ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

দেশের ক্রিকেটের উত্থানে ঢাকার ক্লাবই মুখ্য

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ এএম
দেশের ক্রিকেটের উত্থানে ঢাকার ক্লাবই মুখ্য
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ আজ এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে খেলে যাচ্ছে। খেলছে তিন ফরমেটের ক্রিকেটই। আইসিসির ইভেন্টেও খেলছে নিয়মিত। অথচ একসময় আইসিসির ইভেন্ট খেলা ছিল সোনার হরিণ! অনেক চেষ্টা-সাধনার পর ষষ্ঠবার ১৯৯৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তখন আইসিসি টুর্নামেন্ট বলতেই ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর বাংলাদেশ প্রতিবার সেখানে অংশগ্রহণ করেছে ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ (তখন ছিল প্রথম বিভাগ) ক্রিকেট লিগ খেলে। এরপর ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদাও পায় বলা যায় ঢাকার ক্রিকেট লিগকে কেন্দ্র করেই। কারণ জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরুই হয়েছিল ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে। আবার টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে বাংলাদেশে যেসব বিদেশি দল খেলতে এসেছে, তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে ওয়ানডে ও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে, সেখানে জাতীয় দল গড়াও হতো এই ঢাকা লিগকে কেন্দ্র করেই। বলা যায়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্থানের ‘বীজ’ বপনই হয়েছে ঢাকার লিগ থেকে। যে কারণে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদেও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সংগঠকদের প্রাধান্য বেশি। এবার ঢাকা লিগের ক্লাব কর্মকর্তাদের অধিকার হরণও কমিয়ে আনার পাঁয়তার চলছে।

বিসিবির গঠনতন্ত্রে অনুচ্ছেদ ১৩-এ পরিচালনা পর্ষদ গঠন প্রসঙ্গে ১৩.২ (খ) ২-এ বলা হয়েছে, ক্যাটাগরি-২ হতে সিসিডিএম (ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্লাব প্রতিনিধি) হতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচত হবেন। কিন্তু বিসিবির নতুন খসড়া গঠনতন্ত্রে সেটিকে কমিয়ে মাত্র ৪ জন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাউন্সিলরশিপও কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে যেখানে ৭৬ জন কাউন্সিলর আছেন, সেখানে প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ জন। এ নিয়ে ফুঁসে উঠেছে ঢাকার ক্লাবগুলো। ইতোমধ্যে তারা মতবিনিময় সভা করে বিসিবিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ডাক দিয়েছে লিগ বয়কটের। তাদের লিগ বর্জনের কারণে শুরু হতে পারেনি প্রথম বিভাগ লিগ। হুমকির মুখে আছে প্রিমিয়ার বিভাগ লিগও। 

প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগের শক্তিশালী প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব আবির্ভাবের পর একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবারই তারা জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার নিয়ে শিরোপা জেতার মতো দল গড়ে। সেই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বিসিবির সাবেক পরিচালক তানজিল চৌধুরী এ রকম প্রস্তাবনায় যারপরনাই অবাক হয়েছেন। তিনি এ রকম প্রস্তাবনাকে ‘হিপোক্রেট’ বলে মন্তব্য করেছেন। তানজিল চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট মনিটাইজেশন হোক। আমরা বিপিএলকে আইপিএলের সঙ্গে তুলনা করি। কিন্তু বিপিএলে ঠিকমতো টাকা দিতে পারছে না। যেভাবে করা হচ্ছে, সেটা বরং কোনো কিছুই হচ্ছে না। কেউ কোটি কোটি টাকা খরচ করবে। বিনিময়ে সে কিছুই পাবে না। রাইটস নেই, কাউন্সিলরশিপ নেই। যে কারণে বারবার ফ্র্যাঞ্চাইজি বদল হচ্ছে। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটও অনেকটা সে রকম।’ তিনি বলেন, ‘অপ্রিয় হলেও সত্যি, সিসিডিএম যেহেতু ঢাকাকেন্দ্রিক। তাই এখান থেকেই সব কিছু হচ্ছে। ক্লাবগুলো যদি কোনো কিছু না পায়, তা হলে তারা কেন কোটি কোটি টাকা খরচ করবে? প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রে বিভাগগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা সত্যি, বিভাগগুলো থেকেই খেলোয়াড়রা আসে ঢাকায়। ঢাকায় আসার পর ক্লাবগুলোতে খেলে তারা আর্থিক বেনিফিট পেয়ে থাকে। ক্লাবগুলো না খেললে তারা খেলবে কোথায়? তাই গঠনতন্ত্রে ক্লাবগুলোকে গুরুত্ব না দেওয়া হাস্যকার। এটা যারা করেছে তারা হিপোক্রেট। ক্রিকেট সম্বন্ধে তাদের ভালো ধারণা নেই।’

