ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

কত রান নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য!

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পিএম
কত রান নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য!
ছবি : সংগৃহীত

তিন কাঠির খেলায় বাংলাদেশ দলের সামনে এখন একটি প্রশ্ন চলে আসে যে, তাদের সামনে কত রানের টার্গেট দিলে তারা জিততে পারবে? দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা এতটাই গভীরে চলে গেছে যে, সেখান থেকে তাদের তুলে আনতে সাধারণ ক্রেনেও কাজে দেবে না। তার চেয়ে শক্তিশালী কিছু লাগবে। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বোলারদের সব সাফল্য ম্লান হচ্ছে। যত কম রানেই প্রতিপক্ষকে আটকে রাখা হোক না কেন, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর সামনে সেই রান টপকানো পাহাড়সমান হয়ে উঠছে। সেই রান আর টপকানো সম্ভব হচ্ছে না। পা পিছলে পড়ে হোঁচট খাচ্ছে। উপহার দিচ্ছে লজ্জার হার! তারপর সর্বত্র বিদ্ধ হতে হচ্ছে সমালোচনার তীরে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা প্রতিফলিত হয়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে। বাকি ছিল ওয়ানডে। যেখানে আবার বাংলাদেশ দল তুলনামূলক অন্য দুই ফরম্যাট থেকে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। কিন্তু টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং ব্যর্থতা সংক্রমিত হয়ে ওয়ানডেতেও প্রভাব ফেলেছে। ফলে ওয়ানডেতেও ব্যাটিং ব্যর্থতার দৃশ্য চিত্রায়িত হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল যেভাবে হেরেছে, তা ছিল রীতিমতো অবাক করার মতো। আফগানিস্তানের ২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের রান ছিল একপর্যায়ে ২ উইকেটে ১২০। সেখান থেকে ঘটে ছন্দপতন। এরপর ২৩ রানে বাকি ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ জেতা ম্যাচ হারে ৯২ রানে! আল্লাহ মোহাম্মদ ঘাজানফারের ঘূর্ণি বলে কুপোকাত বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ঘাজানফার ২৬ রানে নেন ৬ উইকেট। এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার কোনো কৈফিয়তই চলে না!

বাংলাদেশ যেমন ভালো অবস্থান থেকে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে ম্যাচ হারে, ঠিক বিপরীত অবস্থা ছিল আফগানিস্তানের। তাদের রান ছিল একপর্যায়ে ৪ উইকেটে ৩৪। পরে ৫ উইকেটে ৭১। সেখান থেকে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। ২ বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার আগে করে ২৩৫ রান। আর এই ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটি করেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদী ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১০৪ রান যোগ করেন। শহিদী ৫২ ও নবী ৮৪ রান করেন। তাসকিন ও মোস্তাফিজের ৪টি করে উইকেট নেওয়া ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় ব্যাটারদের কারণে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন যেখানে ৩০০ রানও নিরাপদ নয়। সেখানে ২৩৫ রান খুব বেশি বড় টার্গেট নয়। কিন্তু দলটি যখন বাংলাদেশ হয়, তখন সেই রানও পাহাড়সমান হয়ে যায়। আর ৯২ রানে হার যেন সেই নির্মম সত্যটিকেই মনে করে দেয়। যে কারণে প্রশ্ন উঠছে আসলে বোলাররা কত কম রানের টার্গেট দিলে শান্তরা সেই রান অতিক্রম করতে পারবেন।

তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়ে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজ জয়ের বিকল্প নেই। দুই দেশের প্রথম ম্যাচটি ছিল শারজাহ স্টেডিয়ামের ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। মাইলফলকের ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার পর এবার সিরিজ যাতে হাতছাড়া না হয়, সেই চেষ্টায় ব্রত হতে হবে শান্তকে তার বাহিনী নিয়ে। মেহেদি হাসান মিরাজের লক্ষ্যও তাই। গতকাল শারজাহতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনো সুযোগ আছে। একটা ম্যাচ হেরেছি। এখনো দুটি ম্যাচ আছে। যেহেতু আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি, তাই দুটি ম্যাচ চিন্তা না করে পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।’ 

