ঢাকা ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১০ এএম
আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ
ছবি : সংগৃহীত
ওই অভ্র-ভেদী তোমার ধ্বজা
উড়ল আকাশ-পথে।
মা গো তোমার রথ-আনা ওই
রক্ত-সেনার রথে।।
ললাট-ভরা জয়ের টিকা
অঙ্গে নাচে অগ্নিশিখা- 
 
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিষের বাঁশি’ কাব্যগ্রন্থে  ‘বিজয় গান’ কবিতাটি  যেন নতুন করে ফিরে এসেছে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের ইতিহাস সৃষ্টিকারী টেস্ট সিরিজ জয়ের মাধ্যমে। যে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের একটি জয়ও ছিল না আগে, সেখানে পক্ষকালের মাঝে দু-দুটি জয়। তাও আবার ক্রিকেটের বনেদি আসর টেস্টে। প্রথম টেস্ট ১০ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টে জয় এসেছে ৬ উইকেটে। টানা দুই জয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে চূড়া থেকে চূড়ায়। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে করেছে ‘বাংলাওয়াশ’। যা ছিল বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা অর্জন। খেলা পঞ্চম দিন গড়ালেও পাকিস্তানকে হারিয়েছে তিন দিন ও এক সেশনের মতো। প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে একটি বলও খেলা হয়নি। চতুর্থ দিন চা-বিরতির পর মাত্র এক ওভার খেলা হয়েছিল। পঞ্চম দিন সময় নিয়েছে দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত।।  
 
এর আগে বিদেশের মাটিতে দুই টেস্টে সিরিজে বাংলাদেশ একমাত্র ওয়েস্ট  ইন্ডিজকেই হোয়াইটওয়াশ করেছিল ২০০৯ সালে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দলটি ছিল দ্বিতীয় সারির। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দলের মূল ক্রিকেটারদের আর্থিক বিষয় নিয়ে দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে  সিরিজ ‘বয়কট’ করেছিলেন। সুযোগ লুফে নিয়ে কাজে লাগিয়ে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ স্বাগতিকদের করেছিল হোয়াইটওয়াশ। সেখানে পাকিস্তান ছিল পূর্ণ শক্তির দল। এমন একটি দলের বিপক্ষে নিজেদের ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা অর্জনের পথে পাকিস্তানকে ডুবিয়েছে লজ্জায়। পাকিস্তান তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে ঘরের মাঠে এর আগে একবারই এভাবে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ২০২২ সালে  ইংল্যান্ডের কাছে তিন টেস্টের সিরিজে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ হোয়াইটওয়াশ।  বাংলাদেশ এর আগে দুবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে, একবার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। 
 
পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো জয় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধে। হৃদয়ের অনুভূতিতে দেয় অন্য রকম দোলা। এবার সেই অনুভূতির সঙ্গে ছিল দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিও। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ এখনো স্থিতিশীল হতে পারেনি। তারপর সেখানে আবার দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট জয়, সেখানে কিছু্টা হলেও সুখের আবহ সৃষ্টি  করেছিল। এবার ‘বাংলাওয়াশ’ করায় সুখের সাগরে বাড়তি ঢেউ তৈরি করেছে। দেশের আপামর জনতার পাশাপাশি ছুঁয়ে গেছে দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও। দেশ থেকে ফোন করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে জানিয়েছেন অভিনন্দন। দেশে ফিরে আসার পর সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন টেলিফোনে। 
 
দেশবাসী সবাই যে সাফল্যের স্রোতে ভাসছেন, সেখানে বাংলাদেশের এই জয় কিন্তু সহজ ছিল না; ছিল কণ্টকাকীর্ণ। দিতে হয়েছে উত্তাল সাগর পাড়ি। এই টেস্ট জয়ের পথে  ছিল না বাংলাদেশ। বলা যায় পথ হারিয়ে ফেলেছিল প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে যখন নিজেরা ৬ উইকেট হারিয়েছিল ২৬ রানে! এ রকম পরিস্থিতিতে অতীতে দেখা গেছে বাংলাদেশ হয় ড্র করছে, নতুবা হেরেছে। এবার সেখনেব ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে দলগত সাফল্যে। লিটন দাসের ১৩৮ আর মিরাজের ৭৮ রানে বাংলাদেশ দল যে ঘুরে দাঁড়ানোর গান গাইতে শুরু করেছিল, তা শেষ পর্যন্ত জয়ে রূপান্তর করে ছেড়েছে। 
 
বাংলাদেশের এই জয়ের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিনই, যখন পাকিস্তানকে ১৭২ রানে অলআউট করে ১৮৫ রানের টার্গেট পেয়েছিল জেতার জন্য। বিনা উইকেটে ৪২ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। জয় বিলম্বিত হলেও শঙ্কা দেখা দিয়েছিল ব্রজসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায়। পঞ্চম দিন সকালে রাওয়ালপিন্ডির সোনাঝরা রোদ ঝলমল আকাশের দেখা মিললে বাংলাদেশের জয়ের সূর্য উঁকি দিতে থাকে। ১৮৫ রান পাড়ি দিতে গিয়ে ছিল না কারও হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। তবে হাফ সেঞ্চুরির জুটি ছিল দুটি। জাকির-সাদমানের উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ ও নাজমুল-মুমিনুলের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭। মোট কথা, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে জয় এসেছে সহজেই।
 
আগের দিনের জাকির-সাদমানের অপরাজিত জুটি দিনের শুরুতে খুব বেশি দূর যেতে না পারলেও তাদের ৫৮ রানের জুটি  সহজ জয়ের  ভিতই  গড়ে দিয়েছিল। ৪০ রান করে জাকির আউট হওয়ার  পর সাদমানও ফিরে যান ১২ রান পর ব্যক্তিগত ২৪ রানে। এরপর  কাপ্তান নাজমুল-মুমিনুলের ৫৭ রানের জুটি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের  বড় জয়।  প্রথমে  নাজমুল (৩৮), পরে মুমিনুল (৩৪)  আউট হলে জয়ের বাকি কাজ সারেন দলের সবচেয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম (২২*) ও সাকিব আল হাসান (২১*)। দুজনে  ৩২ রান সংগ্রহ করে দলকে জয়ী করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন বীরের বেশে। আবরার আহমেদের বলে কভার দিয়ে সাকিবের বিদ্যুৎ গতির শট বাউন্ডারি লাইন পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্যাম্পের মাইক্রোফোনে শোনা যায় বাঘের গর্জন। এই গর্জন ছিল মুশফিকের। সাকিব ছিলেন স্বাভাবিক। কিন্তু ড্রেসিং রুমের ব্যালকনিতে তখন গোটা বাংলাদেশ দল। নাজমুল দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে করছেন উচ্ছ্বাস। মিরাজ-লিটন মুখোমুখি হয়ে দেখাচ্ছেন বাঘের গর্জন। মুমিনুল-সৈয়দ খালেদরা করছেন করমর্দন। কোলাকুলি করছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরু সিংহের সঙ্গে ক্রিকেটাররা। তাদের এই উচ্ছ্বাসের ফল্গুধারা প্রবাহিত হয়ে তখন রাওয়ালিপিন্ডি স্টেডিয়ামে লাল-সবুজের পতাকা হাতে উপস্থিত গুটি কয়েক বাঙালির মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানি নাগরিকরা স্লোগান দিচ্ছেন জিতেগারে জিতেগা। জবাব আসছে বাংলাদেশ জিতেগা। রাওয়ালপিন্ডির সেই রেশ তখন ইথারে  ভেসে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার জমিনে।

টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন মাহমুদউল্লাহ
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

দিনভর গুঞ্জন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দেশের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এই সংস্করণে আর দেখা যাবে না সাইলেন্ট কিলারকে। 

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখন খেলবেন শুধুমাত্র ওয়ানডে সংস্করণে। এর আগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্ট শেষে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। সেবার খানিকটা নাটকীয়তার জন্ম দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওই ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও সতীর্থরা তাকে দেন গার্ড অব অনার। তাতেই বোঝা গিয়েছিল টেস্ট থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি।

টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে কোনো নাটকের জন্ম দেননি রিয়াদ। দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। সেখানে জানান, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এই সংস্করণে আর খেলবেন না। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখন শুধুমাত্র ওয়ানডে খেলবেন।

নিজের বিদায়ী বার্তায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি এই সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।’

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জার্সিতে খেলেছেন ১৩৯ টি-টোয়েন্টি। এই সময়ে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেট ও ২৩.৪৮ গড়ে করেছেন ২৩৯৫ রান। বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৩৯ ম্যাচ খেলা রিয়াদ সবচেয়ে বেশিবার লাল-সবুজ জার্সিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ৪৩ বার টস করতে নেমেছেন রিয়াদ। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে সবচেয়ে বেশি ১৬ ম্যাচে। তার এই রেকর্ডের অংশীদার সাকিব আল হাসান।

অবসরের পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডুমিনি!

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
অবসরের পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডুমিনি!
ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১৯ সালে। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন জেপি ডুমিনি। তবে তাকে আবারও ফিরতে হলো মাঠের ক্রিকেটে। পাঁচ বছর পর এক বিশেষ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিল্ডিং করেছেন। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আবুধাবিতে আইরিশদের ব্যাটিং ইনিংসের শেষদিকে ফিল্ডিং করতে নামেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ।

মূলত মরুভূমির প্রচন্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েন প্রোটিয়ার অনেক ক্রিকেটার। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকল্প ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমে পড়েন কোচ ডুমিনি নিজেই।

কোচিং স্টাফদের কেউ মাঠে নেমে আসা ফিল্ডিং করার জন্য নতুনকিছুই নয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে এমন অনেকজনকেই দেখা গেছে ফিল্ডিং করার জন্য মাঠে নামতে। 

 

ইনিয়েস্তাকে নিয়ে মেসির আবেগঘন বার্তা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
ইনিয়েস্তাকে নিয়ে মেসির আবেগঘন বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে ২২ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের অবসান ঘটালেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তাকে নিয়ে এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন তারই সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসি।

