ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

ফরিদপুরে স্থায়ী প্রশিক্ষণ ভেন্যুর দাবি আর্চারদের

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
ফরিদপুরে স্থায়ী প্রশিক্ষণ ভেন্যুর দাবি আর্চারদের
ফরিদপুরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আর্চাররা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে তারুণ্যের উৎসবে শামিল হয়েছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ফরিদপুর জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় দিনব্যাপী হয়েছে নানা অনুষ্ঠান।

সকালে বর্ণাঢ্য র‍্যালির মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের শুরু হয়। র‍্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে স্টেডিয়াম মাঠে শেষ হয়।

জেলা স্টেডিয়ামে আর্চারি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আর্চারি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. ফারুক ঢালী ও মাসুদুর রহমান চুন্নু।

দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় মোট ২৮ জন আর্চার অংশ নেন। এর মধ্যে ১৩ জন ছেলে ও ১৫ জন মেয়ে। 

ছেলেদের সিনিয়র বিভাগে সোনা জিতেছেন আব্দুর রহমান আবির।

মেয়েদের সিনিয়র ও জুনিয়র দুই বিভাগেই প্রতিযোগিতা হয়েছে। সিনিয়র বিভাগে মেহজাবিন তুবা ও জুনিয়র বিভাগে রুমা আক্তার সোনা জয় করেন।

খেলা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আর্চাররা স্থায়ী ভেন্যুর দাবি জানিয়েছেন।

এ সময় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রশিক্ষণ ভেন্যু চূড়ান্ত হলে আনুষঙ্গিক সব বিষয়ের ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন। 

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

তারুণ্যের উৎসবকে ধারণ করে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন দেশের ৯টি ভেন্যুতে এই উৎসবের আয়োজন করেছে। 

নীলফামারী ও ফরিদপুরের পর আর্চারি ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসবের বাকি আয়োজনগুলো হবে ২৩ জানুয়ারি টঙ্গীর আর্চারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, ২৪ জানুয়ারি নাটোরের খুবজিপুরে, ২৭ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায়, ২৮ জানুয়ারি নড়াইলে, ৩১ জানুয়ারি রাজশাহীতে, ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে এবং চূড়ান্ত পর্ব ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে।

নাবিল/

ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন সাফজয়ী আঁখি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন সাফজয়ী আঁখি
ছবি: খবরের কাগজ

একজন ফুটবলার আঁখি খাতুন। আরেকজন দর্শক টেলিভিশনে খেলা দেখছেন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলাম টিংকু। প্রায় ৪ বছর আগে আঁখি খাতুনের খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে ফিরেছিলেন চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবের কোচ টিংকু। খেলা দেখতে এসে মাঠে পরিচয় হয় আঁখির সঙ্গে। ভালো লাগা থেকে শুরু হয় দু’জনের প্রেম। অবশেষে ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় আঁখি খাতুন।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে আঁখির বাবা আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, দুই পরিবারের সম্মতিতে শুভ বিবাহের কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দ্বাবাড়িয়া এলাকায় আঁখি খাতুনের পিত্রালয়ে বিয়ের শুভ কাজটি সম্পন্ন হয়েছে । বর ও কনেকে এক নজর দেখতে আঁখি খাতুনের বাড়ি ভিড় করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, আঁখির স্বামী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম টিংকু বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র। তার বাড়ি রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। তিনি বর্তমানে চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবে কোচ হিসেবে কর্মরত। আর আঁখি খেলছেন চায়নার স্ককর ওয়ার্ড ক্লাবে। ২০১৮ সালে টেলিভিশনের পর্দায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের খেলা দেখে ভালো লেগে যায় চীনের লন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলামের। ২০২১ সালে মাঠে বসে আঁখির খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে আসেন তিনি। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ চলতে থাকে। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে উভয়ের মধ্যে। দুজনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবারকে জানান। পরিবারের সম্মতিতে ৪ বছর পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তারা। এরআগে, ২০২৩ সালে অনেক আলোচনা ও বিতর্কের মাঝে মায়ের অসুস্থতা কথা বলে বাফুফে ক্যাম্প ছাড়েন আঁখি। এরপর আর বাফুফে মুখো হননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। এদিকে, পছন্দের মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুশি হওয়ার পাশাপাশি সবার কাছে দোয়া দেয়েছেন এই নব দম্পতি।

সাবেক নারী ফুটবলার আঁখি খাতুন বলেন, আমার খেলার অনেক বড় ভক্ত ছিল টিংকু। এতই ভক্ত যে চার বছর আগে সুদূর চীন থেকে আমার খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিল। সেটাই আমাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগের পর আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আমাদের। এখন তো আমরা জীবনের বন্ধনে জড়িয়ে গেলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন। তবে বিয়ের পরও পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাটাও চালিয়ে যেতে যান তিনি।

