ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

বিপিএলের ফাইনাল আজ, কে হাসবে শেষ হাসি?

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
বিপিএলের ফাইনাল আজ, কে হাসবে শেষ হাসি?
বিপিএলের ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশনে দুই দলের অধিনায়ক

৩৯ দিনে সাত দলের তুখোড় লড়াই। শেষ পর্যন্ত সব বাধা ডিঙিয়ে বিপিএলের শিরোপা মঞ্চে মুখোমুখি দুই দল। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল।

শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস। টি স্পোর্টস অ্যাপসেও উপভোগ করা যাবে ম্যাচ। 

ফরচুন বরিশাল বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। চলমান টুর্নামেন্টেও দুরন্ত দলটি। লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ছিল তামিম ব্রিগেড। ১২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ জয়ে দলটির পয়েন্ট ছিল ১৮। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় বরিশাল।

১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করা চিটাগং কিংস ছিল তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া দলটি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফিরে আসে চমৎকারভাবে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শেষ বলে বাউন্ডারির সুবাদে রোমাঞ্চকর জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করে বন্দরনগরীর দলটি। 

ফাইনালে ধারে-ভারে এগিয়ে থাকছে বরিশালই। গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশালের এটি পঞ্চম ফাইনাল। ২০১২, ২০১৫ ও ২০২২ সালের বিপিএলে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা স্পর্শ করতে পারেনি বরিশাল। হারতে হয় ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পায় বরিশাল। অন্যদিকে চিটাগং কিংস বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ২০১৩ সালে উঠেছিল ফাইনালে। কিন্তু হারতে হয় ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কাছে। এরপর এই নামে তারা আর অংশগ্রহণ করেনি। এবার একই নামে আবার ফিরে এসেই শিরোপা জয়ের শেষ ধাপে উঠে এসেছে। মাঝের আসরগুলোতে প্রতিবারই চিটাগং অংশ নিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মালিকানায়। কিন্তু একবারও ফাইনালে উঠতে পারেনি।

দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার জন্য মুখিয়ে আছে বরিশাল। তবে প্রথমবারের মতো ট্রফিতে চুমু আঁকতে মরিয়া চিটাগং কিংসও। দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাৎ প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। যেখানে বলতে গেলে একতরফাভাবে জিতেছিল বরিশাল। যে ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং করতে পারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। শামীম হোসেন (৭৯) ও ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (৩৬) ছাড়া চিটাগংয়ের কোনো ব্যাটার ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। জবাবে বরিশাল লক্ষ্যে পৌঁছেছিল ৯ উইকেটে ও ১৬ বল হাতে রেখে। তৌহিদ হৃদয় খেলেছিলেন ৫৬ বলে ৮২ রানের ঝলমলে ইনিংস। 

বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ সমৃদ্ধ। তামিম, হৃদয়, মালান, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মায়ার্স, নবীদের প্রায় সবাই কমবেশি আছেন ছন্দে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম। চিটাগংয়ের জন্য যা মাথাব্যথার বড় কারণ। তবে ফাইনালের মঞ্চে কী ঘটবে, তা আগাম বলা মুশকিল। স্নায়ুচাপ ধরে রেখে তিন ভার্সনেই যারা ছন্দে থাকবে, জিতবে তারাই। সেই দল কোনটি, বরিশাল না চিটাগং? উত্তর মিলবে আজ রাতেই। 

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সবগুলো ম্যাচ টি-টোয়েন্টি!

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সবগুলো ম্যাচ টি-টোয়েন্টি!
ছবি : সংগৃহীত

ব্যর্থ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শেষে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। লিগের মাঝপথে শেষে আগামী মাসে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ। ঘরের মাঠে হতে যাওয়া এই সিরিজে খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।

ঘরের মাঠে হতে যাওয়া সেই সিরিজে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। দুটি টেস্টই হতে যাচ্ছে ঢাকার বাইরে সিলেট ও চট্টগ্রামে।

এই সিরিজের পর মে মাসে পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। মাসখানেক পর জুলাই মাসে আবার পাকিস্তান ক্রিকেট দল সফর করবে বাংলাদেশ।

তবে সিরিজটি এফটিপির বাইরের। দুই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই ওয়ানডে সংস্করণে হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। 

জানা গেছে, সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হতে পারে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কা আয়োজন করবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখেই দুই দলের ৮ ম্যাচের দুই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হতে পারে।

