টেস্টে পাকিস্তানকে তাদেরই মাঠে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করার পর দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। তবে সবার সঙ্গে দেশে ফেরেননি কেবল সাকিব আল হাসান। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যা মামলায় আসামী হওয়ার কারণেই দেশে আসেননি তিনি। মামলা হলেও সতীর্থদের শুরু থেকেই পাশে পেয়েছেন সাকিব। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গিয়েও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চান তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুরোটা সময় নীরব ছিলেন সাকিব। তার ভক্ত ও সমর্থকরা তার কাছে এই ব্যাপারে তার কাছ থেকে প্রতিবাদী অবস্থান চাইলেও সাকিব ছিলেন মন্তব্যহীন। কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সময় কাটানোর ছবি ছড়িয়ে পড়লে হয়েছিলেন তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে শতাধিক মামলা হয়েছে আর তারমধ্যে একটি মামলায় আসামী হয়েছেন সাকিব। তার নামে খুনের মামলা হওয়ায় দেশে ফেরা সম্পর্কে শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটি, এটি ভিন্ন একটি ব্যাপার। তবে প্রত্যেক খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে। এটা আমরা সবাই জানি যে, সাকিব ভাই খেলার জন্য কতটা নিবেদিত এবং খেলার জন্য কতটা পাগল। সবসময় দলের জন্য চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন। যখন দেখা হবে (প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে), এটা নিয়ে যদি কথা ওঠে… প্রতিটি খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর আদাবর থানায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ১৫৬ জন আসামির তালিকায় ২৮ নম্বরে আছে সাকিবের নাম।
মামলা হওয়ার পর এই অলরাউন্ডারকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে উকিল নোটিশ পাঠানোর কথা জানান একজন আইনজীবী।