ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

সাক্ষাৎকার ‘আর্থিক সাপোর্ট পেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো’

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
‘আর্থিক সাপোর্ট পেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো’
ছবি : সংগৃহীত

মাত্র ১৪ বছর ৩ মাস বয়সে ফিদে মাস্টার থেকে আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছেন মনন রেজা নীড়। কিংবদন্তি নিয়াজ মোরশেদের ৪৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার এখন তিনিই। যেভাবে এগিয়ে চলেছেন তাতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টারের রেকর্ডটাও তার দখলে যেতেই পারে। যদিও রেকর্ড নিয়ে খুব একটা ভাবেন না এই কিশোর দাবাড়ু। গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট খেলতে বর্তমানে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই খবরের কাগজকে নিজের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ

আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়া থেকে এক ধাপ দূরে ছিলেন। হাঙ্গেরিতে সেই লক্ষ্যটা পূরণ হয়ে গেল। কেমন লাগছে?

অবশ্যই ভালো লাগছে। যেহেতু আইএম (আন্তর্জাতিক মাস্টার) হতে পেরেছি। কিন্তু আবার খারাপও লাগছে। কারণ জিএম নর্মটা মিস হয়ে গেছে। এখানে সিক্স ডেইজ বুদাপেস্ট টু ইয়ারস-২০২৪ গ্র্যান্ডমাস্টার ‘এ’ প্রতিযোগিতার অষ্টম রাউন্ডে আমি তিন নম্বর আইএম নর্মটি পেয়েছি। নবম ও শেষ রাউন্ডে জিততে পারলে প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নর্মটাও পেয়ে যেতাম। কিন্তু ম্যাচটা ড্র হয়েছে। যদিও প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নও হয়েছি। কিন্তু গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম মিস হওয়ায় খারাপ লাগছে। তো মিশ্র অনুভূতি বলতে পারেন।

তার মানে আইএম নর্ম পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসটা আগে থেকেই ছিল?

আমি মূলত জিএম নর্মের জন্য এসেছিলাম এখানে (হাঙ্গেরি)। আর আশাবাদী ছিলাম যে অন্তত আইএম হব। জিএম নর্ম পাওয়ার এখনো সুযোগ আছে। এখানে আরও একটি টুর্নামেন্টে আমরা খেলছি। চেষ্টা করব এখান থেকে একটা জিএম নর্ম পেতে।

আইএম হওয়ার ক্ষেত্রে তো আপনি কিংবদন্তি নিয়াজ মোরশেদের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। সেটাও আবার ৪৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড। বিষয়টা ভাবতে কেমন লাগছে?

আমি এসব রেকর্ড নিয়ে অতটা মাথা ঘামাইনি। (রেকর্ড) হয়েছে ভালো কথা। তবে ভালো খেলতে পেরেছি এটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে চাই।

এ বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আপনি। এবার আন্তর্জাতিক মাস্টার হলেন। নিজের স্বপ্নের পথে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, এটা তো বলাই যায়…

হ্যাঁ, আমি আমার লক্ষ্যের দিকেই যাচ্ছি… চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এই এগিয়ে চলা কতটা কঠিন বা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

একটা সময় খুব কঠিন মনে হতো। তবে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি যে আমি আরও ভালো করতে পারব। আমার মধ্যে সেই ক্ষমতাটা আছে।

বাংলাদেশে গ্র্যান্ডমাস্টারের সংখ্যা এখন ৫ জন। ষষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টারের জন্য অপেক্ষা অনেক দিনের। দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি এই আক্ষেপ দূর করতে পারবেন বলে মনে হয়?

