ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

শুদ্ধ ক্রিকেটারের প্রতীক মঈন আলী

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
শুদ্ধ ক্রিকেটারের প্রতীক মঈন আলী
ছবি : সংগৃহীত

উচ্চতা ছয় ফুট। সুদর্শন। মুখে লম্বা দাড়ি। রমনীরা প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যেতে পারেন। দৈহিক সৌন্দর্য্যের সঙ্গে যদি যোগ হয় তারকাখ্যাতি। তাহলে তো কথাই নেই। রীতিমতো লাইমলাইটে তখন বসবাস। অর্থ, যশ, খ্যাতি- এ তিনটি জিনিস কেউ পেয়ে থাকলে জীবন চলার পথে মাঝেমধ্যে পা হড়কানোর শঙ্কা থাকে। অনেকে উঠে আসেন নেতিবাচক খবরের শিরোনামেও। কিন্তু মঈন আলী সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের এক মানুষ। তারকা ক্রিকেটার হয়েও যিনি পা মাড়াননি বিপথে। জীবনে প্রায় সব কিছু পেলেও হননি আদর্শচ্যুত। মনে-প্রাণে পালন করে গেছেন ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি। মগজে-মননে বয়ে বেড়িয়েছেন শুদ্ধাচার ও সরলতা।

জন্মেছেন ইংল্যান্ডে। সেখানেই বেড়ে ওঠা। সময়ের আবর্তে ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার তিনি। ডান হাতি স্পিনার। ঘূর্ণি বলে কাবু করেছেন নামিদামি সব ব্যাটারকে। আবার লোয়ার অর্ডারে নেমে ব্যাট হাতে খেলেছেন অনেক ক্যামিও ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা সেই মঈন আলী সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলেছেন। যদিও অনেকে বলছেন, তার এই বিদায়ের পেছনে কাজ করছে বড় অভিমান। বয়স ৩৭ হলেও আরও দু-এক বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারতেন তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পরই তিনি বুঝতে পারেন, সময় এখন বিদায় বলার। সেই সিদ্ধান্তের কাজটিই তিনি করেছেন বেশ পরিপক্বতার সঙ্গে। 

মঈন আলীর বিদায়ের পর তাকে নিয়ে সরব মিডিয়া। যতটা না তার পারফরম্যান্স তার চেয়ে জীবন দর্শন নিয়ে। ক্রিকেটের সঙ্গে ফিক্সিং ও অ্যালকোহল শব্দ দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু এই দুটি জিনিস থেকে আজীবন দূরে থেকেছেন মঈন আলী। কখনো স্পর্শ করেননি মদ কিংবা শ্যাম্পেইন। ফিক্সিং কাণ্ড তার গোটা ক্যারিয়ারজুড়ে ছিল অস্পর্শ। কারণ খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি তিনি ছিলেন ইসলামি রীতিনীতি পালনে প্রবল সচেষ্ট। 

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। শিরোপা উদযাপনের পর আলোচিত ছিলেন মঈন আলী। ইংল্যান্ডের অঘোষিত একটা রীতি, শিরোপা  মঞ্চে শ্যাম্পেইনের বোতল খুলে আনন্দ-উল্লাস করা। ২০১৯-এ তা হয়েছিল। তবে মঈন আলী ও আদিল রশিদকে ছাড়া। রশিদও মঈনের মতো ইসলাম ধর্মের অনুসারী। শিরোপা নিয়ে ছবি তোলার পরই মঈন ও আদিল সরে যান মঞ্চ থেকে। এরপর মরগান শিবির উল্লাস করে শ্যাম্পেইন ছিটিয়ে।  

মঈন ও রশিদের এ কর্মকাণ্ড মুসলমানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাদকবিরোধী সংগঠন ও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ব্যাপক প্রশংসা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তারা উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেখান। এর আগে ২০১৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে মঈন আলী ‘সেভ গাজা’ ও ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ লেখা রিস্টব্যান্ডস পরার কারণে মুসলিম বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তখন মঈন আলীর পক্ষ নিলেও আইসিসি এটাকে ‘মানবিকতার চেয়ে রাজনীতি’ হিসেবেই বর্ণনা করেছিল।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ঘটেছিল একই ঘটনা। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রবল আধিপত্য দেখানো দলকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। সতীর্থরা আনন্দ ভাগ করলেও শেষ  মুহূর্তে মঞ্চ ছেড়ে যান মঈন আলী। কারণ একটাই, শ্যাম্পেইন থেকে দূরে থাকা। 

আইপিএলের গত আসরে বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান খেলেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। কিন্তু দলটির দেওয়া জার্সিতে আপত্তি ছিল তার। জুয়াসংশ্লিষ্ট এক প্রতিষ্ঠানের লোগো ছিল জার্সিতে। সেটি বাদ দিয়ে জার্সি পরেছিলেন মোস্তাফিজ, যা নিয়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন ফিজ। চেন্নাইয়ে খেলার সময় ঠিক একই কাজ করেছিলেন মঈন আলীও। জুয়া, ফিক্সিং কিংবা কোনো ধরনের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে তার ছিল অটল অবস্থান।

