মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
দিনভর গুঞ্জন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দেশের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এই সংস্করণে আর দেখা যাবে না সাইলেন্ট কিলারকে।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখন খেলবেন শুধুমাত্র ওয়ানডে সংস্করণে। এর আগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্ট শেষে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। সেবার খানিকটা নাটকীয়তার জন্ম দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওই ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও সতীর্থরা তাকে দেন গার্ড অব অনার। তাতেই বোঝা গিয়েছিল টেস্ট থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি।
টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে কোনো নাটকের জন্ম দেননি রিয়াদ। দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। সেখানে জানান, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এই সংস্করণে আর খেলবেন না। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখন শুধুমাত্র ওয়ানডে খেলবেন।
নিজের বিদায়ী বার্তায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি এই সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।’
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জার্সিতে খেলেছেন ১৩৯ টি-টোয়েন্টি। এই সময়ে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেট ও ২৩.৪৮ গড়ে করেছেন ২৩৯৫ রান। বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৩৯ ম্যাচ খেলা রিয়াদ সবচেয়ে বেশিবার লাল-সবুজ জার্সিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ৪৩ বার টস করতে নেমেছেন রিয়াদ। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে সবচেয়ে বেশি ১৬ ম্যাচে। তার এই রেকর্ডের অংশীদার সাকিব আল হাসান।