ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের জয় যেন অবশ্যম্ভাবী ঘটনা। পিছিয়ে পড়লেও এই মাঠ থেকে জয় ছাড়া বিদায় নেয় না দলটি। তবে গেল দুই ম্যাচে যেন নিজেদের মাঠেই খেলা ভুলে গেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। গেল সপ্তাহে লা লিগার এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ ব্যবধানে বড় পরাজয়ের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে এসি মিলানে কাছে হেরেছে তারা ৩-১ ব্যবধানে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঘরের মাঠে শুরুতেই গোল হজম করেও সেটি শোধ করে মাদ্রিদ। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে এসি মিলান আলভারো মোরাতার জোড়া গোলে।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে গোলের দেখা পায় এসি মিলান। অতিথিরা এগিয়ে যায় মালিক চিয়াওয়ের হেডে। কর্নার থেকে আসা বল দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি। এই গোলের পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয় এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস।
ঘরের মাঠে রিয়ালের ফিরে আসার গল্প আছে অসংখ্য। তাই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত সমর্থকরা বিশ্বাস রাখেন দলের ওপর। পিছিয়ে পড়ার ১১ মিনিটের মাথায় ম্যাচের ২৩ মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
সমতায় ফিরেও অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি মাদ্রিদ। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরেকদফা পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ৩৯ মিনিটে রিয়ালের গোলকিপার আন্দ্রে লুনিনের শট ঠেকিয়ে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জাল খুঁজে নেন আলভারো মোরাতা।
৪৩ মিনিটে এমবাপ্পের গতির শট ফিরিয়ে দেন মিলানের গোলকিপার মাইক মানিয়াঁর।
বিরতির পর ম্যাচে ফেরার লক্ষ্যে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে লস ব্লাঙ্কোসরা। অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জায়গায় আসেন ব্রাহিম দিয়াজ এবং ফেদে ভালভের্দের জায়গায় আসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা।
এই দুই পরিবর্তন নিয়ে উজ্জীবিত স্বাগতিকরা বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েও পারছিল না ম্যাচে আরেকবার সমতা ফেরাতে।
তাদের প্রচেষ্টার বিপরীতে জোরালো আক্রমণ চলমান ছিল এসি মিলানের খেলোয়াড়দেরও। এমনাপ্পে-ভিনিসিয়ুসরা যখন ব্যর্থ তখন আবারও গোলের দেখা পায় মিলান। এবারও গোল করে নিজের জোড়া পূর্ণ করেন মোরাতা।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে হজম করা ওই গোলের পর ৮১ মিনিটে আন্তোনিও রুদিগারের গোল করলেও সেটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। হতাশ হতে হয় রিয়ালকে। সেই হতাশা আর কাটাতে পারেনি দলটি। ম্যাচ হেরেছে ৩-১ ব্যবধানে।