গুঞ্জন ছড়ালেও বিসিবি কিংবা পিসিবি কারো পক্ষ থেকেই অফিশিয়ালি কোনোকিছু জানানো হয়নি। 

আইপিএল নাম কাটা গেল ধারাভাষ্যকার ইরফানের

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
নাম কাটা গেল ধারাভাষ্যকার ইরফানের
ছবি : সংগৃহীত

ইরফান পাঠান নিয়মিতই এখন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করেন থাকেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, সব জায়গাতেই তার দেখা মেলে। তবে এবারের আইপিএলের ধারাভাষ্যকারদের প্যানেলদের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তিনি।

গত শুক্রবার সদ্য শুরু হওয়া আইপিএলের ধারাভাষ্যকারদের নাম প্রকাশ করা হয়। যেখানে ভারতীয়-বিদেশি, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে সংখ্যাটা ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্রিকেটার। সেই তালিকায় ছিল না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের নাম।

পরে জানা গেছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের অভিযোগের ভিত্তিতেই ইরফানকে রাখা হয়নি এবারের প্যানেলে। ‘মাইখেল’ এর বরাত দিয়ে এমন সংবাদ প্রচার করেছে ভারতের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম।

স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক আইপিএলের অফিশিয়াল সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান ইরফানের না থাকা নিয়ে মাইখেল সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বেশ কিছু ক্রিকেটার অভিযোগ করেছেন – তিনি ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা থেকে সিদ্ধান্ত টেনে আনেন। 

এমনকি সবশেষ বোর্ডার-গাভাষ্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের এক ক্রিকেটারকে নিয়ে সমালোচনামূলক কথা ভালোভাবে নেননি সেই তারকা। এমনকি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে সেই ক্রিকেটার ইরফানকে ব্লক করে দিয়েছেন ফোনেও। 

এ বিষয়ে পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মন্তব্য পায়নি সংবাদমাধ্যমটি।

সূত্র এমনও জানিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও আইপিএল চলাকালিন নির্দিষ্ট কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাপচারিতায় ইরফানের ‘অ্যাটিটিউট’ ভালোভাবে নেয়নি বিসিসিআই। এমনটা না হলে তিনি এবারও ধারাভাষ্যকার হিসেব থাকতেন আইপিএলে। সবশেষ দুই বছরে নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত এজেন্ডা কায়েম করছে, যেটা ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।’

উল্লেখ্য, ক্রিকেটারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হার্শা ভোগলে এবং সঞ্জয় মাঞ্জরেকারদের মতো ধারাভাষ্যকারদেরও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে ২০২০ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয় সঞ্জয়কে। ২০১৬ আইপিএল শুরুর কিছুদিন আগে কোনো রকম ব্যাখ্যা দেওয়া ছাড়াই ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল হার্শা ভোগলেকে। 

সেই সময় তিনি ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘আমাকে কেন আইপিএলে রাখা হয়নি আমি এখনও জানি না। মানুষ আমাকে পছন্দ করে না সেটি আমি মানছি। কিন্তু আমি আশা করব না যে কোনো ক্রিকেটারের অভিযোগের কারণে এমনটা ঘটেনি।’

অভিমানের সুরে সাকিব বললেন, ‘অভিযোগ নেই’

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
অভিমানের সুরে সাকিব বললেন, ‘অভিযোগ নেই’
ছবি : সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কথাটা তিনি গেল বছর ভারতের নাগপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সাকিবই ছিলেন না কিছুদিন আগে শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে।

সেই স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ার একটা বড় কারণ ছিল বোলিং অ্যাকশন। সেই পরীক্ষায় তখন পাশ না করতে পারা সাকিবকে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে দলে জায়গা দিতে রাজি ছিল না নির্বাচকরা।

পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া সেই আসরে বাংলাদেশ দল দেওয়ার আগে টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবের সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ করেছিল কিনা, এ নিয়ে রয়েছে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল। 

এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন সাকিব নিজেই। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে তিনি কথা বলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগে কতটুকু যোগাযোগ হয়েছে তার টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না থাকায় বোর্ডের প্রতি তার কোনো অভিযোগ আছে কিনা সেই প্রশ্নে সাকিব জানিয়েছেন, ‘দেখুন, আমার কোনও অভিযোগ নেই। তবে যদি সেই ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও ভালো হতো, তাহলে আমি আরও খুশি হতাম।’

