ঢাকা ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে চায় কানাডা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে চায় কানাডা
ছবি : সংগৃহীত

আর মাত্র একটি জয়। তাতেই নিশ্চিত হবে কোপা আমেরিকার ফাইনাল। টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা মঞ্চে যেতে উন্মুখ হয়ে আছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে যেতে মরিয়া কানাডাও। কোপা আমেরিকার প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-কানাডার লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৬টায়।

তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কোপায় উরুগুয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বাধিক ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন আলবিসেলেস্তারা। ধারে-ভারে কানাডার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে মেসিরা। সেমিতে তাই আর্জেন্টিনার জয়ের পক্ষে বাজি ধরার লোকই বেশি। তাই বলে কানাডাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিলে তা হবে মারাত্মক ভুল। দল হিসেবে মোটেও দুর্বল নয় তারা। ইতিহাস অন্তত তাই বলে।

কানাডার শক্তিমত্তা

প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকায় খেলছে কানাডা। অভিষেক আসরেই সেমিতে নাম লিখিয়ে ইতোমধ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে উত্তর আমেরিকার দলটি। কোপা আমেরিকা মূলত দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এর বাইরে যেসব দল আসে, তারা আমন্ত্রিত। কানাডাও তেমনি। তবে উত্তর আমেরিকার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর কনকাকাফ গোল্ড কাপে কিন্তু কানাডার রয়েছে উজ্জ্বল ইতিহাস। নিজ মহাদেশে এই কানাডা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৫, ২০০০)। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নের পর অবশ্য ফাইনাল খেলা হয়নি দলটির। সেমিফাইনাল খেলা হয়েছে তিনবার, কোয়ার্টার চারবার।

মুখোমুখি অবস্থান

হেড টু হেডে কানাডার চেয়ে শতভাগ এগিয়ে আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত দুই দল মোকাবিলা করেছে দুটি ম্যাচে। দুটিতেই জয় পেয়েছে মেসিরা। প্রথম জয় ২০১০ সালে। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৫-০ গোলে। দ্বিতীয় ও সর্বশেষ জয় চলমান কোপা টুর্নামেন্টেই। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে। যেখানে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। 

যেভাবে দুই দল সেমিতে

এ গ্রুপে তিন ম্যাচেই জয় পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় আর্জেন্টিনা। শুরুটা কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে। এরপর চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়। শেষ ম্যাচে পেরুকে ২-০ গোলে হারায় স্কালোনি শিবির। তিন ম্যাচে চার গোল লাউতারো মার্তিনেজের। গোলের দেখা পাননি লিওনেল মেসি। যদিও ইনজুরির কারণে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলেননি মেসি। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয় ইকুয়েডরের। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ছিল ১-১ গোলে ড্র। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা জেতে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের অসাধারণ দক্ষতায়। টাইব্রেকারে প্রথম শট মিস করেন মেসি।

কানাডা হার দিয়ে মিশন শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুকে হারায় ১-০ গোলে। শেষ ম্যাচে চিলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে শেষ আটে নাম লেখায় কানাডা। আর্জেন্টিনার মতো কানাডাও কোয়ার্টারের বৈতরণী পার করে টাইব্রেকারে। প্রতিপক্ষ ছিল ভেনেজুয়েলা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ গোলে ড্র। টাইব্রেকারে কানাডা জেতে ৪-৩ ব্যবধানে। 

আর্জেন্টিনার টানা পঞ্চম

কোপা আমেরিকা ফুটবলে টানা পঞ্চমবারের মতো সেমিতে উঠে এসেছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে উঠতে পারলে তা হবে টানা দ্বিতীয়, সব মিলিয়ে ৩০তম। চলমান টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে একটি মাত্র গোল হজম করেছে স্কালোনি শিবির। গোলপোস্টে রীতিমতো চীনের দেয়াল হয়ে আছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আর্জেন্টিনার জয়ের হার বেশ ভালো। মেজর টুর্নামেন্টে মার্কিন মুলুকে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ হার ১৯৯৪ বিশ্বকাপে। যেখানে রোমানিয়ার কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল ম্যারাডোনা শিবির। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকা আর্জেন্টিনা এর মধ্যে গোল হজম করেছে মাত্র তিনটি। 

ইতিহাসের সামনে কানাডা

আর্জেন্টিনার সঙ্গে গ্রুপ পর্বে হারার পর মাত্র এক গোল হজম করেছে কানাডা। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিতে পা রেখেছে দলটি (হন্ডুরাস ও মেক্সিকো)। জেসে মার্শ শিবিরের সামনে প্রথমবারের মতো ফাইনালে যাওয়ার হাতছানি। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে কানাডার এটি পঞ্চম সেমিফাইনাল। আগের চারটির মধ্যে দুই বারই সেমি অতিক্রম করতে পেরেছে তারা। ২০০০ সালে গোল্ড কাপে, ত্রিনিদাদ এন্ড টোব্যাগোর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে। দ্বিতীয়বার ২০২৩ সালে নেশনস লিগে পানামার বিরুদ্ধে ২-০ গোলের জয়ে।

