কাজী সালাউদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ অক্টোবর। এই নির্বাচনে অংশ নেবেন না সবশেষ ১৬ বছর সভাপতির চেয়ারে থাকা কাজী সালাউদ্দিন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি চার টার্ম আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে এই সুযোগ আমার জীবনে এসেছে। এখন সামনে যে নির্বাচন আসছে, ২৬ অক্টোবর, এই নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই, আমার সঙ্গে এই ১৬ বছর কাজ করার জন্য। এই সময়ে অনেক আন্ডারস্ট্যান্ডিং, মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে। এটা হতেই পারে। আমি মনে কিছু রাখিনি। আশা করব আপনারাও মনে কিছু রাখবেন না। আপনাদের সবার সহযোগিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনের পর কাজী সালাউদ্দিনের বাফুফে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের দাবি উঠে। তবে সালাউদ্দিন পদত্যাগের দাবি নাকচ করে টানা পঞ্চমবার সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। কিন্তু সেই ঘোষণা দেওয়ার মাস খানিক পরই সিদ্ধান্ত বদল করছেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার।
কেন সিদ্ধান্ত বদল করলেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তবে মিনিট তিনেকের সংবাদ সম্মেলনে কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, ‘আশা করব বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের যেন আরও উন্নতি হয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যেন ভবিষ্যতে ভালোভাবে থাকে, ফুটবল যেন ভালোভাবে থাকে।’
গত মাসে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে তৃপ্তি ঝরেছে সালাউদ্দিনের কণ্ঠে, ‘আমার মনে অন্তত একটা খুশি আছে যে শেষ অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমি যেতে পারছি।’
এদিকে জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া দলের ব্যানারে একদল সাবেক ফুটবলার বাফুফে নির্বাচন পেছানোর দাবি তুলেছিল। তবে ফিফা নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।