সেই প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, জাতীয় দলের সহকারী কোচ ও  সাকিবের শৈশবের পরামর্শদাতা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে এক সপ্তাহ ক্যাম্প করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটিও করা সম্ভব হয়নি। বিসিবি তার অনুরোধটি উপেক্ষা করে। পরে বোলিং পরীক্ষায় কৃতকার্য না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দিয়েই ঘোষণা করা হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় সাকিব অবস্থান করছিলেন কানাডায়। সেখানে তিনি গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিয়েছিলেন। দেশের হয়ে সাদা জার্সি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে খেললেও রাজনৈতিক বাস্তবতায় আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি তার। এমনকি দেশের মাটিতে টেস্ট অবসরের ইচ্ছাও এখনও ঝুলে আছে।

উড়ন্ত শুরু বেঙ্গালুরুর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:১০ এএম
উড়ন্ত শুরু বেঙ্গালুরুর
ছবি : সংগৃহীত

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ঠিকঠাক দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও হতাশা নিয়ে মাঠে ছেড়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও কলকাতাকে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ফলে টুর্নামেন্টে দারুণ শুরু করেছে রজত পাতিদাররা।

১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ও ফিল সল্টের দারুণ উদ্বোধনী  জুটি সহজ করে দেয় ম্যাচ। ৯৫ রানের জুটিতে ৯ চার ও ২ ছয়ে ৩১ বলে ৫৬ রান করেন সল্ট। তবে কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৫৯ রান করে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি ৩ ছয় ও ৪টি চারের মারে। 

১৬ বলে ৩৪ করেন অধিনায়ক রজত পাতিদার। দেবদূত পাদিক্কাল করেন ১০ রান। ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন লিয়ান লিভিংস্টোন। 

এর আগে, আজিঙ্কা রাহানে আর সুনিল নারিনের ব্যাটে চড়ে ৮ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল কলকাতা।

তবে অভিজ্ঞ অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে খেলেন দারুণ এক ইনিংস। তার ব্যাটে আসে ৩১ বলে ৫৬ রান। তাকে সঙ্গ দেওয়া সুনিল নারাইন আউট হন ২৬ বলে ৪৪ রান করে। তার আউটের ২ রান পরই রাহানে আউট হলে ১০৯ রান রাইডার্সদের পতন হয় ৩ উইকেটের। তাদের জুটি হয় ১০৩ রানের।

দ্রুত ২ উইকেট হারানো কলকাতার ইনিংস মেরামত করতে ব্যর্থ হন ভেঙ্কটেশ আয়ার। ৭ বলে ৬ রান করেই ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। পান্ডিয়া বোল্ড করেন রিঙ্কু সিংকেও (১০ বলে ১২)।

মারকুটে আন্দ্রে রাসেল হন ব্যাট হাতে ব্যর্থ। ৩ বলে ৪ করে সুয়েশ শর্মার বলে বোল্ড ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। শেষদিকে ২২ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন আঙ্গকৃষ রঘুবানসি।

বেঙ্গালুরুর ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৯ রানে শিকার করেন তিনটি উইকেট।

পর্যটন শহরে ফুটবল রোমাঞ্চ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
পর্যটন শহরে ফুটবল রোমাঞ্চ
ছবি : সংগৃহীত

পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে ট্যাক্সিক্যাব ছুটে চলেছে। রাস্তার যেদিকেই দৃষ্টি যাক না কেন, দেখা যায় উড়ে বেড়াচ্ছে মেঘমল্লার। সেই মেঘের বুক চিরে কখনো কখনো দূরের উঁচু পাহাড়ের টিলাগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। অনেক টিলা আবার মুহূর্তেই হারিয়ে যাচ্ছে মেঘের রাজ্যে। কোথাও আবার পাহাড়ের বুক চিরে জলের ধারা বইয়ে যাওয়ার মনমুগ্ধকর দৃশ্যেরও দেখা মিলছে। সিলেটের তামাবিল বন্দর দিয়ে শিলং আসতে প্রকৃতির এতসব সুধা একসঙ্গে পানের সুযোগ মিলেছে।

