ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রেমিক-প্রেমিকার সোনা জয়

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১১:০২ এএম
প্রেমিক-প্রেমিকার সোনা জয়
ছবি : সংগৃহীত

চার বছর পর যে অলিম্পিক দুয়ারে এসে উপস্থিত হয়েছিল, প্যারিসে সেই আসরের সমাপ্তি হচ্ছে আজ রাতে। তিন শতাধিক ইভেন্ট নিয়ে হওয়া এবারের আসর প্রতিদিনই জন্ম দিয়েছে একের পর এক দারুণ ঘটনা। সর্বশেষ যেমন এবারের আসরে হকির দুটি সোনাই গিয়েছে নেদারল্যান্ডসের ঘরে। তাদের নারী ও পুরুষ দুই দলই করেছে শিরোপা উৎসব।

আর তাতেই জন্ম নিয়েছে দারুণ এক গল্পের। ডাচদের পুরুষ দলের হয়ে খেলা থিস ফন ডাম এবং নারী দলের পিয়েন স্যান্ডার্স প্রেমিক-প্রেমিকা হওয়ায় জন্ম নিয়েছে প্রেমিক-প্রেমিকার স্বর্ণ জয়ের মতো ঘটনাও। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীদের এই অলিম্পিক বরাবরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে। সেখানে এমন মজাদার পার্শ্ব ঘটনা বা মুহূর্তের জন্ম নেয় বলেই তো অলিম্পিককে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।’

প্রথমে পুরুষদের ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ছেলেরা। ম্যাচের নির্ধারিত ৬০ মিনিটের ১-১ গোলে সমতা থাকলে খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানে ৩-১ ব্যবধানে হকির ছেলেদের দলগত ইভেন্টের সোনা জিতেন নেদারল্যান্ডসের ছেলেরা।

ছেলেদের সাফল্যের এক দিন পর মেয়েদের ঝুলিতেও ধরা দেয় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। ফাইনালে তারাও জয় পান চীনের বিপক্ষে। এই ম্যাচের ফলাফলও হয়েছে একই। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ এ সমতা থাকার পর পেনাল্টি শুটআউটে তারাও জয় ছিনিয়ে এনেছেন ৩-১ ব্যবধানে। এই জয়ে মেয়েরা আবার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তাদের শিরোপাও। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার হকির সোনা জিতলেন তারা।

১৯৮০ সালে অলিম্পিকে নারীদের হকি যুক্ত হওয়ার পর প্রথমবার কোনো দেশ নারী ও পুরুষ এই ইভেন্টের দুই স্বর্ণপদকই জিতল ডাচরা।

ছেলেদের ফাইনালে জয়ের পথে পেনাল্টি শুটআউটে গোল করেছিলেন থিস ফন ডাম। ২৪ ঘণ্টার পর একই পথ অনুসরণ করেছিলেন মেয়েদের ফাইনালে তার প্রেমিকা পিয়েন স্যান্ডার্সও। মেয়েদের হয়ে ফাইনাল জেতার পর স্যান্ডার্স বলেন, ‘আমরা দুটো সোনাই জিতেছি, এটা ঐতিহাসিক। আমি মনে করি ডাচ দলের জন্য চাপ সব সময়ই বেশি থাকে এবং আমরা এখানে সোনা নিয়ে এসেছি, এটা খুবই দারুণ ব্যাপার।’

এই জয় নেদারল্যান্ডসের জন্য যেমন আনন্দের, তেমনিভাবে থিস ফন ডাম ও স্যান্ডার্সের জন্যও স্মরণীয় স্মৃতি। একই অলিম্পিকে অংশ নিয়ে একই খেলায় দুজনই জিতেছেন স্বর্ণপদক। তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও নিশ্চিতভাবেই রোমন্থন করার মতো স্মৃতি এবারের প্যারিসের অলিম্পিক।

১০ রানে জিতে সিরিজ জয় বাংলাদেশের মেয়েদের

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
১০ রানে জিতে সিরিজ জয় বাংলাদেশের মেয়েদের
ছবি : সংগৃহীত

