ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সামর্থ্য, আফগানিস্তানের সক্ষমতা

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
বাংলাদেশের সামর্থ্য, আফগানিস্তানের সক্ষমতা
প্রথম ওয়ানডে চলার সময় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। ছবি: বিবিসি

আফগনিস্তানের কাছে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের হারকে অনেকেই অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয় এরকম নানা বিশেষণ ব্যবহার করে আখ্যায়িত করছেন। আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ একপর্যায়ে ২৫.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২০ রান করেছিল। জয়ের ভীত তৈরি হয়ে হেছে। এখন শুধু দেখার পালা সেই জয়টা আসে কীভাবে? হাতে ৮ উইকেট নিয়ে করতে হবে ১১৬ রান। ওভার বাকি ২৪.২টি। ওভারপ্রতি পাঁচের কম করে রান। সেখান থেকে বাংলাদেশের ছন্দপতন ঘটে। সেই ছন্দপতন ছিল খুবই দ্রুত। যা শেয়ারবাজারের পতনকেও হার মানাবে। ২২ গজে ব্যাটারদের অবস্থান হয়ে উঠে কচু পাতার পানি। শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল।

৮.৫ ওভারে ১৬ রানে পড়ে ৮ উইকেট। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার গতি বাড়তে থাকে। ৩.৫ ওভারে ১১ রানে পড়ে ৭ উইকেট। ২.৫ ওভারে ৮ রানে পড়ে ৬ উইকেট। ২.২ ওভারে ৭ রানে পড়ে ৫ উইকেট। ১.৫ ওভারে ৫ রানে পড়ে ৪ উইকেট। ১ বল পড়ে আরও ১ উইকেট। এভাবেই শেষ হয় ১০ উইকেটের পতন। যখন বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে রান শোভা পাচ্ছে মাত্র ১৪৩। 

সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশ ওয়ানডে ছাড়া টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি যত ম্যাচ খেলেছে, সেখানে শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্টের সিরিজ বাদ দিলে সর্বত্রই ছিল ব্যাটারদের হতাশার চিত্র। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ১১৩ রান তাড়া করতে পারেনি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরেছিল ৪ রানে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৪ রান পাড়ি দিতে যার পরনাই কষ্ট করতে হয়েছিল। নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১০৬ রান করে আবার ম্যাচ জিতেছিল বোলারদের দাপটে। সুপার এইটে আফগানিস্তানের করা ১১৫ রান টপকাতে পারেনি। হোঁচট খেয়েছিল ১০৫ রানে অলআউট হয়ে। সুপার এইটে অপর দুই ম্যাচে হেরেছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে।

টেস্ট ক্রিকেটে সম্প্রতি ঘরের মাঠে দুই টেস্টের চার ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০৬ ও ৩০৭ এবং ১৫৯ ও ১৪৩। ভারত সফরেও দুই টেস্টের চার ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ১৪৯ ও ২৩৪ এবং ২৩৩ ও ১৪৬। এই সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের রান ছিল যথাক্রমে ১২৭. ১৩৫/৯ ও ১৬৪/৭। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যাটিং ব্যর্থতা সংক্রামিত হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটেও এসে ভর করেছে। যার প্রমাণ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশ দল তিন ফরম্যাটে কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি। এমনকি ন্যূনতম কোনো লড়াইও করতে পারেনি। ব্যাটারদের এ রকম অমাজর্নীয় ব্যর্থতায় ম্লান হয়ে যাচ্ছে বোলারদের বিশেষ কীর্তি। ব্যাটারদের এ রকম ধারাবাহিক ব্যর্থতায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে এটাই বাংলাদেশের ব্যাটিং সামর্থ্য। বর্তমান দলের কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র। 

ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। কিন্তু সেই খেলাও ফুটবল, হকি ভলিবল, কাবাডি, বাস্কেটবলের চেয়ে দ্বিগুণ সময় বেশি লাগে শেষ হতে। যে কারণে ক্রিকেটে যেকোনো সময় বিপর্যয় আসতেই পারে। তা আবার সামাল দিয়ে উঠার সক্ষমতাও থাকতে হবে। অব্যাহত ব্যর্থতার মাঝে বাংলাদেশ দল হঠাৎ করে কোনো ম্যাচে রান করে ফেলে। কিন্তু পরের ম্যাচে গিয়ে আবার মুখ থুবড়ে পড়ে। এটা সামর্থ্যের বহিঃপ্রকাশ! কিন্তু সামর্থ্য যদি এর থেকে বেশি থাকত, তাহলে ব্যর্থতার জাল ছিন্ন করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারত। যেটা আবার করে দেখিয়েছে আফগানিস্তান। ৩৫ রানে ৪, ৭১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও তারা নিজেদের সক্ষমতা বা যোগ্যতা দেখিয়েছে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার আগে ভাণ্ডারে যোগ করে ২৩৫ রান। এটা তাদের সক্ষমতা। বাংলাদেশ দলে একবার মড়ক লাগলে, ঘুরে দাঁড়ানোর নজির কম। ২ উইকেটে ১২০ রান থেকে ১৪৩ রানে অলআউট। 

এভাবে একটি করে ম্যাচ আসে, ভরাডুবির মাধ্যমে শেষ হয়। আর ম্যাচ শেষে অধিনায়ক, কোচ কিংবা দলের প্রতিনিধি হয়ে কথা বলতে আসা ক্রিকেটারের কণ্ঠ থেকে বের হয়ে আসে আগামীতে ভালো করার প্রত্যয়। ভুল সংশোধনের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এ সবই কথার কথা হয়ে থাকে। পরের ম্যাচে এসে আবারও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখা যায়। আবারও ম্যাচ শেষে শুনা যায় পুরোনো রেকর্ড। কিন্তু পরিবর্তনের ছাপ আর চোখে পড়ে না। এবার আফগানিস্তানের কাছে এভাবে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠ দিয়ে বের হয়েছে সেই পুরোনো রেকর্ড, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। কিন্তু আজ আমাদের দিন ছিল। না। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’ 

ফ্যাবের সংবর্ধনায় সিক্ত মনি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
ফ্যাবের সংবর্ধনায় সিক্ত মনি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সাইফুর রহমান মনিকে সংবর্ধনা দিয়েছে ফ্যাব। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সাইফুর রহমান মনিকে সংবর্ধনা দিয়েছে ফুটবর্লাস অ্যাসোসিয়েশন অব বিকেএসপি (ফ্যাব)।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে সংগঠনটি। একঝাঁক সাবেক ফুটবলারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি বর্ণিল হয়ে উঠে।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব, মামুনুল ইসলাম, জাহিদ হাসান এমিলির মতো ফুটবল তারকারা উপস্থিত ছিলেন এতে। 
ছিলেন সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সদস্য গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন, সাখওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন, মঞ্জুরুল করিম, কামরুল হাসানসহ ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানটি ফুটবলার ও সংগঠকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল।

গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বাফুফে নির্বাচনে মনিকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। তিনি ও মো. এখলাছ উদ্দীন সমান ৬১টি করে ভোট পেয়ে ১৫তম সদস্য হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। গত ৩০ নভেম্বর তাদের দুজনের মধ্যে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে এখলাছ উদ্দীনকে ৫৬-৫১ ভোটে হারান মনি।

বর্তমানে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচের দায়িত্বে থাকা মনি আগেও দুইবার বাফুফে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন। তাইতো এই লড়াইয়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেন মনি। বলেন, ‘এই জার্নি এতো সহজ ছিল না। আমি খালি পকেটে নির্বাচন শুরু করি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল, যারা ডেলিগেটেড আছে, তাদের সঙ্গে আমার ১২ বছরের সম্পর্ক। উনারা নিশ্চয়ই আমার ওপর আস্থা রাখবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন ছিল, আমার নির্বাচন করাটাই অনেক বেশি কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’

