ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সাক্ষাৎকারে মারিয়া মান্দা দেশকে যেন আরও এগিয়ে নিতে পারি

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
দেশকে যেন আরও এগিয়ে নিতে পারি
মারিয়া মান্দা

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মধ্যমাঠের কাণ্ডারি মারিয়া মান্দা। সিনিয়র ও বয়সভিত্তিক মিলিয়ে দেশের অনেক সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। সদ্য সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাজয়ী দলের সহঅধিনায়কের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে মারিয়া কথা বলেছেন সাম্প্রতিক সাফল্য ও প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পর পর দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুই বারই দলের সারথি আপনি। এই সাফল্যের অনুভূতি কেমন?
মারিয়া মান্দা: আমরা ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হই। প্রথমবার জেতায় খুব ভালো লেগেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। খুব ভালো লাগছে যে, দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি। এটাই আসলে নিজের কাছে স্বার্থকতা। আর আমাদের যে এত এত পরিশ্রম, সেটা কাজে দিয়েছে। এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।

খবরের কাগজ: এবারের চ্যাম্পিয়নশিপটা নিশ্চয়ই অনেক কঠিন ছিল?
মারিয়া মান্দা: অবশ্যই। কারণ এবার সব দলই অনেক উন্নতি করে এসেছিল। আগে যখন আমরা খেলেছিলাম, তখন মালদ্বীপ, ভুটান একটু অন্য রকম (কম শক্তির) দল ছিল। মানুষ আগে থেকেই বুঝতে পারত যে তাদের বিপক্ষে জয় সম্ভব। এবার কিন্তু সেটা ছিল না। এবার সব দল খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। সবাই চেয়েছে চ্যাম্পিয়ন হতে। সব দলের মধ্যে এই লক্ষ্যটা ছিল যে, কেউ কাউকে ট্রফি নিয়ে যেতে দিবে না। আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। নিজেদের শতভাগ যদি দিতে পারি, তাহলে কোনো না কোনো ভাবে রেজাল্ট বেরিয়ে আসবে, এই বিশ্বাস আমাদের ছিল। বাকিটা ছিল সৃষ্টিকর্তার ওপরে বিশ্বাস।  সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছু হবে। আমাদের মনোবল হারানো যাবে না। সেভাবে আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি এবং প্রত্যেকটি ম্যাচ খেলেছি। ঈশ্বরের আশীর্বাদে ফলাফলও পেয়েছি। শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা একটু অন্য রকম হয়েছিল। ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিলাম আমরা। হেরে যাওয়ার মতো অবস্থাও তৈরি হয়েছিল। এর পরও ১-১ ড্র করতে পেরেছি আমরা। এ ছাড়া প্রত্যেকটি ম্যাচ আমরা ভালো ব্যবধানে জিতেছি।

খবরের কাগজ: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এবার কি বাড়তি চাপ কাজ করেছে?
মারিয়া মান্দা: চাপ বলতে আমরা যেহেতু গতবার চ্যাম্পিয়ন ছিলাম, এবারও চ্যাম্পিয়ন হব, সবাই এই প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। দেশবাসীকে এবারও যেন আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ উপহার দিতে পারি, এটা আমাদের মনের মধ্যেও ছিল। চেষ্টা করেছি যে বিগত দিনের সাফল্য যেন আমরা ধরে রাখতে পারি।   মনের মধ্যে শুধু এটা ছিল যে, ভালো কিছু করতে হবে।

খবরের কাগজ: শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আপনি নিজে কতটা বিশ্বাসী ছিলেন?
মারিয়া মান্দা: আমাদের কাছে আসলে টিম বন্ডিংটাই মুখ্য। টিম বন্ডিং ছাড়া কখনো কোনো রেজাল্ট হয় না। দলের মধ্যে সব সময় আমাদের আলোচনা হয়। কার কি সমস্যা, সবকিছু নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলি। এবারের আসর নিয়ে যখন আমরা কথা বলেছি, তখন এই জিনিসটিই আমরা ফিল করতে পেরেছি, আমরা যদি একসঙ্গে শতভাগ দিয়ে খেলি, তাহলে অবশ্যই আমরা পারব। এই বিশ্বাসটা আমাদের সবার মধ্যে ছিল।