২০১০ বিশ্বকাপে ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১১৬ মিনিটে গোল করে দলকে করেছিলেন চ্যাম্পিয়ন। ২০১৮ সালে সেই ইনিয়েস্তা আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার পর ২০২৪ সালে এসে ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ করলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস ক্লাবের হয়ে। 

সাবেক বার্সা সতীর্থ ইনিয়েস্তাকে নিয়ে ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে দেওয়া এক আবেগঘন বার্তায় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মেসি লিখেন, ‘আমি যার সঙ্গ সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি, আমার সবচেয়ে জাদুকরী সতীর্থদের একজন- ফুটবল তোমাকে মিস করবে। এবং আমরাও তোমাকে মিস করব। আমি সর্বদা তোমার মঙ্গল কামনা করি। তুমি একজন ফেনোমেনন।’

মাত্র ১২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে বার্সেলোনা একাডেমিতে যোগ দেওয়া ইনিয়েস্তা ক্লাবের বি দলের হয়ে খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ। এরপর মূল দলে অভিষেক হলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে। 

বার্সেলোনার হয়ে ৬৭৪ ম্যাচ খেলে জিতেছেন ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৯টি লা লিগা, ৬টি কোপা দেল রেসহ মোট ৩২টি শিরোপা। স্পেন জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরো কাপ । 

মুলতানের পিচকে দুষলেন পিটারসেন-ভন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
মুলতানের পিচকে দুষলেন পিটারসেন-ভন
ছবি : সংগৃহীত

মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আগে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করেছে পাকিস্তান। স্বাগতিক ব্যাটারদের সামনে খুব একটা পাত্তা পায়নি ইংলিশ বোলাররা। সেঞ্চুরি করেছেন আব্দুল্লাহ শফিক ও অধিনায়ক শান মাসুদ। প্রথম দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেটে ৩০০ পার করে পাকিস্তান।

প্রথম দিনেই পাকিস্তানের এমন ব্যাটিংয়ে পিছিয়ে পড়েছে ইল্যান্ড। এই পিছিয়ে পড়ার জন্য মুলতানের পিচকে দায়ি করছেন ইংল্যান্ডের দুই সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন ও মাইকেল ভন।

মুলতানের উইকেটে প্রথম দিন পাকিস্তানের ব্যাটাররা দারুণ পারফরম্যান্স করার পর ‘এক্সে’ কেভিন পিটারসেন লিখেন, ‘মুলতানের এই উইকেট বোলারদের জন্য বধ্যভূমি।’
মাইকেল ভন মুলতানের উইকেট নিয়ে বলেছেন, ‘মুলতানের উইকেটকে মনে হচ্ছে সড়ক। এখানে টস জিততে পারা দারুণ…।’

প্রথম দিন ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান সংগ্রহ করা পাকিস্তান দ্বিতীয় দিন এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করেছে ৫ উইকেটে ৩৯৩ রান।

আয়ারল্যান্ডের কাছেও হার দক্ষিণ আফ্রিকার

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
আয়ারল্যান্ডের কাছেও হার দক্ষিণ আফ্রিকার
ছবি : সংগৃহীত

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে হেরে আরব আমিরাত সফর শেষ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। আইরশদের কাছে ৬৯ রানে হারলেও সিরিজ জিতেছে তারা ২-১ ব্যবধানে। একই ব্যবধানে আবার আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছিল প্রোটিয়ারা।

সোমবার (৮ অক্টোবর) জায়েদ ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৪ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক পল স্টার্লিং করেন সর্বোচ্চ ৮৮ রান। তার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান যোগ করা অ্যান্ড্রু ব্রালবার্নি করেন ৪৫ রান। 

ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে ৬০ রান করেন হ্যারি টেক্টর। কার্টিফ ক্যাম্ফারের ব্যাটে আসে ৩৪ আর লোরকান টাকার করেন ২৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে ৫৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন লিজার্ড উইলিয়ামস। এছাড়া ওটনিয়েল বার্টম্যান আর আন্দিলে ফেলুকায়ো নেন ২টি করে।

রান তাড়া করতে নেমে ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। রায়ান রিকেলয়টন, রেজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডুসেন করেন যথাক্রমে ৪, ১, ৩ রান। 

৪৯ রানের জুটি গড়েন চতুর্থ উইকেটে কাইল ভারানে এবং ট্রিস্টান স্টাবস। যা কিনা তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ। একপ্রান্ত আগলে রাখা জেসন স্মিথ সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন ৯ রানের জন্য। তার ৯১ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার এবং ৪টি ছক্কার মার। তার আউটে নবম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। 

দক্ষিণ আফ্রিকার কেউই আর করতে পারেননি অর্ধশতক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন কাইল ভারানে। দুই অংক ছুঁতে পারেননি ছয়জন ব্যাটার। ৪৬.১ ওভারে মাত্র ২১৫ রানে অল-আউট হয় প্রোটিয়ারা। ৩টি করে উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়ং আর গ্রাহাম হিউম।