
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্টে ধবলধোলাই হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও সিরিজ হার। ৩-১ ব্যবধানে ১০ বছর পর বর্ডার-গাভস্কার ট্রফিতে হেরেছে ভারতীয়রা। সেই পরাজয়ের পর একের পর এক সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন দলটির ক্রিকেটার ও কোচ।
শোনা যাচ্ছে দলে দেখা দিয়েছে ঐক্যের ঘাটতিও। যে ঐক্যের ঘাটতি ছিল গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে। ভেঙে পড়েছিল ভারতের দলটার ঐক্য। সৌরভ গাঙ্গুলির ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবেও অনেকে দেখেন গ্রেগ চ্যাপেলের কোচিং অধ্যায়কে। বর্তমানে ভারতের ড্রেসিংরুমের অবস্থাও সেই গ্রেগ চ্যাপেল আমলের মতোই বিভক্ত বলে মন্তব্য করেছেন হরভজন সিং।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে হেরে গিয়ে ভারত ছিটকে গেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে। টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা জিততে না পারা ভারতের এবারের লক্ষ্য ছিল কাঙ্ক্ষিত শিরোপা ছুঁয়ে দেখা। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি সিরিজ হারে। সিরিজ হারের পর দল অনেক সমালোচনার শিকার। বিসিসিআইও খেলোয়াড়দের ওপর ১০টি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
পরাজয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বেরিয়ে আসছে দলের ভেতরের অনেক কাহিনী। সেসব নিয়েই ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং প্রশ্ন তুলেছেন দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে।
ভারতের এই সাবেক স্পিনার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘এগুলো নিজেরা সমাধান করে নাও। এত নাটক কেন? প্রতিটি ঘরেই ঝামেলা হয়। কিন্তু এগুলো বাইরে আসা উচিত নয়। গত ছয় থেকে আট মাসে আমরা অনেক কিছু শুনেছি।’
চ্যাপেলের সময়ের ড্রেসিংরুমের সঙ্গে তুলনা করে হরভজন, ‘গৌতম গম্ভীর নতুন। খেলোয়াড়দের বুঝে উঠতে হবে তাকে। খেলোয়াড়দেরও তাকে বুঝতে হবে। রসায়ন ছাড়া কিছুই কাজ করবে না। এটা আমি আগেও দেখেছি। ২০০৬ থেকে ২০০৮, গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে দেখেছি পুরো ড্রেসিংরুমই ভেঙে পড়েছে। কারণ, খেলোয়াড়েরা একে অন্যকে দায় দেওয়ার খেলায় মেতে উঠেছিল। সংবাদমাধ্যম এত কিছু জানে কীভাবে?’