খবরের কাগজ: এবার তো টুর্নামেন্ট চলাকালে নানা বিষয়ে অনেক সমালোচনাও হচ্ছিল। এগুলো সামলানো কতটা কঠিন ছিল?
মারিয়া মান্দা: আসল কথা কি, খেলা চলাকালে আমাদের সব মনোযোগ খেলার মধ্যেই থাকে। বাকি যেগুলো আছে, সেগুলো আমাদের নিজেদের ভালো থাকার জন্য, খুশি থাকার জন্য। অনেকে আছে না, ঘুরতে পছন্দ করে, খেতে পছন্দ করে, ওই রকম একটা জিনিস। আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও করি, টিকটক করি, এসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু ভিডিও বলেন, টিকটক বলেন, ঘুরতে যাওয়া বলেন, খেলাধুলার বাইরে মন ভালো রাখার জন্য এগুলো তো থাকেই। সেগুলো ধরে যদি খেলোয়াড়দের ওপর নানা দায় চাপানো হয়, তাহলে কেমন না? আপনি দেখেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা থাকা উচিত, এরকম কথা বলি আমরা। আমরা খেলোয়াড়দেরও খেলার পাশাপাশি মন ভালো রাখার জন্য কিছু করে থাকি। এখানে তো দোষের কিছু থাকার কথা নয়। একটা কথা- জাতীয় দলে খেলার মধ্যে আমরা এসব বিষয়ে অ্যাফোর্ড দেই না। খেলার দিকেই আমাদের সব মনোযোগ থাকে।

খবরের কাগজ: এসব সমালোচনাকে একপাশে রেখেই তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। নেপাল থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পর কেমন লাগছে?
মারিয়া মান্দা: চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পর তো বাফুফে ভবনেই আছি। এখনো বাসায় যেতে পারিনি। বুধবার নতুন সভাপতি আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সব মিলিয়ে ভালোই কাটছে সময়।

খবরের কাগজ: বাড়ি যাওয়ার জন্য কি মন ব্যাকুল হয়ে আছে?
মারিয়া মান্দা: ব্যাকুল বলতে কি, যেহেতু চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমাদের তো এখন আরও ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এগুলোই টার্গেট। সামনে ক্রিসমাস আসছে। তখন তো বাড়ি যাবই।

খবরের কাগজ: এবারের ক্রিসমাসের আনন্দ নিশ্চয়ই অন্য রমম হবে? সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বলে কথা?
মারিয়া মান্দা: হ্যাঁ, সেটা তো হবেই… (হাসি)।

খবরের কাগজ: এখন আগামী আসরে নিশ্চয়ই হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নশিপে চোখ থাকব? আর এ জন্য কি প্রয়োজন বলে মনে করেন?
মারিয়া মান্দা: ভালো কিছু করতে গেলে তো অবশ্যই ভালো কিছু প্রয়োজন। যেমন প্র্যাকটিসের জন্য আমাদের ভালো ভেন্যু দরকার। এবার যেমন ঘাসের মাঠে খেলা ছিল। তাই আমরা বসুন্ধরা কিংসে গিয়ে ঘাসের মাঠে প্র্যাকটিস করতাম। বাফুফে থেকে সেটা অনেক দূর ছিল। ধারে-কাছে আমাদের এ ধরনের মাঠ দরকার। যে ধরনের ভেন্যুতে খেলা থাকে, সেই ভেন্যু অনুযায়ী যদি আমরা প্র্যাকটিস করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো। আর প্রত্যেকবারই ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হবে-হবে করে বাতিল হয়ে যায়। যদি ঘন ঘন ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলা হয়, তাহলে আমাদের উন্নতির জন্য ভালো হবে। কারণ আমাদের অনেক ভুল-ভ্রান্তি থাকে। ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হলে সেগুলো আমরা বুঝতে পারি। কীভাবে সেখান থেকে আমরা বের হতে পারি, নিজেরা সেই চেষ্টাটা তখন করতে পারি। প্রীতি ম্যাচ না হলে সেগুলো আমরা ধরতে পারি না। নিজেরা-নিজেরা খেলা হলে অতটা ভুল-ত্রুটি বের হয় না। একসঙ্গে ক্যাম্পিং করা, প্রীতি ম্যাচ খেলা, এগুলো খুবই জরুরি। এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় আছে। যেমন- জিমের কথা বলবেন। আমাদের জিমে কিন্তু অনেক কিছুই নেই। দুয়েকটা যা আছে, সেগুলো আসলে কাজে দেয় না। খুব গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো, অন্তত সেগুলো যদি থাকে, সেটা আমাদের খেলার জন্য আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