বিসিবিতে ১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করা আবাহনীর ক্রিকেট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি মনে করেন শুধু ক্রিকেট নয়, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনই ক্লাবনির্ভর। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ক্লাবগুলোর অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গত ৬০-৭০ বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন পুরোপুরি নির্ভরশীল ঢাকার ক্লাবগুলোর ওপর। বিশেষভাবে ক্রিকেটের কথাই যদি বলি, তাদের বাজেট ১০০ কোটির কাছাকাছি। এই বিনিয়োগটা হয়েছে কিন্তু ক্রিকেটের ভালোর জন্য, ক্রিকেটারদের ভালোর জন্য। এই সব কিছুই কিন্তু আমি বিনিয়োগ হিসেবে দেখব। এখন অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করেছেন যে, তৃতীয় বিভাগের একটা দল আর একটা জেলা দল কি একই মর্যাদার? এটা আসলে হওয়ার কথা না। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, জেলার সংগঠন বিভিন্ন বাস্তবতার কারণে তারা সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। এখন যখন একটা অংশ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তারা বিনিয়োগ করে ক্রিকেটকে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, তাদের তো নিরুৎসাহিত করতে পারি না। আজকে যদি আমি ৩০ জনের কাউন্সিলর বা চারজন পরিচালক নিয়ে আসি, এই বিনিয়োগটা তো না-ও হতে পারে।’ বিসিবিতে যে সংস্কারের কথা বলছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবাই সংস্কার সংস্কার বলছেন। সংস্কার শব্দটা অতিমাত্রায় ব্যবহার হতে হতে এর ভুল-ব্যবহার হচ্ছে বলে আমি মনে করি। যদি সংস্কারই করতে হয় তাহলে জেলা সংস্থাগুলোর ক্লাবগুলো একদম বৈধ এবং নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে। তাহলে ক্লাবগুলো বা জেলার সংস্থাগুলো সন্দেহজনক ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালা লোকদের কাছে ধরনা দিতে হবে না টাকার জন্য। এমন সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া। পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে, নির্বাচনকে মাথায় রেখে কারও কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজেদের নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্ধন জোগাচ্ছে আবার চিহ্নিত একটা গোষ্ঠী। ক্লাবগুলো যেভাবে রি-অ্যাক্ট করেছে, আমি মনে করি একটু কমই করেছে, আরেকটু হওয়া উচিত ছিল। এটা নিয়ে গঠনতন্ত্র কমিটি যদি আরও অগ্রসর হয়, তাহলে কিন্তু তারাই দায়ী থাকবে যে কোনো পরিণতির জন্য।’ তিনি গঠনতন্ত্র কমিটির সমালোচনা করে বলেন, ‘এমন ব্যক্তিরা এই প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, যারা না ক্লাব, না জেলা কোনো জায়গারই সংগঠক নন। কিন্তু সুকৌশলে তারা ক্লাব ও জেলার সংগঠকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা  একে অপরের পরিপুরক। এখানে বিভাজনের সুযোগ নেই।’ ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে পরিচালক পদ ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৬টি করার প্রস্তাবকে সমর্থন করে তা মেনে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক। 

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্ণধার লুৎফুর রহমান বাদল, ‘বিষয়টি আমরা যখন জানতে পেরেছি, আমরা ক্লাবগুলো একাত্মতা ঘোষণা করে সভা করি। আমাদের সিদ্ধান্ত বিসিবিকে জানিয়ে দিই। কারণ তৃতীয় বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার বিভাগ পর্যন্ত প্রতিবছর আমরা প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো খরচ করে থাকি। এটি যদি বিসিবি আমাদের মূল্যায়ন না করে, তা হলে আমরা ক্রিকেট বর্জন করব। অলরেডি কিন্তু আমরা বর্জনের মধ্যেই আছি। প্রথম বিভাগ লিগ আমরা খেলছি না। আমরা বিসিবি সভাপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। জানিয়েছেন এই খসড়া তিনি নিজেও পাননি। যাই হোক আমরা আমাদের কাজ করেছি। এখন ক্লাবগুলোর সুযোগ-সুবিধা যাতে বাদ না হয়,সেটাই দেখার বিষয়।’ তিনি গঠনতন্ত্র কমিটির সমালোচনা করে বলেন, ‘যারা ক্লাব ক্রিকেট চালায় না, ক্রিকেট আইন সম্বন্ধে যাদের কোনো ধারণাই নেই, তাদের কাছে বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব।’