আমি আমার চেষ্টাটা তো অবশ্যই করব। তবে এ জন্য অনেক সাপোর্ট দরকার। বিশেষ করে আর্থিক সাপোর্ট। অন্তত একটা স্পন্সরশিপ চাই, কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা চাই। আসলে এগিয়ে যেতে হলে প্রোপার ট্রেনিংটা দরকার। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো দাবাড়ুরই এটা হয় না। প্রোপার ট্রেনিংয়ের গুরুত্বটাই কেউ সেভাবে অনুধাবন করে না। সবাই মনে করে খেললেই হলো।

বিদেশে যাদের সঙ্গে খেলেন তারা তো এসব দিকে অনেক এগিয়ে। ওদের দেখে আক্ষেপ হয়?

ওরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়। এগুলো দেখে খারাপ লাগে যে অন্যরা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, আমি পাচ্ছি না। তবে এখন এগুলো মানিয়ে নেওয়া ছাড়া তো আর উপায় নেই। আমাদের খেলোয়াড়দের একটু পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খুবই ভালো হয়। তাহলে আর্থিক চাপটা আর থাকে না। টাকার অভাবে আমরা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারি না। কিছু দিন আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আমি। এরপরও আর্থিক কারণে এখানে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। দাবা অলিম্পিয়াডে খেলতে মূলত জাতীয় দলের হয়ে হাঙ্গেরি এসেছি। এরপর আমরা কয়েকজন দাবাড়ু আরও কয়েকটি টুর্নামেন্ট এখানে খেলছি। তবে সেটা নিজেদের ব্যবস্থাপনায়। আমি যেমন এখানে খেলতেই পারতাম না, যদি না মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান আঙ্কেল ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক স্যার স্পন্সর না করতেন। তাই আবারও বলছি, এই সাপোর্টগুলো আমাদের খুব দরকার। ট্রেনিংয়ের অভাবের জন্যই মূলত আমরা এগিয়ে যেতে পারি না। যদি প্রোপার ট্রেনিং পাই, তাহলে আমি নিজেকে নিয়ে অন্তত আত্মবিশ্বাসী যে ভালো করব।

কত সময়ের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হতে চান?

আমি চেষ্টা করব ২ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হতে।

আপনার বয়সী ছেলেরা তো ক্রিকেট-ফুটবলে মেতে থাকে। আপনি সেখানে আরও অনেক ছোট থেকে দাবা বোর্ডে মেতে আছেন…

আমার কিন্তু ফুটবল অনেক পছন্দ। আমি এর আগে অনেক সাক্ষাৎকারে এটা বলেছিও। দাবার থেকেও আমার ফুটবল বেশি ভালো লাগে। আমি প্রতিদিনই ফুটবল খেলি। দেশে থাকলে এক দিনও ফুটবল খেলা মিস যায় না।

আপনি এটাও অনেকবার বলেছেন যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন আপনার। আইএম হওয়ার ক্ষণে আপনার প্রধান লক্ষ্যের কথা নতুন করে শুনতে চাই।

স্বপ্ন তো সেই একই আছে। আমি অবশ্যই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে চাই। বাংলাদেশে শুধু গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে তো কোনো লাভ নেই। এটা সত্যি কথা। তবে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আর্থিক সাপোর্টটা লাগবে। এটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই সাপোর্ট পেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারব, এতটুকু বিশ্বাস আমার আছে।

২২ বছরের খরা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় পাকিস্তানের

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
২২ বছরের খরা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় পাকিস্তানের
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি প্রথম ম্যাচে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর পর তৃতীয় ম্যাচেও দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ফলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অভিষেক সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয় করে দারুণভাবে রাঙালো পাকিস্তান। 

এই সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে ২২ বছরের খরা কাটিয়েছে পাকিস্তান। সবশেষ ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজও ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।

রবিবার (১০ নভেম্বর) পাকিস্তানের বোলারদের তোপে মাত্র ১৪০ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। মামুলি এই লক্ষ্য দাপুটে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান মাত্র ২৬.৫ ওভারেই। 

১৪১ রানের লক্ষ্যে মাঠে নেমে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব ও আব্দুল্লাহ শফিক। মরিসের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ৩৭ রান করে আউট হন আব্দুল্লাহ। সেই ওভারের শেষ বলেই মরিস বোল্ড করেন সাইম আইয়ুকে। ৪২ রান করে সাইম আউট হলে ৮৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। 