খবরের কাগজ: মেয়েদের লিগটা ভালোভাবে আয়োজিত হোক, এটাও নিশ্চয়ই চাইবেন?
মারিয়া মান্দা: লিগ নিয়মিত হলে তো সেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো। বয়সভিত্তিক বলেন, সিনিয়র পর্যায় বলেন, অনেক ভালো খেলোয়াড় এর মাধ্যমে উঠে আসবে।

খবরের কাগজ: নিয়মিত বেতন না হওয়াটাও তো আপনাদের বড় একটি সমস্যা…
মারিয়া মান্দা: আমাদের যে সমস্যাগুলো ছিল, আমাদের সভাপতি চেষ্টা করবেন সমাধানের। যেগুলো প্রয়োজনীয় সেগুলো নিশ্চয়ই তারা দেবেন।

খবরের কাগজ: দেশে ফেরার পর প্রধান উপদেষ্টা আপনাদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। শুনেছি, আপনারা নিজেদের জন্য ঢাকায় একটি করে ফ্ল্যাট চেয়েছেন?
মারিয়া মান্দা: আমাদের সবার চাওয়া এটি। কারণ যখন আমাদের পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসতে চাই, তখন পরিবারকে রাখার জন্য কোনো জায়গা থাকে না। ঢাকার শহরে তো এরকম পরিস্থিতি নেই যে, আমাদের পরিবারকে রাখব। সেই হিসেবে যদি সরকার আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য একটি করে ফ্ল্যাট দেয় তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়।

খবরের কাগজ: আপনার মার তো অনেক অবদান। অনেক ত্যাগ তার। মা কতটা খুশি এবারের সাফল্যে?
মারিয়া মান্দা: মা তো অনেক বেশি খুশি। শুধু সফল হয়েছি বলেই না, মা সব সময়ই খুশি থাকে আমাকে নিয়ে। মা সব সময় বলে, খেলার মাঠে নামার আগে ঈশ্বরের কথা মনে করবি। প্রার্থনা করে মাঠে নামবি। আমি সেই চেষ্টাটা সব সময় করি।

খবরের কাগজ: নিজের কাছে কি চাওয়া আপনার? মারিয়া ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
মারিয়া মান্দা: আমরা যেন দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করতে পারি। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বলি, আমারও ইচ্ছে দেশের বাইরে লিগ খেলার। ভুটানের ক্লাবের হয়ে একবার খেলেছিও। যেন দেশের বাইরে লিগ আরও বেশি খেলতে পারি এবং দেশকে যেন আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

ফ্যাবের সংবর্ধনায় সিক্ত মনি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
ফ্যাবের সংবর্ধনায় সিক্ত মনি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সাইফুর রহমান মনিকে সংবর্ধনা দিয়েছে ফ্যাব। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সাইফুর রহমান মনিকে সংবর্ধনা দিয়েছে ফুটবর্লাস অ্যাসোসিয়েশন অব বিকেএসপি (ফ্যাব)।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে সংগঠনটি। একঝাঁক সাবেক ফুটবলারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি বর্ণিল হয়ে উঠে।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব, মামুনুল ইসলাম, জাহিদ হাসান এমিলির মতো ফুটবল তারকারা উপস্থিত ছিলেন এতে। 
ছিলেন সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সদস্য গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন, সাখওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন, মঞ্জুরুল করিম, কামরুল হাসানসহ ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানটি ফুটবলার ও সংগঠকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল।

গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বাফুফে নির্বাচনে মনিকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। তিনি ও মো. এখলাছ উদ্দীন সমান ৬১টি করে ভোট পেয়ে ১৫তম সদস্য হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। গত ৩০ নভেম্বর তাদের দুজনের মধ্যে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে এখলাছ উদ্দীনকে ৫৬-৫১ ভোটে হারান মনি।

বর্তমানে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচের দায়িত্বে থাকা মনি আগেও দুইবার বাফুফে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন। তাইতো এই লড়াইয়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেন মনি। বলেন, ‘এই জার্নি এতো সহজ ছিল না। আমি খালি পকেটে নির্বাচন শুরু করি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল, যারা ডেলিগেটেড আছে, তাদের সঙ্গে আমার ১২ বছরের সম্পর্ক। উনারা নিশ্চয়ই আমার ওপর আস্থা রাখবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন ছিল, আমার নির্বাচন করাটাই অনেক বেশি কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’

মনি বলে যান, ‘এর মধ্যেই আমি চেষ্টা করেছি, নির্বাচনটা যেন করতে পারি। এখানে উপস্থিত মঞ্জু ভাই, শাহিন ভাই, হিল্টন ভাই, ইকবাল ভাই, গাউস ভাই। উনারা আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন। আমি যতই ধন্যবাদ দেই বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, এটা উনাদের ছোট করা হবে। আমি সারা জীবন মনে রাখবো যে আমি তাদের কারণে এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আমি মনে করি না এটা শুধু আমার জয়। এটা সমগ্র ফুটবলের জয়।’

বিকেএসপির সাবেক ছাত্রদের মধ্যে মনিই প্রথম বাফুফে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সেটাও অনেক বারের প্রচেষ্টায়। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্র, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল তার বক্তৃতায় মনিকে যোদ্ধা বলে অবিহিত করে বলেন, ‘মনি ভাই সত্যি যোদ্ধা। ফুটবলে দেখবেন অনেক দল হারতে হারতে একটা পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়ায়। মনি ভাই ঠিক তেমনই হাল না ছেড়ে লড়াই করে গেছেন এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়ে ছেড়েছেন।’

ফ্যাবের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘১৯৮৬ সাল থেকে আজকে ২০২৪, বিকেএসপি থেকে মনির আগে কোনো ক্যাডেট এখন পর্যন্ত ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেননি। মনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি, এটার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছেন। মনিকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা নিজেরাও খুব খুশি। ফ্যাবের সদস্যরা এবং বাফুফের সদস্যরা যারা এসেছেন, এই যে একটা সেতু বন্ধন, এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা এতে খুশি এবং গর্বিত।’

সিরিজ হাতছাড়া মেয়েদের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম
সিরিজ হাতছাড়া মেয়েদের
ছবি: সংগৃহীত

ফরম্যাট বদলেছে, ভেন্যুও। তাতেই যেন বিবর্ণ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিছুদিন আগেও যারা শাসন করেছে আইরিশ মেয়েদের, তাদের মাথাই এখন নত প্রতিপক্ষের কাছে। সিলেটে টানা দুই ম্যাচ হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হাতছাড়া করেছে টাইগ্রেসরা। আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাগতিকদের হার এসেছে ৪৭ রান ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হেরেছিল ১২ রানে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড দল। জবাবে ১৭.১ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট জয় বাংলাদেশ দল। একই ভেন্যুতে আগামী সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচেই জয় তুলে আইরিশদের ধবলধোলাইয়ের লজ্জা দিয়েছিল টাইগ্রেসরা। তারাই এখন ছোট সংস্করণের খেলায় ধবলধোলাই হওয়ার শঙ্কায়। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লড়াই করলে আজ বিন্দুমাত্র লড়াই দেখাতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২২ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন শারমিন আক্তার এবং স্বর্ণা আক্তার। দুজনের ৩৮ রানের প্রতিরোধ ভাঙতেই ফের ব্যাটিং ধস। মাত্র ১৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন শারমিন। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো অপর দুই ব্যাটার হলেন- দিলারা আক্তার (১০) এবং স্বর্ণা (২০)।

৩৩৭ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়ার লিড ১৫৭

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
৩৩৭ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়ার লিড ১৫৭
ছবি : সংগৃহীত

৩৩৭ রানে অলআউট হয়ে ১৫৭ রানের লিড দাঁড় করিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই অলআউট হয়েছে অজিরা।

ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮০ রানে অলআউট হওয়ায় তাদের চেয়ে ১৫৭ রান বেশি করে এগিয়ে আছে অজিরা।

মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহ’র দাপুটে বোলিংয়ের পরও প্রায় সাড়ে তিন শ এর কাছাকাছি দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। দুজনে শিকার করেছেন সমান ৪টি করে উইকেট। 