আক্তার হোসেন বলেন, দুইজনের পছন্দের পর বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে আঁখি ও তার স্বামী শাহজাদপুরে আমার বাড়িতে অবস্থান করছে। আগামী ১২ তারিখে ঢাকায় যাবে। সেখান থেকে চিনে যাওয়ার কথা আছে। আমি তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।

সিরাজুল ইসলাম শিশির/মাহফুজ

 

যানজটে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমল ১৪ ওভার

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
যানজটে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমল ১৪ ওভার
ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেটের মাঠের এবং মাঠের বাইরের সব অদ্ভুত ঘটনায় প্রায়ই কিছু ম্যাচ আলোচনার জন্ম দেয়। সঠিক সময়ে বল মাঠে না গড়ানো তার মধ্যে একটি। তবে বৃষ্টিজনিত কারণে দেরি হলে তা স্বাভাবিক বলেই ধরা হয়। আলোকস্বল্পতাও পড়ে সেই স্বাভাবিকের কাতারে।

তবে যদি যানজটের কারণে খেলোয়াড়রা মাঠে পৌঁছাতে দেরি করে সেটি অদ্ভুত কারণই মনে হতে পারে। সাধারণত এলাকার মাঠে অপেশাদার ক্রিকেটে ঘটে থাকে এমন ঘটনা। তবে তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নামিবিয়ার ম্যাচে।

ওমানের মাসকটে হওয়া সেই ম্যাচে সঠিক সময়ে মাঠে পৌঁছাতে পারেনি দুই দলের কেউই। তীব্র যানজটের কারণে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২ এর খেলায় ঘটেছে এমন ঘটনা। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমানো হয়েছিল ১৪ ওভার।

ওমানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা এবং সেখানকার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আল-আমেরাত স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে তীব্র যানজটে। 

সাধারণত একঘন্টা আগে দুই দলই মাঠে পৌঁছে যায়। টস হয়ে যায় আধাঘন্টা আগে। তবে এই ম্যাচে দুই দলের কেউই সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেনি। ম্যাচ অফিসিয়ালরাও ছিলেন অনুপস্থিত।

টস হতে দেরি হওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে ইউএসএ ক্রিকেট এক্সে লিখেছে, ‘অপ্রত্যাশিত লজিস্টিক পরিস্থিতির কারণে ম্যাচ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে।’

পরে সেই পোস্ট শেয়ার দিয়ে ক্রীড়া সাংবাদিক পিটার ডেলা পেনা জানিয়েছেন, ‘মাসকাটে ম্যারাথন/আয়রনম্যান রোড রেসের কারণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে রাস্তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও নামিবিয়া টিম বাসের স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা ছিল, সেটিও এর একটি। এটা নিশ্চিত দুই দল (যথাসময়ে) মাঠে পৌঁছাতে পারেনি। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়েছে। প্রত্যেক দল ৪৩ ওভার করে খেলবে।’

দেরিতে শুরু হওয়া সেই ম্যাচে ২৯৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নামিবিয়া মাত্র ১৭৯ রানে অলআউট হলে ১১৪ রানে জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র। 

৩৪ বলে ৫৪ ও বল হাতে ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিন্দ কুমার হয়েছেন ম্যাচসেরা। 

এই জয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২-এর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। আট দলের এই টুর্নামেন্টের শীর্ষ চার দল সরাসরি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।

১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৪ বছরের খরা কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিকদের ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারীরা। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে অজিদের।

২০১১ সালের পর আবারও লঙ্কানদের মাটিতে এই টেস্ট সিরিজ জয় বিশেষ হয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। মাঝে ২০১৬ সালে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয় অজিরা। আর ২০২২ সালে সিরিজ হয় ১-১ ড্র।

তৃতীয় দিনের খেলা যখন ৮ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানে শেষ করে শ্রীলঙ্কা তখনই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকদের পরাজয়। দিনশেষে তাদের লিড দাঁড়িয়েছিল ৫৪ রান।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দিন মাত্র ৬ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানে গুটিয়ে যান শ্রীলঙ্কা। এতে করে অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৭৫ রান

ক্ষুদ্র এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অনায়াসেই জয় তুলে নিয়েছে অজিরা। ১৭.৪ ওভার ব্যাটিং করে তারা জয় তুলে নেয়। মধ্যাহ্নবিরতির আগে তাদের এই জয় ছিল ৯ উইকেটের ব্যবধানে।

ওপেনার ট্রাভিস হেডের উইকেট হারিয়েছে জয়ী দল। তিনি আউট হন ২৩ বলে ২০ রান করে প্রবাধ জয়সুরিয়ার বলে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

জয় আদায় করে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার উসমান খাজা ও তার সঙ্গী মারনাস লাবুশেন। খাজা ৪৪ বলে ২৭ আর লাবুশেন ৩৯ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

এই ম্যাচের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। ২০২৭ সালে আবার এশিয়া মহাদেশে টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবে অসিরা। সেটা ভারতের বিপক্ষে।