আগামী মাসে আরব আমিরাতে হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই আসরের প্রস্তুতিস্বরূপ ‘এ’ দলের মোড়কে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার গিয়েছেন শ্রীলঙ্কায়। সেখানে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমে ১০ রানের জয় পেয়েছে টাইগ্রেসরা। টানা ৩ ম্যাচ জিতে, দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৭ রান করে বাংলাদেশ। এরপরও প্রতিপক্ষকে ৮৭ রানের বেশি করতে দেয়নি রাবেয়া খানরা। এই রান করতে স্বাগতিকরা হারায় ৮ উইকেট। ফলে ১০ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

যদিও টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করে মাত্র ৯৭ রান। সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে দিলারা আক্তারের ব্যাট থেকে। এই রান করতে তিনি খেলেন ২১ বল।

দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হারানোর শঙ্কায় থাকা শ্রীলঙ্কা এই লক্ষ্য পেয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে এবং সিরিজে ফিরে আসার সম্ভাবনাও তৈরি করে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি ব্যাটিং ব্যর্থতায়। তাদের ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান করে। ১০ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। 

১৭ সেপ্টেম্বর চতুর্থ ম্যাচ থ্রুস্টান এবং ১৯ সেপ্টেম্বর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি কল্টসে।

ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে যা বললেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে যা বললেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার
ছবি : সংগৃহীত

চেন্নাইতে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ১৯ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার পর এবারের সিরিজ একপেশে হবে না বলে বলছেন ভারতের সাবেক ব্যাটার অজয় জাদেজা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার। 

সাংবাদিকদের অজয় জাদেজা বলেন, ‘বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ দেখলে তারা বিশ্বাস করতে পারে যে পাকিস্তানকে হারানো সম্ভব হলে ভারতকে কেন পারবে না। তবে আমরা অনেক ভালো দল, তারাও (বাংলাদেশ) ভালো। তারা (বাংলাদেশ) স্পিন ভালো খেলে। কন্ডিশনও পক্ষে আছে।’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পারফরম্যান্স অনুযায়ী অবশ্য এগিয়ে আছে ভারতই। বর্তমানে তারা অবস্থান করছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ৬ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান চার নম্বরে। 

জাদেজা বলেন, ‘জয়ের পর যে দলই যেখানে খেলুক,  তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে যে তারা জিতবে। তবে এই মুহূর্তে পাকিস্তান ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। পাকিস্তানের চেয়ে ভারত অনেক অনেক এগিয়ে।’

২০১৯ সালের নভেম্বরে সবশেষ ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ, সেখানেও ২ টেস্ট ও ৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল দুই দল। সেখানে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে পেরেছিল সফরকারীরা। সবশেষ ২০২২ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টেস্টে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করেছিল তারা ২-০ ব্যবধানে।

দেশ ছাড়ার আগে যা বললেন শান্ত

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পিএম
দেশ ছাড়ার আগে যা বললেন শান্ত
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করার পর ভারতের বিপক্ষে লড়তে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেও আসন্ন সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশ ছাড়ার আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলে ভালোকিছুর আশা করছেন শান্ত। 

সাংবাদিকদের নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হতে যাচ্ছে। তবে একটা ভালো সিরিজের পর অবশ্যই একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দলের ভেতর আছে, দেশের মানুষের মধ্যেই আছে। প্রত্যেক সিরিজই একটা সুযোগ। আমরা দুইটা ম্যাচই জেতার জন্য খেলব। জেতার জন্য যে জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ...আমাদের লক্ষ্য থাকবে কাজটা আমরা ঠিকঠাক করতে পারছি কিনা। আমাদের কাজ ঠিকমতো করতে পারলে ভালো ফল সম্ভব তবে চ্যালেঞ্জিং।’ 

