ঢাকা ২৩ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অসময়ে কেউ হাত বাড়িয়ে দেয় না : জাহানারা আলম

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৮ এএম
আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
অসময়ে কেউ হাত বাড়িয়ে দেয় না : জাহানারা আলম
জাহানারা আলম

দীর্ঘ ১৪ মাস পর এশিয়া কাপ দিয়ে আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন ৩১ বছর বয়সী তারকা জাহানারা আলম। গত মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আসরে দুটি ম্যাচ খেলেছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। দেশে ফিরে খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে শুনিয়েছেন নিজের ফিরে আসার গল্প আর আগামীর স্বপ্নের কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ
 
লম্বা সময় পর দলে ফিরে এশিয়া কাপে খেললেন। এই ফিরে আসার অনুভূতির কথা জানতে চাই প্রথমে…

শুকর আলহামদুলিল্লাহ। প্রথমেই আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক অনেক শুকরিয়া আদায় করি। আসলে পরিশ্রম তো সবাই করে। কিন্তু ভাগ্যেরও ব্যাপার থাকে। আমার কাছে মনে হয় এটা আল্লাহ অশেষ রহমত যে আমি কামব্যাক করতে পেরেছি, আমি আবার বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। এই দিক থেকে খুবই খুশি আমি।

ক্যারিয়ারে এত লম্বা সময় কখনো জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন?

নাহ, এত দীর্ঘ সময় কখনোই না।

এই যে লম্বা সময় বাইরে থাকা, কেমন ছিল সময়টা?

আসলে এটা একটু কঠিন। তবে সব সময় পরিশ্রম ও কাজের মধ্যে ছিলাম। পজিটিভ মাইন্ডসেটের মধ্যে ছিলাম যে ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে। তাই সময়গুলো ভালোভাবেই কেটে গেছে। তবে কঠিন ছিল, এটা সত্যি।

গত বছর ভারত সিরিজে আপনি বাদ পড়েন। সেই সময় থেকে দল বেশ ভালো করছিল। বাইরে থাকার সময়ে কি হতাশা কাজ করেনি?

সত্যি কথা বলতে হতাশা কখনো কাজ করেনি। হতাশা কাজ করলে আমার জন্য কামব্যাক করা হয়তো আরও দীর্ঘ ও কঠিন হত। তবে খারাপ লাগত যে আমি দলের বাইরে আছি। দল ভালো করছিল, এই দিকটায় বেশ ভালো লাগত। আমি সব সময় বলে এসেছি, এখনো বলি, দল সবার আগে। দল যখন ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভালো খেলল, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ভালো খেলল, সবকিছু মিলিয়ে ভালোলাগা সব সময়ই ছিল। আমি সব সময় দলকে উইশ করেছি। ভালো করার পর সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছি।

সর্বশেষ ঢাকা লিগে আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়েছিলেন। এই পারফরম্যান্স আপনার দলে ফেরায় বড় ভূমিকা রেখেছে। লিগে ভালো করে এশিয়া কাপেই দলে ফিরতে হবে, এমন কোনো লক্ষ্য নিয়ে খেলেছিলেন?

সত্যি বলতে এরকম সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য ছিল না। গত বছরের জুলাই মাসের ভারত সিরিজ থেকেই আমি দলের বাইরে ছিলাম। তখন থেকেই আমি চেষ্টা করছিলাম। প্রত্যেকটা দিন কাউন্টেবল ছিল আমার জন্য। নিজেকে আমি প্রস্তুত রাখতে চেয়েছি, যেন যখনই আমাকে প্রয়োজন হবে, তখনই যেন প্রস্তুত অবস্থায় নিজেকে মেলে ধরতে পারি। এজন্যই আসলে সম্ভব হয়েছে। ইতিবাচক মানসিকতার মধ্যে থাকাটাই আমার কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি সব সময়।

যখন বাদ পড়লেন, তখনকার জাহানারা আর এখনকার জাহানারার মধ্যে পার্থক্য কী?

