ঢাকা ২৩ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘উড়ে এসে জুড়ে বসিনি’

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২১ এএম
‘উড়ে এসে জুড়ে বসিনি’
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে যখন সোচ্চার একদল ফুটবল সমর্থক, ঠিক সেই সময়ই নীরবতা ভেঙেছেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। ২০০৮ সাল থেকে বাফুফে সভাপতির পদে থাকা সালাউদ্দিন পদত্যাগের দাবি রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং দুই মাস পর হতে যাওয়া বাফুফে নির্বাচনে টানা পঞ্চমবারের মতো প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় খবরের কাগজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি আন্দোলনকারী ও তাদের দাবি, উভয় বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সঙ্গে খেলোয়াড় হিসেবে দেশের ফুটবলে তার অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

কাজী সালাউদ্দিনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হতে আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আগামী ৩ অক্টোবরই শেষ হবে তার বর্তমান কমিটির মেয়াদ। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রাথমিক দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে বাফুফে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সংস্থায় শীর্ষ পদে হচ্ছে রদবদল। অনেক প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব বদলের জন্য চলছে আন্দোলন। সরকার পতনের পর থেকেই ‘বাংলাদেশি ফুটবল আলট্রাস’ ব্যানারে বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে একদল সমর্থক। বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ থেকে শুরু করে ‘মার্চ টু বাফুফে’র মতো কর্মসূচিও তারা করেছে। তাদের দাবি, ফিফার আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে যদি পদত্যাগ করতে না পারেন, তাহলে অন্তত আগামী নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা যাতে দেন কাজী সালাউদ্দিন। এমন প্রেক্ষাপটে রক্ষণাত্মক নয়, আক্রমণাত্মক কৌশলই অবলম্বন করছেন সালাউদ্দিন। সরাসরি বলেছেন, ‘এরা (আন্দোলনকারী) ফুটবলের কেউ না। এরা সাইফ পাওয়ার টেকের লোক। ফুটবল খেলতে এসে যারা চলে গেছে (২০২২ সালে বিলুপ্ত হয় প্রতিষ্ঠানটির ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং)। সে (ক্লাবের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন) এসেছিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার জন্য। এরা (আন্দোলনকারী) তো তাদের সাপোর্টার। তাদের লোকজন এরা। ফুটবলের কেউ না।’

আন্দোলনকারীদের দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সালাউদ্দিন বলেন, ‘তাদের দাবিটা কি দেখুন? আমি যেন পদত্যাগ করি এবং আমি যেন নির্বাচন না করি। আমি পদত্যাগ না করলে আমাকে রাস্তাঘাটে মারবে। আমি নির্বাচন করব কী করব না, এ নিয়ে কি আমাকে কারও কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে?’ সালাউদ্দিন বলে যান, ‘আপনি কিন্তু একটা জিনিস ভুলে গেছেন, আমি কিন্তু একাত্তরে স্বাধীন বাংলা ফুটবলের খেলোয়াড় এবং আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমি ১৩ বছর জাতীয় দলে খেলেছি। আমি কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছি আওয়ামী লীগ ট্যাগের প্যানেলের বিপক্ষে। বাদল রায়, হারুনুর রশিদ, সালাম মুর্শেদী, কাজী নাবিলদের বিপক্ষ প্যানেলে আমি লড়েছি। আমি দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনে (সাফ) চারবার নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছি। যেখানে ভারত, পাকিস্তানের সবাই আছে। ওখানেও আমি জিতেছি। তার মানে আমার ফুটবলের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। তো কারা এরা, যারা আমাকে মারবে, যদি আমি নির্বাচন করি? আমার তো মনে হয় না আমার এটা মানার কোনো কারণ আছে। আমি নির্বাচনে হারতে পারি, সেটা কোনো ব্যাপার না। কিন্তু আমাকে মারবে, এটা কোন ধরনের কথা?’

এ ধরনের হুমকির বিষয় চাইলেই ফিফাকে অবহিত করতে পারেন সালাউদ্দিন। কিন্তু তিনি সেই পথে হাঁটবেন না বলে জানালেন, ‘আমি তো চেষ্টা করব আমার দেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমি দেশকে সাসপেন্ড করে টিকে থাকতে চাইব না। আমি তো নির্বাচন দিয়েই দিয়েছি। ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের তারিখ দিয়েছি। এখন আপনি যদি বদল চান, তাহলে একটাই উপায়, নির্বাচন।’

টানা চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতির পদ সামলাচ্ছেন সালাউদ্দিন। অনেকে বলেন, ফুটবলার হিসেবে কিংবদন্তি হলেও বাফুফে সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তার এক সময়ের সতীর্থরাও দীর্ঘদিন ধরে তাকে ব্যর্থ বলে আসছেন। কিন্তু এরপরও সালাউদ্দিন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার সবচেয়ে শীর্ষ চেয়ারে আছেন বহাল তবিয়তে। এটাও ঠিক যে তিনি বারবারই নির্বাচিত হয়েছেন। যত সমালোচনাই হোক, কাউন্সিলররা নিজেদের ভোটটা ঠিকই তাকে দিয়েছেন। 

অনেকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বাফুফে চেয়ারে থেকে গেছেন সালাউদ্দিন। কিন্তু সালাউদ্দিন এমন ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, ‘জিয়াউর রহমান সাহেবের সরকার কিন্তু আমাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দিয়েছে। এরশাদ সাহেবের সরকার আমাকে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। এরপর বিএনপি সরকার আমাকে দেশের সবচেয়ে বড় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছে। এরপর এল আওয়ামী লীগ সরকার। তারা আমাকে শেখ কামাল আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দিয়েছে। আমি কোনো রাজনীতিও করিনি। কোনো দিন সংসদ সদস্য হওয়ার জন্যও আবেদন করিনি। আমি সাধারণ একজন ফুটবলার।’ এরপর তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘১৩ বছর আমি জাতীয় দলে খেলেছি, জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলাম। এসবের কি কোনো দাম নেই?’ যোগ করেন, ‘আমি একাত্তরে যুদ্ধে গিয়েছি, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে খেলেছি, আমি তো অন্যদের মতো উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সমালোচনাকারী একটি গোষ্ঠীই আছে বলা চলে। সেই সব মহল থেকে নানাভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয় তাকে। কাজী সালাউদ্দিনকে কি এসব কষ্ট দেয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি না দেয় তাহলে তো আমি মানুষ না।’ আর আসছে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি নির্বাচন করতেছি। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখছে নির্বাচন করব।’

রিজওয়ানের কাছে নেতৃত্ব হারাচ্ছেন বাবর!

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
রিজওয়ানের কাছে নেতৃত্ব হারাচ্ছেন বাবর!
ছবি : সংগৃহীত

পুনরায় সাদা বলের নেতৃত্ব পেয়েও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। ফলে আবারও গুঞ্জন উঠেছে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব হারানোর। তার জায়গায় নাম শোনা যাচ্ছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের বরাতে সামনে এসেছে খবরটি।

পিসিবির এক সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, এই বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরের আগেই নতুন অধিনায়ক নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর নতুন অধিনায়ক হওয়ার আলোচনায় এগিয়ে আছেন উইকেটকিপার ব্যাটার রিজওয়ান।

পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ানডে কাপের জন্য ঘোষিত হয়েছে পাঁচ দল। যেখানে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়নি বাবর আজমকে। রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খান, মোহাম্মদ হারিস ও সৌদ শাকিল পেয়েছেন পাঁচ দলের নেতৃত্বাভার। এটিই ইঙ্গিত করে যে জাতীয় দলের নেতৃত্ব আবারও হারাতে যাচ্ছেন তিনি।  

জিও নিউজ জানিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সফরের আগেই হয়তো নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হবে। এই বিষয়ে এরই মধ্যে সাদা বলের হেড কোচ গ্যারি কারস্টেন ও অধিনায়ক জুলাইয়ে বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানা গেছে, বিকল্প হিসেবে রিজওয়ানের নাম আলোচনায় এসেছে। যদি শেষ পর্যন্ত বোর্ড সম্মত হয়, তাহলে তিন ফরম্যাটের জন্যই অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটার।

সিনারের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিটজ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
সিনারের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিটজ
ছবি : সংগৃহীত

ইউএস ওপেনে ছেলেদের এককে ফাইনালে পা রেখেছেন টেলর ফ্রিটজ। ২০০৯ সালের পর গ্র্যান্ড স্লামে ছেলেদের এককে ফাইনালে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ১৫ বছরের অপেক্ষা ঘুচেছে যুক্তরাষ্ট্রের। 

ফ্রান্সিস তিয়াফোকে ফাইনালে ওঠার পথে ৪-৬, ৭-৫, ৪-৬, ৬-৪ ও ৬-১ গেমে হারিয়েছেন ফ্রিটজ। প্রথম সেটে তিয়োফার কাছে হারলেও পরের সেটে পান জয়ের দেখা। তৃতীয় সেটে আরেকবার হারলেও শেষ দুটি টানা জিতে ফাইনালে নাম লেখান ২৬ বছর বয়সী ফ্রিটজ।

সবশেষ ২০০৩ সালে রডিকের ইউএস ওপেন জয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের আরকোনো পুরুষ খেলোয়াড় জিততে পারেনি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। তাই এখন ফ্রিটজের সামনে হাতছানি দিচ্ছে ২১ বছরের আক্ষেপ ও খরা ঘোচানোর। 

তবে কাজটি মোটেও সহজ হবে না ফ্রিটজের জন্য। কেননা, তাকে লড়াই করতে হবে আসরের সবচেয়ে ফেবারিট ও পুরুষদের শীর্ষ বাছাই ইতালির ইয়ানিক সিনারের। 