এর আগে প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ২৪২ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

 

ক্রিকইনফোর বিপিএলের সেরা একাদশে যারা আছেন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
ক্রিকইনফোর বিপিএলের সেরা একাদশে যারা আছেন
ছবি : সংগৃহীত

দুদিন হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর শেষ হয়েছে। ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা ধরে রেখেছে ফরচুন বরিশাল। 

এবারের আসরে রান হয়েছে বেশ। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের নিয়ে বিপিএলের একাদশ আসরের সেরা একাদশ তৈরি করেছে ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো। 

সেই একাদশে জায়গা হয়েছে পাঁচ ব্যাটার, দুই অলরাউন্ডার, তিন পেসার ও  এক স্পিনার। একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে শিরোপাজয়ী ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। 

তামিমের ওপেনিংয়ের সঙ্গী খুলনা টাইগার্সের বাঁহাতি ব্যাটার নাঈম শেখ।  সদ্যসমাপ্ত বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় ৫১১ রান করে সবার ওপরে অবস্থান করছেন এই ওপেনার। 

তিনে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার জাকির হাসান। চিটাগং কিংসের গ্রাহাম ক্লার্ক রয়েছেন চার নম্বরে। পাঁচ  নম্বরে অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে দারুণ পারফর্ম করা খুশদিল শাহ। এবারের বিপিএলে স্পিনারদের মধ্যে সর্বাধিক উইকেট তার দখলে। শিকার করেছেন ১৭ উইকেট।

উইকেটকিপার হিসেবে আছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তার অবস্থান ছয়ে। খেলেছিলেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে।

সাতে আছেন বরিশালের পাকিস্তানি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। চিটাগংয়ের রহস্য স্পিনার আলিস আল ইসলাম রয়েছেন আট নম্বরে। 

২৫ উইকেট নিয়ে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়া তাসকিন আহমেদ আছেন ৯ নম্বরে। 

চিটাগংয়ের ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ আছেন দশে। ১১ নম্বরে থাকা রংপুরের বাঁহাতি পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদ।

ইএসপিএনক্রিকইনফো একাদশ

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, জাকির হাসান, গ্রাহাম ক্লার্ক, খুশদিল শাহ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, আলিস আল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ ও আকিফ জাভেদ।

ভূমিকম্পের পর অলিম্পিয়াকে কাঁপাল মেসি ও মায়ামি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২০ পিএম
ভূমিকম্পের পর অলিম্পিয়াকে কাঁপাল মেসি ও মায়ামি
ছবি : সংগৃহীত

মায়ামির ম্যাচের ঘন্টা দুয়েকেরও কিছু সময় বেশি আগে ভূমিকম্প আঘাত হানে উত্তর হন্ডুরাসে। তখন ঘড়িতে সময় সন্ধ্যা ৬.২৩। যার মাত্রা ছিল ৭.৬। ওই অঞ্চলে সবশেষ চার বছরের মধ্যে যা কিনা সর্বোচ্চ।

ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর সুনামির আশঙ্কাও করেছিল মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। সেটি অবশ্য পরে বাতিল হয়। আকস্মিক এই ভূমিকম্পের সময় হন্ডুরাসেই অবস্থান ছিল লিওনেল মেসি ও ইন্টার মায়ামি।

প্রাক্‌-মৌসুম ম্যাচ খেলতে সেখানে গিয়েছিল মেজর লিগের দলটি। ভূমিকম্পের পর সুনামির শঙ্কা থাকলেও তেমনটা কিছুই হয়নি। কাছাকাছি সময়ে রাত ৮টায় মেসিদের ম্যাচও তাই ঠিক সময়ে মাঠে গড়িয়েছে। সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ওপর ভূমিকম্পের ন্যায় আঘাত করেছে মেসির মায়ামি। জয় পেয়েছে তারা ৫-০ ব্যবধানে।

ম্যাচটি হয়েছে চেলাটো ইউক্লেস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। যার অবস্থান ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ৪০০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। সে মাঠে গোল পেয়েছেন মেসি এবং সুয়ারেজ দুইজনই। একটি করে গোল এসেছে তাদের পা থেকে। মেসি গোল করিয়েছেন আরও দুটি।

দলের হয়ে ২৭ মিনিটে মেসির করা গোলটাই প্রথম। ডি বক্সে সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান মেসি। তার আগে সুয়ারেজকে বলটা দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার মার্সেলো ভাইগান্ট।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগের মিনিটে ফেদেরিকো রেদোনদো এবং যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নোয়াহ অ্যালেনের গোলে ব্যবধান ৩-০ করে মায়ামি। দুটি গোলেই সহায়তা করেছেন মেসি।

ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গোলের দেখা পান সুয়ারেজও। ফলে ৪-০  হয়ে যায় ব্যবধান। ম্যাচের শেষ গোলটি করেন রায়ান সেইলর, ৭৯ মিনিটে।