ঢাকা ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
ছবি : সংগৃহীত

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?

কবি ফররুখ আহমেদের ‘পাঞ্জেরি’ কবিতার প্রথম দুটি চরণ যেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুই যুগ পূর্তিকেই ইঙ্গিত করছে। 

২০০০ সালের ২৬ জুন লর্ডসে আইসিসির সভায় বিশ্বের দশম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের বনেদি পরিবারের সদস্য হয়েছিল। সে বছরই ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিল নিজেদের অভিষেক টেস্ট। কালের চক্র ঘুরে আজ আবার সেই ১০ নভেম্বর। মাঝে পেরিয়ে গেছে ২৪টি বছর। দুই যুগ। এই সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে যতটা এগোনোর ছিল, তার কিছুই হয়নি। যেই তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। আলোর দেখা পায়নি। এখনো আসমান ভরা মেঘে। মাঝে মাঝে আসে এক একটি জয়। যে জয়কে অমৃত মনে করেন সবাই, যার রস পান করে অপার সুখ পাওয়ার চেষ্টা করেন! ফুলে-ফেপে করে তোলেন রঙিন। কিন্তু এ সবই যেন মরীচিকা?

ভারতের বিপক্ষে নিজেদের অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের শুরু দেখে সবাই আশান্বিত হয়ে উঠেছিলেন। এর পেছনে যৌক্তিক কারণও ছিল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল পুরোপুরি ৪০০। আমিনুল ইসলাম বুলবুল করেছিলেন সেঞ্চুরি। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৪৫ রানের ইনিংস। বল হাতে অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দূর্জয় ১৩২ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল ৯ উইকেটে। কিন্তু এই হারের মাঝেও ছিল আশার আলো। কারণ বাংলাদেশের ৪০০ রান ছিল অনেক বড় একটি অর্জন। একমাত্র জিম্বাবুয়ে ছাড়া আর কোনো দেশই তাদের অভিষেক টেস্টে ৪০০ বা তদোর্ধ্ব রান করতে পারেনি। ১৯৯২ সালে হারারেতে ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে করেছিল ৪৫৬ রান। টেস্টটি তারা ড্র করতে পেরেছিল। আবার আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ১৪৫ রানও ছিল মাইলফলক। তার ওপরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান। তিনি মেলবোর্নে ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের অভিষেকে করেছিলেন ১৬৫ রান। টেস্ট ক্রিকেটে সেটি ছিল প্রথম টেস্টও। আবার ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ডেভিড হাটন করেছিলেন ১২১ রান। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ডাবলিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের অভিষেক টেস্টে তাদের পল স্টার্লিং ১১৮ রান করেছিলেন।

এদিকে নাঈমুর রহমান দূর্জয়ের ১৩২ রানে ৬ উইকেট ছিল দেশের অভিষেক টেস্টে সেরা। আর কেউ দেশের হয়ে অভিষেক টেস্টে ৬ উইকেট নিতে পারেননি। তবে ৫ উইকেট করে নেওয়ার কীর্তি আছে আরও বেশ কয়েকটি। অভিষেক টেস্টের বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের এই কীর্তি টেস্ট শেষ হতে না হতেই আকাশে মিশে যায়। সামনে চলে আসে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৯ রানে অলআউট হওয়াটা! কারণ এরপর বাংলাদেশ দল আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। টেস্ট খেলতে নেমেছে যেন হারকে মেনে নিয়েই। তা কখনো ইনিংসের ব্যবধানে, কখনো বড় রান বা বেশি উইকেটের ব্যবধানে। সঙ্গে ছিল ৩ দিনে টেস্টের সমাপ্তি। এই ধারার ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় নিজেদের ৩৫তম টেস্টে। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। জিতেছিল ২২৬ রানে। এর মাঝে মাত্র ৩টি টেস্ট ড্র করতে পেরেছিল। অন্য দলগুলোর বিবেচনায় এই জয় বাংলাদেশ পেয়েছে আবার অনেক বিলম্বে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি টেস্ট খেলে জয় পেয়েছে শুধু নিউজিল্যান্ড। তাদের লেগেছিল ৪৫ টেস্ট।