ফাইনালে উঠে ফ্রিটজ বলেন, ‘নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলাম। জিততে না পারলে সারা জীবন আফসোস করতাম। ফাইনালেও আমি এই ভাবেই খেলতে চাই। নিজের সবটুকু দিয়ে খেলব।’

আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ছেলেদের এককের ফাইনালে মুখোমুখি হবেন তারা।

প্রথম মিনিটে পিছিয়ে পড়েও ফ্রান্সকে হারাল ইতালি

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
প্রথম মিনিটে পিছিয়ে পড়েও ফ্রান্সকে হারাল ইতালি
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১৩ সেকেন্ড। ইতালির জালে বল পাঠিয়ে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিন্তু দারুণ এই শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি তারা। ঘুরে দাঁড়ানো ইতালির কাছে কাতার বিশ্বকাপের রানার্সআপদের হারতে হয়েছে ৩-১ ব্যবধানে।

উয়েফা নেশন্স লিগে ৩-১ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে দীর্ঘ ৭০ বছর পর ফ্রান্সের মাটিতে জিতেছে আজ্জুরিরা।

নেশন্স লিগের প্রথম ম্যাচে ১৩ সেকেন্ডে ব্র্যাডলি বারকোলার গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিন্তু সেই লিড তারা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ফ্রেঞ্চরা। ৩০ মিনিটের মাথায় ইতালিকে সমতায় ফেরান ফেডেরিক ডাইমার্কো। এরপর অবশ্য প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই আর গোলের দেখা পায়নি। 

তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের গোল করতে। ৫০ মিনিটে ব্যবধান ২-১ করেন ইতালির ডেভিড ফ্রাটেসি। এরপর আরও একবার এগিয়ে যায় ইতালি ৭৪ মিনিটে। এবার গোল জিয়াকোমো রাসপেডোরি। 

নেশন্স লিগে একই রাতের অন্য ম্যাচে ইসরায়েলকে ৩–১ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। তবে তুরস্ক ও ওয়েলশের ম্যাচ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। আর অস্ট্রিয়া ১–১ গোলে ড্র করেছে স্লোভিয়ার সঙ্গে।

চোটে বছর শেষ উডের

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
চোটে বছর শেষ উডের
ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ের সময় টান লাগে ঊরুতে। সতর্কতাবশত পরের দুই টেস্টের দলে রাখা হয়নি তাকে। এবার জানা গেল এই বছর আর মাঠে নামা হচ্ছে না তার। তবে সেটা ঊরুর চোটে নয়, কনুইয়ের গুরুতর চোটে।

নিয়মিত চেকআপে ধর পড়েছে তার কনুইয়ের চোত। আর তাতেই এই বছরের বাকি অংশ মাঠের থাকার খবরটিও নিশ্চিত হয়ে গেল।

ফলে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সফরে ৬টি টেস্টে খেলা হবে না এই পেসারের। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩টি ওয়ানডে ও ৫ টি-টোয়েন্টি খেলবে ইংল্যান্ড। সবগুলো ম্যাচই মিস করবেন উড।

ঊরুর চোট  থেকে সেরে উঠলেও কনুইয়ের চোটে ছিটকে পড়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উড লিখেছেন, ‘কনুইয়ে আগে থেকে যন্ত্রণা ছিল, ভেবেছিলাম এটি রুটিন চেকআপ। আমার ডান কনুইয়ে খানিকটা হাড়ের চোট আছে, এটা জেনে আশ্চর্য হলাম।’

উডের বদলি হিসেবে লর্ডস টেস্টে খেলেন ওলি স্টোন। কেনিটংটন ওভালে শেষ টেস্ট অভিষেক হয়েছে ২০ বছর বয়সী জশ হালের।

৭ দেশের বিপক্ষে ৭ সেঞ্চুরির রেকর্ড পোপের

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
৭ দেশের বিপক্ষে ৭ সেঞ্চুরির রেকর্ড পোপের
ছবি : সংগৃহীত

অধিনায়ক হিসেবে পাচ্ছিলেন না রানের দেখা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টে ওলি পোপের ব্যাটে চলা রান খরা থেমেছে তৃতীয় টেস্টে এসে। তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে করলেন সেঞ্চুরি। তার শতকে প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান।

বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৪৪.১ ওভার। বেন ডাকেটের ব্যাটে এসেছে ৮৬ রান। দ্বিতীয় দিনে পোপের সঙ্গে ৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবেন হ্যারি ব্রুক।

টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন পোপ। তার শতকটি এসেছে ১০২ বলে। আর ইংল্যান্ডের অধিনায়কদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি গ্রাহাম গুচের দখলে।

ভারতের বিপক্ষে ১৯৯০ সালে লর্ডসে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গুচ। পোপের এই শতকটি আবার সবমিলিয়ে সপ্তম। লাল বলের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের ৭ সেঞ্চুরি ৭টি দেশের বিপক্ষে করেছেন পোপ।