ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে আগে খেললেও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নেমেছিলেন প্রথমবারের মতো। যেখানে কিনা আবার অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। শুরুর ওভারে তাকেই বোলিংয়ে আনেন সাকিব। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি।
৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৬ রান খরচ করে শিকার করেছেন ১ উইকেট। তার এমন দারুণ পারফরম্যান্সের দিনেও অবশ্য নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে দুই দিকেই হয়েছেন ব্যর্থ। ৪ ওভারে ৩০ রান দেওয়ার পর ব্যাট হাতে করতে পেরেছেন মাত্র ৩ রান। লিগ বদলালেও বদলায়নি আপনার ফর্ম। এমন দিনে তার দল বাংলা টাইগার্স ৩৩ রানে হেরেছে মন্ট্রিয়েল টাইগার্সের কাছে।
টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চল্লিশোর্ধ্ব রান করেন চারজন বোলার। অ্যাস্টন আগার ৪১, টিম সেইফার্ট ৪৪, দিলপ্রীত বাজওয়া ৪১ এবং বেন মানেনতি করেন ৪০ রান। এই চার ব্যাটারের নৈপুণ্যে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় মন্ট্রিয়েল। বাংলা টাইগার্সের হয়ে ডেভিড ভিইসে নেন ৩ উইকেট, ১টি করে নেন শরিফুল, ডিলন হেলিঙ্গার ও নাভ পাভরেজা। সাকিব ছিলেন উইকেটশূণ্য।
জবাব দিতে নেমে ১৩ রান করে হজরতউল্লাহ জাজাই দলীয় ২৬ রানে আউট হলে মাঠে আসেন সাকিব। আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ খেলতে থাকেন চার-ছক্কার ইনিংস। সঙ্গ দিতে নেমে মাত্র ৩ রান করে আউট হন অধিনায়ক সাকিব। ৫০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর একমাত্র গুরবাজের ৩৯ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটাই ছিল বলার মতো বাংলা টাইগার্সের। এই ইনিংস খেলতে গিয়ে তিনি ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান। তার বিদায়ের পর শেষ হয়ে যায় জয়ের স্বপ্ন। ব্যর্থ হন ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ ওয়াসিমরা দলকে জেতাতে। মন্ট্রিয়েলের বোলারদের তোপে পরাজিত হতে হয়েছে ৩৩ রানে। বাংলা টাইগার্স থামে ১৫৬ রানে। ২ উইকেট থাকলেও ওভার শেষ হয়ে যায়।
আয়ান আফজান খান নেন ৪টি উইকেট, দুটি নেন অ্যাস্টন আগার। ১টি করে নেন রায়মন রেইফার ও জহুর খান।
মন্ট্রিয়লের স্কোয়াডে থাকা বাংলাদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ভিসা জটিলতায় কানাডায় যেতে দেরি হওয়ায় কালকের ম্যাচটি খেলতে পারেননি।