খুব বেশি পার্থক্য আমি বলব না। তবে ২০০৮ সাল থেকে সাড়ে ১৫ বছর আমি বাংলাদেশকে টানা প্রতিনিধিত্ব করেছি। এরপর ১ বছর দলের বাইরে থাকা। এমনিতেই আমি একটু বেশি পরিশ্রম করতে পছন্দ করি। তবে বাইরে থাকার এই সময়ে আমার কঠোর পরিশ্রমের মাত্রা দ্বিগুণ ছিল। এই দিকটায় বলতে পারেন একটু পরিবর্তন এসেছিল। এর বাইরে অন্য কোনো পরিবর্তন নেই। ব্যক্তি জাহানারার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগে যেমন ছিল, তেমনই আছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাদ পড়ে গেলে তো ফিরে আসা কঠিন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অন্যদের জন্য কী বলবেন?

দেখুন, বাদ পড়লে শুধু আমাদের দেশে না, পৃথিবীর সব জায়গাতেই একই রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আপনাকে যেতে হবে। যখন আপনাকে দলের প্রয়োজন হবে, তখন সরাসরি কল করে নেবে, না হলে আপনাকে ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করে আসতে হবে। অথবা কোনো একটা সিলেকশন ম্যাচ হলে সেখানে আপনাকে পারফর্ম করে আসতে হবে। এটা পৃথিবীর সব জায়গাতেই দেখবেন। বাদ পড়ে আবার টিমে ব্যাক করা, আমার জন্য এমন অভিজ্ঞতা তো এবারই প্রথম হলো। যারা এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েন, তাদের জন্য বলব, কঠোর পরিশ্রম ছাড়বেন না। আফসোস করে, হতাশায় ভুগে চুপচাস বসে থাকার কোনো মানে নেই। আপনার অসময়ে কিন্তু কেউ হাত বাড়িয়ে দেবে না। কেউ আপনাকে পেছন থেকে পুশও করবে না। যা করার আপনাকেই করতে হবে। পজিটিভ চিন্তা করতে হবে। তাহলেই আপনি একমাত্র কঠোর পরিশ্রম করার স্পৃহা পাবেন। হ্যাঁ, ভাগ্যেরও বিষয় থাকে। ওপর আলার সহায়তা লাগে। তবে এটার জন্য আপনাকে পজিটিভ থাকতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এই দুটির সমন্বয়ে এগোলে আমার মনে হয় না আল্লাহ কাউকে ফিরিয়ে দেন। আমি নিজে এর প্রমাণ পেয়েছি। আমার বিশ্বাস যে বাকি সবাই পাবে।

মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ফের মাঠে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেয়েছেন। ভাগ্য মনে হচ্ছে আপনার পক্ষেই কথা বলছে…

(হেসে) এটা আল্লাহর রহমত। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে যখন খেলার সুযোগ পেলাম, চাচ্ছিলাম যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ, ১০৫ এর জায়গায় ১০৬টা আন্তর্জাতিক উইকেট হলো। এটা আমার জন্য পজিটিভ মোটিভেশন।

মালয়েশিয়ার পর ভারত, সবমিলিয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। এই দুই ম্যাচে নিজের পারফম্যান্স নিয়ে কী বলবেন?

হয়তো আরেকটু ভালো হতে পারত। হয়তো দলের জন্য আরেকটু ভালো পারফম্যান্স করতে পারতাম। তবে পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা প্রতিদিনই শিখি। ম্যাচ বাই ম্যাচ শিখি। এত দিন ক্রিকেট খেলার পরও আমাদের প্রতিদিনই শেখার আছে। কারণ শচীন টেন্ডুলকার তার শেষ ম্যাচেও শিখেছেন, এটা আমরা তার বিদায়ী ম্যাচের ভাষণেই পেয়েছি। আমি মনে করি উন্নতির আরও অনেক জায়গা আছে। ইনশাআল্লাহ, যদি আমি আবারও খেলার সুযোগ পাই, চেষ্টা করব নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করে যেন আরও ভালো পারফর্ম করতে পারি।

সামনে বিশ্বকাপ। নিজের লক্ষ্য কী থাকবে?

মাত্র তো এশিয়া কাপ শেষ হলো। বিশ্বকাপের এখনো দুই মাস বাকি। এর আগে জাতীয় লিগ আছে। ধাপে ধাপেই ভাবা উচিত। আর যদি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাই, আল্লাহ যদি ভাগ্যে রাখেন, তবে ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করব সেরাটা দিয়ে যেন দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারি। চাইব আমাদের দলীয় র‌্যাঙ্কিংটা যেন এগিয়ে আসে। সেটা সম্ভব, যদি আমরা দলগতভাবে পারফর্ম করতে পারি। আমরা যদি কমপক্ষে দুটি ম্যাচ জিততে পারি, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার হবে বলে আমি মনে করি।

রিজওয়ানের কাছে নেতৃত্ব হারাচ্ছেন বাবর!