২৪ বছরের পথ-পরিক্রমায় বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলেছে ১৪৮টি। যেখানে জয়ের পাল্লা খুবই নিম্নগামী মাত্র ২১টি। বিপরীতে হার ১১৯টি। ২১ জয়ের মাঝে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি ৮টি। এখানেও কিন্তু আছে। একসময় জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী থাকলেও ক্রমে শক্তি হারাতে হারাতে এখন তারা ক্ষয়িষ্ণু।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া ৪ জয়ও জিম্বাবুয়ের মতোই। আগের সেই দুর্ধর্ষ শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন ইতিহাসের পাতায়। নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া ২টি করে কিংবা ইংল্যান্ডে-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১টি করে জয় এলেও সেখানে ছিল না ধারাবাহিকতা। যেমন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয়ের পর ক্রাইস্টচার্চে পরের টেস্টে হার ছিল ইনিংস ও ১১৭ রানে। আবার অস্টেলিয়ার বিপক্ষে ২০ রানে জেতার পর পরের টেস্টে হেরেছিল ৭ উইকেটে। এমনকি পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ২ টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পরও বাংলাদেশ টেস্টে ধারাবাহিক হতে পারেনি। এরপর তারা ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২টি করে চার টেস্ট খেলে খুবই বাজেভাবে হেরেছে। মান এতটাই নিম্নগামী হয়েছে, ২০১৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আফগানিস্তানের কাছেও প্রথম দেখায় হারতে হয়েছে। যেটি ছিল আবার আফগানদের দ্বিতীয় টেস্ট। অথচ এই আফগানিস্তান ঘরের মাঠে খেলতে পারে না কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তারা খেলে যাচ্ছে পরবাসী ক্রিকেট। মোট কথা, টেস্ট ক্রিকেটে এই ২৪ বছরে বাংলাদেশ কখনোই ধারাবাহিক হতে পারেনি। ধারাবাহিক হতে আর কত বছর লাগবে, তা রাডারে ধরা পড়ছে না।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

হার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরেছে ৫ উইকেট ব্যবধানে।

একই ভেন্যুতে আজ সিরিজ বাঁচানোর মিশনে টিম টাইগার্স। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস ভাগ্য হেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ পেয়েছেন ব্যাটিং।

একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বাদ পড়েছেন তাসকিন আহমেদ।

তার পরিবর্তে জায়গা হয়েছে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামের। ওয়েস্ট ইন্ডিজও উইনিং কম্বিনেশন ভেঙেছে। আলজারি জোসেফের পরিবর্তে একাদশে নিয়েছে মারকুইনো মিন্ডলিকে।

জাতীয় দলের জার্সিতে এটাই প্রথম ওয়ানডে জ্যামাইকান এই পেসারের।

বাংলাদেশ একাদশ

মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, নাহিদ রানা এবং শরিফুল ইসলাম।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ

ব্রান্ডন কিং, এভিন লুইস, কেসি কার্টি, সাই হোপ (অধিনায়ক), শেফার্নি রাদারফোর্ড, রস্তন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, জাস্টিন গ্রায়েভেস, মারকুইনো মিন্ডলি, গুদাকেশ মোতি এবং জেইডেন সিলস।

নাবিল/

শতবর্ষী বিশ্বকাপ হবে ৩ মহাদেশ ও ৬ দেশে

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
শতবর্ষী বিশ্বকাপ হবে ৩ মহাদেশ ও ৬ দেশে
ছবি : সংগৃহীত

ফুটবল বিশ্বকাপ তার শতবর্ষ পূর্ণ করতে যাচ্ছে ২০৩০ সালে। উরুগুয়ের মাটিতে প্রথমবারের মতো ১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। সে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল উরুগুয়ে। দক্ষিণ আমেরিকার মাটিতে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপের যাত্রা। 

তাই শতবর্ষের আয়োজনটাও দক্ষিণ আমেরিকার মাটিতে করতে চায় ফিফা। তবে পুরো বিশ্বকাপ হচ্ছে না সেখানে। বিশ্বকাপের মোট ৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেই মহাদেশে। ম্যাচ তিনটি হবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়েতে। অর্থ্যাৎ একটি করে ম্যাচ পাচ্ছে এই তিন দেশ। 

২০৩০ সালের মূল আয়োজক মূলত দুই ইউরোপীয় দেশ স্পেন, পর্তুগাল এবং উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। দ্রুতই সেই বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

জানা গেছে, আগামী বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ফিফার বর্ধিত সভায় স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কো এই বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে নাম ঘোষণা করবে। এছাড়া লাতিন আমেরিকার তিন দেশে তিন ম্যাচ আয়োজনের বিষয়টিও সে ঘোষণায় আসতে পারে।

মূল তিন আয়োজকের মধ্যে কেবল স্পেনের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজনের। এককভাবে ১৯৮২ সালেই শেষবার বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল স্পেন। অন্যদিকে, এটাই প্রথম অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে পর্তুগাল এবং মরক্কোর ম বিশ্বকাপ আয়োজনের।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাওয়া ঐতিহাসিক মনে করে পর্তুগাল, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য এক। তিন দেশ বা দুই মহাদেশ এখানে কোন ফ্যাক্টর নয়। ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে ঐতিহাসিক। সেটা সব দিক থেকে।’

দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় পর বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে ধন্য স্পেন, ‘৪২ বছর পর যখন আবারও বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছি, তখন আমরা এটি স্মরণীয় করতে চাই।’

সেরা বিশ্বকাপ উপহার দিতে উন্মুখ মরক্কো জানিয়েছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো  ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আয়োজন করা।’

শতবর্ষী বিশ্বকাপের কথা ভেবে কনমেবলকে বিশ্বকাপের অংশ করায় ফিফাকে ধন্যবাদ জানিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা জানিয়েছে, ‘এটি দক্ষিণ আমেরিকার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত, যেখানে একটি বিশাল উৎসব হবে।’