পরপর দুই উইকেট হারিয়েও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানের। সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ও নবনিযুক্ত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৫৮ রানের জুটিতে ২২ বছরের খরা কাটয়ে ২০০২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় পাকিস্তান। 

বাবর আজম ২৮ এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে। ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়ার পাশাপাশি সিরিজজুড়ে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও হয়েছেন তিনি। 

সাক্ষাৎকারে মাছুরা পারভীন আমাদের এই দলটা অনেক দূর যাবে

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম
আমাদের এই দলটা অনেক দূর যাবে
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীন। এবারের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন আলোচনায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একাদশেই জায়গা হয়নি তার। পরে সুযোগ পেয়ে উজাড় করে দেন নিজেকে। দেশকে উপহার দেন শিরোপা। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন নিজের এই লড়াইয়ের আদ্যোপান্ত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: দেশকে পরপর দুটি সাফ শিরোপা এনে দিলেন। শুরু করি এই সাফল্যের অনুভূতি দিয়েই, কেমন লাগছে?

মাছুরা: ভালো তো লাগছেই। যেহেতু আমরা পরপর দুবার ট্রফি আনতে পেরেছি। এটা তো ভালো লাগারই ব্যাপার। কারণ এটা আমাদের স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। খুব ভালো লাগছে।

খবরের কাগজ: দুই বছর আগে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এবার শিরোপা ধরে রাখাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? 

মাছুরা: পুরোটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ এবার প্রত্যেকটা দল ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এসেছিল। ভারত, নেপাল প্রচুর প্রীতি ম্যাচ খেলে এসেছিল। এশিয়ার বাইরেও ক্যাম্পিং করেছে কয়েকটি দল। শুধু আমরাই মনে হয় সাফের আগে কোনো প্রীতি ম্যাচ খেলিনি। সাফের তিন মাস আগে ভুটানের বিপক্ষে খেলেছিলাম, কিন্তু ওদের সঙ্গে খেলে আমাদের কোনো উপকারই হয়নি। এসব কারণে অন্যান্য দল থেকে আমরা একটু পিছিয়ে ছিলাম। এর ওপর যেকোনো কারণে হোক, কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গেও আমাদের দ্বন্দ্ব ছিল। খেলার মাঠে তো যুদ্ধ হয়েছেই, (দলের) ভেতরেও যুদ্ধ হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের সাফটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। এতকিছু যে আমরা অতিক্রম করতে পেরেছি, এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

খবরের কাগজ: কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কথা বললেন। সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওনার দ্বন্দ্বের বিষয় টুর্নামেন্ট চলাকালেও প্রকাশ্যে এসেছে। এই বিষয়টা তাহলে পুরোপুরি সত্য?

মাছুরা: অবশ্যই সত্য।

খবরের কাগজ: কোচ তো টুর্নামেন্ট শেষে এসব দ্বন্দ্বের বিষয় পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন…

মাছুরা: ওনাকে তাহলে আপনারা কেন এই প্রশ্ন করছেন না, মাছুরাকে আপনি কেন পাকিস্তান ম্যাচে নামাননি? হ্যাঁ, কাকে খেলাবেন আর কাকে খেলাবেন না, একজন কোচ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত তিনি নিতেই পারেন। কিন্তু তিনি পাকিস্তান ম্যাচের পর সাক্ষাৎকারে কী বলেছেন? বলেছেন, মাছুরার পারফরম্যান্স নেই, মারিয়ার পারফরম্যান্স নেই। তাই খেলাননি। তাহলে তিন দিনের মাথায় কীভাবে আমার ও মারিয়ার পারফরম্যান্স ভালো হলো এবং আমাদের দুজনকে ভারত, ভুটান ও ফাইনালে নেপালের সঙ্গে খেলালেন। এটা কি প্রশ্ন হতে পারে না? তিনি খেলাননি ঠিক আছে। আমি কিছুই বলতাম না। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার পারফরম্যান্স নেই। পারফরম্যান্স যেহেতু নেই, তাহলে তিনি কেন আমাকে টিমে রেখেছিলেন? আর আমাকে কেনইবা পরের ম্যাচগুলোতে খেলানো হলো?

