বিপিএলের ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশনে দুই দলের অধিনায়ক
৩৯ দিনে সাত দলের তুখোড় লড়াই। শেষ পর্যন্ত সব বাধা ডিঙিয়ে বিপিএলের শিরোপা মঞ্চে মুখোমুখি দুই দল। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল।
শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস। টি স্পোর্টস অ্যাপসেও উপভোগ করা যাবে ম্যাচ।
ফরচুন বরিশাল বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। চলমান টুর্নামেন্টেও দুরন্ত দলটি। লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ছিল তামিম ব্রিগেড। ১২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ জয়ে দলটির পয়েন্ট ছিল ১৮। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় বরিশাল।
১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করা চিটাগং কিংস ছিল তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া দলটি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফিরে আসে চমৎকারভাবে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শেষ বলে বাউন্ডারির সুবাদে রোমাঞ্চকর জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করে বন্দরনগরীর দলটি।
ফাইনালে ধারে-ভারে এগিয়ে থাকছে বরিশালই। গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশালের এটি পঞ্চম ফাইনাল। ২০১২, ২০১৫ ও ২০২২ সালের বিপিএলে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা স্পর্শ করতে পারেনি বরিশাল। হারতে হয় ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পায় বরিশাল। অন্যদিকে চিটাগং কিংস বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ২০১৩ সালে উঠেছিল ফাইনালে। কিন্তু হারতে হয় ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কাছে। এরপর এই নামে তারা আর অংশগ্রহণ করেনি। এবার একই নামে আবার ফিরে এসেই শিরোপা জয়ের শেষ ধাপে উঠে এসেছে। মাঝের আসরগুলোতে প্রতিবারই চিটাগং অংশ নিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মালিকানায়। কিন্তু একবারও ফাইনালে উঠতে পারেনি।
দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার জন্য মুখিয়ে আছে বরিশাল। তবে প্রথমবারের মতো ট্রফিতে চুমু আঁকতে মরিয়া চিটাগং কিংসও। দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাৎ প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। যেখানে বলতে গেলে একতরফাভাবে জিতেছিল বরিশাল। যে ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং করতে পারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। শামীম হোসেন (৭৯) ও ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (৩৬) ছাড়া চিটাগংয়ের কোনো ব্যাটার ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। জবাবে বরিশাল লক্ষ্যে পৌঁছেছিল ৯ উইকেটে ও ১৬ বল হাতে রেখে। তৌহিদ হৃদয় খেলেছিলেন ৫৬ বলে ৮২ রানের ঝলমলে ইনিংস।
বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ সমৃদ্ধ। তামিম, হৃদয়, মালান, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মায়ার্স, নবীদের প্রায় সবাই কমবেশি আছেন ছন্দে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম। চিটাগংয়ের জন্য যা মাথাব্যথার বড় কারণ। তবে ফাইনালের মঞ্চে কী ঘটবে, তা আগাম বলা মুশকিল। স্নায়ুচাপ ধরে রেখে তিন ভার্সনেই যারা ছন্দে থাকবে, জিতবে তারাই। সেই দল কোনটি, বরিশাল না চিটাগং? উত্তর মিলবে আজ রাতেই।