ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বিসিবির সুবিধা নেওয়া দেবব্রত এখন বিপ্লবী

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ এএম
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
বিসিবির সুবিধা নেওয়া দেবব্রত এখন বিপ্লবী
ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় আওয়ামী লীগ হঠাও অভিযান। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং মতাদর্শের ব্যক্তিদের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এই দাবি নিয়ে কোথায়ও হাজির হয়েছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা, কোথায়ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মরতরা। আবার কোথায়ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বাদ যায়নি ক্রীড়াঙ্গনও। ক্রীড়াঙ্গনে এই চাওয়া ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতিদ্বয়ের পদত্যাগ।

নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করলেও আন্দোলনকারীদের চাওয়া ছিল সভাপতির পাশাপাশি বিসিবির পরিচালকদেরও পদত্যাগ। ২৫ সদস্যের পরিচালনা পরিষদের অর্ধেকেরও বেশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় তারাও বিসিবিতে আসা বন্ধ করে দেন। যে কারণে আন্দোলনকারীরা দাবি তুলেছিলেন যেহেতু আইসিসির বিধি-নিষেধের কারণে জোর করে পদত্যাগ করানো যাবে না, তাই যারা অবশিষ্ট আছেন, তারা নিজ থেকে পদত্যাগ করলে পরিচালনা পরিষদ ভেঙে যাবে। তারপর সেখানে নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের মাঝে অন্যতম ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেটার ওয়েলফোয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। ছাত্র জীবনে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার এই বিপ্লবী চরিত্র অনেককেই অবাক করে। কারণ তিনি নাজমুল হাসান পাপন সভাপতি থাকাকালীন বিসিবি থেকে লাখ লাখ টাকার সুবিধা নিয়েছেন। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা অফিসে উপ-পরিচালক পদে চতুর্থ গ্রেডের বেতন স্কেলে স্থায়ী চাকরি করলেও বিসিবিতে মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতনে ম্যাচ রেফারি কো-অর্ডিনেটর পদে চুক্তিভিত্তিক চাকরিও করেছেন। পরে তার বেতন বেড়ে হয়েছিল ৬০ হাজার টাকা।

নাজমুল হাসান পাপন সভাপতি থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক সখ্যের কারণে নাজমুল হাসান পাপন সেই ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিসিবিতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। নাজমুল হাসান পাপনের আগে সভাপতি ছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। সে সময় বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেবব্রত পাল খুবই সোচ্চার ছিলেন। এজিএমে তিনি একাই অর্ডিয়েন্স গরম করে তুলতেন। কিন্তু নাজমুল হাসান পাপনের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেবব্রত পাল ছিলেন নীরব দর্শক। তার এ রকম নীরব থাকার কারণ বিসিবি থেকে পাওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। যেখানে তিনি শুধু চুক্তিভিত্তিক চাকরিই করতেন না, ম্যাচ রেফারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে লাখ লাখ টাকার সুবিধা নিয়েছেন। নাজমুল হাসান পাপনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করলে দেবব্রত পাল এসব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন। তাই তিনি নীরব হয়ে যান। তার নীরবতা এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদস্বরূপ লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার সুজন মাহমুদ ৪ বলে ৯২ রান দিয়েছিলেন। এই কারণে বিসিবি সুজন মাহমুদকে ১০ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল। কিন্তু কোয়াবের সাধারণ সম্পাদব হওয়ার পর এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করেননি দেবব্রত পাল। 

প্রশ্ন আসতে পারে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার পরও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিসিবিতে দেবব্রত পাল কীভাবে এত সুযোগ-সুবিধা পেলেন? তাকে আসলে এই সুযোগ করে দিয়েছিলেন সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক কোয়াবেরও সভাপতি। সেই হিসেবে দেবব্রত পাল দুর্জয়ের খুবই ঘনিষ্ঠজন হয়ে ওঠেন। আর দুর্জয়ও তাকে বিসিবি থেকে এইসব সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিতে সহায়তা করেন। যা বাস্তবায়ন করেন নাজমুল হাসান পাপনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ক্ষমতাধর পরিচালক ডা. ইসমাইল হায়দার মল্লিক। বিসিবিতে ইসমাইল হায়দার মল্লিক এতটাই ক্ষমতাধর ছিলেন যে তিনি যা বলতেন নাজমুল হাসান পাপনও তাই শুনতেন। 