২০০১ সালের পর কনকাকাফ অঞ্চল থেকে প্রথমবারের মতো কোনো দল ফাইনালে যাওয়ার প্রতীক্ষায়। ২৩ বছর আগে উরগুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল মেক্সিকো। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে দলটি ১-০ গোলে হেরেছিল কলম্বিয়ার কাছে।

দুই দলের হালহকিকত

ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন মেসি। কোয়ার্টারে আক্রমণভাগে তার সঙ্গী ছিলেন লাউতারো মার্তিনেজ। পরে লাউতারোর বদলি হিসেবে নামেন হুলিয়ান আলভারেজ। ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের ম্যাচে বদলি হিসেবে দেখা যায়নি ডি মারিয়াকে। দ্বিতীয়ার্ধে এনজো ফার্নান্দেজের বদলি হিসেবে খেলেছিলেন নিকোলাস ওতামেন্ডি। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম গোলের দেখা পান লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। গোলপোস্টে অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে আছেন এমি মার্তিনেজ। খুব বেশি রদবদল হয়তো হবে না আর্জেন্টিনার একাদশে।

সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কানাডা হয়তো পাবে না তাজন বুকাননকে। ইন্টার মিলানের হয়ে খেলা এই ফুটবলার ইনজুরিতে পড়েন কোয়ার্টারে ভেনেজুয়েলার ম্যাচের ঠিক এক দিন আগে। কোয়ার্টারে কানাডার একাদশে নতুন মুখ হিসেবে দেখা গিয়েছিল আল আহমেদকে। কানাডার হয়ে চলতি টুর্নামেন্টে দুটি গোল করা জ্যাকব শাফেলবার্গ বড় ভরসার জায়গা।

সম্ভাব্য একাদশ 

আর্জেন্টিনা: এমি মার্তিনেজ, মলিনো, রোমেরো, লাসিন্দ্রো মার্তিনেজ, তাগলিয়াফিকো, ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার, সেলসো, গঞ্জালেজ, মেসি, লাউতারো মার্তিনেজ।

কানাডা: ক্রেপিউ, জনস্টন, বম্বিতো, কর্নেলিয়াস, ডেভিস, ওসোরিও, ফাসতাকিও, লারেয়া, ডেভিড, শেফেলবার্গ, লারিন। 

টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন মাহমুদউল্লাহ
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

দিনভর গুঞ্জন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দেশের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এই সংস্করণে আর দেখা যাবে না সাইলেন্ট কিলারকে। 

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখন খেলবেন শুধুমাত্র ওয়ানডে সংস্করণে। এর আগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্ট শেষে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। সেবার খানিকটা নাটকীয়তার জন্ম দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওই ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও সতীর্থরা তাকে দেন গার্ড অব অনার। তাতেই বোঝা গিয়েছিল টেস্ট থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি।

টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে কোনো নাটকের জন্ম দেননি রিয়াদ। দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। সেখানে জানান, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এই সংস্করণে আর খেলবেন না। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখন শুধুমাত্র ওয়ানডে খেলবেন।

নিজের বিদায়ী বার্তায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি এই সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।’

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জার্সিতে খেলেছেন ১৩৯ টি-টোয়েন্টি। এই সময়ে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেট ও ২৩.৪৮ গড়ে করেছেন ২৩৯৫ রান। বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৩৯ ম্যাচ খেলা রিয়াদ সবচেয়ে বেশিবার লাল-সবুজ জার্সিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ৪৩ বার টস করতে নেমেছেন রিয়াদ। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে সবচেয়ে বেশি ১৬ ম্যাচে। তার এই রেকর্ডের অংশীদার সাকিব আল হাসান।

অবসরের পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডুমিনি!

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
অবসরের পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডুমিনি!
ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১৯ সালে। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন জেপি ডুমিনি। তবে তাকে আবারও ফিরতে হলো মাঠের ক্রিকেটে। পাঁচ বছর পর এক বিশেষ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিল্ডিং করেছেন। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আবুধাবিতে আইরিশদের ব্যাটিং ইনিংসের শেষদিকে ফিল্ডিং করতে নামেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ।

মূলত মরুভূমির প্রচন্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েন প্রোটিয়ার অনেক ক্রিকেটার। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকল্প ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমে পড়েন কোচ ডুমিনি নিজেই।

কোচিং স্টাফদের কেউ মাঠে নেমে আসা ফিল্ডিং করার জন্য নতুনকিছুই নয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে এমন অনেকজনকেই দেখা গেছে ফিল্ডিং করার জন্য মাঠে নামতে। 

 

ইনিয়েস্তাকে নিয়ে মেসির আবেগঘন বার্তা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
ইনিয়েস্তাকে নিয়ে মেসির আবেগঘন বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে ২২ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের অবসান ঘটালেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তাকে নিয়ে এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন তারই সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসি।

