
গতকাল পারিশ্রমিকের টাকা বুঝে না পাওয়ায় অনুশীলন বয়কট করেন দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা। প্রতি বিপিএলেই খেলোয়াড়দের চুক্তির অর্থ পাওয়া নিয়ে অনিয়মের খবর সামনে আসে। পরে মালিকপক্ষের আশ্বাসে আজ অনুশীলনও করেছে দলটির খেলোয়াড়রা।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্বার রাজশাহীর মালিকের স্ত্রী দেশে না থাকায় এই জটিলতার শুরু।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ জানান, দলটির মালিকের স্ত্রী ডাগআউটের পাশে বসে খেলা দেখার সময় বলের আঘাতে চোট পান। সেই চোটের চিকিৎসা নিতেই তৎক্ষণাৎ ব্যাংকক যেতে হয় দলের মালিককে। আর মালিক দেশে না থাকার কারণেই চেক বাউন্স করেছে।
জায়েদ আহমেদ আরও বলেন, ‘চেক বাউন্সের যে ইস্যুটা ছিল, আমরা চেক দিয়েছিলাম সিলেটে। আপনারা জানবেন যে ঢাকায় আমাদের শেষ ম্যাচে মালিকের স্ত্রীর গায়ে একটা বল লেগেছিল এবং হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যাংকক নিয়ে যেতে হয়েছিল। ফোনে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্সের ব্যাপার থাকে। মালিককে ফোনে পাবে না, তাই আমরা আগেরদিনই খেলোয়াড়দের জানিয়ে দিয়েছিলাম তোমরা চেকগুলো জমা দিও না।’
রাজশাহীর অপারেশন ইনচার্জের কথা অনুযায়ী খেলোয়াড়দের জানানোর পরও কেউ কেউ না বুঝে সেটি ব্যাংকে জমা দিয়ে দেন। সেখান থেকেই মূলত ভুল বোঝাবুঝির শুরু। তবে পরে চেক জমা দেওয়া খেলোয়াড়রা জানতে পারেন ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিকের চেক বাউন্স হওয়ার মূল কারণ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলের মাঝেই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেয়ার কথাও জানিয়েছে দলটি, ‘পেমেন্টের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীকাল ১৬ তারিখ বিকেল বা দুপুরের পর পর আমরা পেমেন্টগুলো দিয়ে দেব। সে অনুযায়ী আমরা ম্যানেজমেন্ট কাজ করছি এবং প্রতিটা ক্রিকেটারই জানে।’