প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে বাংলাদেশের হাতে অপশন ছিল কম। ভিসা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে ফেরা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও প্রথমবারের মতো একদিনের দলে ডাক পাওয়া গতিসম্পন্ন পেসার নাহিদ রানা দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। ফলে ১৩ জনের দল থেকে সেরা একাদশ সাজাতে হয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টকে। নাসুম ও নাহিদ ভিসা হওয়ার পর শারজাহ গিয়েছেন প্রথম ম্যাচের পর শনিবার। এই দুজন দলে যোগ দিলেও ১৫ জনের দল থেকে আজ সেরা একাদশ নির্বাচন করার সুযোগ নেই টিম ম্যানেজমেন্টের। কারণ প্রথম ম্যাচে কিপিং করার সময় বাঁ হাতের তর্জনিতে ব্যথা পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তার পরিবর্তে দেশ থেকে বিকল্প কাউকে পাঠানো হয়নি। যে কারণে আজকের ম্যাচে মুশফিকের পরিবর্তে একাদশে একটি পরিবর্তন হতেই যাচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সুযোগে একাদশে ঢুকতে পারেন জাকের আলী অনিক ও জাকির হাসানের যেকোনো একজন। জাকির হাসান এর আগে একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। জাকের আলী অনিকের এখনো অভিষেক হয়নি। দুজনের মাঝে জাকের আলীর খেলার সম্ভাবনা বেশি। কারণ মুশফিক ব্যাটিং করে থাকেন মিডল অর্ডারে। এদিকে জাকির হাসান সাধারণত ওপেনিং করে থাকেন, না হলে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেন। আর জাকের আলী ব্যাটিং করেন মিডল অর্ডারে। এই বিবেচনায় জাকের আলীরই খেলার সম্ভাবনা বেশি।

শারজাহতে বাংলাদেশ দল ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল ১৯৯৫ সালের পর। আর সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিল এ বছর মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তিন ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। এই দুটি বিষয়কেই মিরাজ আজকের ম্যাচের আগে সামনে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ওডিআই খেলেছি ৭-৮ মাস আগে। আবার এই মাঠের ব্যাপারে একটা ধারণা হয়েছে। ভালো মোমেন্টাম কীভাবে নিতে হবে, সেটা অনুশীলন করছি।’ 

প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে ৮ উইকেট হারানোর কারণ হিসেবে মিরাজ হঠাৎ করে উইকেটের পরিবর্তনকে কারণ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আর শান্ত যখন ব্যাট করছিলাম, তখন আমাদের দুজনের কাছে উইকেট সহজ মনে হচ্ছিল। কিন্তু ২০ ওভার পর হঠাৎ করেই বাঁকটা বেশি নেওয়া শুরু হয়। আমি আর শান্ত মাঝে ভুগেছি। আমি শান্তকে বারবার বলছিলাম, আমাদের দুজনের যেহেতু সমস্যা হচ্ছে খেলতে, তাই পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক কঠিন হবে। আগে থেকে ধারণা করা যায়নি কোন বল সোজা আসবে, কোন বল বাঁক নেবে।’

ফ্যাবের সংবর্ধনায় সিক্ত মনি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
ফ্যাবের সংবর্ধনায় সিক্ত মনি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সাইফুর রহমান মনিকে সংবর্ধনা দিয়েছে ফ্যাব। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সাইফুর রহমান মনিকে সংবর্ধনা দিয়েছে ফুটবর্লাস অ্যাসোসিয়েশন অব বিকেএসপি (ফ্যাব)।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে সংগঠনটি। একঝাঁক সাবেক ফুটবলারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি বর্ণিল হয়ে উঠে।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব, মামুনুল ইসলাম, জাহিদ হাসান এমিলির মতো ফুটবল তারকারা উপস্থিত ছিলেন এতে। 
ছিলেন সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সদস্য গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন, সাখওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন, মঞ্জুরুল করিম, কামরুল হাসানসহ ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানটি ফুটবলার ও সংগঠকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল।

গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বাফুফে নির্বাচনে মনিকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। তিনি ও মো. এখলাছ উদ্দীন সমান ৬১টি করে ভোট পেয়ে ১৫তম সদস্য হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। গত ৩০ নভেম্বর তাদের দুজনের মধ্যে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে এখলাছ উদ্দীনকে ৫৬-৫১ ভোটে হারান মনি।

