মেলবোর্নে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের প্রবল সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান। প্যাট কামিন্সের দৃঢ়তায় অস্ট্রেলিয়া জেতে ২ উইকেটে। মেলবোর্নে না পারলেও অ্যাডিলেডে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের রীতিমতো উড়িয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তান জিতেছে ৯ উইকেটে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে হ্যারিস রউফ ও শাহিন শাহর বোলিং তোপে মাত্র ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ওভার খেলতে পেরেছে ৩৫। জবাবে পাকিস্তান এতটা ভালো করবে, তা হয়তো ভাবেনি কেউ। মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ২৬.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছায় রিজওয়ান শিবির। ২৯ রানে পাঁচ উইকেটশিকারি পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তিন ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
অ্যাডিলেড ওভালের উইকেটে এ দিন ঘাসের ছোঁয়া ছিল বেশ। তবে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে বলেই শুরুতে ধারাভাষ্যে বলা হয়। বল সেখানে ব্যাটে এসেছেও দারুণভাবে। তবে যথেষ্ট মুভমেন্ট ও বাউন্সও ছিল, যা কাজে লাগান পাকিস্তানি পেসাররা। গতি বরাবরই রউফের বড় অস্ত্র।
পেস বলে শুরুটা করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিনি ফেরান দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট (১৯) ও জ্যাক ফ্রেজারকে (১৩)। রউফ শুরু করেন জস ইংলিশকে (১৮) আউট করার মাধ্যমে। এরপর তিনি একে একে তুলে নেন লাবুশানে (৬), অ্যারন হার্ডি (১৪), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৬) ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের (১৩) উইকেট।
২ উইকেটে ৭৯ রান থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ইনিংসের ১৫ ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের ইনিংসে ৪০ রানের কোনো জুটিও হয়নি। সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে স্মিথ ও ইংলিসের জুটিতে। আর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান স্মিথ।
জবাবে পাকিস্তান উদ্বোধনী জুটিতেই পেয়ে যায় জয়ের মসৃণ রাস্তা। সায়েম আইয়ুব ও আব্দুল্লাহ শফিক করেন ১৩৭ রানের জুটি। ৭১ বলে ৮২ রানের দারুণ ইনিংস খেলা আইয়ুব জাম্পার শিকার হন। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কার মার। জয়ের জন্য বাকি রাস্তাটুকু বাবর আজমকে (১৫) সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দেন শফিক (৬৪)।
আগামী রবিবার (১০ নভেম্বর) পার্থে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।
চঞ্চল/সালমান/