ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

ওস্তাদ ফজলু: এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
ওস্তাদ ফজলু: এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
ছবি : সংগৃহীত

ক্যারিয়ারে তখন ফর্মের চূড়ায় তিনি। প্রথম বিভাগ হকি লিগে সদ্যই শিরোপা জিতেছেন সাধারণ বিমার হয়ে। ১৯৮৪ সালে মালয়েশিয়ায় জুনিয়র বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন, সেটি প্রায় চূড়ান্ত। কিন্তু নিমিষেই কি থেকে কি হয়ে গেল। চোখে মারাত্মক এক আঘাত পেলেন। জুনিয়র জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পের চৌকাঠেই ফজলুল হকের স্বপ্নের মৃত্যু! আসলেই কি তাই? আরেক স্বপ্নের শুরু হলো তো সেখানেই। নিজের না পারার দুঃখ ঘোচাতে পুরান ঢাকার তরুণ নেমে পড়লেন খেলোয়াড় তৈরির সংগ্রামে। যেখানে আলোর ফেরিওলা হয়ে ফজলুল হক থেকে হয়ে উঠলেন- ‘ওস্তাদ ফজলু’।

দেশের হকির সুপারস্টার রফিকুল ইসলাম কালাম, মাকসুদ আলম হাবুল, রাসেল মাহমুদ জিমি থেকে হালের নাঈম-আরশাদরা ওঠে এলো তার ধরেই।
আশির দশকে যে স্বপ্নের শুরু, তা চলছিল অবিরাম। ৫০ পেরিয়েও ওস্তাদ ফজলুর কোনো ক্লান্তি ছিল না। কিন্তু আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হঠাৎই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি। হকির নিবেদিত প্রাণ এই ক্রীড়া সংগঠককে হারিয়ে কাঁদছে পুরো ক্রীড়াঙ্গনই।

পুরান ঢাকার আরমানিটোলা হাই স্কুল প্রাঙ্গণে প্রতিদিন নিয়ম করে বাচ্চাদের হকি শেখাতেন ওস্তাদ ফজলু। সাহেব বাজারের নাবালক মিয়া লেনের এই বাসিন্দা বাড়ি বাড়ি থেকে বাচ্চাদের ধরে এনে হকি স্ট্রিক হাতে তুলে দিতেন। এরপর তাদের হকির প্রাথমিক পাঠ দেওয়া তো বটেই, খেলাটার প্রতি বুনে দিতেন ভালোবাসার বীজ। 

তার হাতে হকি শিখে নিয়মিত বিকেএসপি, জাতীয় দলের দরজা খুলেছে অসংখ্য খেলোয়াড়। কত জনের জীবন চাকাও যে ঘুরে গেছে।

এক সময় পথে পথে চা বিক্রি করে কাটানো বাচ্চু গাজী ও সোহাগ গাজীকে ধরে এনে হকি শিখিয়েছেন। সেই দুই ভাই এরপর খেলোয়াড় কোটায় চাকরি পেয়ে যান বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে।

দ্বিতীয় শ্রেণির বাচ্চাদের নিয়ে কাজ শুরু করতেন ওস্তাদ ফজলু। বেশিরভাগ গরীব ঘরের ছেলেরাই আসতেন হকি খেলতে। ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। কিন্তু অধিকাংশেরই স্ট্রিক-বুটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার সাধ্য থাকে না। সে দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিতেন তিনি। সাহেব বাজারের পুরোনো জিনিস পত্রের দোকান থেকে সংগ্রহ করতেন বুট সহ অন্যান্য সরঞ্জাম।

কোনো দিন কোন শিষ্যের কাছ থেকে পারিশ্রমিক নেননি। সেই আশাও করেননি কখনো। হকি শেখানো যে ফললুল হকের কাছে ইবাদত তুল্য। 

বাচ্চাদের শেখানোর সময় বলতেন, ‘আকাশের সবচেয়ে বড় তারাটা হতে হবে তোকে।’ সেই বাচ্চারা যখন সাফল্যের শেখরে পৌঁছান, ওস্তাদ ফজলুর মন তখন প্রশান্তিতে ভরে যেত। তৃপ্তি নিয়ে ‘ওস্তাদ ফজলু’ বলতেন, ‘আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারিনি। কিন্তু আমার হাতে গড়া অনেক শিষ্য জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করছে আজ।’

জাতীয় দলে কখনো খেলা না হলেও ঘরোয়া হকিতে ‘ওস্তাদ ফজলু’ খেলেছেন ২০০৫ সাল পর্যন্ত। ‘হকির টাইগার’ খ্যাত আব্দুর রাজ্জাক সোনা মিয়ার হাত ধরে ১৯৭৭-৭৮ সালে প্রথম বিভাগ দিয়ে শুরু হয়েছিল তার যাত্রা। নিজের ‘ওস্তাদ ফজলু’ হয়ে ওঠার পেছনে সোনা মিয়াকেই কৃতিত্ব দিতেন তিনি। বিশ্বাস করতেন, গুরুকে ভক্তি করেছেন বলেই আজ নিজে সম্মান পাচ্ছেন, সাফল্য হচ্ছেন কাজে।

চার ভাই-এক বোনের মধ্যে খেলার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ছিলেন একমাত্র তিনিই। হকি নিয়ে পড়ে থেকে বিয়ের কথাও ভুলে গিয়েছিলেন। খেলা ছাড়ারও ৫ বছর পর বিয়ে করেন। স্ত্রী সালমা ইসলাম ও তার সংসারে এক কন্যা- নাদিয়া ইসলাম।

হকির জাগরণের স্বপ্ন বুকে ধারণ করে নিভৃতেই কাজ করে যাচ্ছিলেন ফজলুল হক ওরফে ‘ওস্তাদ ফজলু’। সব সময় বলতেন, ‘স্বপ্ন দেখি দেশের হকিটা চূড়ায় চলে যাক। জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি করব এই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের হকি একদিন একটা পর্যায়ে যাবেই ইনশা আল্লাহ।’

কিন্তু হকির সুদিন আর দেখা হলো তার। ‘ওস্তাদ ফজলু’ চলে গেলেন অকালেই। তবে এদেশের হকি যতদিন থাকবে, একজন ‘ওস্তাদ ফজলু’ অমর হয়েই থেকে যাবেন।

গোয়ালিয়রে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
গোয়ালিয়রে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন
ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবীরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। সেই ম্যাচকে ঘিরে আছে হামলার হুমকিও। এসবের মাঝেই ম্যাচটি ঠিকভাবে শেষ করার জন্য ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে গোয়ালিয়রে।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ দলকে ভারতে খেলার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করতেই হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এমন হুমকির পর থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

এই ম্যাচকে সামনে রেখে ম্যাচ ভেন্যু গোয়ালিয়রের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আগামী সোমবার পর্যন্ত সকল ধরনের বিক্ষোভ মিছিল এবং উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে দর্শক ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হবে ২ হাজার ৫০০’র বেশি পুলিশ।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের দিন পুলিশ সদস্যরা বেলা ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চোখ রাখছি।’

সাকিবকে নিয়েই বিপিএল খেলতে চায় রংপুর

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
সাকিবকে নিয়েই বিপিএল খেলতে চায় রংপুর
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরকে সামনে রেখে আজ বিসিবি কার্যালয়ে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। ওই বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তামিম। সেখানে তিনি জানান, বিপিএলে সাকিবের উপস্থিতি থাকুক।

বিপিএলের প্রতি আসরের আগেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে থাকে আলোচনা। কোন ফ্রাঞ্চাইজি তাকে নিজেদের দলে নিচ্ছে এটাই থাকে আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কোন ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলবেন তার চেয়ে বেশি আলোচনায় তাকে বিপিএলে পাওয়া যাবে কি না।

মূলত গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিবকে নিয়ে এই শঙ্কার তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হওয়ায় তার দেশে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ফলে ফ্রাঞ্চাইজির চেয়ে বেশি আলোচনায় সাকিব খেলবেন কি না। তার খেলার নিশ্চয়তা পেলে সাকিবকে নিয়ে ভাববে রংপুর রাইডার্স। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তামিম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়, এটা নিয়ে তো কোন সন্দেহ নেই। তবে বিপিএলে খেলবে কি খেলবে না সেটা তো আমার হাতে নেই। এটা নির্ভর করবে যে সে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে খেলছে কি খেলছে না। সাউথ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে আসলে তাহলে হয়তো একটা রাস্তা বের হবে। আমরা বুঝতে পারব, পরিষ্কার ধারণা পাব। যে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে আসতে পেরেছে তাহলে পরে আসার সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। এখন পুরোটাই সাকিবের ওপর নির্ভর করছে, আমরা তো চাইছি রাখতে। কিন্তু পুরোটাই সাকিবের ওপর নির্ভর করবে।’

এই দিকে রংপুর রাইডার্স ফ্রাঞ্চাইজি সাকিবের ক্রিকেটার পরিচয়কেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে জানিয়ে শাহনিয়ান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাই সাকিবকে ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। রাজনীতিবিদ হিসেবেও চিনি না বা ব্যক্তিগত জীবনে কী করেন বা কী ব্যবসা করেন এটা আমার আইডিয়া নাই। ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটার সাকিবের যদি কোনো খুত দেখতে চাই, এটা সম্ভব না। ক্রিকেটের ম্যানেজম্যান্ট বলেন, ফ্যান বলেন আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের কোনো মানুষ নেই যে চায় না, সাকিব বিপিএল খেলুক। এটা আমরাও চাই। আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক, অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক, বিপিএলের জন্য হোক, বাংলাদেশের জন্য হোক; সাকিব আল হাসান সবসময় সম্পদ।’

নিয়াজের রেকর্ড ভেঙে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার নীড়

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
নিয়াজের রেকর্ড ভেঙে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার নীড়
ছবি : সংগৃহীত

ফিদে মাস্টার থেকে আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব অর্জন করেছেন দাবাড়ু মনন রেজা নীড়। বাংলাদেশের দাবাড়ুদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে এই কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। ১৪ বছর ৩ মাস বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছেন নীড়। এর আগে ১৫ বছর ৫ মাস বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছিলেন দেশের দাবার কিংবদন্তি নিয়াজ মোর্শেদ।

বর্তমানে দেশের জাতীয় চ্যাম্পিয়নও নীড়। এখন তিনি হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে চলমান গ্র্যান্ডমাস্টার 'এ' প্রতিযোগিতায় খেলছেন। 

গতকাল শুক্রবার রাতে নয় রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতার আট রাউন্ড শেষে ৬ পয়েন্ট অর্জন করেছেন নীড়। অষ্টম রাউন্ডে ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার সাম্বিত পান্ডাকে হারিয়েছেন তিনি। 

এর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টারের তৃতীয় নর্ম পান তিনি। সেই সঙ্গে তার রেটিং দাঁড়িয়েছে ২৪১৯।

নীড়কে নিয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাস্টারের সংখ্যা এখন ৫ জনে। অন্যরা হলেন- জিল্লুর রহমান, আবু সুফিয়ান, মিনহাজ উদ্দিন ও ফাহাদ রহমান। 
ফাহাদ ইতোমধ্যে একটি জিএম নর্ম পেয়েছেন। তিনিও হাঙ্গেরির এই প্রতিযোগিতায় খেলছেন। 

নীড়ের জিএমন নর্ম পাওয়ারও সুযোগ আছে এই প্রতিযোগিতায়। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলে তিনটি জিএম নর্মের প্রথমটি অর্জন করবেন তিনি।

সাকিবের শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে চান হৃদয়

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
সাকিবের শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে চান হৃদয়
ছবি- সংগ্রহীত

কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। অবসর ঘোষণার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফেরত আসার দরজাও খোলা রেখেছেন হৃদয়। ফেরার সুযোগ রাখা সাকিবের ফেরত আসার সম্ভাবনা একদম ক্ষীণই বলা যায়। ফলে সাকিবকে ছাড়াই এখন এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। সেই মিশন শুরু হবে আগামীকাল গোয়ালিয়রে আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়।

সাকিব না থাকায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে একটা বাড়তি অপশন কম পাবে বাংলাদেশ। তবে আপাতত সাকিবকে ছাড়াই এগিয়ে যাওয়া লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের থাকবে বাড়তি চাপ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাওহিদ হৃদয় এ নিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ সব সময়ই থাকে। যদি সেটা মাথায় থাকে তাহলে তো পারফর্ম করা যাবে না। আমাদের প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে, ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আর সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই আমরা সাকিব ভাইকে মিস করব। কিন্তু এখান থেকে (জাতীয় দল) একদিন না একদিন সবাইকে যেতেই হবে। আশা করি, আমরা সাকিব ভাইয়ের শূন্যতা ভালোভাবে পূরণ করব।’

এ ছাড়া সিরিজে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন তাওহিদ হৃদয়। তার কথায়, ‘এখানে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে পারফর্ম করার। আমরা অবশ্যই জিততে চাইব। এটাই, আর কিছু নয়।’ পাশাপাশি উইকেট নিয়ে বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের কিছু ম্যাচও হয়েছে এখানে। মনে হচ্ছে উইকেটটা মন্থরই হবে। আমরা আমাদের মতো খেলার চেষ্টা করব।’

আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ত্রিস্টান স্টাবসের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩৪৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার এই বিশাল সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদানটা স্টাবসের। ৮১ বলে খেলেন ১১২ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ইনিংসে এসে হাঁকালেন নিজ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

কাইল ভারানের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ বলে ৬৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। উইয়ান মালদার খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। ৩৯ বলে ৪০ রান করেন ওপেনার রায়ান রিকেলটন।

রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন টেম্বা বাভুমা। রাসি ফন ডার ডুসেনের ব্যাটেও আসে ৩৫ রান। ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রয়াসে দক্ষিণ আফ্রিকার পুঁজি দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৪৩ রান।

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের কেউই পারেনি সুবিধা করতে। কেউই স্পর্শ করতে পারেনি ৩০ রান। ১১৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসার পর দশোম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন ইয়ং ও গ্রাহাম হুমে। এটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি দশম উইকেটে। ৩১তম ওভারে হুমে আউট হলে ১৬৯ রানে শেষ হয় আইরিশদের ইনিংস।

সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ১১ নম্বরে নামা ব্যাটার ক্রেইগ ইয়ং। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন লিজার্ড উইলিয়ামস। ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি ও জর্ন ফরটুইন।