খবরের কাগজ: এই বিষয়গুলো আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে?

মাছুরা: কষ্ট দেয়নি? আমার জীবনে এ রকম একটা দিন আসবে, এ রকম কিছু শুনতে হবে, এটা আমি কখনোই ভাবিনি।

খবরের কাগজ: পরে তো এই হতাশা থেকে বেরিয়ে এসে দারুণ খেললেন। এই যে ফিরে আসা, এটা কীভাবে সম্ভব হলো?

মাছুরা: সাবিনা আপু ও সিনিয়র খেলোয়াড়রা মিলে বিষয়টা সামাল দিয়েছেন। আপনারা তো দেখেছেন, মনিকা পাকিস্তান ম্যাচের পর কী বলেছিল। বলেছিল, কোচ সিনিয়রদের পছন্দই করে না। নিশ্চিয়ই এর মধ্যে কোনো কিছু আছে। এখন কোচ যতই মিথ্যা কথা বলুক না কেন, এতে কিছু যায়-আসে না। কারণ আমরা জানি, কিছু মানুষ ওখানে ছিল, তারা জানে, আসলে আমাদের সঙ্গে কী হয়েছে। এখন উনি যদি সম্পূর্ণ নির্দোষ হতে চান তাহলে আর কী বলব…। এই যে আমরা সাফ জিতেছি, ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে একটা মিটিং পর্যন্ত করেননি উনি। সাবিনা আপুরা চেয়েছিলেন, আমাকে ও মারিয়াকে ভারত ম্যাচে খেলাতে। উনি রাগ করে রাতের মিটিং বাতিল করে দেন। এত বড় একটা ম্যাচের একাদশ তিনি ঘোষণা করেছেন মাঠে গিয়ে। আমি খেলব কি খেলব না, এটা আমি জানি না। তাহলে আমি আমার প্রস্তুতিটা কীভাবে নেব? মাইন্ড সেটেরও তো একটা ব্যাপার থাকে। সেটাও আমি নিতে পারিনি। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ওপর এবার প্রচুর চাপ ছিল। তবে আল্লাহপাকের ইচ্ছা এবং আমাদের মনোবল ছিল, বিধায় আমরা এই ট্রফিটা আনতে পেরেছি।

খবরের কাগজ: ওভারঅল এবারের আসরে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আপনি কতটা খুশি?

মাছুরা: আমার পারফরম্যান্স কেমন, সেটা আমার ছোটন স্যার (নারী দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন) বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি এতেই খুশি। আমার আর কোনো কোচের ভালো বলার দরকার নেই। 

খবরের কাগজ: ছোটন প্রসঙ্গে যেহেতু এলই, একটা প্রশ্ন না করে পারছি না। ভুটান ম্যাচের আগে আপনাদের কোচ বাটলার অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক কোচ মেয়েদের প্ররোচিত করছে। নাম না বললেও তার ইঙ্গিত ছিল ছোটনের দিকে। তার এই অভিযোগ নিয়ে কী বলবেন আপনি?

মাছুরা: উনি তো বললেনই। কারণ যেভাবে উনি আমাদের মানসিকভাবে ভেঙে ফেলেছিলেন, সেখান থেকে যে আমরা এত শক্তিশালী হয়ে মাঠে ফিরেছি, এতে তো তার অবাক হওয়ারই কথা। এখন তিনি তো নিজের হারটা মেনে নেবেন না। এটাই স্বাভাবিক না? কোচ আমাদের ভেঙেচুরে তছনছ করে দিতে চেয়েছিলেন। সেখান থেকে আমরা শক্তিশালী কীভাবে হলাম? এ কারণে হয়তোবা তার মধ্যে একটু জেলাসি হয়েছে। আর শুধু আমরা কেন, বিশ্বের বড় বড় খেলোয়াড় কখনো তাদের অতীত ভোলে না। অতীত ভোলা কখনোই উচিত না। আমার ক্যারিয়ারের পেছনে ছোটন স্যারের অনেক অবদান। আমি তো তাকে ভুলতে পারি না। আমার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অবশ্যই আমি তাকে স্মরণ করব, তার সঙ্গে কথা বলব, এটাই তো স্বাভাবিক।

