ছবি : সংগৃহীত
ইরফান পাঠান নিয়মিতই এখন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করেন থাকেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, সব জায়গাতেই তার দেখা মেলে। তবে এবারের আইপিএলের ধারাভাষ্যকারদের প্যানেলদের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তিনি।
গত শুক্রবার সদ্য শুরু হওয়া আইপিএলের ধারাভাষ্যকারদের নাম প্রকাশ করা হয়। যেখানে ভারতীয়-বিদেশি, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে সংখ্যাটা ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্রিকেটার। সেই তালিকায় ছিল না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের নাম।
পরে জানা গেছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের অভিযোগের ভিত্তিতেই ইরফানকে রাখা হয়নি এবারের প্যানেলে। ‘মাইখেল’ এর বরাত দিয়ে এমন সংবাদ প্রচার করেছে ভারতের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম।
স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক আইপিএলের অফিশিয়াল সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান ইরফানের না থাকা নিয়ে মাইখেল সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বেশ কিছু ক্রিকেটার অভিযোগ করেছেন – তিনি ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা থেকে সিদ্ধান্ত টেনে আনেন।
এমনকি সবশেষ বোর্ডার-গাভাষ্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের এক ক্রিকেটারকে নিয়ে সমালোচনামূলক কথা ভালোভাবে নেননি সেই তারকা। এমনকি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে সেই ক্রিকেটার ইরফানকে ব্লক করে দিয়েছেন ফোনেও।
এ বিষয়ে পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মন্তব্য পায়নি সংবাদমাধ্যমটি।
সূত্র এমনও জানিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও আইপিএল চলাকালিন নির্দিষ্ট কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাপচারিতায় ইরফানের ‘অ্যাটিটিউট’ ভালোভাবে নেয়নি বিসিসিআই। এমনটা না হলে তিনি এবারও ধারাভাষ্যকার হিসেব থাকতেন আইপিএলে। সবশেষ দুই বছরে নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত এজেন্ডা কায়েম করছে, যেটা ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।’
উল্লেখ্য, ক্রিকেটারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হার্শা ভোগলে এবং সঞ্জয় মাঞ্জরেকারদের মতো ধারাভাষ্যকারদেরও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে ২০২০ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয় সঞ্জয়কে। ২০১৬ আইপিএল শুরুর কিছুদিন আগে কোনো রকম ব্যাখ্যা দেওয়া ছাড়াই ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল হার্শা ভোগলেকে।
সেই সময় তিনি ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘আমাকে কেন আইপিএলে রাখা হয়নি আমি এখনও জানি না। মানুষ আমাকে পছন্দ করে না সেটি আমি মানছি। কিন্তু আমি আশা করব না যে কোনো ক্রিকেটারের অভিযোগের কারণে এমনটা ঘটেনি।’