১৫৭ রানের লিড দাঁড় করালেও এর অধিকাংশ রান এসেছে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ট্রাভিস হেডের শতকে। ভারতকে সামনে পেলেই যেন তার ব্যাট হয়ে ওঠে শক্তিশালী। আউট হওয়ার আগে খেলেন ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন মারনাস লাবুশানে। ৩৯ রান করেছেন নাথান ম্যাকসুয়েনি। উসমান খাজা, ম্যাকসুয়েনি, স্মিথ ও কামিন্সকে শিকার করেন বুমরাহ।

অন্যদিকে, সর্বোচ্চ ১৪০ রান করা ট্রাভিস হেড, ক্যারি, স্টার্ক ও বোল্যান্ডকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও নীতিশ রেড্ডি ১টি করে।

ডিএসপি সিরাজের ১৮১ কিলোমিটার গতির বল নিয়ে চলছে চর্চা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
ডিএসপি সিরাজের ১৮১ কিলোমিটার গতির বল নিয়ে চলছে চর্চা
ছবি : সংগৃহীত

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পিঙ্ক বল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা চলমান। সে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের একটি বলের গতি নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা। স্কোরকার্ডের নীচে গতি দেখানো হয়েছে ১৮১.৬ কিলোমিটার।

নেটিজেনদের মধ্যে অনেক আলোচনা হলেও মূলত বেশিরভাগই বিষয়টিকে নিয়ে মেতেছেন কৌতুকে। আদতে ভুলটা করেছে বলের গতি নির্ণয়কারী প্রযুক্তি স্পিডমিটার। 

প্রযুক্তিগত ভুলের কারণেই সিরাজের সেই বলের গতি দেখিয়েছে ১৮১.৬ কিলোমিটার। সাধারণত মোহাম্মদ সিরাজ ১৪০ এর আশেপাশে এবং এর ওপরে বল করে থাকেন। তার গতি সম্পর্কে সমর্থকদের ধারণা থাকাইয় হয়েছে এমন কৌতুক ও ঠাট্টা। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬১.৩ (১০০.২৩ মাইল) কিলোমিটার গতিতে বল করার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানি কিংবদন্তি শোয়েব আখতারের। ২০০৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই রেকর্ড গড়েন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজা করে অনেকে লিখেছেন, ‘ডিএসপি সিরাজকে স্পিডমিটারও ভয় পেয়েছে।’

সিরাজের পুলিশের পোশাক পরা ছবি পোস্ট করে অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘একমাত্র ডিএসপি সিরাজই এত জোরে বোলিং করতে পারেন।’ 

সমতা ফেরানোর ম্যাচেও ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
সমতা ফেরানোর ম্যাচেও ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়ারল্যান্ড নারী দল। মুদ্রা নিক্ষেপে দ্বিতীয় ম্যাচেও টস হেরেছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। 

প্রথম ম্যাচে টস হারলেও জেতার পথে থাকা নিগারের দল হঠাৎ ছন্দপতনে ম্যাচ হেরেছে ১২ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের জন্য সমতা ফেরানোর লড়াই। ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন আইরিশরা।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। 

বাংলাদেশ দল তিনটি পরিবর্তন এনেছে একাদশে। ঋতু মনি ও ফারিহা তৃষ্ণার পরিবর্তে একাদশে এসেছেন ফাহিমা খাতুন ও সাজেদা আক্তার মেঘলা।

অন্যদিকে, দুটি পরিবর্তন এনেছে আয়ারল্যান্ডও। উনা রেমন্ড-হোয়ে ও আভা ক্যানিংয়ের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন রেবেকা স্টকেল ও আলনা ড্যালজেল।

বাংলাদেশ একাদশ

দিলারা আক্তার, শারমিন আক্তার, সোবহানা মোস্তারি, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), তাজ নেহার, ফাহিমা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার, নাহিদা আক্তার, জাহানারা আলম, সাজেদা আক্তার মেঘলা, জান্নাতুল ফেরদোস।

আয়ারল্যান্ড একাদশ

গ্যাবি লুইস (অধিনায়ক), অ্যামি হান্টার (উইকেটকিপার), ওর্লা প্রেন্ডারগাস্ট, লিয়াহ পাল, লোরা ডেলানি, রেবেকা স্টকেল, সারাহ ফোর্বস, আর্লেন কেলি, আলনা ড্যালজেল, ফ্রেয়া সার্গেন্ট, অ্যাইমি ম্যাগুইয়ার।