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল থেকে মঈনের বিদায়টা আরও সুন্দর হতে পারত। তা নিয়ে খুব বেশি আক্ষেপ না থাকলেও আছে কিছুটা অভিমান। এ প্রসঙ্গে মঈন ডেইলি মেইলকে বলেন,  ‘আমার বয়স ৩৭। এই মাসের অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য আমাকে দলে নেওয়া হয়নি। আমি ইংল্যান্ডের হয়ে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। আমাকে বলা হয়েছিল, এটা পরবর্তী প্রজন্মের সময়। আমি অনুভব করেছি যে, সময়টি সঠিক ছিল। আমি আমার ভূমিকা পালন করেছি। আমি খুব গর্বিত।’

৬৮ টেস্টে মঈনের শিকার ২০৪ উইকেট। ১৩৮ ওয়ানডেতে সেখানে উইকেট নিয়েছেন ১১১টি। ৯২ টি-টোয়েন্টিতে উইকেট পেয়েছেন ৫১টি। কেন তিনি অলরাউন্ডার তা ব্যাটিংয়ের দিকে তাকালে স্পষ্ট। টেস্টে রান ৩ হাজারের ওপর, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৫ অপরাজিত। আছে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৫টি হাফ সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ১২৮। ৩ সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন ৬টি ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৭২। সেঞ্চুরি নেই, ফিফটি ৭টি।

গোয়ালিয়রে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
গোয়ালিয়রে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন
ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবীরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। সেই ম্যাচকে ঘিরে আছে হামলার হুমকিও। এসবের মাঝেই ম্যাচটি ঠিকভাবে শেষ করার জন্য ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে গোয়ালিয়রে।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ দলকে ভারতে খেলার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করতেই হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এমন হুমকির পর থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

এই ম্যাচকে সামনে রেখে ম্যাচ ভেন্যু গোয়ালিয়রের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আগামী সোমবার পর্যন্ত সকল ধরনের বিক্ষোভ মিছিল এবং উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে দর্শক ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হবে ২ হাজার ৫০০’র বেশি পুলিশ।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের দিন পুলিশ সদস্যরা বেলা ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চোখ রাখছি।’

সাকিবকে নিয়েই বিপিএল খেলতে চায় রংপুর

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
সাকিবকে নিয়েই বিপিএল খেলতে চায় রংপুর
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরকে সামনে রেখে আজ বিসিবি কার্যালয়ে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। ওই বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তামিম। সেখানে তিনি জানান, বিপিএলে সাকিবের উপস্থিতি থাকুক।

বিপিএলের প্রতি আসরের আগেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে থাকে আলোচনা। কোন ফ্রাঞ্চাইজি তাকে নিজেদের দলে নিচ্ছে এটাই থাকে আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কোন ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলবেন তার চেয়ে বেশি আলোচনায় তাকে বিপিএলে পাওয়া যাবে কি না।

মূলত গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিবকে নিয়ে এই শঙ্কার তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হওয়ায় তার দেশে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ফলে ফ্রাঞ্চাইজির চেয়ে বেশি আলোচনায় সাকিব খেলবেন কি না। তার খেলার নিশ্চয়তা পেলে সাকিবকে নিয়ে ভাববে রংপুর রাইডার্স। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তামিম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়, এটা নিয়ে তো কোন সন্দেহ নেই। তবে বিপিএলে খেলবে কি খেলবে না সেটা তো আমার হাতে নেই। এটা নির্ভর করবে যে সে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে খেলছে কি খেলছে না। সাউথ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে আসলে তাহলে হয়তো একটা রাস্তা বের হবে। আমরা বুঝতে পারব, পরিষ্কার ধারণা পাব। যে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে আসতে পেরেছে তাহলে পরে আসার সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। এখন পুরোটাই সাকিবের ওপর নির্ভর করছে, আমরা তো চাইছি রাখতে। কিন্তু পুরোটাই সাকিবের ওপর নির্ভর করবে।’

এই দিকে রংপুর রাইডার্স ফ্রাঞ্চাইজি সাকিবের ক্রিকেটার পরিচয়কেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে জানিয়ে শাহনিয়ান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাই সাকিবকে ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। রাজনীতিবিদ হিসেবেও চিনি না বা ব্যক্তিগত জীবনে কী করেন বা কী ব্যবসা করেন এটা আমার আইডিয়া নাই। ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটার সাকিবের যদি কোনো খুত দেখতে চাই, এটা সম্ভব না। ক্রিকেটের ম্যানেজম্যান্ট বলেন, ফ্যান বলেন আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের কোনো মানুষ নেই যে চায় না, সাকিব বিপিএল খেলুক। এটা আমরাও চাই। আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক, অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক, বিপিএলের জন্য হোক, বাংলাদেশের জন্য হোক; সাকিব আল হাসান সবসময় সম্পদ।’