খবরের কাগজ: এখন বাটলারের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্কটা কেমন?

মাছুরা: সাফ জিতে ফেরার পর এখনো তার সঙ্গে আমাদের সেভাবে কথা হয়নি।

খবরের কাগজ: আপনি তো অনেক দিন ধরেই খেলছেন। ২০১৪ সাল থেকে মোট পাঁচটি সাফ খেললেন। বাংলাদেশের নারী ফুটবল নিয়ে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই…

মাছুরা: আমাদের দলটাকে যদি সেভাবে গোছানো হয়, তাহলে আমি মনে করি এই সাফের ট্রফি আমরা পরের বারও রেখে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। ভারত যেমন টানা পাঁচবার শিরোপা জিতেছিল। আমাদেরও এ রকম লক্ষ্য হতে পারে। এই দলটাকে নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। বিশেষ করে বেশি বেশি প্রীতি ম্যাচের কথা বলব। আপনি যত বেশি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন, তত আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে। আমাদের অনেক বেশি প্রীতি ম্যাচ খেলতে হবে এবং বড় বড় দলের সঙ্গে খেলতে হবে। হ্যাঁ, বড় দলের সঙ্গে হয়তো আমরা পারব না। কিন্তু আমরা তো বুঝতে পারব আমাদের দুর্বল জায়গাটা কোথায়। যদি আমরা একসঙ্গে থাকি, দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্পটা চলমান থাকে, তাহলে আমাদের এই টিমটা অনেক দূর যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

খবরের কাগজ: আপনার বয়স তো সবে ২৩। এর মধ্যেই আপনি বাতিলের খাতায় পড়ে গিয়েছিলেন…

মাছুরা: আপনারা কি ভারতের বালা দেবিকে চেনেন? ওনার বয়স কত? ৩৪ বছর বয়সেও তো তিনি খেলছেন এবং দুর্দান্ত খেলছেন। পাকিস্তানের অধিনায়ক মারিয়া খানের বয়সও প্রায় একই (৩৩)। ওর সঙ্গে এবার আমাদের অনেক গল্পও হয়েছে। আপনি জানেন না, পাকিস্তান ম্যাচে আমি ও মারিয়া নামিনি বলে ও কত খুশি হয়েছিল। ম্যাচের পর তো ওর সঙ্গে আমাদের অনেক আলাপ হয়েছে। ও তখন বলেছে। ও নাকি শুধু আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলেছে। আমরা কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকায় ও অনেক খুশি হয়েছিল।

খবরের কাগজ: যেটা বলছিলাম… মাছুরাকে তো বাতিলের খাতায় ফেলা হয়েছিল। মাছুরা নিজে তার ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন?

মাছুরা: পাকিস্তান ম্যাচে আমাকে নামানো হয়নি বলে আমি কিন্তু অনেক ভেঙে পড়েছিলাম। আমি তখন ছোটন স্যারের সঙ্গে কথা বলি। স্যার শুধু বলেছেন, ‘তুমি তো প্রায় ১০ বছর বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলছ। আমরা জানি, তুমি কেমন। তুমি সেরা, তুমি এটাই ভাববে। তোমাকে যদি সে (পিটার বাটলার) নামায়, তুমি তোমার সেরাটা দিয়ে খেলবে।’ যেখানে স্যার আমাকে সেরা বলেন, সেখানে তো আমার মন খারাপ করার প্রশ্নই ওঠে না। আমাকে যখন মাঠে নামিয়েছেন, আমি নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি। আর আল্লাহকে বলেছি, আল্লাহ, আমি যে এত কষ্ট পেয়েছি, এটার যেন জবাব দিতে পারি। আমি যদি ভারত ম্যাচে খেলতে না পারতাম, অবশ্যই তিনি (বাটলার) আমাকে অনেক কথা শোনাতেন। সব মিলিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমি আমার পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পেরেছি। শুধু একটা ম্যাচ না, পরের সবগুলোও খেলেছি। আমি আমার সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।