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
রিজওয়ানের কাছে নেতৃত্ব হারাচ্ছেন বাবর!
ছবি : সংগৃহীত

পুনরায় সাদা বলের নেতৃত্ব পেয়েও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। ফলে আবারও গুঞ্জন উঠেছে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব হারানোর। তার জায়গায় নাম শোনা যাচ্ছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের বরাতে সামনে এসেছে খবরটি।

পিসিবির এক সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, এই বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরের আগেই নতুন অধিনায়ক নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর নতুন অধিনায়ক হওয়ার আলোচনায় এগিয়ে আছেন উইকেটকিপার ব্যাটার রিজওয়ান।

পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ানডে কাপের জন্য ঘোষিত হয়েছে পাঁচ দল। যেখানে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়নি বাবর আজমকে। রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খান, মোহাম্মদ হারিস ও সৌদ শাকিল পেয়েছেন পাঁচ দলের নেতৃত্বাভার। এটিই ইঙ্গিত করে যে জাতীয় দলের নেতৃত্ব আবারও হারাতে যাচ্ছেন তিনি।  

জিও নিউজ জানিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সফরের আগেই হয়তো নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হবে। এই বিষয়ে এরই মধ্যে সাদা বলের হেড কোচ গ্যারি কারস্টেন ও অধিনায়ক জুলাইয়ে বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানা গেছে, বিকল্প হিসেবে রিজওয়ানের নাম আলোচনায় এসেছে। যদি শেষ পর্যন্ত বোর্ড সম্মত হয়, তাহলে তিন ফরম্যাটের জন্যই অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটার।

সিনারের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিটজ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
সিনারের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিটজ
ছবি : সংগৃহীত

ইউএস ওপেনে ছেলেদের এককে ফাইনালে পা রেখেছেন টেলর ফ্রিটজ। ২০০৯ সালের পর গ্র্যান্ড স্লামে ছেলেদের এককে ফাইনালে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ১৫ বছরের অপেক্ষা ঘুচেছে যুক্তরাষ্ট্রের। 

ফ্রান্সিস তিয়াফোকে ফাইনালে ওঠার পথে ৪-৬, ৭-৫, ৪-৬, ৬-৪ ও ৬-১ গেমে হারিয়েছেন ফ্রিটজ। প্রথম সেটে তিয়োফার কাছে হারলেও পরের সেটে পান জয়ের দেখা। তৃতীয় সেটে আরেকবার হারলেও শেষ দুটি টানা জিতে ফাইনালে নাম লেখান ২৬ বছর বয়সী ফ্রিটজ।

সবশেষ ২০০৩ সালে রডিকের ইউএস ওপেন জয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের আরকোনো পুরুষ খেলোয়াড় জিততে পারেনি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। তাই এখন ফ্রিটজের সামনে হাতছানি দিচ্ছে ২১ বছরের আক্ষেপ ও খরা ঘোচানোর। 

তবে কাজটি মোটেও সহজ হবে না ফ্রিটজের জন্য। কেননা, তাকে লড়াই করতে হবে আসরের সবচেয়ে ফেবারিট ও পুরুষদের শীর্ষ বাছাই ইতালির ইয়ানিক সিনারের। 

ফাইনালে উঠে ফ্রিটজ বলেন, ‘নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলাম। জিততে না পারলে সারা জীবন আফসোস করতাম। ফাইনালেও আমি এই ভাবেই খেলতে চাই। নিজের সবটুকু দিয়ে খেলব।’

আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ছেলেদের এককের ফাইনালে মুখোমুখি হবেন তারা।

প্রথম মিনিটে পিছিয়ে পড়েও ফ্রান্সকে হারাল ইতালি

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
প্রথম মিনিটে পিছিয়ে পড়েও ফ্রান্সকে হারাল ইতালি
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১৩ সেকেন্ড। ইতালির জালে বল পাঠিয়ে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিন্তু দারুণ এই শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি তারা। ঘুরে দাঁড়ানো ইতালির কাছে কাতার বিশ্বকাপের রানার্সআপদের হারতে হয়েছে ৩-১ ব্যবধানে।

