
মোহামেডান ও রংপুর রাইডার্স ভাই ভাই। কথাটি শুক্রবারের জন্য বেশ যুতসই। কারণ এদিন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে টানা আট জয়ে রীতিমতো উড়ছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। একই দিন বিপিএলে টানা আট জয়ের দেখা পেয়েছে রংপুর রাইডার্সও। ট্রফি জয়ের লম্বা দৌড়ে অবশ্য রয়েছে মোহামেডান। তবে রংপুর অষ্টম জয়ে সবার আগে নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ। যে গতিতে এগিয়ে চলছে রংপুর রাইডার্স, তাতে সম্ভাব্য শিরোপা জয়ের তালিকায় সবার ওপরেই থাকবে উত্তর বঙ্গের দলটি।
টানা সাত জয়ে সিলেট থেকে চট্টগ্রামে ফিরেছিল রংপুর রাইডার্স। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বন্দর নগরীতে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দলটির প্রতিপক্ষ ছিল চিটাগং কিংস। যে দলটি রংপুরের মতোই অনেকটা তেজোদীপ্ত। জিতে এসেছে টানা চারটি ম্যাচ। এর মধ্যে দুটি আবার ঘরের মাঠে। আবার নিজ দর্শকদের পুরোটা সমর্থন নিয়ে। দুই দলের লড়াইটা তাই ভালোই হলো। যদিও শেষ হাসিটা রংপুরেরই, ৩৩ রানে।
শুধু চিটাগং নয় মাঠে রংপুরকে লড়াই করতে হয়েছে দর্শকদের সাথেও। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন প্রায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল কিংস সমর্থকদের জোয়ারে। আগে ব্যাট করতে নেমে তাই কাঁপাকাঁপিতে ৬৯ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল রংপুরের। পরে খুশদিল শাহর ঝড়ো ইনিংসে লড়াকু পূজি তোলে রংপুর। স্কোর বোর্ডে জমা ৭ উইকেটে ১৬৪ রান। ২৮ বলে দুটি চার ও সাত ছক্কায় ৫৯ রান করেন খুশদিল শাহ। জবাবে চিটাগং কিংসের দৌড় শেষ হয় ৮ উইকেটে ১৩১ রানে। বল হাতে রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আকিফ জাভেদ। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন খুশদিল শাহই।
৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে অনুমিতভাবে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। সেখানে ফরচুন বরিশাল ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়েও রান ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা তৃতীয় স্থানে চিটাগং কিংস।