খবরের কাগজ: কতদিন খেলে যেতে চান?

মাছুরা: বয়স তো মাত্র ২৩। এখনো তো অনেক সময় পড়ে আছে। বালা দেবির কথা তো বললাম। এখনো মাঠে আছেন তিনি। তার বয়স কত? পাকিস্তানের অধিনায়কের বয়স কত? আমি তো বলতে গেলে ওনাদের হাঁটুর বয়সী এখনো। এখন দেখা যাক, কতদিন আল্লাহ আমাকে ফুটবলের সঙ্গে রাখেন।

খবরের কাগজ: আপনি তো কাবাডি জাতীয় দলেও খেলেছেন। ২০১৬ এসএ গেমসে রুপাজয়ী দলের অংশ ছিলেন। আর কাবাডিতে ফেরার ইচ্ছা নেই?

মাছুরা: যদি কখনো ফুটবল ছেড়ে দিই, তাহলে হয়তো ফিরব (হাসি)…। আসলে এখন ফুটবলই আমার ধ্যান-জ্ঞান।

নাসিম-শাহিনদের তোপে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৪০ রানে

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
নাসিম-শাহিনদের তোপে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৪০ রানে
ছবি : সংগৃহীত

পেস বোলিংয়ের উপযুক্ত উইকেটে পাকিস্তানের বোলাররা কতটা ভয়ঙ্কর তা আরেকবার প্রমানিত হল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৪০ রানে অলআউট করেছে পাকিস্তান নাসিম-শাহিনদের দাপটে। ফলে পাকিস্তানের সামনে সিরিজ জিততে লক্ষ্য এখন মাত্র ১৪১ রান।

রবিবার (১০ নভেম্বর) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে পাকিস্তানের পেসাররা ১০০ রানের আগেই তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট। 

অজিদের ধসের শুরুটা করেছিলেন নাসিম শাহ ম্যাকগার্ককে ফিরিয়ে দলীয় ২০ রানে। তরুণ এই ব্যাটার করেন ৭ রান। অ্যারন হার্ডি ও জশ ইংলিসের উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

দলীয় ৭২ রানে আঘাত হানেন হারিস রউফ। ওপেনার ম্যাথু শর্ট ২২ রান করে আউট হন। দলীয় ৭৯ রানে কুপার কনলি মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর তিনি আর মাঠে নামেননি। অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে। 

আরেকবার হারিস মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ান অজিদের। রানের খাতা খোলার আগেই ম্যাক্সয়েলকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তিনি। ততক্ষণে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেই স্বাগতিকদের।     

মার্কাস স্টয়নিসও পারেননি দলের হাল ধরতে। হাসনাইনের বলে সাজঘরে ফিরেছেন দলীয় ৮৮ ও ব্যক্তিগত ৮ রানে। ৩০ রানের জুটি গড়েন অ্যাডাম জাম্পা ও শেন অ্যাবট। সেই জুটি ভাঙেন নাসিম শাহ জাম্পাকে ফিরিয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তখন অলআউটের অপেক্ষায় অজিরা।

এরপর শেন অ্যাবট ২২ রানের জুটি গড়েন আউট হওয়ার আগে স্পেনসার জনসনের সঙ্গে ২২ রানের। সেই জুটি ভাঙেন অ্যাবোটকে ফিরিয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করা অ্যাবোটের বিদায়ে ১৪০ রানে ৮ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসও থামে ১৪০ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদি ল্যান্স মরিসকে বোল্ড করলে। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া কুপার কুনলি ফিরে না আসায় এখানেই থামে অজিদের ইনিংস।  স্পেনসার জনসন অপরাজিত ছিলেন ১২ রান করে।

