ্জামান মিন্টু এবং বরিশালের মঈনুল ইসলাম সবুজ।