২০১০ বিশ্বকাপে ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১১৬ মিনিটে গোল করে দলকে করেছিলেন চ্যাম্পিয়ন। ২০১৮ সালে সেই ইনিয়েস্তা আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার পর ২০২৪ সালে এসে ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ করলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস ক্লাবের হয়ে। 

সাবেক বার্সা সতীর্থ ইনিয়েস্তাকে নিয়ে ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে দেওয়া এক আবেগঘন বার্তায় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মেসি লিখেন, ‘আমি যার সঙ্গ সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি, আমার সবচেয়ে জাদুকরী সতীর্থদের একজন- ফুটবল তোমাকে মিস করবে। এবং আমরাও তোমাকে মিস করব। আমি সর্বদা তোমার মঙ্গল কামনা করি। তুমি একজন ফেনোমেনন।’

মাত্র ১২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে বার্সেলোনা একাডেমিতে যোগ দেওয়া ইনিয়েস্তা ক্লাবের বি দলের হয়ে খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ। এরপর মূল দলে অভিষেক হলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে। 

বার্সেলোনার হয়ে ৬৭৪ ম্যাচ খেলে জিতেছেন ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৯টি লা লিগা, ৬টি কোপা দেল রেসহ মোট ৩২টি শিরোপা। স্পেন জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরো কাপ । 

মুলতানের পিচকে দুষলেন পিটারসেন-ভন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
মুলতানের পিচকে দুষলেন পিটারসেন-ভন
ছবি : সংগৃহীত

মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আগে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করেছে পাকিস্তান। স্বাগতিক ব্যাটারদের সামনে খুব একটা পাত্তা পায়নি ইংলিশ বোলাররা। সেঞ্চুরি করেছেন আব্দুল্লাহ শফিক ও অধিনায়ক শান মাসুদ। প্রথম দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেটে ৩০০ পার করে পাকিস্তান।

প্রথম দিনেই পাকিস্তানের এমন ব্যাটিংয়ে পিছিয়ে পড়েছে ইল্যান্ড। এই পিছিয়ে পড়ার জন্য মুলতানের পিচকে দায়ি করছেন ইংল্যান্ডের দুই সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন ও মাইকেল ভন।

মুলতানের উইকেটে প্রথম দিন পাকিস্তানের ব্যাটাররা দারুণ পারফরম্যান্স করার পর ‘এক্সে’ কেভিন পিটারসেন লিখেন, ‘মুলতানের এই উইকেট বোলারদের জন্য বধ্যভূমি।’
মাইকেল ভন মুলতানের উইকেট নিয়ে বলেছেন, ‘মুলতানের উইকেটকে মনে হচ্ছে সড়ক। এখানে টস জিততে পারা দারুণ…।’

প্রথম দিন ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান সংগ্রহ করা পাকিস্তান দ্বিতীয় দিন এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করেছে ৫ উইকেটে ৩৯৩ রান।

আয়ারল্যান্ডের কাছেও হার দক্ষিণ আফ্রিকার

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
আয়ারল্যান্ডের কাছেও হার দক্ষিণ আফ্রিকার
ছবি : সংগৃহীত

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে হেরে আরব আমিরাত সফর শেষ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। আইরশদের কাছে ৬৯ রানে হারলেও সিরিজ জিতেছে তারা ২-১ ব্যবধানে। একই ব্যবধানে আবার আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছিল প্রোটিয়ারা।

সোমবার (৮ অক্টোবর) জায়েদ ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৪ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক পল স্টার্লিং করেন সর্বোচ্চ ৮৮ রান। তার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান যোগ করা অ্যান্ড্রু ব্রালবার্নি করেন ৪৫ রান। 

ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে ৬০ রান করেন হ্যারি টেক্টর। কার্টিফ ক্যাম্ফারের ব্যাটে আসে ৩৪ আর লোরকান টাকার করেন ২৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে ৫৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন লিজার্ড উইলিয়ামস। এছাড়া ওটনিয়েল বার্টম্যান আর আন্দিলে ফেলুকায়ো নেন ২টি করে।

রান তাড়া করতে নেমে ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। রায়ান রিকেলয়টন, রেজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডুসেন করেন যথাক্রমে ৪, ১, ৩ রান। 

৪৯ রানের জুটি গড়েন চতুর্থ উইকেটে কাইল ভারানে এবং ট্রিস্টান স্টাবস। যা কিনা তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ। একপ্রান্ত আগলে রাখা জেসন স্মিথ সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন ৯ রানের জন্য। তার ৯১ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার এবং ৪টি ছক্কার মার। তার আউটে নবম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। 

দক্ষিণ আফ্রিকার কেউই আর করতে পারেননি অর্ধশতক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন কাইল ভারানে। দুই অংক ছুঁতে পারেননি ছয়জন ব্যাটার। ৪৬.১ ওভারে মাত্র ২১৫ রানে অল-আউট হয় প্রোটিয়ারা। ৩টি করে উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়ং আর গ্রাহাম হিউম।