দেবব্রত পাল ম্যাচ রেফারি হিসেবে বিপিএলে ১৮টি, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৩৪টি, এনসিএলে ৪ দিনের ম্যাচ ১টি, এক দিনের ম্যাচ ৯টি, বিসিএলে ৪ দিনের ম্যাচ ২টি, ১ দিনের ম্যাচ ৩টি, প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে ৪টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের ৩টি এক দিনের, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা এইচপি দলের ১টি ৪ দিনের ম্যাচ, বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১টি ৪ দিনের ম্যাচ, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১টি ১ দিনের ম্যাচেও তিনি ছিলেন ম্যাচ রেফারি। এসব ম্যাচের ম্যাচ ফি ছিল সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা। সর্বনিম্ন ৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া ছিল টিএ-ডিএ। বিপিএলে ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে ডিএ ছিল আড়াই হাজার টাকা করে। বিপিএলে প্রতিদিন পেতেন ৫০ ডলার করে। ডিএ ছাড়াও ঢাকার বাইরে ম্যাচ হলে উন্নতমানের আবাসিক হোটেল ও বিমানে যাতায়াত করতেন। আর্থিক এসব সুযোগ-সুবিধা বর্তমান হিসেবের। আগে আর কম ছিল। ক্রমান্বয়ে তারা বেড়েছে। এ ছাড়াও তিনি একবার জাতীয় দলের ও দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানেও তিনি ক্রিকেটারদের সমান দৈনিক ডিএ পেতেন। ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত চাকরি করাকালীন বেতন ও এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ওপরে সুবিধা নিয়েছেন দেবব্রত। এরপর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন নিজ ইচ্ছায়। এই চাকরি ছাড়ার পেছনে তিনি একটি নাটকও সাজিয়েছিলেন। অতীতে তাকে বিএনপির আন্দোলেন খুব একটা দেখা যায়নি। কিন্তু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার একটা রব উঠেছিল। তখন দেবব্রত একটি মিছিলে যোগ দিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। এ নিয়ে বিসিবির সভাপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন এবং তার কাছে এর কৈফিয়ত জানতে চাইবেন বলে জানান। এরপরই দেবব্রত নিজ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তিনি পদত্যাগ করলেও তার এসব সুযোগ-সুবিধা শুধু প্রমাণ করে তিনি কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন নাজমুল হাসান পাপনের সময়। কারণ এ সময় নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে মতের অমিল থাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল ও তার অনুসারীরা বিসিবির কোনো কমিটিতেই ঢুকতে পারেননি।

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক গোলরক্ষক আমিনুল হক বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার লাঞ্ছিত হয়েছেন। জেলেও গিয়েছেন। একবার তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জেলে নেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনের সময়ও আমিনুলকে জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদলের সাবেক ডাকসাইটে নেতা হওয়ার পরও দেবব্রতকে কখনো এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। কারণ তিনি ছিলেন বিসিবির সুবিধা নিতে ব্যস্ত। আবার কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক পদেও তিনি এক যুগ পার করে দিয়েছেন। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী চাকরি করার পরও দেবব্রত কি করে আরেকটি চাকরি করেন? যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির প্রবিধানমালায় রয়েছে অন্যত্র চাকরি করা যাবে না। বিভিন্ন টুর্নামেন্টের খেলায় ম্যাচ রেফারি এবং জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেবব্রতকে প্রায় সময়ই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকতে হয়েছে। এ ব্যাপার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বেগম নাছরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ ৭ দিন পর্যন্ত ছুটি দিতে পারি। এর বেশি হলে রেজিস্টারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।’ বিসিবিতে চাকরি করা প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলতে পারবেন না জানিয়ে রেজিস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু রেজিস্টার আবু হাসান পদত্যাগহ করায় তার মতামত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে দেবব্রত পাল বলেন, ‘আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই বিসিবিতে কাজ করেছি। চাইলে আমি আপনাকে অনুমতি পত্রও দেখাতে পারব।’ বিসিবি থেকে সুযোগ-সুবিধা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি দুর্জয়ের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বিসিবিতে আসিনি। সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে এসেছি।’ রাজনীতির কারণে আমিনুল লাঞ্ছিত ও জেলে গেলেও তার ক্ষেত্রে এ রকম কোনো কিছু না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গেলে আপনি খুশি হতেন। আসলে আমি কোনো পদে ছিলাম না, তাই’।