২০ রানের আক্ষেপ সালাউদ্দিনের

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
২০ রানের আক্ষেপ সালাউদ্দিনের
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ২৯৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও বাংলাদেশকে কেন হারতে হলো এমন প্রশ্ন এসেছিল বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছে। 

সেই প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন আক্ষেপ করেছেন ২০ রান কম হওয়ার।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে সালাউদ্দিন বলেন, ‘গতকাল যেভাবে ব্যাটিং করেছে ছেলেরা আমি বলব যে প্লান অনুযায়ী ছিল। সেই প্লান অনুযায়ী আমরা এগোতে চেয়েছিলাম। হয়তো ২০ রান কম ছিল এই উইকেটের জন্য।’

তবে কিছু রান কম করলেও সেটা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল বলেও মনে করেন সালাউদ্দি, ‘যেটা শেষের একটা দুইটা ওভারে এক দুই রান হয়ে গিয়েছিল। ওই দুইটা ওভার যদি আমরা ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে ২০ রান করতে পারতাম।’ 

বিসিবি সভাপতি বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থান করছেন। গতকাল অনুশীলনে কোচের সঙ্গে ছিলেন তিনি। নতুন কোচ ও দলের সদস্যদের সঙ্গে কি কথা হলো বোর্ডপ্রধানের এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ বলেন, ‘যে আলোচনা চলছিল এটা নিয়ে তো আপনাদের বলতে পারব না। উনি আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। আমরা ভালো খেলেছি চিন্তার কিছু নেই, ভালো খেলছে ছেলেরা এতোটুকুই। এর বেশি আসলে কথা হয়নি।’ 

মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ
ছবি : সংগৃহীত

২৯৪ রানের স্কোর দাঁড় করিয়েও ৫ উইকেটে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জুটি ভাঙতে পারায় এমন পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশের। 

এই ম্যাচ সিরিজে টিকে থাকার লড়াই বাংলাদেশ দলের জন্য। অন্যদিকে মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচ হতে পারে এটি অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য।

গেল ম্যাচে মিরাজের ব্যাটে এসেছে ৭৪ রানের ইনিংস। যদিও ধীরগতির ইনিংস খেলে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে দলের সংগ্রহে সন্তুষ্ট ছিলেন অধিনায়ক। সেই ম্যাচে ৭৪ রান করে পেছনে ফেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের ২০১৪ সালে করা ৭২ রান। 

আজ দ্বিতীয় ম্যাচে একটি রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি। বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করতে পারলে টপকে যাবেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা ও উইন্ডিজের কেমার রোচকে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সমান ৩০টি করে উইকেট আছে মাশরাফি ও রোচের ঝুলিতে। মিরাজের ঝুলিতে ২৭ উইকেট। 

৩ উইকেট পেলে এই তাদের দুইজনকে ধরে ফেলবেন মিরাজ। আর ৪ উইকেট পেলে হবেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। মিরাজের অবস্থান এই তালিকায় চারে। তিনে আছেন আরেক বাংলাদেশি মোস্তাফিজুর রহমান। তার নামের পাশে ২৮ উইকেট থাকলেও তিনি এই সিরিজে নেই দলের সঙ্গে।

অন্যদিকে, এই ম্যাচে ১টি ছক্কার দরকার আগের ম্যাচে ৩ ছয় হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০ ছক্কা রেকর্ড গড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।

এই ম্যাচে ১টি ছক্কা হাঁকাতে পারলে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক হবেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০টি ছক্কা নিয়ে সেই জায়গা দখল করে রেখেছেন ক্রিস গেইল। আগের ম্যাচে ৩ ছয় হাঁকানো রিয়াদের নামের পাশে এখন ১৯ ছক্কা। আজ একটি ছক্কা হাঁকালেই গেইলের সঙ্গে হবেন যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানো ব্যাটার।

গতরাতে দেশে ফিরেছেন এশিয়া কাপজয়ী যুবারা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
গতরাতে দেশে ফিরেছেন এশিয়া কাপজয়ী যুবারা
ছবি : সংগৃহীত

যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে শিরোপা অক্ষুণ্ন রেখেছে বাংলাদেশের যুবারা। আগেরবার ফাইনালে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারয়েছিল ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। গতরাতে ঢাকায় ফিরেছে যুব এশিয়া কাপজয়ী দলের সদস্যরা।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের বরণ করে নেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন, বোর্ড পরিচালক আকরাম খান, নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ইফতেখার মিঠু ও ফাহিম সিনহা।  

এখনই কোনো সংবর্ধনার আয়োজিত হতে যাচ্ছে না। তাই তাৎক্ষণিকভাবে শিরোপা উদযাপনে ঢাকা বিমানবন্দরেই খেলোয়াড়দের নিয়ে কেক কাটেন বিসিবি কর্তারা। 

বর্তমানে বিসিবি সভাপতি অবস্থান করছেন বড়দের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ উপলক্ষে সেখানেই। তিনি দেশে ফেরার পর আয়োজন করা হবে যুবাদের সংবর্ধনা। তবে আজ অনাড়ম্বরভাবে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছে বিসিবি। 

ইতোমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });