ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

১৯ দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ঢাকায়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
১৯ দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ঢাকায়
ছবি: সংগৃহীত

গুটি কয়েক ঘরোয়া প্রতিযোগিতা বাদে বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন আলোচনায় থাকে খুব কমই। সেই ব্যাডমিন্টনই এবার গড়তে যাচ্ছে দারুণ এক উদাহরণ। পাঁচ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্রিকেট-ফুটবল বাদে আর কোনো খেলার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ঢাকায় আয়োজিত হয়নি। সেখানে ক্রিকেট-ফুটবলের পর ব্যাডমিন্টন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল নাহার ডানা, টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ও ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য তাপতুন নাসরীন।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় বসবে ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। সিনিয়র ও জুনিয়র বিভাগ মিলিয়ে অংশ নেবে ১৯টি দেশ।

১৩ ডিসেম্বর শুরু হবে জুনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেবে তিনটি দেশ। স্বাগতিক বাংলাদেশ বাদে অন্য দুই দেশ- ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। মালদ্বীপ খেলার কথা থাকলেও তারা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে সিনিয়র বিভাগে খেলবে তারা। 

এ ছাড়া ১৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সিনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে ১৮টি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও ছেলেদের বিভাগে অংশ নিবে ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, মালদ্বীপ, ইউক্রেন, ইতালি, ফিনল্যান্ড, বুলগেরিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ইংল্যান্ডের শাটলাররা।

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন জানিয়েছে, জুনিয়র বিভাগে ১১৪ জন ও সিনিয়র বিভাগে ২২৮ জন খেলোয়াড় অংশ নিবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন। এই প্রতিযোগিতার বাজেট ৭০ লাখ টাকা। জুনিয়র বিভাগে পাঁচ হাজার ডলার ও সিনিয়র বিভাগে ১৫ হাজার ডলার পুরস্কার থাকছে। ইউনেক্স গ্রুপ প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেও এতে আর্থিক সহায়তা করছে একমি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

মেহেদী/এমএ/

তিলকের বিশ্বরেকর্ডে ভারতের জয়

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৬ এএম
তিলকের বিশ্বরেকর্ডে ভারতের জয়
ছবি : সংগৃহীত

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিলক ভার্মা। প্রায় হারতে বসা ম্যাচ তার অপরাজিত ৫৫ বলে ৭২ রানের ইনিংসেই ২ উইকেটে জিতে নিয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডকে হতাশ করে তিনি গড়েছেন বিশ্বরেকর্ডও। 

টানা দুই ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক ভারত। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে ভারত। তিলক ৭২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকার ফলে টানা অপরাজিত থেকে রান করার বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত আউট না হয়ে টানা ৩১৮ রান সংগ্রহ করেছেন ভারতের এই ব্যাটার।

আগের তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৯, ১২০ ও ১০৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। গতকাল ফের অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলে ভেঙেছেন আগের বিশ্বরেকর্ড। যেটি দখলে ছিল নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার মার্ক চাপম্যানের (২৭১)। 

তিলকের নৈপুণ্যে ম্যাচের শেষ হাসি ভারতের হলেও, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ইংল্যান্ডের কাছেই ছিল। সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, ধ্রুব জুরেল ও হার্দিক পান্ডিয়া যখন আউট হয় তখন ভারতের স্কোরবোর্ডে রান ছিল মাত্র ৭৮ আর উইকেটের পতন হয় ৬টি।

ওভার অনুযায়ী ঠিকঠাক রান হলেও ভারত নিয়মিত বিরতিতে হারিয়ে যাচ্ছিল উইকেট। তিলক ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ৩৮ রানের জুটি ভাঙলে ১১৬  রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত। সুন্দর আউট হন ২৬ রান করে। 

এতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সফরকারীদের জয়ের আশা গুড়ে বালি করেছেন তিলক। দেখেশুনে খেলে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনে জয়ের বন্দরে নিয়ে এসেছেন তিলক। এরপর অক্ষর প্যাটেল আর অর্শদীপও বিদায় নেন তিলককে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়ে।

এমন বিরূপ পরিস্থিতিতেই দেখেশুনে খেলে ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিলক ৭২ রানে অপরাজিত থেকে। ৪ বল আগে ভারত জয় তুলে নেয় ২ উইকেটের।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডও শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১০০ রানের আগেই ৫ উইকেট হারানো ইংলিশরা ১০৮ রানে হারিয়ে বসেন ৬ উইকেট।

ইংলিশদের হয়ে ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে জস বাটলার। শেষদিকে জেমি স্মিথের ১২ বলে ২২ ও ব্রাইডন কোর্স ১৭ বলে ৩১ রান করলে ৯ উইকেটে ইংল্যান্ডের রান হয় ১৬৫।

বল হাতে ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী। ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের ব্রাইডন কার্স।

দেশের ক্রিকেটের উত্থানে ঢাকার ক্লাবই মুখ্য

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ এএম
দেশের ক্রিকেটের উত্থানে ঢাকার ক্লাবই মুখ্য
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ আজ এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে খেলে যাচ্ছে। খেলছে তিন ফরমেটের ক্রিকেটই। আইসিসির ইভেন্টেও খেলছে নিয়মিত। অথচ একসময় আইসিসির ইভেন্ট খেলা ছিল সোনার হরিণ! অনেক চেষ্টা-সাধনার পর ষষ্ঠবার ১৯৯৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তখন আইসিসি টুর্নামেন্ট বলতেই ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর বাংলাদেশ প্রতিবার সেখানে অংশগ্রহণ করেছে ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ (তখন ছিল প্রথম বিভাগ) ক্রিকেট লিগ খেলে। এরপর ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদাও পায় বলা যায় ঢাকার ক্রিকেট লিগকে কেন্দ্র করেই। কারণ জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরুই হয়েছিল ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে। আবার টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে বাংলাদেশে যেসব বিদেশি দল খেলতে এসেছে, তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে ওয়ানডে ও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে, সেখানে জাতীয় দল গড়াও হতো এই ঢাকা লিগকে কেন্দ্র করেই। বলা যায়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্থানের ‘বীজ’ বপনই হয়েছে ঢাকার লিগ থেকে। যে কারণে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদেও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সংগঠকদের প্রাধান্য বেশি। এবার ঢাকা লিগের ক্লাব কর্মকর্তাদের অধিকার হরণও কমিয়ে আনার পাঁয়তার চলছে।

বিসিবির গঠনতন্ত্রে অনুচ্ছেদ ১৩-এ পরিচালনা পর্ষদ গঠন প্রসঙ্গে ১৩.২ (খ) ২-এ বলা হয়েছে, ক্যাটাগরি-২ হতে সিসিডিএম (ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্লাব প্রতিনিধি) হতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচত হবেন। কিন্তু বিসিবির নতুন খসড়া গঠনতন্ত্রে সেটিকে কমিয়ে মাত্র ৪ জন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাউন্সিলরশিপও কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে যেখানে ৭৬ জন কাউন্সিলর আছেন, সেখানে প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ জন। এ নিয়ে ফুঁসে উঠেছে ঢাকার ক্লাবগুলো। ইতোমধ্যে তারা মতবিনিময় সভা করে বিসিবিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ডাক দিয়েছে লিগ বয়কটের। তাদের লিগ বর্জনের কারণে শুরু হতে পারেনি প্রথম বিভাগ লিগ। হুমকির মুখে আছে প্রিমিয়ার বিভাগ লিগও। 

প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগের শক্তিশালী প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব আবির্ভাবের পর একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবারই তারা জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার নিয়ে শিরোপা জেতার মতো দল গড়ে। সেই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বিসিবির সাবেক পরিচালক তানজিল চৌধুরী এ রকম প্রস্তাবনায় যারপরনাই অবাক হয়েছেন। তিনি এ রকম প্রস্তাবনাকে ‘হিপোক্রেট’ বলে মন্তব্য করেছেন। তানজিল চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট মনিটাইজেশন হোক। আমরা বিপিএলকে আইপিএলের সঙ্গে তুলনা করি। কিন্তু বিপিএলে ঠিকমতো টাকা দিতে পারছে না। যেভাবে করা হচ্ছে, সেটা বরং কোনো কিছুই হচ্ছে না। কেউ কোটি কোটি টাকা খরচ করবে। বিনিময়ে সে কিছুই পাবে না। রাইটস নেই, কাউন্সিলরশিপ নেই। যে কারণে বারবার ফ্র্যাঞ্চাইজি বদল হচ্ছে। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটও অনেকটা সে রকম।’ তিনি বলেন, ‘অপ্রিয় হলেও সত্যি, সিসিডিএম যেহেতু ঢাকাকেন্দ্রিক। তাই এখান থেকেই সব কিছু হচ্ছে। ক্লাবগুলো যদি কোনো কিছু না পায়, তা হলে তারা কেন কোটি কোটি টাকা খরচ করবে? প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রে বিভাগগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা সত্যি, বিভাগগুলো থেকেই খেলোয়াড়রা আসে ঢাকায়। ঢাকায় আসার পর ক্লাবগুলোতে খেলে তারা আর্থিক বেনিফিট পেয়ে থাকে। ক্লাবগুলো না খেললে তারা খেলবে কোথায়? তাই গঠনতন্ত্রে ক্লাবগুলোকে গুরুত্ব না দেওয়া হাস্যকার। এটা যারা করেছে তারা হিপোক্রেট। ক্রিকেট সম্বন্ধে তাদের ভালো ধারণা নেই।’

বিসিবিতে ১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করা আবাহনীর ক্রিকেট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি মনে করেন শুধু ক্রিকেট নয়, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনই ক্লাবনির্ভর। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ক্লাবগুলোর অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গত ৬০-৭০ বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন পুরোপুরি নির্ভরশীল ঢাকার ক্লাবগুলোর ওপর। বিশেষভাবে ক্রিকেটের কথাই যদি বলি, তাদের বাজেট ১০০ কোটির কাছাকাছি। এই বিনিয়োগটা হয়েছে কিন্তু ক্রিকেটের ভালোর জন্য, ক্রিকেটারদের ভালোর জন্য। এই সব কিছুই কিন্তু আমি বিনিয়োগ হিসেবে দেখব। এখন অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করেছেন যে, তৃতীয় বিভাগের একটা দল আর একটা জেলা দল কি একই মর্যাদার? এটা আসলে হওয়ার কথা না। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, জেলার সংগঠন বিভিন্ন বাস্তবতার কারণে তারা সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। এখন যখন একটা অংশ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তারা বিনিয়োগ করে ক্রিকেটকে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, তাদের তো নিরুৎসাহিত করতে পারি না। আজকে যদি আমি ৩০ জনের কাউন্সিলর বা চারজন পরিচালক নিয়ে আসি, এই বিনিয়োগটা তো না-ও হতে পারে।’ বিসিবিতে যে সংস্কারের কথা বলছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবাই সংস্কার সংস্কার বলছেন। সংস্কার শব্দটা অতিমাত্রায় ব্যবহার হতে হতে এর ভুল-ব্যবহার হচ্ছে বলে আমি মনে করি। যদি সংস্কারই করতে হয় তাহলে জেলা সংস্থাগুলোর ক্লাবগুলো একদম বৈধ এবং নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে। তাহলে ক্লাবগুলো বা জেলার সংস্থাগুলো সন্দেহজনক ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালা লোকদের কাছে ধরনা দিতে হবে না টাকার জন্য। এমন সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া। পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে, নির্বাচনকে মাথায় রেখে কারও কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজেদের নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্ধন জোগাচ্ছে আবার চিহ্নিত একটা গোষ্ঠী। ক্লাবগুলো যেভাবে রি-অ্যাক্ট করেছে, আমি মনে করি একটু কমই করেছে, আরেকটু হওয়া উচিত ছিল। এটা নিয়ে গঠনতন্ত্র কমিটি যদি আরও অগ্রসর হয়, তাহলে কিন্তু তারাই দায়ী থাকবে যে কোনো পরিণতির জন্য।’ তিনি গঠনতন্ত্র কমিটির সমালোচনা করে বলেন, ‘এমন ব্যক্তিরা এই প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, যারা না ক্লাব, না জেলা কোনো জায়গারই সংগঠক নন। কিন্তু সুকৌশলে তারা ক্লাব ও জেলার সংগঠকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা  একে অপরের পরিপুরক। এখানে বিভাজনের সুযোগ নেই।’ ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে পরিচালক পদ ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৬টি করার প্রস্তাবকে সমর্থন করে তা মেনে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক। 

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্ণধার লুৎফুর রহমান বাদল, ‘বিষয়টি আমরা যখন জানতে পেরেছি, আমরা ক্লাবগুলো একাত্মতা ঘোষণা করে সভা করি। আমাদের সিদ্ধান্ত বিসিবিকে জানিয়ে দিই। কারণ তৃতীয় বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার বিভাগ পর্যন্ত প্রতিবছর আমরা প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো খরচ করে থাকি। এটি যদি বিসিবি আমাদের মূল্যায়ন না করে, তা হলে আমরা ক্রিকেট বর্জন করব। অলরেডি কিন্তু আমরা বর্জনের মধ্যেই আছি। প্রথম বিভাগ লিগ আমরা খেলছি না। আমরা বিসিবি সভাপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। জানিয়েছেন এই খসড়া তিনি নিজেও পাননি। যাই হোক আমরা আমাদের কাজ করেছি। এখন ক্লাবগুলোর সুযোগ-সুবিধা যাতে বাদ না হয়,সেটাই দেখার বিষয়।’ তিনি গঠনতন্ত্র কমিটির সমালোচনা করে বলেন, ‘যারা ক্লাব ক্রিকেট চালায় না, ক্রিকেট আইন সম্বন্ধে যাদের কোনো ধারণাই নেই, তাদের কাছে বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব।’

 এ ব্যাপারে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘একটা জিনিস সাবমিট করলে তখন দেখা যাবে। তার আগে তো আলাপ করার সুযোগ নেই।’ ক্লাবগুলো তার পদত্যাগ চাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তাদের কাছে সে রকম কোনো তথ্য গিয়েছে, যা তাদের মনোপুত হয়নি। তারা রি-অ্যাক্ট করতেই পারে।’ 

এদিকে গতকাল  বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ এক জরুরি সভায় বসে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি স্থগিত করেছে।

টিভিতে আজকের খেলা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ এএম
টিভিতে আজকের খেলা
ছবি : সংগৃহীত

বিপিএল, প্রিমিয়ার লিগ, বুন্দেসলিগা ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দেখুন আজকের টিভিতে

ক্রিকেট (সরাসরি)

বিপিএল

বরিশাল-সিলেট, দুপুর ১টা ৩০ মিনিট
রাজশাহী-রংপুর, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট, টি স্পোর্টস

পাকিস্তান-উইন্ডিজ, দ্বিতীয় টেস্ট
দ্বিতীয় দিন, সকাল ১০টা ৩০ মিনিট, পিটিভি

ফুটবল (সরাসরি)

প্রিমিয়ার লিগ

টটেনহাম-লেস্টার, রাত ৮টা
অ্যাস্টন-ওয়েস্টহাম, রাত ১০টা ৩০ মিনিট
ফুলহাম-ম্যানইউ, রাত ১টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

বুন্দেসলিগা

সেন্ট পাওলি-বার্লিন, রাত ১০টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ২

টেনিস (সরাসরি)

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

বেলা ২টা ৩০ মিনিট, সনি টেন ৫

আইসিসি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে ভারতীয়দের দাপট

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম
আইসিসি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে ভারতীয়দের দাপট
সংগৃহীত

গতকাল বর্ষসেরা ওয়ানডে এবং টেস্ট দল ঘোষণা করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রকাশ করেছে বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি পুরুষ ও নারী দল। কোনো স্কোয়াডেই নেই বাংলাদেশের কেউ। দুই তালিকাতেই ভারতীয়দের দাপট।

পুরুষ টি-টোয়েন্টির ১১ সদস্যের দলে ৪ জন ভারতীয়। তারা হলেন- রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহ এবং আর্শদীপ সিং। নেতৃত্বে রাখা হয়েছে রোহিত শর্মাকে। নারী টি-টোয়েন্টি দলে তিন ভারতীয় হলে- স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষ এবং দীপ্তি শর্মা।

পুরুষ টি-টোয়েন্টি দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, ফিল সল্ট, বাবর আজম, নিকোলাস পুরান (উইকেটকিপার), সিকান্দার রাজা, হার্দিক পান্ডিয়া, রশিদ খান, ভানিন্দু হাসারঙ্গা, জাসপ্রিত বুমরাহ এবং আর্শদীপ সিং।

নারী টি-টোয়েন্টি দল: লরা ভলভার্ট (অধিনায়ক), মারিজানি ক্যাপ, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষ, দীপ্তি শর্মা, চামারি আতাপাত্তু, হেইলি ম্যাথিউস, ন্যাট স্কাইভার-ব্রান্ট, মেলি কের, ওরলা প্রিডারগাস্ট এবং সাদিয়া ইকবাল।

মালিক অসন্তুষ্ট তাই পারিশ্রমিক পাননি ইমন

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম
মালিক অসন্তুষ্ট তাই পারিশ্রমিক পাননি ইমন
ছবি : সংগৃহীত

বিপিএল আসে, বিপিএল যায় কিন্তু পুরোনো কোনো রোগই যেন সারে না। দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবার সামনে এসেছে চিটাগং কিংসের পারভেজ হোসেন ইমন কোনো টাকা না পাওয়ার খবর।

চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগাং কিংস পারভেজ হোসেন ইমনকে কোনো টাকা না দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। কেন দেওয়া হয়নি সেই কারণও জানিয়েছেন সত্ত্বাধিকারী সামির কাদের চৌধুরী। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন এটি একটি ‘ব্যক্তিগত’ বিষয়।

গতকাল (২৪ জানুয়ারি) একাধিক সংবাদমাধ্যমে ইমনের টাকা না পাওয়ার খবরটি সামনে আসে। দাবি করা হয় দুইবার চেক বাউন্স হওয়ায় দল ছেড়েছেন তিনি।

এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তা স্বীকার করেছেন স্বয়ং চিটাগাং কিংসের সত্ত্বাধিকারী সামির কাদের বলেন,  ‘হ্যাঁ, আমি ইমনকে পেমেন্ট করিনি। এটা করিনি ব্যক্তিগত কিছু কারণে। আমার টাকা তো গাছে ধরে না, আমারও সন্তুষ্টির দরকার আছে। আমি সন্তুষ্ট হলে টাকা দিয়ে দেব, বকেয়া রাখব না।’

তবে টাকা না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিগত এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ইস্যু আছে। আমি খেলোয়াড় এবং বোর্ডের সাথে আলোচনা করে আমার সিদ্ধান্ত নেব।’

চলমান বিপিএলে ব্যাট হাতে ইমনের সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। ৭ ম্যাচে মাত্র ১০৩ রান করেছেন ১২৫.৬০ স্ট্রাইক। 

এদিকে চিটাগাং কিংস ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ওঠায় বিষয়টি নিয়ে ইমন নিজেই শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি পরিস্কার করেন। 

তার দাবি, দলের পরবর্তী ম্যাচের আগে লম্বা বিরতি থাকায় ছুটি নিয়ে বাইরে গেছেন তিনি। ইমন লিখেছেন, ‘লম্বা গ্যাপ থাকায় দুই দিনের ছুটিতে আছি, কোচ ম্যানেজারের সাথে কথা বলে ছুটি নিয়েছি। টিম ছেড়ে চলে গিয়েছি এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই, এমনটা কোথাও বলিনি। দেখা হবে মাঠে।’