চেন্নাইতে হতে যাচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেই টেস্টকে সামনে রেখে খবর ছড়িয়েছে স্পিন উইকেটের বদলে সেখানে নাকি পেস উইকেট তৈরি করা হয়েছে। এমন খবর ছড়ালেও বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা চিন্তিন নন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘উনারা (ভারত) কী চিন্তা করছে এটা তো আমি বলতে পারব না কিন্তু আমাদের স্পিন ও পেস ভালো একটা অবস্থানে আছে। ওই দলের সঙ্গে যদি তুলনা করেন অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের পেসাররা ওদের থেকে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। স্পিন ওয়াইজ হয়ত কাছাকাছি আছে। অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওই দলকে এগিয়ে রাখব। স্পিনারদের দিক থেকে কাছাকাছি আছে। যেহেতু যেকোনো কন্ডিশনে বল করার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের স্পিনারদের। আমি এটুকু বলতে পারি পেসার, স্পিনার এবং ব্যাটার যারাই খেলবেন প্রত্যেকে শতভাগ দেবেন। পাঁচদিন ভালো খেলতে পারলে রোমাঞ্চকর হবে।’

পাকিস্তানের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে কেউই খুব একটা প্রত্যাশা করেনি যে বাংলাদেশ এই সিরিজ জিতে আসতে পারবে। যেহেতু ঘরের মাঠেই পাকিস্তানের বিপক্ষে কখনো এই সংস্করণে জিততে পারেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এই কারণে সমর্থকদের প্রত্যাশার মাত্রাও বেড়ে গিয়েছে। 

অধিনায়ক শান্তকেও সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতেও এমন কিছু হতে পারে কিনা জাতীয় প্রশ্নের, ‘আমি একটু আগে যেটা বললাম সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে। যদি র‍্যাঙ্কিং দেখেন ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। সম্প্রতি আমরা ভালো খেলছি। ভালো সিরিজ পার করে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য হবে কীভাবে পাঁচদিন ভালো খেলতে পারি। ফলটা শেষ দিনে লাস্ট সেশনে গিয়ে হয়। পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে লাস্ট সেশনে সুযোগ থাকে কোন দল জিতবে।’

ভারত সফর/ দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল
ছবি : সংগৃহীত

দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে আজ দুপুরে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। দুপুর একটায় বিশেষ ফ্লাইটে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দলের সঙ্গে ভারতের ফ্লাইট ধরেননি সাকিব আল হাসান।

পাকিস্তান সিরিজ শেষে কাউন্টি খেলতে ইংল্যান্ডে উড়ে যান সাকিব আল হাসান। সেখান থেকে সরাসরি ভারতে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন এই অলরাউন্ডার। এ ছাড়া দলের সঙ্গে ভারতে গিয়েছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

গতকাল রাতে অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আজ সকালে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভারতে যান তিনি।

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ। চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট দিয়ে সিরিজ শুরু করবে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট কানপুরের গ্রিন পার্কে।

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগেও নেই শ্রাবণ

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগেও নেই শ্রাবণ
ছবি : সংগৃহীত

নেপাল থেকে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করে ফেরার পর বাংলাদেশের যুবারা এখন প্রস্তুত হচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য। ২০২৫ এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। ২১ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর এই গ্রুপের ম্যাচগুলো হবে ভিয়েতনামে।

গত মাসের শেষ দিকে সাফ জয় করে ফেরার পর দিন তিনেকের বিশ্রাম শেষে ফের অনুশীলন শুরু করে যুবারা। তবে একজন পুরোপুরি ব্যতিক্রম। তিনি মেহেদী হাসান শ্রাবণ।সাফজয়ী দলটির অধিনায়ক ছিলেন তিনি। চোটের কারণে বয়সভিত্তিক আসরটির ফাইনালে খেলা হয়নি বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষকের। পরে জাতীয় দলের হয়ে ভুটান সফরও মিস করেছেন। এবার যুব দলের হয়ে ভিয়েতনামেও যাওয়া হচ্ছে না তার। এমনকি অক্টোবরের শেষ দিকে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলতে পারবেন কি না, এ নিয়েও যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছেন শ্রাবণ। 