মনি বলে যান, ‘এর মধ্যেই আমি চেষ্টা করেছি, নির্বাচনটা যেন করতে পারি। এখানে উপস্থিত মঞ্জু ভাই, শাহিন ভাই, হিল্টন ভাই, ইকবাল ভাই, গাউস ভাই। উনারা আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন। আমি যতই ধন্যবাদ দেই বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, এটা উনাদের ছোট করা হবে। আমি সারা জীবন মনে রাখবো যে আমি তাদের কারণে এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আমি মনে করি না এটা শুধু আমার জয়। এটা সমগ্র ফুটবলের জয়।’

বিকেএসপির সাবেক ছাত্রদের মধ্যে মনিই প্রথম বাফুফে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সেটাও অনেক বারের প্রচেষ্টায়। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্র, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল তার বক্তৃতায় মনিকে যোদ্ধা বলে অবিহিত করে বলেন, ‘মনি ভাই সত্যি যোদ্ধা। ফুটবলে দেখবেন অনেক দল হারতে হারতে একটা পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়ায়। মনি ভাই ঠিক তেমনই হাল না ছেড়ে লড়াই করে গেছেন এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়ে ছেড়েছেন।’

ফ্যাবের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘১৯৮৬ সাল থেকে আজকে ২০২৪, বিকেএসপি থেকে মনির আগে কোনো ক্যাডেট এখন পর্যন্ত ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেননি। মনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি, এটার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছেন। মনিকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা নিজেরাও খুব খুশি। ফ্যাবের সদস্যরা এবং বাফুফের সদস্যরা যারা এসেছেন, এই যে একটা সেতু বন্ধন, এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা এতে খুশি এবং গর্বিত।’

সিরিজ হাতছাড়া মেয়েদের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম
সিরিজ হাতছাড়া মেয়েদের
ছবি: সংগৃহীত

ফরম্যাট বদলেছে, ভেন্যুও। তাতেই যেন বিবর্ণ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিছুদিন আগেও যারা শাসন করেছে আইরিশ মেয়েদের, তাদের মাথাই এখন নত প্রতিপক্ষের কাছে। সিলেটে টানা দুই ম্যাচ হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হাতছাড়া করেছে টাইগ্রেসরা। আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাগতিকদের হার এসেছে ৪৭ রান ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হেরেছিল ১২ রানে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড দল। জবাবে ১৭.১ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট জয় বাংলাদেশ দল। একই ভেন্যুতে আগামী সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচেই জয় তুলে আইরিশদের ধবলধোলাইয়ের লজ্জা দিয়েছিল টাইগ্রেসরা। তারাই এখন ছোট সংস্করণের খেলায় ধবলধোলাই হওয়ার শঙ্কায়। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লড়াই করলে আজ বিন্দুমাত্র লড়াই দেখাতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২২ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন শারমিন আক্তার এবং স্বর্ণা আক্তার। দুজনের ৩৮ রানের প্রতিরোধ ভাঙতেই ফের ব্যাটিং ধস। মাত্র ১৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন শারমিন। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো অপর দুই ব্যাটার হলেন- দিলারা আক্তার (১০) এবং স্বর্ণা (২০)।

৩৩৭ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়ার লিড ১৫৭

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
৩৩৭ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়ার লিড ১৫৭
ছবি : সংগৃহীত

৩৩৭ রানে অলআউট হয়ে ১৫৭ রানের লিড দাঁড় করিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই অলআউট হয়েছে অজিরা।

ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮০ রানে অলআউট হওয়ায় তাদের চেয়ে ১৫৭ রান বেশি করে এগিয়ে আছে অজিরা।

মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহ’র দাপুটে বোলিংয়ের পরও প্রায় সাড়ে তিন শ এর কাছাকাছি দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। দুজনে শিকার করেছেন সমান ৪টি করে উইকেট। 

১৫৭ রানের লিড দাঁড় করালেও এর অধিকাংশ রান এসেছে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ট্রাভিস হেডের শতকে। ভারতকে সামনে পেলেই যেন তার ব্যাট হয়ে ওঠে শক্তিশালী। আউট হওয়ার আগে খেলেন ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন মারনাস লাবুশানে। ৩৯ রান করেছেন নাথান ম্যাকসুয়েনি। উসমান খাজা, ম্যাকসুয়েনি, স্মিথ ও কামিন্সকে শিকার করেন বুমরাহ।