 এ ব্যাপারে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘একটা জিনিস সাবমিট করলে তখন দেখা যাবে। তার আগে তো আলাপ করার সুযোগ নেই।’ ক্লাবগুলো তার পদত্যাগ চাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তাদের কাছে সে রকম কোনো তথ্য গিয়েছে, যা তাদের মনোপুত হয়নি। তারা রি-অ্যাক্ট করতেই পারে।’ 

এদিকে গতকাল  বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ এক জরুরি সভায় বসে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি স্থগিত করেছে।

ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন সাফজয়ী আঁখি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন সাফজয়ী আঁখি
ছবি: খবরের কাগজ

একজন ফুটবলার আঁখি খাতুন। আরেকজন দর্শক টেলিভিশনে খেলা দেখছেন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলাম টিংকু। প্রায় ৪ বছর আগে আঁখি খাতুনের খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে ফিরেছিলেন চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবের কোচ টিংকু। খেলা দেখতে এসে মাঠে পরিচয় হয় আঁখির সঙ্গে। ভালো লাগা থেকে শুরু হয় দু’জনের প্রেম। অবশেষে ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় আঁখি খাতুন।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে আঁখির বাবা আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, দুই পরিবারের সম্মতিতে শুভ বিবাহের কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দ্বাবাড়িয়া এলাকায় আঁখি খাতুনের পিত্রালয়ে বিয়ের শুভ কাজটি সম্পন্ন হয়েছে । বর ও কনেকে এক নজর দেখতে আঁখি খাতুনের বাড়ি ভিড় করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, আঁখির স্বামী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম টিংকু বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র। তার বাড়ি রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। তিনি বর্তমানে চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবে কোচ হিসেবে কর্মরত। আর আঁখি খেলছেন চায়নার স্ককর ওয়ার্ড ক্লাবে। ২০১৮ সালে টেলিভিশনের পর্দায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের খেলা দেখে ভালো লেগে যায় চীনের লন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলামের। ২০২১ সালে মাঠে বসে আঁখির খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে আসেন তিনি। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ চলতে থাকে। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে উভয়ের মধ্যে। দুজনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবারকে জানান। পরিবারের সম্মতিতে ৪ বছর পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তারা। এরআগে, ২০২৩ সালে অনেক আলোচনা ও বিতর্কের মাঝে মায়ের অসুস্থতা কথা বলে বাফুফে ক্যাম্প ছাড়েন আঁখি। এরপর আর বাফুফে মুখো হননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। এদিকে, পছন্দের মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুশি হওয়ার পাশাপাশি সবার কাছে দোয়া দেয়েছেন এই নব দম্পতি।

সাবেক নারী ফুটবলার আঁখি খাতুন বলেন, আমার খেলার অনেক বড় ভক্ত ছিল টিংকু। এতই ভক্ত যে চার বছর আগে সুদূর চীন থেকে আমার খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিল। সেটাই আমাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগের পর আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আমাদের। এখন তো আমরা জীবনের বন্ধনে জড়িয়ে গেলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন। তবে বিয়ের পরও পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাটাও চালিয়ে যেতে যান তিনি।

আক্তার হোসেন বলেন, দুইজনের পছন্দের পর বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে আঁখি ও তার স্বামী শাহজাদপুরে আমার বাড়িতে অবস্থান করছে। আগামী ১২ তারিখে ঢাকায় যাবে। সেখান থেকে চিনে যাওয়ার কথা আছে। আমি তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।

সিরাজুল ইসলাম শিশির/মাহফুজ

 

যানজটে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমল ১৪ ওভার

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
যানজটে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমল ১৪ ওভার
ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেটের মাঠের এবং মাঠের বাইরের সব অদ্ভুত ঘটনায় প্রায়ই কিছু ম্যাচ আলোচনার জন্ম দেয়। সঠিক সময়ে বল মাঠে না গড়ানো তার মধ্যে একটি। তবে বৃষ্টিজনিত কারণে দেরি হলে তা স্বাভাবিক বলেই ধরা হয়। আলোকস্বল্পতাও পড়ে সেই স্বাভাবিকের কাতারে।