গোয়ালিয়রে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
গোয়ালিয়রে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন
ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবীরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। সেই ম্যাচকে ঘিরে আছে হামলার হুমকিও। এসবের মাঝেই ম্যাচটি ঠিকভাবে শেষ করার জন্য ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে গোয়ালিয়রে।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ দলকে ভারতে খেলার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করতেই হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এমন হুমকির পর থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

এই ম্যাচকে সামনে রেখে ম্যাচ ভেন্যু গোয়ালিয়রের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আগামী সোমবার পর্যন্ত সকল ধরনের বিক্ষোভ মিছিল এবং উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে দর্শক ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হবে ২ হাজার ৫০০’র বেশি পুলিশ।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের দিন পুলিশ সদস্যরা বেলা ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চোখ রাখছি।’

সাকিবকে নিয়েই বিপিএল খেলতে চায় রংপুর

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
সাকিবকে নিয়েই বিপিএল খেলতে চায় রংপুর
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরকে সামনে রেখে আজ বিসিবি কার্যালয়ে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। ওই বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তামিম। সেখানে তিনি জানান, বিপিএলে সাকিবের উপস্থিতি থাকুক।

বিপিএলের প্রতি আসরের আগেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে থাকে আলোচনা। কোন ফ্রাঞ্চাইজি তাকে নিজেদের দলে নিচ্ছে এটাই থাকে আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কোন ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলবেন তার চেয়ে বেশি আলোচনায় তাকে বিপিএলে পাওয়া যাবে কি না।

মূলত গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিবকে নিয়ে এই শঙ্কার তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হওয়ায় তার দেশে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ফলে ফ্রাঞ্চাইজির চেয়ে বেশি আলোচনায় সাকিব খেলবেন কি না। তার খেলার নিশ্চয়তা পেলে সাকিবকে নিয়ে ভাববে রংপুর রাইডার্স। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তামিম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়, এটা নিয়ে তো কোন সন্দেহ নেই। তবে বিপিএলে খেলবে কি খেলবে না সেটা তো আমার হাতে নেই। এটা নির্ভর করবে যে সে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে খেলছে কি খেলছে না। সাউথ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে আসলে তাহলে হয়তো একটা রাস্তা বের হবে। আমরা বুঝতে পারব, পরিষ্কার ধারণা পাব। যে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে আসতে পেরেছে তাহলে পরে আসার সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। এখন পুরোটাই সাকিবের ওপর নির্ভর করছে, আমরা তো চাইছি রাখতে। কিন্তু পুরোটাই সাকিবের ওপর নির্ভর করবে।’

এই দিকে রংপুর রাইডার্স ফ্রাঞ্চাইজি সাকিবের ক্রিকেটার পরিচয়কেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে জানিয়ে শাহনিয়ান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাই সাকিবকে ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। রাজনীতিবিদ হিসেবেও চিনি না বা ব্যক্তিগত জীবনে কী করেন বা কী ব্যবসা করেন এটা আমার আইডিয়া নাই। ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটার সাকিবের যদি কোনো খুত দেখতে চাই, এটা সম্ভব না। ক্রিকেটের ম্যানেজম্যান্ট বলেন, ফ্যান বলেন আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের কোনো মানুষ নেই যে চায় না, সাকিব বিপিএল খেলুক। এটা আমরাও চাই। আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক, অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক, বিপিএলের জন্য হোক, বাংলাদেশের জন্য হোক; সাকিব আল হাসান সবসময় সম্পদ।’

নিয়াজের রেকর্ড ভেঙে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার নীড়

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
নিয়াজের রেকর্ড ভেঙে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার নীড়
ছবি : সংগৃহীত

ফিদে মাস্টার থেকে আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব অর্জন করেছেন দাবাড়ু মনন রেজা নীড়। বাংলাদেশের দাবাড়ুদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে এই কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। ১৪ বছর ৩ মাস বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছেন নীড়। এর আগে ১৫ বছর ৫ মাস বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছিলেন দেশের দাবার কিংবদন্তি নিয়াজ মোর্শেদ।