উয়েফা নেশন্স লিগে ৩-১ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে দীর্ঘ ৭০ বছর পর ফ্রান্সের মাটিতে জিতেছে আজ্জুরিরা।

নেশন্স লিগের প্রথম ম্যাচে ১৩ সেকেন্ডে ব্র্যাডলি বারকোলার গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিন্তু সেই লিড তারা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ফ্রেঞ্চরা। ৩০ মিনিটের মাথায় ইতালিকে সমতায় ফেরান ফেডেরিক ডাইমার্কো। এরপর অবশ্য প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই আর গোলের দেখা পায়নি। 

তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের গোল করতে। ৫০ মিনিটে ব্যবধান ২-১ করেন ইতালির ডেভিড ফ্রাটেসি। এরপর আরও একবার এগিয়ে যায় ইতালি ৭৪ মিনিটে। এবার গোল জিয়াকোমো রাসপেডোরি। 

নেশন্স লিগে একই রাতের অন্য ম্যাচে ইসরায়েলকে ৩–১ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। তবে তুরস্ক ও ওয়েলশের ম্যাচ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। আর অস্ট্রিয়া ১–১ গোলে ড্র করেছে স্লোভিয়ার সঙ্গে।

চোটে বছর শেষ উডের

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
চোটে বছর শেষ উডের
ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ের সময় টান লাগে ঊরুতে। সতর্কতাবশত পরের দুই টেস্টের দলে রাখা হয়নি তাকে। এবার জানা গেল এই বছর আর মাঠে নামা হচ্ছে না তার। তবে সেটা ঊরুর চোটে নয়, কনুইয়ের গুরুতর চোটে।

নিয়মিত চেকআপে ধর পড়েছে তার কনুইয়ের চোত। আর তাতেই এই বছরের বাকি অংশ মাঠের থাকার খবরটিও নিশ্চিত হয়ে গেল।

ফলে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সফরে ৬টি টেস্টে খেলা হবে না এই পেসারের। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩টি ওয়ানডে ও ৫ টি-টোয়েন্টি খেলবে ইংল্যান্ড। সবগুলো ম্যাচই মিস করবেন উড।

ঊরুর চোট  থেকে সেরে উঠলেও কনুইয়ের চোটে ছিটকে পড়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উড লিখেছেন, ‘কনুইয়ে আগে থেকে যন্ত্রণা ছিল, ভেবেছিলাম এটি রুটিন চেকআপ। আমার ডান কনুইয়ে খানিকটা হাড়ের চোট আছে, এটা জেনে আশ্চর্য হলাম।’

উডের বদলি হিসেবে লর্ডস টেস্টে খেলেন ওলি স্টোন। কেনিটংটন ওভালে শেষ টেস্ট অভিষেক হয়েছে ২০ বছর বয়সী জশ হালের।

৭ দেশের বিপক্ষে ৭ সেঞ্চুরির রেকর্ড পোপের

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
৭ দেশের বিপক্ষে ৭ সেঞ্চুরির রেকর্ড পোপের
ছবি : সংগৃহীত

অধিনায়ক হিসেবে পাচ্ছিলেন না রানের দেখা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টে ওলি পোপের ব্যাটে চলা রান খরা থেমেছে তৃতীয় টেস্টে এসে। তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে করলেন সেঞ্চুরি। তার শতকে প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান।

বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৪৪.১ ওভার। বেন ডাকেটের ব্যাটে এসেছে ৮৬ রান। দ্বিতীয় দিনে পোপের সঙ্গে ৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবেন হ্যারি ব্রুক।

টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন পোপ। তার শতকটি এসেছে ১০২ বলে। আর ইংল্যান্ডের অধিনায়কদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি গ্রাহাম গুচের দখলে।

ভারতের বিপক্ষে ১৯৯০ সালে লর্ডসে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গুচ। পোপের এই শতকটি আবার সবমিলিয়ে সপ্তম। লাল বলের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের ৭ সেঞ্চুরি ৭টি দেশের বিপক্ষে করেছেন পোপ।