বর্তমানে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচের দায়িত্বে থাকা মনি আগেও দুইবার বাফুফে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন। তাইতো এই লড়াইয়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেন মনি। বলেন, ‘এই জার্নি এতো সহজ ছিল না। আমি খালি পকেটে নির্বাচন শুরু করি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল, যারা ডেলিগেটেড আছে, তাদের সঙ্গে আমার ১২ বছরের সম্পর্ক। উনারা নিশ্চয়ই আমার ওপর আস্থা রাখবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন ছিল, আমার নির্বাচন করাটাই অনেক বেশি কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’

মনি বলে যান, ‘এর মধ্যেই আমি চেষ্টা করেছি, নির্বাচনটা যেন করতে পারি। এখানে উপস্থিত মঞ্জু ভাই, শাহিন ভাই, হিল্টন ভাই, ইকবাল ভাই, গাউস ভাই। উনারা আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন। আমি যতই ধন্যবাদ দেই বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, এটা উনাদের ছোট করা হবে। আমি সারা জীবন মনে রাখবো যে আমি তাদের কারণে এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আমি মনে করি না এটা শুধু আমার জয়। এটা সমগ্র ফুটবলের জয়।’

বিকেএসপির সাবেক ছাত্রদের মধ্যে মনিই প্রথম বাফুফে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সেটাও অনেক বারের প্রচেষ্টায়। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্র, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল তার বক্তৃতায় মনিকে যোদ্ধা বলে অবিহিত করে বলেন, ‘মনি ভাই সত্যি যোদ্ধা। ফুটবলে দেখবেন অনেক দল হারতে হারতে একটা পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়ায়। মনি ভাই ঠিক তেমনই হাল না ছেড়ে লড়াই করে গেছেন এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়ে ছেড়েছেন।’

ফ্যাবের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘১৯৮৬ সাল থেকে আজকে ২০২৪, বিকেএসপি থেকে মনির আগে কোনো ক্যাডেট এখন পর্যন্ত ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেননি। মনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি, এটার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছেন। মনিকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা নিজেরাও খুব খুশি। ফ্যাবের সদস্যরা এবং বাফুফের সদস্যরা যারা এসেছেন, এই যে একটা সেতু বন্ধন, এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা এতে খুশি এবং গর্বিত।’

সিরিজ হাতছাড়া মেয়েদের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম
সিরিজ হাতছাড়া মেয়েদের
ছবি: সংগৃহীত

ফরম্যাট বদলেছে, ভেন্যুও। তাতেই যেন বিবর্ণ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিছুদিন আগেও যারা শাসন করেছে আইরিশ মেয়েদের, তাদের মাথাই এখন নত প্রতিপক্ষের কাছে। সিলেটে টানা দুই ম্যাচ হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হাতছাড়া করেছে টাইগ্রেসরা। আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাগতিকদের হার এসেছে ৪৭ রান ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হেরেছিল ১২ রানে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড দল। জবাবে ১৭.১ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট জয় বাংলাদেশ দল। একই ভেন্যুতে আগামী সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচেই জয় তুলে আইরিশদের ধবলধোলাইয়ের লজ্জা দিয়েছিল টাইগ্রেসরা। তারাই এখন ছোট সংস্করণের খেলায় ধবলধোলাই হওয়ার শঙ্কায়। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লড়াই করলে আজ বিন্দুমাত্র লড়াই দেখাতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২২ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন শারমিন আক্তার এবং স্বর্ণা আক্তার। দুজনের ৩৮ রানের প্রতিরোধ ভাঙতেই ফের ব্যাটিং ধস। মাত্র ১৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন শারমিন। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো অপর দুই ব্যাটার হলেন- দিলারা আক্তার (১০) এবং স্বর্ণা (২০)।

৩৩৭ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়ার লিড ১৫৭

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
৩৩৭ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়ার লিড ১৫৭
ছবি : সংগৃহীত

৩৩৭ রানে অলআউট হয়ে ১৫৭ রানের লিড দাঁড় করিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই অলআউট হয়েছে অজিরা।

ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮০ রানে অলআউট হওয়ায় তাদের চেয়ে ১৫৭ রান বেশি করে এগিয়ে আছে অজিরা।

মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহ’র দাপুটে বোলিংয়ের পরও প্রায় সাড়ে তিন শ এর কাছাকাছি দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। দুজনে শিকার করেছেন সমান ৪টি করে উইকেট। 