তবে যদি যানজটের কারণে খেলোয়াড়রা মাঠে পৌঁছাতে দেরি করে সেটি অদ্ভুত কারণই মনে হতে পারে। সাধারণত এলাকার মাঠে অপেশাদার ক্রিকেটে ঘটে থাকে এমন ঘটনা। তবে তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নামিবিয়ার ম্যাচে।

ওমানের মাসকটে হওয়া সেই ম্যাচে সঠিক সময়ে মাঠে পৌঁছাতে পারেনি দুই দলের কেউই। তীব্র যানজটের কারণে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২ এর খেলায় ঘটেছে এমন ঘটনা। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমানো হয়েছিল ১৪ ওভার।

ওমানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা এবং সেখানকার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আল-আমেরাত স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে তীব্র যানজটে। 

সাধারণত একঘন্টা আগে দুই দলই মাঠে পৌঁছে যায়। টস হয়ে যায় আধাঘন্টা আগে। তবে এই ম্যাচে দুই দলের কেউই সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেনি। ম্যাচ অফিসিয়ালরাও ছিলেন অনুপস্থিত।

টস হতে দেরি হওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে ইউএসএ ক্রিকেট এক্সে লিখেছে, ‘অপ্রত্যাশিত লজিস্টিক পরিস্থিতির কারণে ম্যাচ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে।’

পরে সেই পোস্ট শেয়ার দিয়ে ক্রীড়া সাংবাদিক পিটার ডেলা পেনা জানিয়েছেন, ‘মাসকাটে ম্যারাথন/আয়রনম্যান রোড রেসের কারণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে রাস্তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও নামিবিয়া টিম বাসের স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা ছিল, সেটিও এর একটি। এটা নিশ্চিত দুই দল (যথাসময়ে) মাঠে পৌঁছাতে পারেনি। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়েছে। প্রত্যেক দল ৪৩ ওভার করে খেলবে।’

দেরিতে শুরু হওয়া সেই ম্যাচে ২৯৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নামিবিয়া মাত্র ১৭৯ রানে অলআউট হলে ১১৪ রানে জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র। 

৩৪ বলে ৫৪ ও বল হাতে ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিন্দ কুমার হয়েছেন ম্যাচসেরা। 

এই জয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২-এর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। আট দলের এই টুর্নামেন্টের শীর্ষ চার দল সরাসরি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।

১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৪ বছরের খরা কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিকদের ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারীরা। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে অজিদের।

২০১১ সালের পর আবারও লঙ্কানদের মাটিতে এই টেস্ট সিরিজ জয় বিশেষ হয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। মাঝে ২০১৬ সালে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয় অজিরা। আর ২০২২ সালে সিরিজ হয় ১-১ ড্র।

তৃতীয় দিনের খেলা যখন ৮ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানে শেষ করে শ্রীলঙ্কা তখনই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকদের পরাজয়। দিনশেষে তাদের লিড দাঁড়িয়েছিল ৫৪ রান।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দিন মাত্র ৬ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানে গুটিয়ে যান শ্রীলঙ্কা। এতে করে অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৭৫ রান

ক্ষুদ্র এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অনায়াসেই জয় তুলে নিয়েছে অজিরা। ১৭.৪ ওভার ব্যাটিং করে তারা জয় তুলে নেয়। মধ্যাহ্নবিরতির আগে তাদের এই জয় ছিল ৯ উইকেটের ব্যবধানে।

ওপেনার ট্রাভিস হেডের উইকেট হারিয়েছে জয়ী দল। তিনি আউট হন ২৩ বলে ২০ রান করে প্রবাধ জয়সুরিয়ার বলে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

জয় আদায় করে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার উসমান খাজা ও তার সঙ্গী মারনাস লাবুশেন। খাজা ৪৪ বলে ২৭ আর লাবুশেন ৩৯ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

এই ম্যাচের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। ২০২৭ সালে আবার এশিয়া মহাদেশে টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবে অসিরা। সেটা ভারতের বিপক্ষে।

এর আগে প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ২৪২ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

 

ক্রিকইনফোর বিপিএলের সেরা একাদশে যারা আছেন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
ক্রিকইনফোর বিপিএলের সেরা একাদশে যারা আছেন
ছবি : সংগৃহীত

দুদিন হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর শেষ হয়েছে। ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা ধরে রেখেছে ফরচুন বরিশাল। 