মেঘালয় রাজ্যের শহর শিলংয়ে আসার ‍উদ্দেশ্য আগামী ২৫ মার্চ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ কাভার করা। এই শহরের বিশ্বজোড়া পরিচিতি পর্যটন নগরী হিসেবেই। সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা জটিলতায় খুব বেশি বাংলাদেশির আনাগোনা ভারতের কোনো রাজ্যেই নেই। শিলংও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে যেসব শহর বাংলাদেশের মানুষকে চম্বুকের মতো টানে, তার অন্যতম এই শিলং। একে তো সিলেটের খুব কাছে। তার ওপর পাহাড়, মেঘ, ঝরনাধারার প্রাকৃতিক লিলার অপরূপ পসরা, তা এই শহরে ফুটবলের উন্মাদনাটা কেমন?

বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে, পোলো গ্রাউন্ড নামেও এটি পরিচিত। এখন পর্যন্ত এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে মাত্র একটি। তাও খুব বেশি দিন আগে নয়। সময়ের হিসাবে এক সপ্তাহও পার হয়নি। গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ভারত। মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচটির আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে খেলেছেন সুনিল ছেত্রিরা। আর জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা হয়েছে মূলত বাংলাদেশ ম্যাচকে সামনে রেখেই। এতটুকু পড়ে এটা ভাবা অবান্তর হবে যে, এই শহরের মানুষের মনে ফুটবল নেই। আদতে শিলংয়ের মানুষ বেশ ফুটবলপ্রিয়। এখানকার দল শিলং লাজং খেলে আইলিগে। নেহরু স্টেডিয়াম তারা নিজেদেরই মাঠ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছে। ইন্ডিয়ান ‍সুপার লিগের দল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসিও মাঠটিকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। নর্থইস্ট ইউনাইটেড আবার শিলংয়েরই অদূরের শহর গোয়াহাটির দল। ফলে এক অর্থে এই দলটি শিলংয়ের মানুষেরও। সবমিলিয়ে ভারতীয় ফুটবলে শিলংয়ের একটা আলাদা জায়গা আছে।

তামাবিল ও ডাউকি বন্দর পাড়ি দিয়ে শিলং পর্যন্ত আসার সময়ে ফুটবলের তেমন কোনো ছোঁয়া পাওয়া যায়নি। এমন কি বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল ম্যাচের প্রচারণার অংশ হিসেবেও কোনো কিছু চোখে পড়েনি। খেলাধুলাসংক্রান্ত কোনো কিছুই যেন নেই। শুধু শিলংয়ের মূল প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশমুখে একটি বিলবোর্ডে পাওয়া গেল সুনীল গাভাস্কারকে। এমন কি আইপিএল নিয়েও তেমন কোনো কিছু নেই। তবে হোটেল চেকইন সেরে মাঠে যেতেই ধারণাটা বদলে যায়। বাংলাদেশ দল গতকাল অনুশীলন করেছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড টু-তে। যে ট্যাক্সিতে করে মাঠে যাওয়া, সেই ট্যাক্সি ড্রাইভার তো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে রীতিমতো রোমাঞ্চিত। বেশ কয়েক দিন আগেই এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি টিকিট সংগ্রহ করে রেখেছেন। তার ধারণা ম্যাচটিতে স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে। বাংলাদেশি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে নিজে থেকেই ফুটবল নিয়ে অনেক কিছু বলে গেলেন। যদিও ভারতকেই সমর্থন করবেন টেলান নামের ওই তরুণ ড্রাইভার। তবে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটির খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর খেলা দেখতে মুখিয়ে আছেন তিনি। হামজা খেলবেন বলে অন্য রকম একটা আকর্ষণ অনুভব করছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে সন্ধ্যায় রেস্টুরেন্টে পওয়া যায় আরেক অভিজ্ঞতা। পাশের টেবিলে বসা স্থানীয় দুই যুবকের কথোপকথনে হঠাৎ কানে আসে তাদের আলাপের প্রসঙ্গ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। একজন আরেকজনকে বলছিলেন, ম্যাচের টিকিট পেয়েছিস? ম্যাচটা দেখতে হবে। খানিক পরেই ওই তরুণের প্রস্তাব, বাজি লাগবি ম্যাচটি নিয়ে? এভাবেই শিলংয়ের মানুষের মনে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের উত্তেজনা বেশ ভালোভাবেই পেয়ে বসেছে!