বর্তমানে দেশের জাতীয় চ্যাম্পিয়নও নীড়। এখন তিনি হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে চলমান গ্র্যান্ডমাস্টার 'এ' প্রতিযোগিতায় খেলছেন। 

গতকাল শুক্রবার রাতে নয় রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতার আট রাউন্ড শেষে ৬ পয়েন্ট অর্জন করেছেন নীড়। অষ্টম রাউন্ডে ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার সাম্বিত পান্ডাকে হারিয়েছেন তিনি। 

এর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টারের তৃতীয় নর্ম পান তিনি। সেই সঙ্গে তার রেটিং দাঁড়িয়েছে ২৪১৯।

নীড়কে নিয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাস্টারের সংখ্যা এখন ৫ জনে। অন্যরা হলেন- জিল্লুর রহমান, আবু সুফিয়ান, মিনহাজ উদ্দিন ও ফাহাদ রহমান। 
ফাহাদ ইতোমধ্যে একটি জিএম নর্ম পেয়েছেন। তিনিও হাঙ্গেরির এই প্রতিযোগিতায় খেলছেন। 

নীড়ের জিএমন নর্ম পাওয়ারও সুযোগ আছে এই প্রতিযোগিতায়। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলে তিনটি জিএম নর্মের প্রথমটি অর্জন করবেন তিনি।

সাকিবের শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে চান হৃদয়

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
সাকিবের শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে চান হৃদয়
ছবি- সংগ্রহীত

কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। অবসর ঘোষণার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফেরত আসার দরজাও খোলা রেখেছেন হৃদয়। ফেরার সুযোগ রাখা সাকিবের ফেরত আসার সম্ভাবনা একদম ক্ষীণই বলা যায়। ফলে সাকিবকে ছাড়াই এখন এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। সেই মিশন শুরু হবে আগামীকাল গোয়ালিয়রে আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়।

সাকিব না থাকায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে একটা বাড়তি অপশন কম পাবে বাংলাদেশ। তবে আপাতত সাকিবকে ছাড়াই এগিয়ে যাওয়া লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের থাকবে বাড়তি চাপ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাওহিদ হৃদয় এ নিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ সব সময়ই থাকে। যদি সেটা মাথায় থাকে তাহলে তো পারফর্ম করা যাবে না। আমাদের প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে, ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আর সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই আমরা সাকিব ভাইকে মিস করব। কিন্তু এখান থেকে (জাতীয় দল) একদিন না একদিন সবাইকে যেতেই হবে। আশা করি, আমরা সাকিব ভাইয়ের শূন্যতা ভালোভাবে পূরণ করব।’

এ ছাড়া সিরিজে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন তাওহিদ হৃদয়। তার কথায়, ‘এখানে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে পারফর্ম করার। আমরা অবশ্যই জিততে চাইব। এটাই, আর কিছু নয়।’ পাশাপাশি উইকেট নিয়ে বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের কিছু ম্যাচও হয়েছে এখানে। মনে হচ্ছে উইকেটটা মন্থরই হবে। আমরা আমাদের মতো খেলার চেষ্টা করব।’

আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ত্রিস্টান স্টাবসের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩৪৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার এই বিশাল সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদানটা স্টাবসের। ৮১ বলে খেলেন ১১২ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ইনিংসে এসে হাঁকালেন নিজ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

কাইল ভারানের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ বলে ৬৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। উইয়ান মালদার খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। ৩৯ বলে ৪০ রান করেন ওপেনার রায়ান রিকেলটন।

রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন টেম্বা বাভুমা। রাসি ফন ডার ডুসেনের ব্যাটেও আসে ৩৫ রান। ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রয়াসে দক্ষিণ আফ্রিকার পুঁজি দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৪৩ রান।

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের কেউই পারেনি সুবিধা করতে। কেউই স্পর্শ করতে পারেনি ৩০ রান। ১১৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসার পর দশোম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন ইয়ং ও গ্রাহাম হুমে। এটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি দশম উইকেটে। ৩১তম ওভারে হুমে আউট হলে ১৬৯ রানে শেষ হয় আইরিশদের ইনিংস।

সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ১১ নম্বরে নামা ব্যাটার ক্রেইগ ইয়ং। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন লিজার্ড উইলিয়ামস। ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি ও জর্ন ফরটুইন।