অন্যদিকে, সর্বোচ্চ ১৪০ রান করা ট্রাভিস হেড, ক্যারি, স্টার্ক ও বোল্যান্ডকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও নীতিশ রেড্ডি ১টি করে।

ডিএসপি সিরাজের ১৮১ কিলোমিটার গতির বল নিয়ে চলছে চর্চা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
ডিএসপি সিরাজের ১৮১ কিলোমিটার গতির বল নিয়ে চলছে চর্চা
ছবি : সংগৃহীত

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পিঙ্ক বল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা চলমান। সে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের একটি বলের গতি নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা। স্কোরকার্ডের নীচে গতি দেখানো হয়েছে ১৮১.৬ কিলোমিটার।

নেটিজেনদের মধ্যে অনেক আলোচনা হলেও মূলত বেশিরভাগই বিষয়টিকে নিয়ে মেতেছেন কৌতুকে। আদতে ভুলটা করেছে বলের গতি নির্ণয়কারী প্রযুক্তি স্পিডমিটার। 

প্রযুক্তিগত ভুলের কারণেই সিরাজের সেই বলের গতি দেখিয়েছে ১৮১.৬ কিলোমিটার। সাধারণত মোহাম্মদ সিরাজ ১৪০ এর আশেপাশে এবং এর ওপরে বল করে থাকেন। তার গতি সম্পর্কে সমর্থকদের ধারণা থাকাইয় হয়েছে এমন কৌতুক ও ঠাট্টা। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬১.৩ (১০০.২৩ মাইল) কিলোমিটার গতিতে বল করার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানি কিংবদন্তি শোয়েব আখতারের। ২০০৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই রেকর্ড গড়েন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজা করে অনেকে লিখেছেন, ‘ডিএসপি সিরাজকে স্পিডমিটারও ভয় পেয়েছে।’

সিরাজের পুলিশের পোশাক পরা ছবি পোস্ট করে অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘একমাত্র ডিএসপি সিরাজই এত জোরে বোলিং করতে পারেন।’ 

সমতা ফেরানোর ম্যাচেও ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
সমতা ফেরানোর ম্যাচেও ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়ারল্যান্ড নারী দল। মুদ্রা নিক্ষেপে দ্বিতীয় ম্যাচেও টস হেরেছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। 

প্রথম ম্যাচে টস হারলেও জেতার পথে থাকা নিগারের দল হঠাৎ ছন্দপতনে ম্যাচ হেরেছে ১২ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের জন্য সমতা ফেরানোর লড়াই। ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন আইরিশরা।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। 

বাংলাদেশ দল তিনটি পরিবর্তন এনেছে একাদশে। ঋতু মনি ও ফারিহা তৃষ্ণার পরিবর্তে একাদশে এসেছেন ফাহিমা খাতুন ও সাজেদা আক্তার মেঘলা।

অন্যদিকে, দুটি পরিবর্তন এনেছে আয়ারল্যান্ডও। উনা রেমন্ড-হোয়ে ও আভা ক্যানিংয়ের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন রেবেকা স্টকেল ও আলনা ড্যালজেল।

বাংলাদেশ একাদশ

দিলারা আক্তার, শারমিন আক্তার, সোবহানা মোস্তারি, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), তাজ নেহার, ফাহিমা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার, নাহিদা আক্তার, জাহানারা আলম, সাজেদা আক্তার মেঘলা, জান্নাতুল ফেরদোস।

আয়ারল্যান্ড একাদশ

গ্যাবি লুইস (অধিনায়ক), অ্যামি হান্টার (উইকেটকিপার), ওর্লা প্রেন্ডারগাস্ট, লিয়াহ পাল, লোরা ডেলানি, রেবেকা স্টকেল, সারাহ ফোর্বস, আর্লেন কেলি, আলনা ড্যালজেল, ফ্রেয়া সার্গেন্ট, অ্যাইমি ম্যাগুইয়ার।