১৪০ রানও হওয়ার কথা ছিল না স্বাগতিকদের। পাকিস্তানের বোলাররা ১৬টি ওয়াইড মিলিয়ে অতিরিক্ত রান দিয়েছেন মোট ২২। নাসিম ও শাহিন ৩টি করে উইকেট পান। দুটি উইকেট পান হারিস রউফ আর ১টি শিকার করেন মোহাম্মদ হাসনাইন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছুটি চেয়েছেন মোস্তাফিজ

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছুটি চেয়েছেন মোস্তাফিজ
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলা হচ্ছে না মোস্তাফিজুর রহমানের। ডিসেম্বরে জাতীয় দল থেকে ছুটি চেয়েছেন বিসিবির কাছে আবেদন করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার ছুটি প্রাথমিকভাবে মঞ্জুরও হয়েছে বলে জানা গেছে। 

মূলত সন্তাসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতেই জাতীয় দল থেকে ছুটি চেয়েছেন জাতীয় দলের এই পেস বোলার। এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। 

আগামীকাল সেই সিরিজ শেষ হতে যাচ্ছে। সিরিজ শেষে ১৩ নভেম্বর দেশে ফিরবেন মোস্তাফিজ। 

একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মোস্তাফিজের ছুটির আবেদন মঞ্জুর হয়েছে তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্ট শুরু ২২ নভেম্বর ও দ্বিতীয় টেস্ট ৩০ নভেম্বর শুরু। ওয়ানডে সিরিজ শুরু ৮ ডিসেম্বর, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১৬ ডিসেম্বর থেকে।

মেসির গোলে সমতায় ফিরেও হারলো মায়ামির

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
মেসির গোলে সমতায় ফিরেও হারলো মায়ামির
ছবি |: সংগৃহীত

মেজর লিগ সকারে তিন ম্যাচের প্লে-অফ সিরিজ ১-১ সমতায় থাকায় শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচ। সেই ম্যাচে লিওনেল মেসি গোল করে দলকে সমতায় ফেরালেও এনে দিনে পারেননি কাঙ্ক্ষিত জয়। ৩-২ ব্যবধানে হেরে প্লে-অফ পর্বের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে মেসির ইন্টার মায়ামিকে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) প্রতিপক্ষ আটলান্টার মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয়েছে মায়ামি। 

ম্যাচের ১৭ মিনিটে মায়ামি এগিয়ে যায় মাতিয়াস রোহাসের গোলে। কিন্তু ১৯ ও ২১ মিনিটে পরপর দুই গোল করে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আটলান্টার হয়ে গোল দুটো করেন সেনেগালিজ স্ট্রাইকার জামাল থিয়ারে।

প্রথমার্ধের খেলা ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার প্রত্যয়ে তিনটি পরিবর্তন আনেন মায়ামির কোচ জেরার্ড মার্তিনো। সেই পরিবর্তনে ৬৫ মিনিটে থেকে মার্সেলো ভাইগান্টের ক্রসে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন মেসি। তার গোলে সমতা ফেরে ম্যাচে।

মেসির গোলের পর সুয়ারেজ, রোহাস ও জর্দি আলবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আটলান্টা গোলকিপার ব্র্যান্ড গুজানের সঙ্গে। ফলে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে।

তবে খেলা চালু হওয়ার পর বিপদ বাড়ে ফ্লোরিডার ক্লাবটির। ৭৬ মিনিটে বারতোজ সিলৎসের গোল মায়ামিকে একেবারেই স্তব্ধ করে দেয়। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ম্যাচে নিজেদের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করে আটালান্টা।

চেষ্টা চালিয়েও ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি লিওনেল মেসিরা। ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নেয় আসর থেকে।