এবারের আসরে রান হয়েছে বেশ। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের নিয়ে বিপিএলের একাদশ আসরের সেরা একাদশ তৈরি করেছে ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো। 

সেই একাদশে জায়গা হয়েছে পাঁচ ব্যাটার, দুই অলরাউন্ডার, তিন পেসার ও  এক স্পিনার। একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে শিরোপাজয়ী ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। 

তামিমের ওপেনিংয়ের সঙ্গী খুলনা টাইগার্সের বাঁহাতি ব্যাটার নাঈম শেখ।  সদ্যসমাপ্ত বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় ৫১১ রান করে সবার ওপরে অবস্থান করছেন এই ওপেনার। 

তিনে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার জাকির হাসান। চিটাগং কিংসের গ্রাহাম ক্লার্ক রয়েছেন চার নম্বরে। পাঁচ  নম্বরে অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে দারুণ পারফর্ম করা খুশদিল শাহ। এবারের বিপিএলে স্পিনারদের মধ্যে সর্বাধিক উইকেট তার দখলে। শিকার করেছেন ১৭ উইকেট।

উইকেটকিপার হিসেবে আছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তার অবস্থান ছয়ে। খেলেছিলেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে।

সাতে আছেন বরিশালের পাকিস্তানি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। চিটাগংয়ের রহস্য স্পিনার আলিস আল ইসলাম রয়েছেন আট নম্বরে। 

২৫ উইকেট নিয়ে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়া তাসকিন আহমেদ আছেন ৯ নম্বরে। 

চিটাগংয়ের ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ আছেন দশে। ১১ নম্বরে থাকা রংপুরের বাঁহাতি পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদ।

ইএসপিএনক্রিকইনফো একাদশ

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, জাকির হাসান, গ্রাহাম ক্লার্ক, খুশদিল শাহ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, আলিস আল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ ও আকিফ জাভেদ।

ভূমিকম্পের পর অলিম্পিয়াকে কাঁপাল মেসি ও মায়ামি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২০ পিএম
ভূমিকম্পের পর অলিম্পিয়াকে কাঁপাল মেসি ও মায়ামি
ছবি : সংগৃহীত

মায়ামির ম্যাচের ঘন্টা দুয়েকেরও কিছু সময় বেশি আগে ভূমিকম্প আঘাত হানে উত্তর হন্ডুরাসে। তখন ঘড়িতে সময় সন্ধ্যা ৬.২৩। যার মাত্রা ছিল ৭.৬। ওই অঞ্চলে সবশেষ চার বছরের মধ্যে যা কিনা সর্বোচ্চ।

ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর সুনামির আশঙ্কাও করেছিল মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। সেটি অবশ্য পরে বাতিল হয়। আকস্মিক এই ভূমিকম্পের সময় হন্ডুরাসেই অবস্থান ছিল লিওনেল মেসি ও ইন্টার মায়ামি।

প্রাক্‌-মৌসুম ম্যাচ খেলতে সেখানে গিয়েছিল মেজর লিগের দলটি। ভূমিকম্পের পর সুনামির শঙ্কা থাকলেও তেমনটা কিছুই হয়নি। কাছাকাছি সময়ে রাত ৮টায় মেসিদের ম্যাচও তাই ঠিক সময়ে মাঠে গড়িয়েছে। সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ওপর ভূমিকম্পের ন্যায় আঘাত করেছে মেসির মায়ামি। জয় পেয়েছে তারা ৫-০ ব্যবধানে।

ম্যাচটি হয়েছে চেলাটো ইউক্লেস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। যার অবস্থান ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ৪০০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। সে মাঠে গোল পেয়েছেন মেসি এবং সুয়ারেজ দুইজনই। একটি করে গোল এসেছে তাদের পা থেকে। মেসি গোল করিয়েছেন আরও দুটি।

দলের হয়ে ২৭ মিনিটে মেসির করা গোলটাই প্রথম। ডি বক্সে সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান মেসি। তার আগে সুয়ারেজকে বলটা দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার মার্সেলো ভাইগান্ট।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগের মিনিটে ফেদেরিকো রেদোনদো এবং যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নোয়াহ অ্যালেনের গোলে ব্যবধান ৩-০ করে মায়ামি। দুটি গোলেই সহায়তা করেছেন মেসি।

ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গোলের দেখা পান সুয়ারেজও। ফলে ৪-০  হয়ে যায় ব্যবধান। ম্যাচের শেষ গোলটি করেন রায়ান সেইলর, ৭৯ মিনিটে।