১৫৭ রানের লিড দাঁড় করালেও এর অধিকাংশ রান এসেছে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ট্রাভিস হেডের শতকে। ভারতকে সামনে পেলেই যেন তার ব্যাট হয়ে ওঠে শক্তিশালী। আউট হওয়ার আগে খেলেন ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন মারনাস লাবুশানে। ৩৯ রান করেছেন নাথান ম্যাকসুয়েনি। উসমান খাজা, ম্যাকসুয়েনি, স্মিথ ও কামিন্সকে শিকার করেন বুমরাহ।

অন্যদিকে, সর্বোচ্চ ১৪০ রান করা ট্রাভিস হেড, ক্যারি, স্টার্ক ও বোল্যান্ডকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও নীতিশ রেড্ডি ১টি করে।

ডিএসপি সিরাজের ১৮১ কিলোমিটার গতির বল নিয়ে চলছে চর্চা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
ডিএসপি সিরাজের ১৮১ কিলোমিটার গতির বল নিয়ে চলছে চর্চা
ছবি : সংগৃহীত

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পিঙ্ক বল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা চলমান। সে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের একটি বলের গতি নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা। স্কোরকার্ডের নীচে গতি দেখানো হয়েছে ১৮১.৬ কিলোমিটার।

নেটিজেনদের মধ্যে অনেক আলোচনা হলেও মূলত বেশিরভাগই বিষয়টিকে নিয়ে মেতেছেন কৌতুকে। আদতে ভুলটা করেছে বলের গতি নির্ণয়কারী প্রযুক্তি স্পিডমিটার। 

প্রযুক্তিগত ভুলের কারণেই সিরাজের সেই বলের গতি দেখিয়েছে ১৮১.৬ কিলোমিটার। সাধারণত মোহাম্মদ সিরাজ ১৪০ এর আশেপাশে এবং এর ওপরে বল করে থাকেন। তার গতি সম্পর্কে সমর্থকদের ধারণা থাকাইয় হয়েছে এমন কৌতুক ও ঠাট্টা। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬১.৩ (১০০.২৩ মাইল) কিলোমিটার গতিতে বল করার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানি কিংবদন্তি শোয়েব আখতারের। ২০০৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই রেকর্ড গড়েন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজা করে অনেকে লিখেছেন, ‘ডিএসপি সিরাজকে স্পিডমিটারও ভয় পেয়েছে।’

সিরাজের পুলিশের পোশাক পরা ছবি পোস্ট করে অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘একমাত্র ডিএসপি সিরাজই এত জোরে বোলিং করতে পারেন।’ 

সমতা ফেরানোর ম্যাচেও ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
সমতা ফেরানোর ম্যাচেও ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়ারল্যান্ড নারী দল। মুদ্রা নিক্ষেপে দ্বিতীয় ম্যাচেও টস হেরেছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। 

প্রথম ম্যাচে টস হারলেও জেতার পথে থাকা নিগারের দল হঠাৎ ছন্দপতনে ম্যাচ হেরেছে ১২ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের জন্য সমতা ফেরানোর লড়াই। ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন আইরিশরা।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। 

বাংলাদেশ দল তিনটি পরিবর্তন এনেছে একাদশে। ঋতু মনি ও ফারিহা তৃষ্ণার পরিবর্তে একাদশে এসেছেন ফাহিমা খাতুন ও সাজেদা আক্তার মেঘলা।

অন্যদিকে, দুটি পরিবর্তন এনেছে আয়ারল্যান্ডও। উনা রেমন্ড-হোয়ে ও আভা ক্যানিংয়ের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন রেবেকা স্টকেল ও আলনা ড্যালজেল।

বাংলাদেশ একাদশ

দিলারা আক্তার, শারমিন আক্তার, সোবহানা মোস্তারি, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), তাজ নেহার, ফাহিমা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার, নাহিদা আক্তার, জাহানারা আলম, সাজেদা আক্তার মেঘলা, জান্নাতুল ফেরদোস।

আয়ারল্যান্ড একাদশ

গ্যাবি লুইস (অধিনায়ক), অ্যামি হান্টার (উইকেটকিপার), ওর্লা প্রেন্ডারগাস্ট, লিয়াহ পাল, লোরা ডেলানি, রেবেকা স্টকেল, সারাহ ফোর্বস, আর্লেন কেলি, আলনা ড্যালজেল, ফ্রেয়া সার্গেন্ট, অ্যাইমি ম্যাগুইয়ার।