নিয়াজের রেকর্ড ভেঙে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার নীড়

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
নিয়াজের রেকর্ড ভেঙে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার নীড়
ছবি : সংগৃহীত

ফিদে মাস্টার থেকে আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব অর্জন করেছেন দাবাড়ু মনন রেজা নীড়। বাংলাদেশের দাবাড়ুদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে এই কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। ১৪ বছর ৩ মাস বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছেন নীড়। এর আগে ১৫ বছর ৫ মাস বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছিলেন দেশের দাবার কিংবদন্তি নিয়াজ মোর্শেদ।

বর্তমানে দেশের জাতীয় চ্যাম্পিয়নও নীড়। এখন তিনি হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে চলমান গ্র্যান্ডমাস্টার 'এ' প্রতিযোগিতায় খেলছেন। 

গতকাল শুক্রবার রাতে নয় রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতার আট রাউন্ড শেষে ৬ পয়েন্ট অর্জন করেছেন নীড়। অষ্টম রাউন্ডে ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার সাম্বিত পান্ডাকে হারিয়েছেন তিনি। 

এর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টারের তৃতীয় নর্ম পান তিনি। সেই সঙ্গে তার রেটিং দাঁড়িয়েছে ২৪১৯।

নীড়কে নিয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাস্টারের সংখ্যা এখন ৫ জনে। অন্যরা হলেন- জিল্লুর রহমান, আবু সুফিয়ান, মিনহাজ উদ্দিন ও ফাহাদ রহমান। 
ফাহাদ ইতোমধ্যে একটি জিএম নর্ম পেয়েছেন। তিনিও হাঙ্গেরির এই প্রতিযোগিতায় খেলছেন। 

নীড়ের জিএমন নর্ম পাওয়ারও সুযোগ আছে এই প্রতিযোগিতায়। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলে তিনটি জিএম নর্মের প্রথমটি অর্জন করবেন তিনি।

সাকিবের শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে চান হৃদয়

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
সাকিবের শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে চান হৃদয়
ছবি- সংগ্রহীত

কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। অবসর ঘোষণার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফেরত আসার দরজাও খোলা রেখেছেন হৃদয়। ফেরার সুযোগ রাখা সাকিবের ফেরত আসার সম্ভাবনা একদম ক্ষীণই বলা যায়। ফলে সাকিবকে ছাড়াই এখন এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। সেই মিশন শুরু হবে আগামীকাল গোয়ালিয়রে আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়।

সাকিব না থাকায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে একটা বাড়তি অপশন কম পাবে বাংলাদেশ। তবে আপাতত সাকিবকে ছাড়াই এগিয়ে যাওয়া লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের থাকবে বাড়তি চাপ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাওহিদ হৃদয় এ নিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ সব সময়ই থাকে। যদি সেটা মাথায় থাকে তাহলে তো পারফর্ম করা যাবে না। আমাদের প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে, ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আর সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই আমরা সাকিব ভাইকে মিস করব। কিন্তু এখান থেকে (জাতীয় দল) একদিন না একদিন সবাইকে যেতেই হবে। আশা করি, আমরা সাকিব ভাইয়ের শূন্যতা ভালোভাবে পূরণ করব।’

এ ছাড়া সিরিজে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন তাওহিদ হৃদয়। তার কথায়, ‘এখানে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে পারফর্ম করার। আমরা অবশ্যই জিততে চাইব। এটাই, আর কিছু নয়।’ পাশাপাশি উইকেট নিয়ে বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের কিছু ম্যাচও হয়েছে এখানে। মনে হচ্ছে উইকেটটা মন্থরই হবে। আমরা আমাদের মতো খেলার চেষ্টা করব।’

আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ত্রিস্টান স্টাবসের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩৪৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার এই বিশাল সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদানটা স্টাবসের। ৮১ বলে খেলেন ১১২ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ইনিংসে এসে হাঁকালেন নিজ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

কাইল ভারানের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ বলে ৬৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। উইয়ান মালদার খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। ৩৯ বলে ৪০ রান করেন ওপেনার রায়ান রিকেলটন।

রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন টেম্বা বাভুমা। রাসি ফন ডার ডুসেনের ব্যাটেও আসে ৩৫ রান। ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রয়াসে দক্ষিণ আফ্রিকার পুঁজি দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৪৩ রান।

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের কেউই পারেনি সুবিধা করতে। কেউই স্পর্শ করতে পারেনি ৩০ রান। ১১৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসার পর দশোম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন ইয়ং ও গ্রাহাম হুমে। এটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি দশম উইকেটে। ৩১তম ওভারে হুমে আউট হলে ১৬৯ রানে শেষ হয় আইরিশদের ইনিংস।

সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ১১ নম্বরে নামা ব্যাটার ক্রেইগ ইয়ং। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন লিজার্ড উইলিয়ামস। ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি ও জর্ন ফরটুইন।