খবরের কাগজকে ১৯ বছর বয়সী গোলরক্ষক বলেন, ‘ইনজুরি থেকে এসেই তো আর মাঠে নামা যায় না। (চ্যালেঞ্জ লিগে) যদি পারি খেলব। তবে আমার মনে হয় না খেলতে পারব।’

অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৬৯ মিনিটে চোখে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন শ্রাবণ। আঘাত এতটা গুরুতর ছিল যে, তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে হয় তাকে। তার জায়গায় বদলি হিসেবে নেমেছিলেন মোহাম্মদ আসিফ। ভারত ম্যাচটা টাইব্রেকারে গড়ালে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে তিনি দলকে জয় উপহার দেন। পরে শ্রাবণের অনুপস্থিতিতে ফাইনালেও খেলেন তিনি।

যুবারা নেপাল থেকে শিরোপা জয় করে আসার দিনই ভুটান সফরের জন্য জাতীয় দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেখানে যুব সাফজয়ী দলের চারজনের জায়গা হলেও শ্রাবণের হয়নি। সর্বশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াডে যিনি নিয়মিত সদস্য ছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে অভিষেকের পর দুটি ম্যাচও খেলেছেন। গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে ব্যস্ত সময় কেটেছে শ্রাবণের। আনিসুর রহমান জিকো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ায় কিংসের পোস্ট সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছিলেন জিকো, কিন্তু মৌসুমজুড়ে সিংহভাগ ম্যাচে শ্রাবণেই আস্থা রেখেছিল কিংস। 

কিংসের হয়ে গত মৌসুমে ট্রেবল জয়ের স্বাদও পেয়েছেন শ্রাবণ। জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে তার জন্য সর্বশেষ মৌসুমটা ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু নতুন মৌসুমের আগে অন্য বাস্তবতার মুখোমুখি তিনি। তবে বিষয়টি পুরোপুরি পেশাদারিত্বের সঙ্গেই দেখতে চান শ্রাবণ, ‘ইনজুরি পেশাদার খেলোয়াড়দের জীবনের একটা পার্ট। এর সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।’

চোটের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রাবণ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালো আছি। চোখের নিচে চিকন একটা হাড় থাকে, সেটা ভেঙে গিয়েছিল। তবে চোখের ফোলা এবং ব্যথা এখন কম। ডাক্তার বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তিন সপ্তাহ বিশ্রাম দিয়েছেন ডাক্তার। প্রথমে সার্জারির কথা বলেছিলেন। পরে এভারকেয়ার এবং ঢাকা মেডিকেলের দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখে বলেছেন, সার্জারি ছাড়াই ঠিক হবে। ওনাদের কথা অনুযায়ী সার্জারি না করানোর সিদ্ধান্ত হয়। এখন বিশ্রামের সময়টা শেষ হলে ডাক্তার দেখানোর পর বোঝা যাবে সর্বশেষ কি অবস্থা।’

এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে খেলা নিয়ে কেন সংশয়, এ বিষয়ে শ্রাবণ বলেন, ‘ডাক্তার আমাকে তিন সপ্তাহ বিশ্রাম দিয়েছে ইনজুরি ঠিক হতে। এরপর রিহ্যাব করতে হবে, ফিটনেসসহ অনেক বিষয় আছে। এগুলো ঠিক করে মাঠে ফিরতে আরেকটু সময় লাগবে।’ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের আগে ঘরোয়া ফুটবলও মাঠে গড়ানোর কথা। ফেরার বিষয়ে শ্রাবণের নিজের লক্ষ্য কি? জানতে চাইলে তরুণ এই গোলরক্ষক বলেন, ‘আমার লক্ষ্য আগে সুস্থ হওয়া। তারপর দেখা যাক কি হয়। সুস্থ হওয়ার পর ইনশা আল্লাহ ভালোভাবে ফেরার চেষ্টা করব।’